অপরাধ খুলে কেউ ভুলে গেছে মানুষের মুখ অপরাধ খুলে কেউ কেড়ে নিল মানুষের সুখ।। ঘর নেই বাড়ি নেই রাস্তায় সুখ নেই জেগে আছে অবিচার দ্বন্দ্ব মানবতা মানবতা মানবতা মানবতা মানবতার স্লোগান বন্ধ।। আজকের শিশু নেশায় ভাসছে কালকের শিশু অস্ত্র হাতে ফুল কন্যাটি ভুল পথে হাঁটছে জেগে আছে অবিচার দ্বন্দ্ব মানবতা মানবতা মানবতা মানবতা মানবতার স্লোগান বন্ধ।। পাখিদের ঘর নেই জলেতে মাছ নেই শান্তিতে নেই শান্তির পায়রা জেগে আছে অবিচার দ্বন্দ্ব মানবতা মানবতা মানবতা মানবতা মানবতার স্লোগান বন্ধ।।
Year: 2021
সব নদীতে একই জল
আতকা পর্যটক
ক হঠাৎকে আমাদের এলাকায় বলে আতকা। আতকা ফকির আমাদের এলাকায় প্রচুর রয়েছে। আমরা আতকা ফকির না— আতকা পর্যটক। আতকা ঘর থেকে বের হয়ে যাই চোখকে পাঞ্জেরি মেনে। মান্যবর চোখ আমাদের নিয়ে যেতে থাকে গ্রাম থেকে গ্রামে শহর থেকে শহরে। জলসাতে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সাইদুর আঙ্কেল, আমিনুল ইসলাম ভাই, নবী হোসেন ভাই, সৈকত আর আমি। আতকা পর্যটক হয়ে উঠার ইচ্ছা জাগে। ড্রাইভার বাবুকে পেয়ে গেলাম। চলো নাছিরনগর থেকে ঘুরে আসি। বাবু নিমিষেই রাজি। আমার জানামতে আড়াইসিধা থেকে নাছিরনগর রিক্সাভ্রমন কেউ করে নাই।আমরা প্রথম ইতিহাস নির্মান করলাম। ভবিষ্যতে আরও কেউ করতে পারে। সরাইল কুট্টাপাড়ার মোড় থেকে নাছিরনগর আসাযাওয়ার রাস্তাটি অসাধারণ। আমাদের এলাকার মানুষ এই রাস্তাটিকে মিনি কক্সবাজার বলে। দুইপাশে জলের সারি। মাঝখানে রাস্তাটি। এই রাস্তাটি দেখার জন্যে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে এই বর্ষাকালে। এই
ধন্যবাদ জানানোর মনোভাব
আমার সিট নাম্বার প্রথম চেয়ার জ দশ। আমার সিটে সে বসা। আমার সিটটি জানালার পাশে। আমার সিট আমাকে দিতে তার যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে, তারপরও যে দিয়েছে। তার মন থেকে সিট ছাড়ার কষ্টঘ্রান আমার নাকে আসতেছে। ভাবলাম কথা বলি তাহলে হয়তো তার মন ভালো হয়ে যেতে পারে। শুরু হলো আমাদের কথা। জানতে পারি সে সুইজারল্যান্ড থাকে। সুইজারল্যান্ড নাম শুনাতে তার প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে গেলো। কারন সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, কানাডা, চীনের প্রতি আমার গোপন আগ্রহ আছে। কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর প্রতিও আমার আগ্রহের কমতি নাই। সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন? এক কথায় ড্রিমল্যান্ড! কেন ভাই কেন? এখানে যেমন ধূলিবালি, সেখানে তা নেই, এখানে রাস্তা মানে জ্যাম সেখানে তা নেই, সেখানকার মানুষের দায়িত্বজ্ঞান ভালো, খাবারে ভেজাল নেই। ফ্যামিলিবন্ডেজ কেমন? এটা মনে হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। কারন সুইজারল্যান্ডে এমন
দুটি উপলব্ধি
বাওনবাইরার ভাষা [ ৫ ]
শব্দের মাঝে কিংবা শেষে যদি ‘ট’, ‘ঠ’ থাকে তবে তা ব্রাহ্মাণবাড়িয়ার আঞ্চলিক উচ্চারণে ‘ট’, ‘ঠ’ স্থলে ‘ড’ হয় কাঁটা > কাডা; নাটাই > নাডাই; ফাটা > ফাডা; নটী > নডি; ছুটি > ছুডি; কোটা > কুডা; মাটি > মাডি; ছাটাই > ছাডাই; মাঠ > মাড; কাঁঠাল > কাডাল; বৈঠা > বৈডা; ওঠটি >ওডতি, উঠোন > উডান। Ξ আরও পড়ুন Ξ ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৪ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ১ ]
কেমন করে কানতে?
