দুটি চোখ ওয়ান প্লাস ওয়ান বাদলমেশানো চোখ ঝড়দাপানো চোখ আমার মানুষের সমুদ্রে ঢেউ গুনে গুনে ভোর আনে রকেটের গতির মতো থেমে থাকে জলের মাছের মতো হাসতে থাকে এলাকার ভূমি অফিসে যে জল্লাদ বসে থাকে আদালত পাড়ায় ডানাবিহীন পাখির চিৎকার বিবেকের আইসক্রিমঠান্ডা আচরন দেখে দেখতে থাকে জলমেশানো চোখ আমার বিলাসের জলে স্বপ্নডাঙার তলে ঘামহীন চোখ আমার ডুবে না সেবানন্দের পাড়ে যখন আকাশ হবে ভালোবাসার যখন বাতাস হবে প্রেমের যখন জলে কচুরিপানার পরিবর্তে ভাসবে সহানুভূতি সহমর্মিতা হাসপাতালে পায়চারি করবে পলকে পলকে তখন শরীরপাড়াত চোখ আমার যাবে তোমার বাড়ি দেখবে তোমারে মন ডুবিয়ে তোমার হাসির ভূমিতে গন্ধমাদন উৎসব হবে ফুলের ভাষা বুঝে নিবে আমাদের প্রজন্ম সন্ধ্যা তারা রাত এখনো রাত এখনো রয়েছে বারান্দার পুরাতন চানক্য চেয়ারে রাতজাগা চোখ আমার সুন্দরতর দিনের দিকে রাতমাখা চোখ আমার সুন্দরতম দিনের পথে দৃষ্টিনেশাভরা সন্ধ্যার ফুলফল পাহাড়ে জোছনামাখা চিত্রলিপি রাতের সাজঘরে প্রভাতের নুরানি হাওয়ার গতিবেগ ধরে এখনো মিছিলে মিছিলে জেগে থাকা চোখ আমার স্বপ্ন দেখে স্বপ্ন গায় সবুজের হিমোগ্লোবিনে
Day: November 26, 2021
আহো, আহো
শীত পড়ছে। কাম নাই। তবু সাফিয়া প্রতি সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের হয় কামের নাম করে। তার সন্তান ও প্রতিবেশীরা জানে সাফিয়া বারডেম হাসপাতালে কাজ করে। মূলত সাফিয়া হাসপাতালে কোনো কাজ করেনা। সাফিয়ার কামের জায়গা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মাঠ, মাঠের নির্জন প্রান্তর। সাফিয়ার গতরে শীতল কুয়াশা, কণ্ঠ বসে আসতে চায়। তবু সাফিয়া হাক তোলে, লাগাইবা? আহো, আহো সাফিয়ার ‘আহো’ শব্দটি ঘন কুয়াশায় ধাক্কা খেয়ে তারই দিকে ফিরে আসে। গভীর রাতে সাফিয়া বাড়ি ফিরে যায়, দরজায় কড়া নাড়ে। ঘুম ঘুম চোখে দরজা খুলে ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া রোদেলা। রোদেলা মারে জিগাই, আম্মা, দিনে কাম করবার পার না? আম্মা ফেলফেল করে তাকিয়ে থাকে, দারিদ্র্যভরা কণ্ঠে উত্তর দেয়, রইদের তাপ যে গতরে সহ্য অইনা মা
অক্ষবাট কিংবা আখড়া
অক্ষবাট। আখড়া। অক্ষবাট কিংবা আখড়া মানে অনুশীলনের জায়গা। আস্তানা অর্থে আখড়া শব্দটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আখড়া শব্দটি ব্যায়ামঘর অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আখড়া শব্দটি সন্ন্যাসীদের আশ্রম অর্থেও ব্যবহার করা হয়। তবে বাংলাদেশের মানুষ কোনো প্রকার আগার পাগার চিন্তা না করে আখড়া বলতে এক কথায় বুঝে পাগলদের মদ গাজা খাওয়ার জায়গা। হুমায়ূন ফকির একজন লালন প্রেমিক ছিলেন। এখনো হয়তো আছেন। কারন শক্তির বিনাশ নেই। তবে শক্তির রূপান্তর রয়েছে। তাই 'হয়তো' শব্দটি ব্যবহার করেছি। মানুষ মরে গেলে মানুষই থাকে কিনা তা নিয়ে ব্যাপক বাহাস হতে পারে। কারন প্রজাপতি যা থেকে জন্ম হয় তার প্রতি আমার ঘৃনাবোধ রয়েছে কিন্তু প্রজাপতির প্রতি আমার আসক্তি প্রবল। হুমায়ূন ফকির আজ পর্দার আড়ালে। তিনি যখন জীবিত ছিলেন তখন তার সাথে আমাদের প্রথম দেখা এমনই দিনে আজ থেকে সাত
মানুষমুখী মানসিকতা
প্রত্যেক ইবাদত ভাই ভাই। প্রত্যেক ইবাদত জলের মতো যৌথকোষ। ইবাদত মানে নিজের প্রতি সচেতন থাকা। জলের কোনো অংশে ঢিল মারলে যেমন জলকোষে ঢেউ লাগে তেমনি কোনো ইবাদতে মনোনিবেশ করলে ইবাদতকোষে ঢেউ লাগে। সালাতে সিয়াম, যাকাত, হজ্ব রয়েছে। সালাত বান্দার সাথে আল্লার সম্পর্ক যা হজ্বের নামান্তর, সালাতে শরীরের যাকাত দেয়া হয়ে যায়, সালাত একপ্রকার সিয়াম কারন সরিষা পরিমান খাবারও সালাতরত অবস্থায় খাওয়া যায় না। ইসলামে সালাত কেন? সালাতের উদ্দেশ্য মানুষকে মানুষমুখী করা, উগ্রতা থেকে মানসিকতাকে হেফাজত করা। কুরানে আছে তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করেছি, তোমাদের আগেও ফরজ করা হয়েছিল যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। আলোচ্য বিষয় যেন তাকওয়া অর্জন করতে পারো। মানে সিয়ামের উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন। তাকওয়া হল মানসিকতার স্তর। মানসিকতা মানুষমুখী হলে আইনের শাষনের প্রয়োজন নেই যেখানে প্রত্যেক মানুষ প্রত্যেক মানুষের কল্যানের চিন্তা করবে। আর