অসুস্থ। আমি অসুস্থ। অসুস্থ বলতে লোজ মোশন। অসুস্থ অবস্থায় জানতে পারি (০৪/০৩/২০২০) বাংলাদেশ ম্যারাথন আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘Uttara 10k’ নামে একটি দৌড় ইভেন্ট। রেজিস্ট্রেশনের সময় শেষ। এখন কী হবে!? ছয় তলার এন্টম আমার নিরাশার বালুচরে আশা জাগায়। তার মাধ্যমে জানতে পারি স্পট রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ রয়েছে। বাহ! খুবই ভালো সংবাদ। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার কোনো মাধ্যম খুজে পাচ্ছি না। ০৫/০৩/২০২০ সন্ধ্যা চারটার দিকে গাজীপুরের আরিফ ভাইকে ম্যাসেজ করি। ভাই দিয়ে দিলেন কর্তৃপক্ষের নাম্বার। পার্থ দাকে ফোন দিলাম। দাদা গ্রিন সিগন্যাল দিলেন। শ্যামলি থেকে স্পটে আসতে আসতে পাচটা বিশ। পেটের গুরুর গুরুর ডাক বর্তমান রয়েছে। রাতে ঘুম হয়েছে এক থেকে দেড় ঘন্টার মতো। মনে সাহস ছিল বর্তমান। জাস্ট ছয়টায় ম্যারাথন শুরু হলো। দৌড় দেয়ার সাথে সাথে মনে হচ্ছে পা চলবে না। মনে সাহস
Year: 2021
‘সদর ও অন্দর’ গল্পের বেদন অবেদন নিবেদন
বিপিন। বিপিনকিশোর। তার নামের শেষে কিশোর আছে মানে বিপিন সারা জীবন কিশোর থাকবে এমন ভাববার কোনো কারন নাই। কনক্রিট সময় মানুষকে বাস্তবতার মুখোমুখি করেই থাকে। শিশু থেকে কিশোর, কিশোর থেকে যুবক, যুবক থেকে বৃদ্ধ হওয়া পর্যন্ত যে চক্র সেই চক্রে মানুষকে পড়তেই হয়। আর তাই সময় বাস্তবতা। বিপিনকিশোরের জন্ম ধনীঘরে। তাই সে অর্থ ব্যয় করা জানে ভালোই। কিন্তু অর্থ উপার্জনের মন্ত্র তার তেমন ভালো জানা নাই। ব্যয়ের সাথে আয়ের ব্যালেন্স না থাকলে হিসাবের অভিধানে অপচয় বলে একাউন্ট হয়ে থাকে। অপচয়কারী শয়তানের ভাই। লোকে বলে। শয়তানের কোনো টাকা পয়সা ধন দৌলত নাই। বিপিনেরও টাকা পয়সা ধন দৌলত থাকে না। তার সম্বল দুই টাকা মাত্র। তাও শেষ পর্যন্ত রাজভৃত্য পুটের পকেট ভারী করে। বিপিনকিশোর আসমান থেকে পৃথিবীতে নেমে আসছিল কিনা আমরা জানি না। আমরা
ভাষার সীমাবদ্ধতা, বর্নের সীমাবদ্ধতা
ছোটকাল থেকে শুনে আসছি ধ্বনির সাংকেতিক চিহ্ন বর্ন। কথাটি আংশিক সত্য, অধিকাংশ সত্য নয়। কারন ধ্বনি একটি বিশাল এলাকা। আর বর্ন ছোট এলাকা, খুবই ছোট এলাকা। উপলব্ধি যখন সাগর ধ্বনি তার জল। ধ্বনির বৈচিত্র্য ভাষার মাধুর্য নির্দেশ করে। আবিষ্কৃত বর্ন প্রায় সময় ধ্বনির বৈচিত্র্যময় এলাকায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কারন বর্ন মৌলভি যারা আছেন তারা বর্নের প্রথাগত উচ্চারন জায়গায় একেবারে পাগড়ি পরে সুন্নতি লাঠি নিয়ে বসে তাহেন। ফলে মুরিদরা মনে করে বর্নের উচ্চারন শুদ্ধতা মানে ভাষার একেবারে গঙ্গাজল শুদ্ধতার জায়গা। যেমন, ফন একটি শব্দ। ফন মানে সুন্দর, সতেজ, পরিষ্কার, ফ্রেশ। ফন শব্দটি উচ্চারন করার জন্য প এবং ফ এর মাঝে আরেকটি বর্ন আবিষ্কার করার প্রয়োজন। কিন্তু বাংলা ভাষায় সেই বর্নটি নেই। পৃথিবীর অনেক ভাষা পৃথিবীর অনেক শব্দ নিতে পারে না। এখানে ভাষার সীমাবদ্ধতা,
রহস্যের পথে দেখা হয় রোজ
