শুন্যকে মিছিলে দাঁড় করালেও সংখ্যা হয় না, সংখ্যা মারা গেলেও শুন্য হয় না, অন্ধকারের সীমান্তে অন্ধকার থাকে আলোর সীমান্তে থাকে আলো, পাহাড়ের সাথে মুদির দোকান মালিকের কথা হয়, মুদির মালিক চাঁদ কিনতে চায়, তাই সে জোছনা রাতে টিএসসিতে এসে বসে থাকে, টিএসসি আবার আলু বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে, এখন সে নায়িকা শাবানা নিয়ে ব্যস্ত, শাবানা আবার অভিনয় রেখে আল্লারাসূল নিয়ে মহা ব্যস্ত, জান্নাত তাকে পেতেই হবে। এই দিকে দেখা দিয়েছে আইন সংকট। অনেক সংকটের মুহূর্তে মহারাজের ঠান্ডা লেগেছে, মহারাজ গান করতে পারছে না। রাজ্যে এখন মুশকিল কান্ড। নদী শুকিয়ে গ্যাছে। তাই নদী কৌশলে ডাকে। রাক্ষস রাক্ষসীর খেলা জমবে এবার। আমার আর মাছ হওয়া হলো না। আমার আর পাখির দেশে যাওয়া হলো না। এখন একটা কুড়েঘর বানাব মাছ আর পাখির মতো হুবহু।
Month: November 2021
শিশুদের ঘর ভাঙেনা
প্রতিনিয়ত খেলে যায় তারা— শিশুদের ঘর ভাঙেনা কখনো, কখনোই না ওঠেনি কখনো গড়ে শিশুদের খেলাঘর উচ্ছ্বাস উদ্বেগ আবেগ শুরু থেকে শেষ শূন্যকুম্ভ প্রান্তিক এলাকায় কোলাহল ভরপিন্ড ভরপুর পাথরের ডানায় আশার পালকে কোমলপ্রাণ ঘুম পেছন থেকে সামনে সামনে থেকে পেছনে মাঝামাঝি সামনে মাঝে মাঝে পেছনে— একই কথা একই কান্না তবু নতুন তারা নয়তো রাজা— রাজ্য আছে তাদের তারা নয়তো প্রজা— তারা রাজার উপরে প্রশান্তিদেশ রোদ উঠে অন্ধকার নামে কুয়াশায় দেখা মিলে প্রেমের ঝিলিক ঢেউয়ের তরঙ্গের শিশুদের নবান্ন হিড়িক তারা হাসে কান্নার মতো তারা কাদে হাসির মতন তারা ঘুমে যায় যেনো জেগে আছে তারা জেগে থাকে যেনো ঘুম ঘুম রতন নেই তবু আছে শিশুদের খেলাঘর শিশুদের চোখে নেই বানানো সমাজ থাকে নাতো সমাজ বানানো আপন সমাজ বানানো পর শিশুচোখে থাকে মোহনার ত্রিকাল সাগর নদী দ্বীপচর
কার বুকে রোপন করি পৃথিবীর আশা
জানালার পাশে সবুজ মাঠ মাঠের পাশে পানসে নদী পানসে নদীর পাশে বাস করে কোনো এক কবি কবিকে বলি নিয়ে আসতে নিয়ে আসতে দরজার পরপাশের মতো অন্ধকার কবি নিয়ে আসলো নিয়ে আসলো বৃদ্ধ দাদুর দাঁতের মতো স্মৃতিধরা পতাকা প্রেমিকাকে বলেছিলাম বলেছিলাম কোনো এক আশ্চর্য সহনশীল সন্ধ্যায় দেবদারু গাছের নিচে বিনয় ভবনের রাস্তার পাশে কাবা শরীফের পাথরে চুমু দেয়া হয়নি আমার চুমুু দিয়েছি তোমার ঠোঁটে রোপন করেছি তোমার ঠোঁটে চব্বিশ ঘন্টা অর্জনযোগ্য সব তেলাওয়াত দ্রোপদী