You are here

ধর্ষণ, সুবিচার ও মাও সেতুং

বেইজিং গনপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের অধীনে সরাসরি কেন্দ্রশাসিত পৌরসভা হিসেবে পরিচালিত। বেইজিং কথাটির অর্থ ‘উত্তরের রাজধানী’।

মহানগর এলাকার ভেতর দিয়ে হাই নদী ব্যবস্থার অনেকগুলো উপনদী প্রবাহিত হয়েছে, যাদের মধ্যে ছাওপাই নদী ও ইউংতিং নদীর কথা উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায়। বেইজিং সুসংহতভাবে গঠিত নয়; এখানে গ্রামীন বসতি ও স্থাপনার আধিপত্যই বেশি। প্রাদেশিক মর্যাদাবিশিষ্ট বেইজিং ষোলটি পৌরজেলা, উপ-পৌরজেলা এবং গ্রামীন জেলা নিয়ে গঠিত।

১৯৫০ সাল। ১৯৫০ সালের বেইজিংয়ের কথা। ১৯৫০ সালের বেইজিংয়ের একটি গ্রামের কথা। ১৯৫০ সালে বেইজিংয়ের একটি গ্রামের একটি ধর্ষিত মেয়ের কথা। চেয়ারম্যান তখন মাও সেতুং। বলা হয়ে থাকে মাও সেতুং কোনোদিন দাত মাজতেন না। কারন হিসাবে তিনি বলতেন বাঘের কথা। বাঘ নাকি দাত মাজে না।

চেয়ারম্যান তখন মাও সেতুং। একটি মেয়ে উদাম মাঠে গণধর্ষণের কবলে পড়ে! মেয়েটি আস্ত শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরে কান্না অভিমান অভিযোগ বীতাগ্নি রাগে। চীন দেশে তখন বিশ্বালোচিত মার্ক্সবাদকে হাতিয়ার করে লালফৌজ গঠন করে অক্লান্ত পরিশ্রম অবিরত চেষ্টা কঠিন অধ্যবসায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩৫ হাজার কিলোমিটার লংমার্চ করে মাও সেতুং চীনের মাটিতে জনমানুষের গণমানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার আয়নামতি আয়তিসুখদৃশ্য চলমান প্রশান্তিচোখ প্রতিষ্ঠা করেন। বিপ্লব সমাজতন্ত্র রক্ষা করার দায়িত্বে ঘরে বসে স্টাডি করছিলেন কেমন করে সাংস্কৃতিক বিপ্লব সংঘটিত ও সফল করা যায়। সেই সময় মেয়েটির ধর্ষিত হবার খবর তার কানে এসে পৌঁছে। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে।

বেইজিংয়ের জলবায়ুতে ঋতুভেদ আছে— জলবায়ু মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত আর্দ্র মহাদেশীয় ধরনের। উত্তপ্ত ও আর্দ্র গ্রীষ্মকালের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮° সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি এবং হিমশীতল ও শুষ্ক শীতকালের জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা ১৫° সেলসিয়াসের চেয়েও কম হতে পারে। জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে সিংহভাগ বৃষ্টিপাত হয়।

মাও সেতুং খবরটি শুনামাত্র জুলাই মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার চেয়েও উত্তপ্ত হয়ে উঠেন।তার মনে তখন জুন ও আগষ্ট মাসের বৃষ্টিধারার মতো জলাপাত হচ্ছিল। তিনি মেয়েটির কাছে গেলেন। মাথায় হাত রাখেন। তার চোখে ছায়াবর্ষনের চেষ্টা করেন।

তোমাকে যখন তারা ধর্ষন করছিল তুমি কী তখন চিৎকার করছিলে?
হ্যা,আমি চিৎকার করছিলাম।
তেমন করে আবার চিৎকার করতে পারবে?

সুবিচার পেলে তেমন করে ঠিক তেমন করে চিৎকার করতে পারবো। আপনার প্রতি আমার আস্থা রয়েছে।

মাও সেতুং তখন এক হাজার সিপাহি প্রস্তুত করেন। মেয়েটিকে স্পটে নিয়ে যায়। মেয়েটিকে চিৎকার করতে বলে। মেয়েটির চিৎকার যতদূর শোনা যায় ততদূরের সমস্ত মানুষকে বন্দী করে আনা হয়। মেয়েটি চারটি পুরুষকে সনাক্ত করে। সাথে সাথে তাদেরকে গুলি করে পরকালের অপ্সরাদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ধর্ষন তখনো ছিলো এখনো আছে! তখন মাও সেতুং ছিলো এখন মাও সেতুং নাই!! মাও সেতুং নাই বিধায় নদীর ঘরে জলের মতো বসে থাকি— মাছ হয়ে কোনো এক সাগরের কথা ভাবি

Leave a Reply

Top