আমিও কল দিয়েছিলাম ফোন বন্ধ ঘরের আলো নিভে গ্যাছে পাহাড়ি নদীর ডানহাতে জানালা ধরে নেমে আসছে চাদের বাসন্তী ঘ্রান একটা সন্ধ্যা একটা বিকাল একটা সকাল একটা সূর্যের মতো ভূতপূর্ব অভূতপূর্ব সময় আমি কল দিয়েছিলাম ফোন বন্ধ নদী দেখার ইচ্ছে কালো শাড়ি লাল টিপ কালো ব্লাউজ হাতে সবুজ রঙের কুচকাওয়াজ শঙ্খচিল মন আকাশে উড়াল দেয় রোদের ডানার মতো আকাশেও তুমি নেই বাতাসে নেই তোমার গন্ধ কথাতে নেই তোমার কম্পন চোখে নাই তোমার ঝনঝন দৃশ্য মনে মনে সারাদিন কলমন তোমার মনে ওয়াইফাই করি মনে মনে বেচে যাই আমরা শরীরে বেচে যায় মৃত্যু হলুদ আলোর সাথে বিয়ে দেই নীল আলোর অভিসারে যায় ব্রাউন সন্ধ্যার বেগুনি সকাল ফোনকলে কথা বলিনা কতকাল কতকাল তোমার মিষ্টি কন্ঠ আমার নিউরনে আমার নিউরনে চুমুভাস্কর্য স্থাপন করে না সাওম রোযার দেশে আমিও কাফির মুসাফির ইশারায় ডাক দিয়ে দেখো রক্তেমাংসে হবো হাজির কল দিয়েছিলাম মোবাইল ব্যালেন্স শেষ হওয়ার শত বছর আগে ফোন বন্ধ শতবছর পর দেখা হলেও বলবো ‘ভালোবাসি’ তোমার জন্য আমি বাচি আমার কথা
লাল মাটির পৃথিবী
লাইব্রেরি। লাইব্রেরির পাশে মেলার মাঠ। ভাষা ভবন। ভাষা ভবনের পাশে মেলার মাঠ। মেলার মাঠের কোনায় কোনায় তাদের আড্ডা। আড্ডায় বসে তারা বিলি করে দেশবিদেশের চরিত্রের সনদ পত্র। কে ভালো কে পাপী কে পন্ডিত মশাই কে মাস্টার মশাই কোন দাদার সাথে কোন দিদির টক কিংবা ঝাল সম্পর্ক তা এখানে বসে জানতে পারে বিশ্ব। অথবা ইহা শান্তিনিকেতনের ভাসমান নিউজরুম। এই নিউজরুমের কোনো প্রকার পরিবর্তন হয় না। প্রতিনিধি বদলায় কিন্তু নিধিরাম আচরন বদলায় না। অধ্যাপক বাবু দুবছর আগে যেমন করে রাস্তা মেপে মেপে হাঁটাচলা করতেন, এখনো করেন, এখন শুধু তার চোখের নিচের আকাশে ফন একখান স্বপ্নের জন্ম হয়েছে, বাবা হলে প্রত্যেক পিতার এমন একখান ভাবধাম আসে। অর্কিড বন্ধ হয়ে গ্যাছে। অর্কিডের আচরন নিয়ে শান্তিনিকেতনে মাস্তানি করছে আড্ডা। আড্ডায় জন্মদিনে লাল নীল হলুদ কালারের প্রেম খেলাধূলা করে, ভালোবাসা
রাজকোষ ও লাঠিয়াল
রাজ্যে নতুন আইন হলো। এক রাজ্যে। অবশ্যই সেখানে এক রাজা ছিল। একদা এক রাজা ছিলেন। রাজ্যের আয়তন খুবই ছোট ছিল। এক লক্ষ সাত চল্লিশ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মতো। জনসংখ্যা ছিল খুবই কম। মাত্র বিশ কোটি। যেহেতু আয়তন ও জনসংখ্যা খুবই কম ছিল সেইকারনে প্রজাদের খাবার রাজকোষ থেকেই দেয়া হতো। রাজা নতুন আইন করেন। আইনে বলা আছে সকালের নাস্তা প্রজাদের দেয়া হবে না। রাজা মনে করেছিলেন তিন বেলার খাবার খেয়ে প্রজারা শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান হয়ে যেতে পারে যা তার আসনের জন্য হুমকি স্বরূপ। কিন্তু রাজা প্রেসব্রিফিং করে জানালেন অন্য কথা। রাজা নাস্তা বন্ধ করার ব্যাপারে যে কথা জানালেন তা আপনাদের না জানলেও চলবে। আমাদের মসজিদের হুজুর বলতেন ‘সব কথা জানতে নেয়, সব কথা বলতে নেয়।’ কেউ কেউ রাজার নতুন আইনকে ভগবানের আইন বলে
অব্যয়