বাওনবাইরার ভাষা [ ৪ ]
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘স’ বর্ণটির উচ্চারণ ‘হ’ বর্ণ হিশেবে করা হয় সে> হে; শালা> হালা; সারা> হারা; সাজ> হজ; সতীন >হতিন; সকলে> হুগলে আবার কখনো কখনো ‘স’ কে ‘ছ’ বর্ণ হিশেবে উচ্চারণ করা হয় সালাম> ছালাম; সিলমোহর> ছিলমোহর; গোসল> গোছল; সালুন> ছালুন> ছান ‘ক’ বর্ণটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘হ’ বর্ণ হিশেবে উচ্চারণ করা হয় কাকা> কাহা; ঢাকা> ঢাহা; থাকা> থাহা; সকাল> সহাল, বাঁকা> বেঁকা> বেহা; ডাকাত> ডাহাইত Ξ আরও পড়ুন Ξ ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ১ ]
সুহিনি সাবেত্রীর প্রেমিক
সুহিনি সাবেত্রী। ছিপছিপে শরীরে আটসাঁট বাঁধন তার। তার দাঁত যেন সাগরের বালি— চিকচিক করে। শাড়ি তার একমাত্র পোশাক। অবশ্যই রুমের ভেতর সে থ্রি কুয়াটার আর টিশার্ট পরে। সাইকেল তার প্রিয় বাহন। শুধু তার কেন, শান্তিনিকেতনের প্রায় স্টুডেন্টদের প্রিয় বাহন সাইকেল। টাকা হলে স্কুটার কিনবে এমন কথা সে প্রায় বলে বেড়ায়। সুহিনি হাসলে গালে টোল পড়ে। তার চোখে কাজল দেয়া লাগে না, জন্মগতভাবেই তার চোখে কাজল দেয়া। তার মামা তাকে কাজল নামেই ডাকে। সুহিনি যখন সাইকেলে চেপে বসে তখন মাঝেমধ্যে হালকা বাতাসে নাভিমূলের উপর থেকে শাড়ি সরে যায়, আর ঠিক তখন মাই গড টাইপের এক সৌন্দর্য নেমে আসে যেন বহু প্রত্যাশিত কাঞ্চনজংঘা! সুহিনি শান্তিনিকেতনে অনীলদেব শর্মার অধীনে পিএইচডি করছে। বিষয় বাংলা সাহিত্যে গ্রামীন জীবন। বাংলা সাহিত্যে নারীদের অবস্থান নিয়ে সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে
জয়দর
চরিত্রবান রাত। রাতবীর্য অন্ধকার। আলোয়পূর্ণ ছায়া অন্ধকারের পোশাক। দ্রোহতাবাজি ঝুলে থাকে অন্ধকারের সদর দরজায়। আনন্দ— স্বপ্লচিন্তার আস্তানা, দুঃখের নবীন যৌতুকে ঘেটুপুত্র। অন্ধকারবাবা ‘হক মওলা’ জিকিররব তোলে। মানুষ! মানুষের কাছাকাছি দূরে যায়— অসীম-সসীম দূর! জয়দর। পলিমাটিমানুষ। কুয়াশার ডাকে চোখের দরজা খোলে। বউওম হৃদয় টানে। হৃদয়ের দাবিতে ডুবে থাকার অর্থ— বছরব্যাপী উপোস থাকা। চকবাজারে যেতে হবে। মানুষ ভাড়া আনবে— পূর্বে সূর্য দেখা, পশ্চিমে সূর্য না-দেখা— মধ্যবর্তী সময়ের জন্যে। সন্ত্রাস শীতের বিরুদ্ধে বাবুয়ানী অস্ত্রে সজ্জিত নয় জয়দর। রাস্তায় নামে— অর্ধেক বরফ, অর্ধেক পা সঙ্গে। ভাড়াটে মানুষ কেটে আনবে পলিমাটিসন্তান। মানসিক শাসন ঘিরে ধরবে তাদের সবপাশ। কাজে ফাঁকি দিতে মানা। জয়দর তাদের বলবে— ‘ভাত পরের, কাম নিজের’