বাইলসা = বালতি হাবান = সাবান কৈরকা = মুরগি আহেক = আসো, এসো ওটি = ঐখানে এটি = এখানে মাইদেনি = সকাল বেলার খাবার বাইডেক = আঙিনা ইলেদ্যা= ইচ্ছা দোহান = দোকান দোহানদার = দোকানদার হরকা = সরকার হইন্ধা = সন্ধ্যা চই = হাঁস ছপ = ঝোপ আরা = বাঁশবাগান যাহেক = যাও, যাওয়া মাইদেন = সকাল পাগাল= ধারালো দা কেদ = কাদা কান্দন = কাঁদা ছেরা = নাতির প্রতি সম্বোধন ছেরি = নাতনির প্রতি সম্বোধন পুনাই = বাচ্চা পুনা = প্রাণির বাচ্চা হিয়্যাল = শিয়াল ঠাহুর = ঠাকুর বরাক = মুষলধারে বৃষ্টি নামিল্যা / নাম্নি = পেটের অসুখ, লুজ মোশন পানঠি = লাঠি বিআইততা = বিবাহিত আবিআইততা = অবিবাহিত হয়োর = শ্বশুর হোয়রি = শ্বাশুড়ী আন্নে আইসকেন =
Year: 2021
আফালের মাছ [ ১ ]
সমাজে অপরাধী থাকে না, অপরাধীরা সমাজ বানায়, দেশে ক্রিমিনাল থাকে না, ক্রিমিনালরা দেশ বানায়। আমি অপরাধী প্রভু, তোমার বিপুলা পৃথিবীকে খন্ড বিখন্ড বিভক্ত করতে করতে দেশ কাল সমাজ নামক দেয়াল আর দেয়ালের সংবিধান রচনা করেছি। পৃথিবীর সব শোষিত গাধা কখনো এক হয়ে কাজ করতে পারে না কারন তারা গাধা যারা সম্পদ জমানোর চেষ্টা করেছে ইতিহাস তাদের মনে রাখে নাই, যারা নিজেকে অর্থময় করে তুলার চেষ্টায় ছিলো আজ তারা ইতিহাসের সম্পদ রাজপ্রাসাদের পাখি কখনো রাজা হয় না— রাজপ্রাসাদের অলংকার হয় মাত্র অন্ধকার তীব্র হলে মোমবাতির আগুনও কাজে লাগতে শুরু করে, অন্ধকার আরো তীব্র হলে দিয়াশলাইয়ের কাঠি হয়ে ওঠে মানুষের আরেক নাম বিদেশ থেকে গাছ এনে দেশের মাটিতে রোপন করলেই সেই গাছ দেশী হয়ে যায় না দুর্দিন মানুষের আসে না— সুদিন
পাখিটা উড়ি উড়ি উড়ি উড়ি করে
পাখিটা উড়ি উড়ি উড়ি উড়ি করে পাখিটা ঘুরি ঘুরি ঘুরি ঘুরি চলে।। পাখিটা পথ চিনে না পাখিটা ভাষা জানে না পাখি তো জন্মের কানা পাখিটা পথে পথে পথে পথে ঘোরে।। পাখিটার আশায় ফুরায় না দুনিয়া তাকে ছাড়ে না পাখি তো স্রোতে ভাসে না পাখিটা ভেসে ভেসে ভেসে ভেসে চলে।। পাখিটা কান্নায় হাসে পাখিটা পিঞ্জিরা ভাঙে পাখি ত চোখে আসে না পাখিটা দমে দমে দমে দমে চলে।।
নীল আর লাল বেদনার দোকানদারি