মহাভারত সূরা আলাক সব শর্ত মেনে আমাকে দাও দূরদ্বীপে সাগরের বুকে স্বপ্নমাখা এক ছায়া— এক হাসিমাখা সৌহার্দ আশ্রয় প্রেমিকা আমাকে দিলো আইন কানুন দিলো নিয়মেধরা কাঁটাতার পতাকা সংবাদ প্রবঞ্চনা কৃষকের লাঙলের কাছে আশ্রয় নিলাম তাকেও বলি এনে দাও সবুজ হাসি আর মাঠভর্তি প্রজন্মের আশা কৃষকের লাঙল এনে দিলো এনে দিলো তামাশার সূর্য অলসতার ঘুম বাউলের দুতারায় আস্থা রাখি কিছুক্ষন বাউলও খাবার মাছের সন্ধানে ভুলে যায় নদীর জীবন ভাবের সুরে উদারায় তুলে দর্শন
মিছিলে মিছিলে জেগে থাকা চোখ
দুটি চোখ ওয়ান প্লাস ওয়ান বাদলমেশানো চোখ ঝড়দাপানো চোখ আমার মানুষের সমুদ্রে ঢেউ গুনে গুনে ভোর আনে রকেটের গতির মতো থেমে থাকে জলের মাছের মতো হাসতে থাকে এলাকার ভূমি অফিসে যে জল্লাদ বসে থাকে আদালত পাড়ায় ডানাবিহীন পাখির চিৎকার বিবেকের আইসক্রিমঠান্ডা আচরন দেখে দেখতে থাকে জলমেশানো চোখ আমার বিলাসের জলে স্বপ্নডাঙার তলে ঘামহীন চোখ আমার ডুবে না সেবানন্দের পাড়ে যখন আকাশ হবে ভালোবাসার যখন বাতাস হবে প্রেমের যখন জলে কচুরিপানার পরিবর্তে ভাসবে সহানুভূতি সহমর্মিতা হাসপাতালে পায়চারি করবে পলকে পলকে তখন শরীরপাড়াত চোখ আমার যাবে তোমার বাড়ি দেখবে তোমারে মন ডুবিয়ে তোমার হাসির ভূমিতে গন্ধমাদন উৎসব হবে ফুলের ভাষা বুঝে নিবে আমাদের প্রজন্ম সন্ধ্যা তারা রাত এখনো রাত এখনো রয়েছে বারান্দার পুরাতন চানক্য চেয়ারে রাতজাগা চোখ আমার সুন্দরতর দিনের দিকে রাতমাখা চোখ আমার সুন্দরতম দিনের পথে দৃষ্টিনেশাভরা সন্ধ্যার ফুলফল পাহাড়ে জোছনামাখা চিত্রলিপি রাতের সাজঘরে প্রভাতের নুরানি হাওয়ার গতিবেগ ধরে এখনো মিছিলে মিছিলে জেগে থাকা চোখ আমার স্বপ্ন দেখে স্বপ্ন গায় সবুজের হিমোগ্লোবিনে
আহো, আহো
শীত পড়ছে। কাম নাই। তবু সাফিয়া প্রতি সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের হয় কামের নাম করে। তার সন্তান ও প্রতিবেশীরা জানে সাফিয়া বারডেম হাসপাতালে কাজ করে। মূলত সাফিয়া হাসপাতালে কোনো কাজ করেনা। সাফিয়ার কামের জায়গা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মাঠ, মাঠের নির্জন প্রান্তর। সাফিয়ার গতরে শীতল কুয়াশা, কণ্ঠ বসে আসতে চায়। তবু সাফিয়া হাক তোলে, লাগাইবা? আহো, আহো সাফিয়ার ‘আহো’ শব্দটি ঘন কুয়াশায় ধাক্কা খেয়ে তারই দিকে ফিরে আসে। গভীর রাতে সাফিয়া বাড়ি ফিরে যায়, দরজায় কড়া নাড়ে। ঘুম ঘুম চোখে দরজা খুলে ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া রোদেলা। রোদেলা মারে জিগাই, আম্মা, দিনে কাম করবার পার না? আম্মা ফেলফেল করে তাকিয়ে থাকে, দারিদ্র্যভরা কণ্ঠে উত্তর দেয়, রইদের তাপ যে গতরে সহ্য অইনা মা
