গাছে মেঘকালার। মাঠে মেঘকালার। বসন্তের শাখায় শাখায় মেঘকালার। কলাভবন থেকে মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত যে রাস্তাটি চলে গেছে সেই রাস্তার হাড়-কংকাল-মাংসে মেঘকালার। প্রকৃতি আজ নয়টা-পাঁচটা ডিউটি থেকে মুক্ত। প্রকৃতি আজ নিজের মতো করে বাউলিপনা করবে বলে ঘরকে করেছে বাহির। শকুন্তলাও তার পুরাতন সাইকেলকে ডাক দিয়েছে। বাংলা সাহিত্যের প্রাকৃতিক সাইকেল। সাইকেল হাজির। পৃথিবীর ছাদের নিচে একমাত্র বাউল নারী শকুন্তলা। মেড্ডার অর্ধখণ্ড দিয়ে শকুন্তলা পড়েছে কপালের টিপ। জল পড়ছে, বাসন্তী জল। জল থেকে রং এনে শকুন্তলা সম্পন্ন করছে পেডিকিউর। জলের সাথে নেমে আসছে শিলা। শিলাবৃষ্টি শরীরে মাখছে আর তাতেই তার শরীর থেকে ঝরে পড়ছে দুষ্মন্তশোক। প্রকৃতি আর শকুন্তলা যেখানে এক সেইখানেই শকুন্তলার বাহুযুগল কোমল গাছের মতো, তার ঠোঁটে নতুন পাতার শোভা। শকুন্তলা তার সাইকেলের কাছে নিরাপদ, প্রকৃতির ভেতর নিরাপদ। দুষ্মন্ত শকুন্তলা থেকে অনেক দূরে— কোনো এক নাগরিক
Year: 2021
তাবির
তাবির। তার নাম। তাবির তার নাম। সন্ধ্যা হলে বাবলা গাছের সরাসরি নিচে আসেন। পাখি তখন ঘরে ফিরতে শুরু করে। শব্দধ্যান। তাবির এই সময় শব্দধ্যান করেন। বাবলা গাছের পাশেই তার ঘর। ছোট্ট একটা ঘর। একজন থাকতে পারে এমন ঘর। রুমও বলা যেতে পারে। তবে ঘর বলা সুবিধাজনক। কয়েকদিন পর পর এক মহিলা বাবলা গাছের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তাবিরকেই গালিগালাজ করে। তাবির তখন ঘরের ভেতরে পরমের ধ্যানে মগ্ন। কোনোদিন আবার খুচরো কাজে ব্যস্ত থাকেন। কোনোদিন তাবির মহিলার সাথে অংশগ্রহন করেন। তাবির গালিগালাজ করেন না। মহিলাকে গালিগালাজ করার সুযোগ করে দেন। মেজর। তাবিরের বন্ধু। সে প্রায়ই তাবিরের বাবলা গাছের নিচে আসে। রাগ প্রকাশ করে মেজর। মহিলার প্রতি রাগ প্রকাশ করে। মহিলাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতে চায় মেজর। তাবির নিষেধ করে। অনেকদিন হয়ে
Higher than Blue
Every time in the evening come to say you the word The word is holy The word is child The word is blabber The word is epos But I can't utter the word But I can I want to keep my word on your mind ford But I am to stand still to watch your forearm to watch you are staring to watch your silence Your silence is stream ever than the river Your silence is sky higher than blue Your silence is wild more than thought Your silence is a panacea effective much more than integral hail You are the you thought of mine Look you say nothing Talk you having nothing Kiss you not of touching Intone you not of singing But Yes I want to say you something every time of evening what I can say what
জাত লেখকসত্তা
জীবন যদি পূর্ণ লেখকময় না হয় তাহলে আস্ত লেখা উপহার দেয়া অসম্ভব। উপহার! হ্যাঁ। কারণ লেখার কোনো বিনিময় মূল্য হয় না। লেখক লেখেন একধরনের সৌন্দর্যচেতনা থেকে। চেতনার মূলে থাকে একান্ত নিজস্ববোধ। জন্মপরিচয়ের বাইরেও লেখক আলাদা পরিচয় খোঁজেন, চেনা-জানা পৃথিবীর বাইরে আলাদা জগতের সন্ধ্যানে থাকেন। এখানেই জেলে আর লেখকের পার্থক্য! জেলে জল থেকে মাছ কেড়ে আনেন। উদ্দেশ্য বৈষয়িক। লেখক জীবনের ভেতরে মাছ খোঁজ করেন। উদ্দেশ্য সংকটাপন্ন আমির একটি স্বাতন্ত্র্য আবহ। ইনডিভিজুয়্যাল টেলেন্ট বলতে যা বুঝানো হয় তার সাথে বর্তমান থাকা। ফলে জেলে যখন মাছ খোঁজতে গিয়ে মাছই পান; লেখক তখন মাছ খোঁজতে গিয়ে নিজেকে হারান। একটি বীজ যেমন দেহকে হারানো পর একটি বৃক্ষশাখা জন্ম দেয় তেমনি লেখক নিজেকে অনেকবার হারানোর পর শংকরময় এলাকার অবসান ঘটনায়। আবিষ্কৃত হয় জাত লেখকসত্তা। যারা আক্ষেপগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। যাদের স্বপ্নযাত্রার
Famous Mistake
