হলুদ শাড়ি কালো ব্লাউজ ছোট্ট একটা কালো টিপ গলায় মুক্তা ফুলের মালা নীল রঙের সহজ স্যান্ডেল চোখে নিরাপদ হাসি চুল বাঁধনহারা নো লিপস্টিক নো কানফুল সবুজ আর বেগুনি রঙের একুশটি চুড়ি হাতে জলপাই রঙের ছোট্ট একটি ব্যাগ বাম পায়ে হালকা সাদা রঙের একটি নূপুর তারপর একটি নির্জন গোধূলি একপাশে জল একপাশে বন
Year: 2021
সব পথ ছেড়ে, সব মত ভুলে
তোমাকে পাঠ করতে গিয়ে অপঠিত থেকে যাই আমি আমার নদী-নালা, খাল-বিল বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা, রৌদ্রের ডানায় মনচিল বার বার ফিরে আসি চলনবিল থেকে হাকালুকি হাকালুকি থেকে কোপাই নদী, শ্রীনিকেতনের গভীর চলন থেকে রাজনগরের মুক্ত আকাশ এখনো সুরঞ্জনা নগ্ন মাছির মতো উদাস, উদাস বাউল গান গেয়ে যায়, কণ্ঠে তার ভৈরবী সুর সব পথ ছেড়ে, সব মত ভুলে আমি এখন বেসুরা অসুর তোমার গান গাইতে গিয়ে আমি এক অশ্রাব্য সুর তাই বিমানের ভেতরে বিমান কিনে মাহফিল হবে, পাঠ হবে নিজমগ্নের দরুদ সাল্লু আলাইহি…ওঁম শান্তি ওঁম
কে হাকিম, কে পুলিশ?
ঘটনা শব্দটি চলমান। মানবজীবনে যা ঘটে তাই ঘটনা। মানুষ হয়ে উঠার পেছনে যা ঘটেছিল তাও ঘটনা। ঘটনা সমাজের প্রাণ, ঘটনা সম্পর্কের প্রাণ। চিন্তাসমষ্টি ঘটনার রক্ত। তাইতো ঘটনা থেকে রটনা, রটনা থেকে ঘটনা। আল্লাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আল্লা, ও আল্লা, তোমার লগে কথা কওন যাইবো?’ আল্লা ক, ‘যাইবো।’ ক্যামনে? কুরান আছে না, কুরানের কথাগুলোই তো আমার কথা। ও আচ্ছা। আচ্ছা আল্লা, কুরান আমগো লাইগ্যা কখন পাঠাইলা? ইন্না আনযালনাহু ফি লাইলাতুল কাদরি। ভালো কথা, কদরের রাতে আমরা কুরান পাইছি। কিন্তু এর আগে কুরান কই আছিল? বাল হুয়া কুরআনুম মাজীদ ফি লাউহিম মাহফুজ। ও! কুরান লাউহে মাহফুজে সংগৃহীত ছিল! আচ্ছা আল্লা, কুরান তো দীর্ঘ তেইশ বছরে নাযিল হইলো। কিন্তু তেইশ বছরে কেন্? তুমি তো একদিন কিংবা কয়েকদিনে নাযিল করতে পারতা, তাই না? পারতাম কিন্তু আমি তো বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে
পুঁটিমাছদ্বন্দ্ব
আমি থেকে পিতা, পিতা থেকে পিতামহ যুগের পর যুগ, কালের পর কাল শালবীথির নীরবতা থেকে আমাজানের গভীরতা মানুষের চোখে আকাশ দেখেছি, প্রেম দেখেনি আকাশ লুকানো বাতাস, বাতাস লুকানো প্রেম সফোক্লিসের ইদিপাস, ঘাটের কথার সন্ন্যাস রাজনগর বাজারে বিক্রি করে হরিতকীজল আমরা কিনি চকোলেট, প্রসাধনী বেদ অথচ ইলেট্রন কেমন প্রেমময় চোখে করেছিল ভ্রমণ প্রোটনের দিকে পেয়েছি মানুষজন্ম যেখানে প্রেমের মাথায় গজায় ভোগের বটগাছ প্রতিটি মানুষ পুঁটিমাছদ্বন্দ্বে করে বসবাস দিনের পর দিন রাতের পর রাত মানুষজন্ম ইভের ইতিহাস, ভোগের সকাল
অন্ধ হলে আলো নেবো
মানুষ কোথাও নাই
এই যে নদী নদীর মতো মানুষ বয়ে যায় এই যে আকাশ মেঘের মতো পাহাড় দিকে ধায় গরম নরম পাহাড় মতো ঢেউয়ে জলে শব্দ যত কচুরিপানা জলের ঘরে কোসা নৌকা উদাস দুপুর গরমকালে শীতের বাতাস সকাল আসে যায় হাসপাতালে মানুষ মরে সুদঘুষে অফিস নড়ে মনের ঘরে শ্যাওলা পড়ে লোভের পথ হুজুর ধরে ঘামের শরীর রোদে পুড়ে মানুষ কোথাও নাই মানুষ কোথাও নাই চলছে আকাশ চলছে বাতাস ডাকছে সবুজ কাঁদছে ছায়া বাড়ছে মায়া ঝুলছে প্রোফাইল খেলছে ফড়িং মানুষ কোথাও নাই মানুষ কোথাও নাই সব আকাশ দিনশেষে লোভান্তে যায় মানুষ কোথায়? কোথাও কেউ কোথাও কেউ নাই
হয় দুধ নয় রক্ত
তিতাস। তিতাস একটি ট্রেনের নাম। তিতাস একটি আনন্দের নামও বটে। তিতাস আছে বলেই অনেক অফিসার বাড়ি থেকে গিয়ে অফিস করতে পারে, ঢাকার মতো ডেড সিটিতে বসবাস করতে হয় না। তবে তিতাস ট্রেনের ভীড় ঢাকার মতোই— পা রাখতে গেলে হিসাব করতে হয়। কারন পা রাখতে গেলে পা হয় আগুনে পড়বে নয় আরেকটা পায়ের উপর পড়বে। আমি সিট পেয়েছি কিন্তু ভীড়ে প্রচন্ড মাতন্ড প্রায়। ভীড় কেটে কোনোক্রমে দরজায় পা রাখলাম। টিকেট কাটতে গেলে কাউন্টারে সিটওয়ালা টিকেট নাই। বললাম ‘দেখেন না পারেন কিনা’। বলল ‘আরেকদিন আইসেন, দেখবো দিতে পারি কিনা’। মনটা বেজার হয়ে গেল। আমার মন বেজার দেখে আল্লা সাথে সাথে ফেরেশতা পাঠায় দিলেন। ফেরেশতা বলল ‘কই যাবেন’। ঢাকা যাবো। দেন টাকা দেন। টাকা দিলাম এবং সিটওয়ালা টিকেট পেলাম। টাকা থাকলেই টিকেট পাওয়া যায় না। চাহিদা ও যোগান
কান্নাভেজা গলা বুঝে কারা?