রেললাইন। হাজার বছরের পুরাতন রেললাইন। রেললাইনের পাশে মসজিদ। এখনো নির্মাণাধীন। একজন পাহারাদার, মুখে তার সর্বহারা সিগারেট। মসজিদের রড-সিমেন্ট যেন চুরি না হয় সেজন্য সারারাত তার ডিউটি। এই রেললাইনে কুকুর নিজের উপস্থিতি জানান দেয় প্রিয় কোনো শক্তিশালী ভঙ্গিমায়। রেললাইনের রেড এলার্ট কখন থেকে জারি করা তা রেললাইন জানে না, তাকে জানতে দেয়া হয়নি। একজন মাতাল পথ ভুলে রেললাইন ব্যবহার করছে বাড়ি ফেরার তাগাদায়। একটি চাঁদ ঝুলে আছে রেললাইনের ঠিক মাথা বরাবর। কৃত্রিম লাইট দূর অন্ধকারে মিলিয়ে যায়, দূর অন্ধকার থেকে ভেসে আসছে ঝিঁঝিঁপোকার আনন্দ ধ্বনি। দুটি আকাশচুম্বী বোকা গাছ লম্বা হতে হতে ছোট হওয়ার শিল্প ভুলে গেছে। রাত কিন্তু এখন মধ্য বয়সী— যৌবন এবং বৃদ্ধের হাতছানি। এই রাত বলে না কোনো কিছু আসবে,বলে না কোনো কিছু যাবে। কেবলই স্বপ্ন দেখায়। এখন রাতেরও স্বপ্ন
তিতাস একটি ট্রেনের নাম
তিতাস একটি ট্রেনের নাম। ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া তিতাস দৌড়ঝাঁপ করে। রেজা তিতাস ট্রেনের যাত্রী। রেজা ট্রেনে ওঠা মানে একটি সাধারন ক্লেশে ঘটনার কথা বলবেই। অর্থাৎ টিটির সাথে দেখা অথবা সুন্দরী কোনো নারী তার চোখে চোখ রেখেছে কিংবা ভাড়া না দিয়ে রেজা কেমন করে চকলেট মার্কা হাসি দিয়ে টিটিকে বিদায় করেছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। ঘটনা সত্য— রেজা এমন আত্মরতি মুগ্ধতায় প্রায় ভোগে। তিতাস একটি ট্রেনের নাম। কমলাপুর থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া পর্যন্ত তেইশ স্টেশন তার এলাকা। রেজা ভৈরব থেকে ট্রেনে ওঠেছে। যাবে নরসিংদী। গতকাল সে বাড়িতে ছিল। টানা পনেরো দিন ইন্ডিয়া জার্নির পর রেজার শরীরে হালকা পাতলা ক্লান্তি। কিন্তু রেজা তিতাস ট্রেনে কোনো সিট পাইনি। দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিদিনের মতো রেজার ট্রেন জার্নি বর্ননায় যিনি আসেন তিনি আসলেন। মানে টিটি আসল। কোথায় যাবেন? নরসিংদী। ভাড়া কত? টিটি
নীরব পথ
পথ আমি চিনি না। কোনো পথ। কোনো পথে আমার বাড়িঘর নেই। এই যে এই পথটি। মানে বিনয় ভবনের রাস্তাটিকে চিনতে পারছি না। অথচ কত চেনা ছিল সে আমার, কত সুর ছিল তার আচরনে বিচরনে, শরীর ভর্তি ছিল তার নদী জল স্রোতের মাহফুজ— জল পাখিদের কলরব। পথিক ভাঙা পথে আজ সে কাগজের ফুল— অধরা গন্ধে অধিকারহীন ব্যাকুল। কলেজ স্ট্রেটের চায়ের কাপে গরমের তেজ অথচ ধুপ নেই তেমন, নাগরিক কলকাতা এমনই হয় প্রিয়তমা— তুমি তা জান না, তুমি তা জান না— জিন্সের পেন্টাগ্রামে বিনয় ভবন হাঁটে না। পথ আজ নীরব গুসসা করে পথ হারাচ্ছে সময়ের যৌবন পথ ভুলে যাচ্ছে তার নিজের পথিক অবিরাম আয়োজন করে প্রিয়জনকে ভুলে থাকা যায়? যায় না। দহনকাল সময়ে অসময়ে দেখা দেয় অমাবস্যা কিংবা বর্ষাকালে— প্রেমদহনে গ্যালে বর্ষার ঢল নামে হৃদয়ে বারবার— মুক্তি
বন্ধু গেলা রে
বন্ধু গেলা রে গেলা বন্ধু রাইখা আমায় আন্ধারে।। পূর্ণিমা রাতে তোমার হাতে বকুল ফুলের মালা মেঘনার তীরে আন্ধার ঘরে আমি যে একেলা মনে ব্যাথা মুখে নাই কথা চোখে ঝরে অঝোর ধারা।। পাখি ডাকে আগের মতো গাছে বসে গানপাখি উদাস নদী বৈঠা চালায় নৌকাতে নাই মনমাঝি আকাশ ভরা শুধু তুমি পাখির ডানায় এই আমি।। বন্ধু গেলা রে গেলা বন্ধু রাইখা আমায় আন্ধারে।।