covid-19! Co থেকে করোনা Vi থেকে ভাইরাস D থেকে ডিজিস। আর ১৯ মানে উনিশ সাল। নোভেল করোনা ভাইরাস অথবা কোভিড উনিশ। নোভেল মানে নতুন। করোনার বিশেষ কোনো অর্থ নেই। তবে করোনা শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ক্রাউন শব্দ থেকে। ক্রাউন মানে মুকুট। কদম ফুল বাংলার বর্ষাকালের চোখশান্তি। এই কদম ফুলের মতো করোনা গনের চীনের উহানে আক্রমন আনে দুই হাজার উনিশ সালের ডিসেম্বর মাসে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মেহমানদারি অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে করা শুরু করে দিয়েছেন যখন কদম ফুল বাংলার আকাশে বাতাসে। এই ভাইরাস যখন গনের চীনের মানুষকে হতাশায় ফেলে দিয়েছে তখন পৃথিবী তাদেরকে নিয়ে মজা করায় ব্যস্ত। এখানকার আলেম সমাজের কাছে তখন ওহী আসতে শুরু করে দিয়েছে যে চীনে মহান আল্লার গজব নাযিল হয়েছে। তাদের মতে আল্লার আর কোনো কাজ নাই— গজব আর রহমত বর্ষন
Year: 2021
পথধূলার মানুষ আমি
সাক্ষাৎও এক তৃষ্ণার নাম
আজ শুক্রবার, আরেকটা ছুটির দিন, আরেকটি মিলনের দিন কিন্তু আজকের আকাশে এতো মেঘ কেন, কেন এতো গর্জন? সুন্দর আকাশ কেমন চমৎকার ফ্যাকাসে হয়ে আছে, বৃষ্টি হলেই পারে, কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না, হচ্ছে না তো হচ্ছে না! জলিমা, মেঘলা আকাশ কেন আমার মনের উপর ভর করেছে? কালো নীল শাদা মেঘে ভরে গ্যাছে আমার আকাশ, বৃষ্টি হলেই জলের নদীতে হাসফাঁস করে শোকসমগ্রকে বিদায় জানাতে পারতাম, বৃষ্টিও মৃত্যুর মতো অপেক্ষাকারী প্রিয়তমা ধৈর্যের অসুর, কান্দি কাটি চোখে জল নাই তো জল না! সাক্ষাৎও এক তৃষ্ণার নাম, এক হৃদয়ঘটিত সুখের নাম! জল না পান করে থাকা যায় কিন্তু সাক্ষাৎ না করে আমি যে বাঁচতে পারবো না! জলিমা, ক্যামনে থাকো তুমি আমি বিহনে, তোমার হৃদয়গাছে কী একবারও আমার প্রেমবাতাস স্পর্শ করে না? চলে আসো সব ছেড়ে, চলে আসো এই অধম গরীবের ঘরে, তুমিআমি মিলে
বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ]
কইতারিনা আমি = বলতে পারি না আমি মতলব = ইচ্ছা, অভিলাস কনদা নামবা = কোন দিক দিয়ে নামবে সুন্দর অইবো = সুন্দর হবে থিরি= তৃতীয় কমু আমি = আমি বলবো যাই ত = হুম, যাই আইফুরমু = আসবো ছক্কা খেলা = লুডু খেলা নিচে যা = নিচে যাও চারহি = চাকরি চিললান = চিৎকার লেম্বু/ লেম্বু= লেবু কিএললাইগ্যা = কী কারণে লেং দেয়া = কৌশলে পা দিয়ে পায়ে আঘাত বেততমিজ = বেয়াদব ছাইরা দে = ছেড়ে দাও ( তীব্র রাগ এবং আকুতি প্রকাশ) আইচ্ছা = ঠিক আছে পাকনা= পরিপূর্ণ পাকা, অকাল পক্ক পাকনামী = অতিরিক্ত পাণ্ডিত্য প্রদর্শন গাডা = আঙ্গিনা ~ বাড়ির গরু গাডার ঘাস খায়না = কোনোজন নিকটজনকে গুনীজন হিসাবে মূল্যায়ন করে না। [ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আঞ্চলিক ভাষা] দ্বিতীয় পর্ব: বাওনবাইরার
স্বাধীনতার মানে
গল্পটা বলা যেতে পারে। গল্পটা অনেকটা ধূসর রঙের, ধূসর রং কেমন করে লাল রং, লাল রং কেমন করে সবুজ রং মানে পৃথিবী হয়ে ওঠে গল্পটা অনেকটা তেমন। তাহলে বলছি। আমি তখন গ্রামে থাকি। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। স্বাধীনতার অনেক গল্প শুনি। কিন্তু স্বাধীনতার মানেটা বুঝে ওঠতে পারি না। স্বাধীনতার মানে যখন বুঝি না গল্পটা তখনকার। পিয়ারা গাছের নিচে সাবান রাখা। সাবানটা জালি দিয়ে মোড়ানো। জালি মানে একধরনের চিকন জাল যা দিয়ে গ্রামের মানুষ শরীর ঘসে ঘসে ময়লা সাফ করে। সাবানের প্রতি কাকের এক বিশাল আকর্ষন রয়েছে। বাঙালি সমাজে যেমন খিচুড়ি প্রিয় কাক সমাজে তেমনি সাবান প্রিয়। এক ছোঁ দিয়ে কাক সাবানটিকে গাছের ঢালে নিয়ে গেল। নিয়ে খুব মজা করে সাবান খাচ্ছে তো খাচ্ছে। জালি প্রথমে কাকের ঠোঁট দখল করল, তারপর মাথার পুরোভাগ। এবার