আইস যখন ক্রিম হতে চায় তখন আইস এবং ক্রিমের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক থাকতে হয়। সম্পর্ক অবশ্যই দুইমুখী হওয়া চায়। একমুখী সম্পর্ক কখনোই সম্পর্ক না। দুইমুখ যখন একদিকে আসে সম্পর্কে তখনই বোঝাপড়া বিষয়টি দেখা দেই। বোঝাপড়া যখন চমৎকার থাকে তখন সম্পর্কের স্রোত গতিময় হতে বাধ্য। বোঝাপড়ায় ঝামেলা থাকলে বিল্ডিং যতই রমরমা কিংবা উঁচুতে থাকুক না কেন বিল্ডিং সামান্য ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়তে বাধ্য। রেদওয়ান রনির আইসক্রিম মুভিটি সাম্প্রতিক রিলেশন অর্ফে প্রেমের সম্পর্কের একটি দিক তুলে ধরেছে। মুভিতে ফাইটিং দৃশ্য নেই, তেমন নাচ গানের নৃত্যময় হলুদ নীল রুমও নেই কিন্তু যা আছে তাহলো জীবন। দৃশ্য চলছে, ঘটনা কাহিনিময় হয়ে ওঠছে, দর্শক হৃদয়ে ফাইটিং চলছে, চলছে নীল আর লাল বেদনার দোকানদারি যার ক্রেতা বিক্রেতা দর্শক নিজেই, রেদওয়ান রনি এখানে একজন আয়োজক মাত্র। প্রত্যেক কিছু তার নিজ নিজ কক্ষপথে
আধুনিক ও সুবিধাভোগী
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন গল্পবাজ৷ উপেক্ষিতা তাঁর একটি গল্প। এই গল্পটি নিয়ে খুবই ভালো মানের সিনেমা টিনেমা হতে পারে। হয়েছে হয়তো, হয়তো হয়নি, হবে। গল্পটিতে হুগলী জেলার একটি গ্রামের কথা আছে। সমস্যা নেই। নরসিংদী কিংবা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এমন গ্রাম অবশ্যই খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু বিমল নামে যে চরিত্রের দেখা পাই তাকে আমরা ভালো লাগেনি। বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতক এবং সুবিধাভোগী মনে হয়েছে। প্রথমে যখন বিমলের সাথে পরিচিত হই তখন তাকে খুবই ডিসেন্ট মানসিকতার বালক মনে হয়েছে। কিন্তু পরে আর তার প্রতি আকর্ষন ধরে রাখতে পারিনি। বিমল মিথ্যুক। বিমল ভালোবাসার সংজ্ঞা জানে না, বিমল বৌদিকে ফাঁকি দিয়েছে। ভালোবাসায় মিথ্যা কেন, সত্য লুকানো কবিরা গুনা মানে বড় পাপ। বিমল কোনোদিন শান্তিতে থাকতে পারে না। বিমলের প্রতি আমার অভিশাপ। রতনকে রেখে পোস্টমাস্টার চলে গ্যাছে সেখানে একটা রাবীন্দ্রিক পেনপেন
তখন তুমি মাত্র দুপুর
মানুষ হয়ে রাতের মতো কথা বললে আমি কিন্তু ঠিকই একটা ভোর কিনবো ভোরের সাথে সূর্যে যাবো ভোরের কথায় দুঃখ পাবো ভোরের চোখের শিশির খাবো তখন তুমি ঠিকই একটা ভোর হবে আমরা তখন দুপুরস্রোতে বিকাল হবো বিকালপরে অন্ধকারের খরস্রোতা এক নদী পাবো তখন তুমি মাত্র দুপুর পাওয়ার ইচ্ছায় তীব্র ব্যাকুল আমরা তখন দুপুররাতের শান্তি সুখের কুমকুমাকুম এমনি করে বয়বে রাত এমনি করে নামবে দিন পাখি গায়বে গায়বে গান একটি নদী জলে ভরা একটি নদী চরে খরা
কষ্ট আর কত বড়!
