ভ্রমন বা টুর বলতে অনেকে যা অনুধাবন করে বা মিন করে আমাদের এই টুরটা ঠিক তেমন না। আমরা যাচ্ছি সিলেটে। উদ্দেশ্য। প্রধান উদ্দেশ্য একটাই— ছাতক হাফ ম্যারাথনে অংশগ্রহন করা। হাফ ম্যারাথন বলে আসলে কিছু নেই। হাফ ম্যারাথন শব্দটা বানানো। ম্যারাথন ইজ ম্যারাথন— ৪২ কিলোমিটার। আমি দৌড়াবো ২১ কিলোমিটার, রাই দৌড়াবে দশ কিলোমিটার। রাইয়ের সাথে যাচ্ছে তার পরিবার সমগ্র। রাইয়ের পরিবার সমগ্রের সাথে বলতে গেলে আমি গেস্ট। ঠিক গেস্ট না— গেস্ট টাইপের। ভৈরব থেকে ট্রেনে উঠি। পুরো কেবিন আমাদের দখলে। ভালো একটা ঘুম দিই। ট্রেনের কেবিনে ঘুমানো আর মেঘে ঘুমানোর মধ্যে অমিল অনেক থাকলেও মিল তো আছেই। ঘুম থেকে উঠে ট্রেনের খাবারের কেবিনে গিয়ে ছয়টি কাকলেট খাই। ট্রেনের সবজি কাকলেট আমার খুবই প্রিয়— ঝাল ঝাল কোল কোল। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে যখন আমরা পা
Month: October 2021
শীত আর সূর্যের আদরে যে গাছ বেড়ে ওঠে…
আমাদের ভানুসিংহের আক্ষেপ ছিল মাঝে মাঝে তার দেখা পায় চিরদিন কেন পায় না। চিরদিন যারে পাওয়ার ইচ্ছা তার দেখা মাঝে মাঝে পাইলেই বেটার। শীত আর সূর্যের আদরে যে গাছ বেড়ে ওঠে তার পুষ্টিমান অনেক ভালো। তাইতো প্রতিদিন নিয়মতান্ত্রিক ব্যস্ততার মধ্যে যখন একদুইদিন ছুটি পাওয়া যায় তখন স্বাভাবিকভাবেই আলিফ লাইলার সিন্দবাদ হয়ে রাতের জলে জাহাজ ভাসাতে ইচ্ছা করে এবং বাস্তবায়নও করি। এখান থেকে সেখানে, সেখান থেকে এখানে— এমন করে রাতজাগাপাখি হয়ে ছুটি উপভোগে ব্যস্ত কতিপয় বিন্দুবোধের দল। আমরা যারা বিন্দুবোধের সদস্য তারা তাবৎ পৃথিবীর তাবলিক রাতের জলে ভাসা জাহাজে নিয়ে আসি, আর বাতাসের স্রোতে ভাসিয়ে দেই আমাদের বিশ্লেষন। আজকে কথা হচ্ছিল সার্বিয়া নিয়ে, কথা হচ্ছিল জেনেভা ক্যাম্প নিয়ে, কথা হচ্ছিল ওমর মুভিটি নিয়ে যেখানে প্রেমিক দম্পতি বাংলাদেশ হানিমুনে আসার ব্যাপারে হাস্যরসের কারখানায়, কথা
সংগঠন, সম মানসিকতার মিলন
সংগঠন। সম মানসিকতার দুই বা ততোধিক মানুষ যখন কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মিলিত হয় তাই সংগঠন। সংগঠনের জন্য আর্থিক বিষয় মুখ্য নয়, আবার মুখ্য। কারন অর্থের তরলমান অনেক জায়গায় প্রয়োজন হয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে আবশ্যক হয়ে পড়ে। সংগঠন তারাই করে যারা সমাজের অন্য আট দশজন থেকে আলাদা। সংগঠনের অনেক কাজ থাকতে পারে কিন্তু সংগঠনে তৎপর লোকটির প্রধান গুন আত্মমর্যাদাবোধ। ইন্টিগ্রিটি সেন্স না থাকলে সংগঠন করা যায় না, মূলত ইন্টিগ্রিটি সেন্স থেকে একজন মানুষ সাংগঠনিক মানুষ হয়ে উঠে। একটি মাজারের খাদেম আর সাংগঠনিক মানুষটির মধ্যে অবশ্যই কিছু নীতিগত পার্থক্য থাকবে। খাদেম বাজার খুলে বসে আছে মানে টাকা আসবে, যে কেউ তার মাজারে গরু ছাগল মহিষ ভেড়া উপহার দিতে পারবে। একজন সাংগঠনিক মানুষ কখনো বাজারের খাদেমের মতো অন্যের কাছে অর্থ প্রত্যাশা করতে পারে
এখনও খোঁজ তুমি আমায়?
