এই পৃথিবীর অনেক চিপাচাপাকে মহৎ করেছে প্রেমিকজুটি যারা এখনো আকিজ আর পাতার বিড়ি খায় তারাই বাংলা ভাষা ও বাংলা জীবনের রিয়েল প্রতিনিধি ব্যক্তি মানুষের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা থেকে অনুমানের জন্ম। অনুমানের আবিষ্কারের ফলে আমরা রূপক, উপমা, প্রতীক, চিত্রকল্পের খোঁজ পাই। উপমায় যে তুলনা করা হয় তার অর্থ বহুবিধ হয়, হতেই পারে। প্রতীকও একধরনের উপমা। তবে তার চিহ্নিত অর্থ আপাতত নিদিষ্ট। কিন্তু চিত্রকল্পের মতো সরাসরি নিদিষ্ট নয়। চিত্রকল্প হলো মনের কচিকাচা তরুলতা। প্রিয়তমার মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে। উপমা, রূপক উল্লম্ফনে বেচেঁ থাকে। নিজেকে ছড়িয়ে দেয় চেনা-জানা পরিবেশের পরিবেশনের মোহনায়। রূপকের অর্থ উদ্ধারের জন্য চঞ্চল সচেতন প্রয়োজন। তাইতো রূপকের বসবাস জ্ঞানীদের শহরে, শহরের দরজায়। সবুজ মাঠ হারিয়েছে তার প্রেমিক রাখালকে, প্রেমিক প্রেমিকা মারা গেলে পৃথিবী মারা যায় অর্ধেক নদীতে হাতুর
Year: 2021
মনের ডানার উদাস দুপুরে
এখন রাত। লোকজন এই সময়টাকে নিশি রাত বলে। একটু পরে ভোর হবে। একটু পরে মসজিদে আযান পরবে। আমি তোমার কথা ভাবছি। খুব করে ভাবছি। তোমাকে ফোন দিতে একটা সময় খুব ইচ্ছে করতো। এখন করে না। এখন ভাবতে ইচ্ছে করে। সহজ করে বললে তোমার কথা প্রায়ই মনে পড়ে আমার। জানতে ইচ্ছে করে কী করছো তুমি, রেগে গেলে কার সাথে ঝগড়া করো। তোমার গল্প জানতে খুব ইচ্ছে করে আমার। কেউ নাই যে তোমার কথা আমার কাছে বলবে। তুমি আমার কাছে এখন জীবিত পরকাল। কেউ মেঘদূত ☁ হয়ে তোমার মনের দেশের খবরাখবর আমার কাছে পৌঁছে দিলে সে নিশ্চিত স্বর্গ লাভ করতো। কিচ্ছু না, তুমি কী করছো, কী ভাবছো, কি নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে, কোনো মানুষকে তোমার নতুন করে ভালো লাগছে কিনা জানতে পারলেই ভালো
বুকপকেটে প্রতিজ্ঞাফুল
প্রেমের জিকির
সেলিম আল দীনকে চিঠি
সেলিম আল দীন, বন্ধু আমার, কেমন আছো? নিশ্চয় ভালো আছো। তোমারই তো ভালো থাকবার কথা। তোমার তো আর ভালো থাকতে পয়সা লাগে না। আমাদের ভালো থাকা অবশ্যই পয়সা দিয়েও হয় না। এখন চলে টাকার হিসাব। আজিজের এক কাপ চা পনেরো টাকা, হাকিমের লেবু মিশ্রিত এক কাপ গরম পানিও পাঁচ টাকা। তোমারই তো ভালো থাকবার কথা। তোমাকে তো আর বাংলা বিভাগে পড়তে হয় না, যেখানে চলে ঠোঁট টু কলমস্থ বিদ্যার বাহার, সৃষ্টিশীল উত্তর লেখা যেখানে নিয়মতান্ত্রিক অপরাধ। বন্ধু জানো, তোমার গুরুত্ব অনুধাবন করেছে বাংলা বিভাগ। বাংলা বিভাগের সিলেবাসে এখন দেখা মিলে রুস্তম, ইদল হক, লাউয়া কন্যাদের সমাহার। রঙ্গমঞ্চে দেখতে পাই তোমার বেদনার অভিসার। এসো একবার বাংলা বিভাগের করিডোরে, দেখবে বনশ্রী মালা, ডালিমনের চমৎকার প্রামাণিক হালচাল। বনশ্রী বালা, অনেক বছর পর তোমার দেখা পেলাম, তোমার মনে যে আয়াত নাযিল হয়
ঝড়কন্যা মাইশা
মাইশা। ওর নাম মাইশা। বাবা পুলিশ। মা গৃহিনী। মাইশার সাথে আমার দেখা ট্রেনে। আমাদের পেছনের সিটে তাদের সিট। আমরা একটি ঝড়কে ধরবো বলে চিটাগাং যাচ্ছিলাম। কিন্তু ঝড়কে ধরতে পারিনি, পেরেছি এই ঝড়কন্যাকে হালকা উপলব্ধি করতে। এই ঝড়কন্যা ক্লাস টুতে পড়ে। প্রথম দেখাতে মনে হয়েছিল মাইশা জমানো চুপচাপ এক বরফের নাম। ক্লাস টুতে তার রোলনং দুই। সে চায় ক্লাস থ্রিতে তার রোলনং হোক তিন। ক্লাস ওয়ানে তার রোলনং ছিল এক। যখন তার বরফ গলে গেলো তখন সে নদী হতে পারতো, হয়েছে সাগর, তাও আবার আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তাল ঝড়। এই ঝড়কন্যা আমাকে সিটে বসে থাকতে দেয়নি। তার মতে আমি আল্লার চেয়েও কালা। আমি বললাম, ‘আল্লা কালা এই কথা তোমাকে কে বলছে?’ সে বলে, সে নাকি প্রতি রাতে আল্লাকে দেখে। আমি বললাম আমি যেহেতু কালা সেহেতু আমার