মারামারি-গলাগলি
এই জীবনে অনেককেই অপছন্দ করি কিন্তু কাউকেই শত্রু ভাবি না। কাউকে শত্রুভাবার শিক্ষা আমাকে দেয়া হয় নাই। ছোটকালে অনেক শয়তানি করতাম কিন্তু মারামারি করি নাই। নিরীহ কারনে আমার মামাতো ভাইয়ের সাথে মারামারি করতাম। সকালে মারামারি করলে দুপুরে গলাগলি করে গোসল করে একসঙ্গে খাবার খেতে বসতাম। তাই আমাদের মারামারি ছিল আমাদের সম্পর্কের আরেকটি অবিচ্ছেদ্য অবয়ব। কখনো যদি বাইরের কারো নামে আব্বার কাছে বিচার দিতাম আব্বা উল্টো আমার বিচার করতেন। আব্বা বলতেন, ‘কাডে গুনে ধরলে গুনের দুস নাই দুস কাডের।’
উপলব্ধি
মাই টিভির সামনে সমির চা-স্টল। চা-স্টল হলেও সকালে নাস্তা তৈরি করা হয়। বাংলামোটর দিয়ে যাচ্ছি, চায়ের তৃষ্ণা পেয়েছে বেশ। চা খেতে আমি সমির চা-স্টলে। চা দিতে যথেষ্ট লেইট করছে। মামা, চা খেতে মক্কা যাওয়ার সময় লাগবো নাকি? বহেন, লেইট অইবো। তাড়াতাড়ি দাও। সইয়া-রইয়া খাইতে চাইলে বহেন নতুবা চলে যান। আমার উপরে এমন কথা! ওর সাহস দেখে অবাক হলাম। আবার ভাবলাম মূর্খ মানুষ অধিক সাহসী হয় [হাতি ঘোড়া গেল তল/ভেড়া বলে কত জল]। আমার ডান পকেটে Ak47, বাম পকেটে যে বাংলাদেশ ব্যাংক থাকে এই খবর হয়তো সমিরের নেই। উঠে চলে আসছি এমন সময় একটি শব্দ কানে আসে— যতসব বেহুদা মানুষ। মাথাটা আর ঠিক রাখতে পারলাম না। সমিরের মাথাটা হাসপাতালে পোস্টিং করে দিলাম। তার ফাটা মাথা এখন হয়তো চিন্তা করতে পারবে বেহুদা মানুষ
শিক্ষা এক সম্পর্কের নাম
শিক্ষা এক সম্পর্কের নাম। চিন্তার সাথে চিন্তার, চিন্তার সাথে বস্তু জগতের সম্পর্ক [কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল]। ইন্দ্রিয় প্রতিনিয়ত শিক্ষার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। প্রতিটি প্রশিক্ষণকে ইন্দ্রিয় ধরে রাখতে পারে না। যে শিকার অনূভুতি ব্যক্তির চেতনাঘরে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে তাই মূলত শিক্ষা। ব্যক্তি তো একটি কাভার যা চিন্তার গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণভাবে চালিত। তাই তরুণ চিন্তাসমষ্টি অর্ফে শিক্ষা প্রাণিকে পরিবর্তন করে আলতো আলোয়, সবুজ সরোবরে। শিক্ষা সাগরের জলের মতো প্রতি মুহূর্তে আধুনিক। সদস্য অতীত আর অতিথি বর্তমানকে নিয়ে সে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনে, বনসাই বুনন। শিক্ষার বড় যোগ্যতা হলো সে নেতা হওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ সেই প্রভাবিত করে চেতনে -অবচেতনে। দারুণ নিদারুন প্রভাবক। অন্যভাবে বললে শিক্ষা হলো একটি সাবান; যে ধৌত করে, ধৌত হয়। একসময় ব্যক্তিকে সতেজ করে এবং পরিপূর্ণ পূর্ণ করে
আলো যখন আলো হলো
তোমার শহর থেকে কিছুটা দূরে
জলিমা, আজও তুমি এলে, এলো না তোমার ফোন কেবল, তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম কিংবা একটি ছোট্ট মেসেজ, কিছুই এলো না, হঠাৎ এক ঝাঁকে নেমে আসে বৃষ্টি, বৃষ্টির পর শুরু হয় আমার মাথা ব্যথা, মাথা ব্যথা নামক অসুখ আমার নেই। তাহলে আজ কেন আমার মাথায় নেমে আসলো ব্যথা? ব্যথাদের উপরে হয়তো কোনো আকাশ নেই, আকাশ থাকলে এমন চমৎকার বাতাস আর ঝিরঝিরে বৃষ্টিকে সামনে রেখে কাউকে আক্রমন করতে পারে না। জলিমা, তোমার সাথে দেখা হবে না বলে আমিও তোমার শহর থেকে কিছুটা দূরে চলে গেছি, আমাদের দেখা আমাদের মতো করে হবে এটাই আমরা চাই, আমাদের চাওয়া পাওয়ার সাথে তাল রেখে চলে না, আমাদের পাওয়া বরাবরই চাওয়াকে ছাড়িয়ে যায়। পৃথিবী যেমন আছে তেমনই রবে তোমার কিংবা আমার। তারপরও আমাদের একটি পৃথিবী থাকবে যেখানে কোনো সাংবাদিকতা থাকে না, থাকে