Heard that man lives on hope. Found that hope is the bridge of man onto the walk of time. Time is a country where everything born not ready to die. System of generating one after one, before after last. The word dally in the dictionary wholly embarrassing for the time. An obituary is totally unknown to the time, but time is habituated with the addendum method. We are man, animal and the universe, one term witness of time. We are living on a power that comes from time. The different value of the universe refers to the vacant variance of time. So the meaning we are born the meaning of time expression. An idea of dying with whom dazzle flow living
তারানি
নারীর জন্ম মৃত্যু বরাবর। জন্মের গোলাপি স্বাদ তাদের প্রতারণা করে সেই সময় এবং এই সময়। নারীর ফটোকপি চোখের সামনে জ্বলজ্বল। মূল কপি চিতা বাঘের চিন্তায়। মনটা তাদের আশ্রয় খোঁজার তালে মাতাল। আসলে মহলের বাসিন্দারা কোনো দিন নারী হয়ে ওঠতে পারিনি; হয়ে ওঠে ‘রমণী’ ‘জননী’। তারানি তাদের প্রতিনিধি নয়? বিয়া বইতাম না। জীবনডা আমার। তুমরা অত ফাগল ঐছ কেরে। বিয়ার জীবন আর গাদার জীবন হমান হমান। মারে লন্ডনপ্রবাসী বড় ঘরের ছেলে। তোরে লন্ডন নিয়া যাইব। নাহুশ-তাহুশ করিস না। এমন বিয়া হগলের কফালে অই না। খাচার পরিপাটি গল্প ঘন-নীল আকাশপ্রাণ তারানির জেদে ঝড় আনে। তার হক কথার উত্তেজনায় রাগের ভাইরাস ছড়ে সবপাশ। সে তখন আন্তর্জাতিক বেয়াদব। তারানির একমুখী জেদ ভাতের ফেনার মতো গাণিতিক নয়; জ্যামিতিক হারে বাড়ে। কইছি বিয়া বইতাম না; মরা কবর থেইক্কা উইট্টা আইলেও
তুমিও মানুষ, দিনশেষে
জীব জন্তু জানোয়ার নয়, মানুষ সম্পর্কে তোমাকে সাবধান করছি। মানুষ তোমাকে ভালো থাকতে দিবে না, মানুষ তোমাকে খারাপ থাকতে বলবে না, মানুষ এখন পর্যন্ত আমার দেখা একমাত্র চিড়িয়া যাদের দেখতে চিড়িয়াখানায় যেতে হয় না। জীবন নামক তরকারিতে মানুষকে লবনের মতো ব্যবহার করতে শিখো যেনো তোমার জীবন-উত্তর শেষ পর্যন্ত তুমি দিতে পারো। কোনো মানুষকে তোমার কথা শুনতে বাধ্য করবে না। আমার কথা তুমি মানতে বাধ্য থাকবে না। কথাকে কাজে রূপান্তরিত করার আগে নিজের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ওপেন করে নিবে। নিজের চোখ সবচেয়ে বড় আদালত, নিজের মুখ সবচেয়ে বড় মার্কেট, নিজের হাত সবচেয়ে বড় গ্রুপ অব কোম্পানি, নিজের পা সবচেয়ে বড় মানবিক হাসপাতাল। নিজের চেয়ে কাউকে অধিক ভালোবাসতে যাবে না, পৃথিবীটা ভালোবাসার জায়গা নয়, দুনিয়াটা জাস্ট প্রয়োজনের জায়গা। কাউকে মুগ্ধ করার জন্যে হকার হয়ে উঠা
The notion of my motion
I was within a tableland. The name of my tableland is silence. Now I can walk, am able to utter. But I can’t stare at the tabor of my silence. The earth also cites me that he was also silent. And we were hers. I am puzzled and so on… Now I am the father of time being. An arena has been created for playing. But when, the field is acceded. I have been the player in confidence. Who says me a player? To be a player a ground is needed. Mind is the ever ground for that. He always sends a message to his nearest feelings. So he is a haberdasher so called. I call him alive partner. Alive means not only
ভালোই আছি দেশটাতে
আশেক, মাশুক আর মুরশিদের গল্প
মুসলমানরা এই সহজিয়া মাটিতে যেভাবে জায়গা করে নিয়েছে ওস্তাদ শব্দটি সেইভাবেই জায়গা করে নিয়েছে। ওস্তাদ শব্দটি ফারসি শব্দ। ‘ওস্তাদ’ যখন বিশেষ্য তখন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় গুরু, শিক্ষক, প্রভু। দাউদ নবীর আবৃতি শুনে সাগর থেকে মাছ চলে আসতো। সপ্তাহে একদিন তিনি তার ধর্মগ্রন্থ আবৃতি করতেন। আবৃতির দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। মাছধরা নিষিদ্ধ— কারন মাছেরা সম্মোহিত— সম্মোহিত প্রানিকে ধরতে নেই। আমিও সম্মোহিত প্রানি ছিলাম, আছি, হয়তো থাকবো। বারবার সম্মোহিত হয়ে আমি ধরা পড়েছি। সম্মোহনের স্থান, সময় ভিন্ন থেকে ভিন্নতর হয়েছে। কিন্তু সম্মোহিত হয়েছি এই আকাশের নিচে, চোখের সামনে কিংবা মনের ভেতর— কতবার যে সম্মোহিত হয়েছি আর বুকের ভেতর পানি শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতো রেখা চিহ্ন রয়ে গেছে তার দিকবাল বা স্মরনসভা আমার স্মৃতির আয়োজন সভায় এতটুকু মনে পড়ে না— ‘ব্যথা দিয়ে কবে কথা কয়েছিলে পড়ে