যোজন যোজন দূরে
একটি হাতকাটা লাশ কাটাঘরে পরে আছে সাপে নেউলধূসর পাড়ে যোজন যোজন দূরে নগ্নদৃশ্য বসে আছে মাঝির অপেক্ষায় ডিঙ্গা এসেছে নদীর কূলে মাঝি আমার নাই নিজেই মাঝি চলল চরে নির্বাণ তার চায় মাঝখানে তুমি পেছনে নারী, নির্বাণ একটু সামনে নারী ভেতরে চর আছে, চরের ভেতরে তুমি পেছনে তাকালে কলঙ্ক হবে, নারী কলঙ্কভূমি সামনে চলো, মুক্তি পাবে, নির্বাণই তোমার নারী
বৃন্দাবালক কৃষ্ণ জানে রাধার অভিমান
এই তো ভালো ভালোর সাথে ভালো যেমন থাকে ফুলের সাথে গন্ধ যেমন ফুলের ❀ সাথে বাচে নদীর সাথে জলের যেমন মাছের যেমন দেখা তুমি যেমন তোমার হাতে✋রাশিফলের রেখা আমি যেমন তোমার হাতে শুভ শুভ্র শাখা গাছের সাথে পাতা গরমকালের পাখা ঝুলমাংস ছিডালরুডি পিঠা ঝুমবৃষ্টি শ্যামাকন্যার কানের লতিশব্দ সাতার শেষে দুটি দেহের নখের আঁচড় সাতার শেষে দুটি দেহ কামে প্রেমে দগ্ধ আচলখোলা দুটি দেহ পেরেক অবিরাম বৃন্দাবালক কৃষ্ণ জানে রাধার অভিমান জলে ঝাল ডাঙায় কাল আকাশভরা মেঘের ☁ বাহন ব্যথার দেশে শব্দ ভালো ভালোর সাথে আছি ভালোর সাথে ভালো যেমন ভালো হয়ে থাকে অন্ধকারে কালো যেমন মুখ লুকিয়ে হাসে জলের মাঠে হাস যেমন জলের মতো ভাসে হেসে আছি ভেসে আছি আছি প্রেমের ত্রাসে আছি এখন যেমন ছিলাম তেমন থাকবো বলে ঘরে তোমার ডেকে নিও ঘর শুকানো হলে
আফালের মাছ [ ২ ]
প্রেমিকার মন প্রেমিকের যুদ্ধক্ষেত্র Mind, the mind of girlfriend is the battlefield of the boyfriend নেই শব্দটি সাধকের কাছে থাকলে ফসল ফলে, নেই শব্দটি বোকার কাছে থাকলে ভিক্ষুকথালা ফলে কত বিমান চোখের সামনে দিয়ে উড়ে যেতে দেখি, তারপরও রেজা ভাই কেবল চিল হতে চায়— আকাশের উপরে আকাশ বউকে ধর্ষন করেও মিলন বলে চালিয়ে দেয় বাড়ি বলতে আমরা যা বুঝি মূলত তা বাড়ি নয়। এটি একটি বসবাসের জায়গা যেখানে কেউ বসবাস করত এবং কেউ বসবাস করবে। প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব বাড়ি তার শরীর। এই বাড়ির একমাত্র বাসিন্দা ব্যক্তি নিজেই। বাড়িটির পাহারাদারের নাম মন। মন যতদিন তার দায়িত্ব যথার্থভাবে পালন করে ততদিন বাড়িটি নিজ মহিমায় অবস্থান করে। বাড়িওয়ালা আর পাহারাদারের মধ্যে একটি অভেদ্য সম্পর্ক আছে। এই অভেদ্য সম্পর্কের নাম প্রেম। প্রেম আদি, প্রেম
বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ]
ডেগ = রান্না করার পাত্র কেডা = নিদিষ্ট অর্থে কে অতলা = প্রচুর (এহানে অতলা মানু কেরে) রাত > রাইত তারা > হেরা কাল > কাল্লা লাউ = কথা লাঠি > লাডি দরকার > দরহার লোহা > লোয়া এটা > ইডা এখন > অখন পুত্র > পুত ইনি > ইলা কিতা = নিদিষ্ট অর্থে কি ঝি = মেয়ে (ফুফুকেও ঝি বলা হয়) খুঁটি > হুডা বাড়ি> বাইত রাত > লাইত হুতুম = শোয়া ফাতি = বাঁশের পাত্র ডিগলা = রশি (মূলত গরু ছাগল বেধেঁ রাখার রশি) হয়েছে > অইছে মহিষ > বইস জিংলা = চিকন বাঁশ [ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আঞ্চলিক ভাষা]