ওরা সন্তানের মতো ভাবে কাশফুলে বৃষ্টি পড়ে জেএল দেওয়া চুলের মতো উড়ে যায় পাখি আবার বদনাম নামে সূর্যের পথ ধরে লাল থেকে আরো লাল হয়ে উঠে প্রতিবাদ পাওয়ার ইচ্ছে কাদামাটির নিচে বাইম মাছ ফ্যামিলির কাছে কম কথা দেওয়া হয় সারাদিন পানি আর পানি জল আর জল চলো এখনি উঠি পড়ি শান্তিনৌকার খোঁজে জীবন তো একটাই জীবনের নিচে সাদা কাশফুল কারো জন্য বিষয় ও বাসনা বিসর্জন দিতে হয় না দূরে অনাথ চোখের ঠিক সীমানার কাছে কানি বক একই চাঁদ একই আকাশ ছিন্ন দুটি আশাগল্প যাতনা জোৎস্না খেলা করে মনে নোনা বর্ষায় দুটি চোখ খুঁজে খুঁজে হয়রান এখনও খোঁজ তুমি আমায় শীতল হাওয়ায় কলমি ফুলের ধ্যানতৃপ্ত পাখায় একটি পাখি একা একা উড়ে আসে ছায়াপথ ধরে নদীর কিনারে ছাদ লাগবে না প্রিয় নৌকায় ছায়ায় চড়ুইভাতি আচ্ছা আমরা যাই আমরা যাচ্ছি অজানা পথে লোকালয়ে একটি পাখি একা একা উড়ে গান গায় নদীর কিনারে মেঘ আসে তোমার দেখাপথে অন্ধকার নামে তুমি ডুবে যাও আমি ডুবে যাই মিথ্যা পৃথিবীর মিথ্যা ছলনায় ছনচালে বাগানমাখানো
ধর্ষণ, সুবিচার ও মাও সেতুং
বেইজিং গনপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের অধীনে সরাসরি কেন্দ্রশাসিত পৌরসভা হিসেবে পরিচালিত। বেইজিং কথাটির অর্থ ‘উত্তরের রাজধানী’। মহানগর এলাকার ভেতর দিয়ে হাই নদী ব্যবস্থার অনেকগুলো উপনদী প্রবাহিত হয়েছে, যাদের মধ্যে ছাওপাই নদী ও ইউংতিং নদীর কথা উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায়। বেইজিং সুসংহতভাবে গঠিত নয়; এখানে গ্রামীন বসতি ও স্থাপনার আধিপত্যই বেশি। প্রাদেশিক মর্যাদাবিশিষ্ট বেইজিং ষোলটি পৌরজেলা, উপ-পৌরজেলা এবং গ্রামীন জেলা নিয়ে গঠিত। ১৯৫০ সাল। ১৯৫০ সালের বেইজিংয়ের কথা। ১৯৫০ সালের বেইজিংয়ের একটি গ্রামের কথা। ১৯৫০ সালে বেইজিংয়ের একটি গ্রামের একটি ধর্ষিত মেয়ের কথা। চেয়ারম্যান তখন মাও সেতুং। বলা হয়ে থাকে মাও সেতুং কোনোদিন দাত মাজতেন না। কারন হিসাবে তিনি বলতেন বাঘের কথা। বাঘ নাকি দাত মাজে না। চেয়ারম্যান তখন মাও সেতুং। একটি মেয়ে উদাম মাঠে গণধর্ষণের কবলে পড়ে! মেয়েটি আস্ত শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরে কান্না অভিমান
আয়নাবাজি ও চড়ুই পাখির গান