ছোট জানালা বড় মাঠ ছোট মাঠ বড় জানালা আকাশ দেখা যায় আকাশ ধরা যায় নীড়ধরা সন্ধ্যাপাখি ছোট নৌকা পানসে নদী শ্যামাকন্যা জলঘাট পালতোলা দেহতরী জলে জন্ম জলে মরি দালান ঘরে মাটির আশা মাটির ঘর মাটির আকাশ দুটি চোখ চোরের আশা চড়ুই পাখি চলে যাওয়া প্রাণমুখ অবহেলিত বাক্যে মরে যায় নরম তুলতুলে মন ব্যস্ত শহর ব্যস্ত মানুষ ব্যস্ত ধন জন ঠান্ডালাগা গলা কান্নাভেজা গলা বুঝে তারা আপন আপন যারা ঘুম চোখে বাউল পাখি কোন সুরে গায় গান কেমনে বুঝি আমার মনে তোমার মনের টান ছোট জানালা বড় মাঠ খোলা আকাশ খাবনামা ফালনামা ও তাবীর খেলছে চোখ খেলছে হাত খেলছে খোলা কান দূরে তুমি সময়-সুতা মানুষ ঘুড়ি অসীম সীমায় তুমি ঝড় তুমি শীত তুমি বন্যা তুমিই কলেধরা বান
কিছু মেঘ আর কাঁচা রোদ
বাতি নিভে যাওয়ার মতো কোনো সন্ধ্যা আসেনি গরম অন্ধকারের মতো কোনো রাত আসেনি শিবের মতো কোনো ভোর আসেনি আমার জীবনে আমার জীবনে এসেছে একটা আকাশ সাথে কিছু মেঘ আর কাঁচা রোদ নিয়ে, কুয়াশা আর কিছু টকবগে বাতাস নিয়ে একদিন অনেক দূরের আকাশকে ডেকে নিয়ে আসে আমাদের আকাশ, আমাদের উজান গাঙে নেমে এলো মধুরমা স্বপ্ন, জালে দেখা দিল বড় বড় খৈল মাছ, আমাদের গবাদি পশুর হাঁট দারুন জমে ওঠলো, গাছঘরে বাড়ে কলরব, মাঠে নেমে আসে দর্শন, দুগ্ধবতী হয়ে ওঠে আমাদের আড্ডা, উর্বরবতী রস আসে আমাদের চুম্বনে, আমাদের কথার ফিতা দেয়াল থেকে বের হয়ে গ্যালাক্সির উঠোনে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে পৃথিবী ভুলে গেলো সাপ্লিমেন্ট নিয়তি, পৃথিবী আস্থা রাখতে আরম্ভ করে কর্মে সংগ্রামে কৌশলে পৃথিবী ভুলে গেলো হয় মারো নয় বাঁচো নীতিমার্কা ঢেউটিনের ঢেঁকুর। আমাদের পৃথিবী এখন একগুচ্ছ ফুলের
মহিমা চৌধুরী
আয়নাবাজি সিনেমার পর বাদশা ভাই সবচেয়ে জনপ্রিয়। না, বাদশা ভাই কোনো সিনেমার নাম না। বাদশা ভাইয়ের দোকান। ভাসমান দোকান। উদ্যানে তার ভাসমান খাবারের দোকান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থেকে শুরু করে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সবাই তার খাবারের ভক্ত। সে যখন প্রথম উদ্যানে খাবার চালু করে আমি ছিলাম তার দোকানের প্রথম কাস্টমার। আমি তার খাবার খেয়ে বলেছিলাম আপনি তো একদিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে যাবেন, আমার কথা কিন্তু মনে রাখবেন। সে একটি বিনয়ের হাসি দিয়েছিল। আজকেও বাদশা ভাই আর তার বউয়ের আচরনে বিনয় আছে কিন্তু প্রথম কাস্টমার হিসাবে আমার কোনো আলগা সুবিধা নাই। বারোটার মধ্যে তারা উদ্যানে চলে আসে। প্রায় চারটা পর্যন্ত তাদের খাবার চলে। আজকে আসতে একটু লেইট হচ্ছে। একটু বলতে প্রায় দেড় ঘন্টা। সবাই খাবার খেতে আসে কিন্তু খাবার তো আসেনি। অপেক্ষা