অক্ষবাট কিংবা আখড়া
অক্ষবাট। আখড়া। অক্ষবাট কিংবা আখড়া মানে অনুশীলনের জায়গা। আস্তানা অর্থে আখড়া শব্দটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আখড়া শব্দটি ব্যায়ামঘর অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আখড়া শব্দটি সন্ন্যাসীদের আশ্রম অর্থেও ব্যবহার করা হয়। তবে বাংলাদেশের মানুষ কোনো প্রকার আগার পাগার চিন্তা না করে আখড়া বলতে এক কথায় বুঝে পাগলদের মদ গাজা খাওয়ার জায়গা। হুমায়ূন ফকির একজন লালন প্রেমিক ছিলেন। এখনো হয়তো আছেন। কারন শক্তির বিনাশ নেই। তবে শক্তির রূপান্তর রয়েছে। তাই 'হয়তো' শব্দটি ব্যবহার করেছি। মানুষ মরে গেলে মানুষই থাকে কিনা তা নিয়ে ব্যাপক বাহাস হতে পারে। কারন প্রজাপতি যা থেকে জন্ম হয় তার প্রতি আমার ঘৃনাবোধ রয়েছে কিন্তু প্রজাপতির প্রতি আমার আসক্তি প্রবল। হুমায়ূন ফকির আজ পর্দার আড়ালে। তিনি যখন জীবিত ছিলেন তখন তার সাথে আমাদের প্রথম দেখা এমনই দিনে আজ থেকে সাত
মানুষমুখী মানসিকতা
প্রত্যেক ইবাদত ভাই ভাই। প্রত্যেক ইবাদত জলের মতো যৌথকোষ। ইবাদত মানে নিজের প্রতি সচেতন থাকা। জলের কোনো অংশে ঢিল মারলে যেমন জলকোষে ঢেউ লাগে তেমনি কোনো ইবাদতে মনোনিবেশ করলে ইবাদতকোষে ঢেউ লাগে। সালাতে সিয়াম, যাকাত, হজ্ব রয়েছে। সালাত বান্দার সাথে আল্লার সম্পর্ক যা হজ্বের নামান্তর, সালাতে শরীরের যাকাত দেয়া হয়ে যায়, সালাত একপ্রকার সিয়াম কারন সরিষা পরিমান খাবারও সালাতরত অবস্থায় খাওয়া যায় না। ইসলামে সালাত কেন? সালাতের উদ্দেশ্য মানুষকে মানুষমুখী করা, উগ্রতা থেকে মানসিকতাকে হেফাজত করা। কুরানে আছে তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করেছি, তোমাদের আগেও ফরজ করা হয়েছিল যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। আলোচ্য বিষয় যেন তাকওয়া অর্জন করতে পারো। মানে সিয়ামের উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন। তাকওয়া হল মানসিকতার স্তর। মানসিকতা মানুষমুখী হলে আইনের শাষনের প্রয়োজন নেই যেখানে প্রত্যেক মানুষ প্রত্যেক মানুষের কল্যানের চিন্তা করবে। আর
ফুলের গন্ধও কেন তাদের ডাকবে?