বাংলা সিনেমা হিসাবে আয়নাবাজি যথেষ্ট ভালো হয়েছে এমন কথা আমি বলতে রাজি না। বলতে পারি বাংলা সিনেমার এই ক্রাইসিস মুহুর্তে আয়নাবাজি বাংলাদেশীদের স্বাদ ধরতে পেরেছেন অমিতাভ রেজা চোধুরী। বাংলা সিনেমার দর্শক নাই এমন কথা আর মুখ বড় করে বলতে পারবে না হল মালিকেরা। আয়নাবাজিতে আয়না ভালো অভিনয় করেছে। আয়নার কস্টিউম ভালো ছিল। ভালো হবে না কেন! সুদূর কলকাতা থেকে কস্টিউম ইঞ্জিনিয়ার আমদানি করা হয়েছে। অতি অল্প খরচে ভালো কিছু করা সম্ভব এমন সত্যের মুখোমুখি আমরা বারবার হয়েছি। সুখ শান্তির জন্য যারা মঙ্গলগ্রহে বাড়ি বানাতে ইচ্ছুক তারা আসলে আজাইরা মানুষ। দর্শক বরাবরই সিনেমাতে বাস্তব কিছু চায়। যে সমাজের চোখের সামনের ঘটনা দেখার ক্ষমতা নাই তাদেরকে রাডার সেটেলমেন্টের কাহিনি শোনালে দেশ একেবারে উন্নত হয়ে যাবে এমন বলি আওড়ানোর সময় এখনো আসেনি। আয়নাবাজি ছায়াছবিতে খরচ তেমন
প্রতিযোগিতার অসীম গোলক ধাঁধাঁ
স্কুলে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে শিশুর হাতে বই ধরিয়ে দেয়া হয় না, দেয়া হয় প্রতিযোগিতার অসীম গোলক ধাঁধাঁ। গোলক ধাঁধাঁয় পড়ে প্রথমে শিশুটি তার পাশের শিশুটিকে প্রতিযোগী ভাবতে শিখে। জীবনের প্রথম শিক্ষালয়ে শিশু শিশুর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পরিবর্তে কাঁধে অস্ত্র রেখে চলার শিক্ষা লাভ করে। এইভাবে শিশু বড় হতে থাকে, হতে থাকে ব্যক্তিগত, হতে থাকে আপনি বাঁচলে বাপের নাম পরিবারের বাসিন্দা। অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমতে থাকে। অপরকে যে শ্রদ্ধা করে না সে কখনো পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারে না। অপূর্ণাঙ্গ মানুষ আবিষ্কারের কাহিনি মুখস্থ করে, কখনো আবিষ্কারক হয়ে ওঠতে পারে না। আবিষ্কারক হয়ে ওঠার জন্য যে সমতার নীতি প্রয়োজন তা কিছু বিসর্জন দেয় স্কুলে, কিছু কলেজে, বাকি সবটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে। প্রত্যেক ছাত্র কঠোর পরিশ্রম করে। লাইফটারে একেবারে তেজপাতা বানাইয়া ফেলে। তারপর তারা চাকর
বিয়ে করলে মন ত খারাপ থাকবেই!
অটোতে বসা। দুধ কিনে আনছি। সয়াবিন তেল দিয়া যে বাজারি দুধ বানায় এই দুধ না। রিয়েল দুধ। বিয়ের আগে দুধ খাওয়া উত্তম। বিয়ের পরে দুধ খাওয়া অতি উত্তম। তবে বিয়ের আগে ও পরে রিয়েল দুধ পাওয়া খুবই কষ্টের। অনেক খুঁজতে হয়। অনেক কষ্ট করেও খুঁজে পেলে ভালো। মুরুব্বিদের বলতে শুনছি রিয়েলের এক গুন, আনরিয়েলের আঠারো দোষ। গেইট বাজার থেকে রিয়েল দুধ কিনে আনছি। তরতাজা ব্যাপার স্যাপার। অটোতে আমি আর অটোম্যান। অটো চলছে। অটো থামল। এক লোক উঠে।লোকটির দিকে তাকিয়ে কথা বলার ইচ্ছা হল। আপনার মন খারাপ? লোকটির আমার দিকে মিটমিট করে তাকায়। আপনি বিয়ে করেছেন। (রাস্তার পাশেই তার বাড়ি। অটোতে উঠার সময় তার চেহারায় বউয়ের সাথে ঝগড়া করার ছাপ)। হুম। বিয়ে করলে মন ত খারাপ থাকবেই। কেন? স্বামী চায় বউ তাকে যেন বুঝে, বউ চায় স্বামী যেন তাকে বুঝে,