আমার পৃথিবী পাতা নয় পাতার শিরা-উপশিরা কিংবা পেরিফেরাল পুলক অথবা চোখের পাতা আর চোখের দূরত্বের মতো ছোট কাহ্ন পার গুরুশাস্ত্রে ভক্তি নেই শ্রীরাম নিজের মনে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করি গুরু-শিষ্য আমার ইচ্ছার এপিঠ-সেপিঠ তবু ঝড়ো হাওয়া তুমি আশ্রয় নিলে এই জীবের ডানায় আমাকে জানলে তুমি কানায় কানায় আশা দিলে নিয়ে যাবে স্বপময় শুন্যদেশে শুন্য হয়ে গেলাম, স্বপ্ন আসেনি ঝড়ো হাওয়া চলে গিয়ে ভুল করোনি ক্ষুদ্র জীবন, কষ্ট আর কত বড়! ও সাথী আমার দেখে যেও পাতার মরণ
সমস্যা সমাধানের চর্চা
লখা ও চণ্ডী ঝগড়া লাগে। তাও খাবার নিয়া। কুবের নির্লিপ্ত। তাদের ঝগড়া সমাধান করতে আসে না। কারন কুবের মনে করে কাড়াকাড়ি করে জীবনে নিজের অবস্থান সক্রিয় রাখতে হয়। গণেশ চায় সাময়িক সমস্যার স্থায়ী সমাধান, কুবেরও চায়। কিন্তু কুবের খুব করে চায় তার সন্তান যেন সমস্যা সমাধানের চর্চার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। কুবের মনে করে একদিনের সমস্যা সমাধান করে দিলাম মানে এক বেলার খাবারের জন্য একটি মাছ দিলাম, আর সমস্যা সমাধানের জন্য যদি তারা একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারে তাহলে তারা বড়শি পেয়ে গেলো। আমাদের কুবের নেই বললেই চলে। গণেশদের সংখ্যাই বেশি যাদের হৃদয়ে হুজুগে দয়া, ভালোবাসার ঘাটতি নেই। ফলে দেখা যায় অভিভাবক পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার পর সন্তান পড়ে কঠিন বিপাকে। কারন উত্তর দক্ষিন কিচ্ছু চিনে না। আর যতটুকু চিনে তাও অভিভাবকের চোখ
দেখা হবে মেঘনা আর প্রিন্সেপ ঘাটে
প্রিন্সেপ ঘাটের মাঝি কাহা যখন উচ্ছ্বাল হাসি দিয়া মাতিয়ে রাহে অন্ধকারমাখা জলের মুখ, হুগলি নদী তখন আনন্দে আটখানা, বিদ্যাসাগর সেতু তার খুলে দেয় আনত দুটি চোখ— তখন তুমি জলের মতো খুঁজে পাও অনুকরনপ্রিয় সুখ— নৌকো এক এক করে নদীর ভেতর যায়, নদী যায় জলের ভেতর— নন্দিনী কী জানে তাহার দায় কোথায়— মিমির মতো ষোলো আনা তোমার চাই-ই চাই— বৈঠার ছলাৎছলাৎ— কালো চুলের উদাস মাঠে বয়ে চলে বাতাসের অন্তিম নাগর— ও নাগর, বাতাসকে রেখে তুমি কোথায় যাও— প্রিন্সেপ ঘাটও মেঘনা নদীর লাহান পৃথিবীর মায়ায় পড়েছে— করে চলেছে তারা চাতক অনশন— একবার দেখা হবে মেঘনা আর প্রিন্সেপ ঘাটের খুব ভোরে— রাত ততদিনই তাহে যতদিন সূর্য তাহে অভিমানের ঘরে
দৃশ্যপট পাল্টায়
সব কিছু বদলে যায়— দৃশ্যপট পাল্টায়— সবুজ পাতা হলুদ শাড়ি পড়ে— অলস বেড়াল সময়ের হিসাবরক্ষক— কৃষ্ণচূড়া লালে লাল সবুজ পাতায়— অম্বরের নিচে বিশাল আকাশ— সব কিছু লালে লাল— অনেক কিছু বদলায়— শোকের চিহ্ন জমা থাকে হৃদয়ের কোনায়— হৃদয় এক অনাবাদি জমি চাষে চাষে বদলায়— অনেক কিছু গতি হারায়— সব কিছু বদলায়— হৃদয়ের রানী প্রজার মতো বেতনধারী আনন্দ চায়— নিজের মতো করে যুক্তি সাজায়— মরুময় মাঠে জলের প্লাবন বন্যার মতো দেখায়— দেখানো কাকা বাবু অদেখা ডাকাত— তারা বদলে যায়— সত্যকে বদলের মতো দেখায়