জনম দুঃখী প্রকৃতিকে দেখতে খুব ভালো লাগে। কারন মাইনাসে মাইনাসে প্লাস। আনন্দের কোনো ঘর বাড়ি নাই, দুঃখের বসত ভিটা আছে। কুকুরের কোনো দুঃখ আছে বলে আমার মনে হয় না। কুকুর প্রভুকে খুব তেল দিতে পারে। তেল খেয়েও প্রভু মাঝেমাঝে রাগের ভান করে, আসলে প্রভু কুকুরের প্রতি বিশেষ সন্তুষ্ট থাকে। আজকে হলের সামনে একটি নারী কুকুর ও একটি পুরুষ কুকুর দেখলাম। তারা বেশ আনন্দে আছে। বিবাহ ছাড়া তারা রাত্রিযাপন করতে পারে। তারা আনন্দে থাকবে না তো মানুষ আনন্দে থাকবে? বাবা কুকুরের কাজ কেবল বীর্য দান করা, মা কুকুরের কাজ কেবল একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাচ্চাকে দেখাশোনা করা, তারপর প্রত্যেকের নিজস্ব জৈবিক জীবন। কুকুর দুটি অনেকক্ষন ধরে প্রেম খেলায় মত্ত। কুকুর ফেইসবুকের ইনবক্সে প্রেম করে না, তাদের প্রেম সরাসরি শারীরিক। কুকুর পরিবারে পরকীয়া প্রেম বলে
বিস্মিত ভালো লাগা
সকাল। শীতের সকাল। হেতাকে ফাঁকি দিয়ে শিশির লুকানো বাতাস শরীরকে বিছানাতে থাকতে বাধ্য করে। শুয়ে শুয়ে তার কথা, তাহার কথা কখনো ঠোঁটের কাছে, কখনো মস্তিষ্কের গোপন এলাকায় খেলা করে। প্রায় রাতসকালে তাকে ফোন করি। সে তখন ঘুমায়। তার ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য মাঝে মাঝে এই বিশেষ অভিযান চলে। মোবাইলের স্পিকার বেয়ে ভেসে আসে আড়মোড়া কণ্ঠ। আমার চমৎকার শিশুমনটা তখন জেগে উঠে। বর্ষাকালে আমাদের এলাকায় পাটচাষ হতো। বর্ষার যুবতী জলের মাঝে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতো পাটগাছ। বাতাসের সাথে তাদের মিহিকুচি বন্ধুসভা আমাদের আনন্দসভাকে মিছিলে নামাতো। পাটপঁচা গন্ধের একটি বিশেষ অর্থ ছিল আমার নাকের কাছে। যে অর্থের অর্থ উদ্ধার করা যায়না আজো, তবু আজো মনে পড়ে তার গন্ধের অদৃশ্য দৃশ্য। পাটকাঠি রোদে শুকাতে দেওয়া হতো। অনেকটা তাবুস্টাইলে। মনে হতো যেন কসমিক তাবু। আমরা এই তাবুতে ঢুকে
ভালোবাসা ভালো থাক
কত ইতর খেলা ঘটে যায় হৃদয়ে বাসা বাধে ভালোবাসা বাসা বাধে বাহিরে কত রঙিন খেলা বসে যায় হৃদয়ে বাসা বাধে ভালোবাসা বাসা বাধে ভেতরে কুয়াশার কাপড়ে পড়ে থাকে স্মৃতির লাশ মানুষের অপমানে মানুষেরই কালান্তর উল্লাস বাসা বাধে ভালোবাসে বাসা বাধে আশেপাশে দূরে থাক তবু তার সুখডাকা ঘর থাক কাছে আসে ভালোবাসে কাছে আসে নিজে নিজে ঘর বানায় ঘর ভাঙে দোষারোপ করে শেষে কাছে আসে ভালোবাসে দূরে যায় দোষ ধরে ভালো থাক সুখে থাক সুখে থাক ভালো থাক আমোদে প্রমোদে সুখে থাক ভালো থাক আমাদের সময়ে সময়ের অভিশাপ কাল সাপ নীল সাপ ভালো সাপ অভিশাপ আমাদের সময়ে আমাদের অভিশাপ ভালো থাক সুখে থাক আমোদে প্রমোদে নীল জলে পাক সাত ভুল হলেও ঝড়টা ফুলদের ঘরে যাক থাক থাক ভালো থাক ভালোবাসা ভালো থাক ভালো থাক সুখে থাক