ভূমিকম্পে পুরো বিল্ডিং কেঁপে ওঠল, আমি খাচ্ছিলাম, খেতে থাকলাম, হাউমাউ কান্না পুরো বিল্ডিং ছড়িয়ে গেল। আমি তখনো খেতে থাকলাম। ভূমিকম্প থেমে গেলো। আমি তখনো খেতে থাকলাম। পুঁটিমাছ ভাজি আর ভাত। বিল্ডিং ভাঙেনি। তাদের ভয় পাওয়া আর কান্নাকাটি লজ প্রজেক্টে লেখা হলো। মরে যাবো একদিন নিশ্চিত কিন্তু ভয়ে ভয়ে মরতে চাই না। ভয় মৃত্যুর ঔষধ নয় বরং ভয় মৃত্যুর এসিস্টেন্ট। মরে যাবো একদিন নিশ্চিত কিন্তু ভয়ে ভয়ে মরতে চাই না। মরে গেলে আমার জন্য কেউ দোয়া করবেন না, দোয়া করবেন তাদের জন্য যাদের পাশে আমি দাঁড়াতে চেয়েছিলাম।
Month: September 2021
তবু আসে না
নদীরে, ওরে মরা নদী
সময়ের ঘর
পুটিয়া বাজার
পুটিয়া বাজার। এখানে গরু পাওয়া যায়, ঘোড়াও পাওয়া যায়। পান পাওয়া যায় আবার ধানও পাওয়া যায়। কল পাওয়া যায় আবার বলও পাওয়া যায়। পুটি মাছ থেকে পুটিয়া। শনিবার বড় হাট, বুধবার তার চেয়ে ছোট হাট বসে। বাজারের পাশ দিয়ে লেকলেকে হাড়িধোয়া নদী বয়ে চলেছে। আশেপাশের বিশ ত্রিশ গ্রামের প্রধান ভরসার জায়গা এই বাজার। গ্রামের মানুষের প্রায় সব প্রয়োজন নিয়ে বসে আছে এই বাজার। এই বাজারেই এক সময় ডাকাতি হতো। জয়নাল ডাকাতের নাম এখনো মুরুব্বিদের মুখে শুনতে পাওয়া যায়। এখন আর এখানে ডাকাত আসে না। তবে কয়েকটি ব্যাংক বাজারের আশেপাশে খুব শক্তিশালী উপায়ে অবস্থান নিয়েছে। পুটিয়া বাজারকে কুফি বাজারও বলা হয়। কারন আছে। মাগরিবের পর প্রায় সব দোকানে মোটা সলতের কুফি জ্বলে ওঠতো। এখনো জ্বলে ওঠে। তবে আগের তুলনায় খুবই কম। আধুনিক বাল্ব এসে কুফিকে
প্রচলিত নেশার ঘোর
আমার চাওয়া-পাওয়া একটি স্বপ্নের ফ্রেমে বাধা থাকে তুমি তখন নৃত্য করো, তুমুল নৃত্য গাছের পাতা ঝরে যাওয়ার নৃত্য কাল সারা রাত মুষলধারে বৃষ্টি হতো যদি নায়ক হতো তোমার চিরচেনা মুখটি আমি হতাম সিনেমার ভিলেন ভিলেন হওয়া ভালো সারাটা সময় আধিপত্য, শেষে পরাজয় পরাজয় যে জয়ের মাসতুতো ভাই এটা কেবল ভিলেনই জানে নায়ক হতে গেলেও ভিলেনকে স্বীকার করতে হয় শয়তান কেন শয়তান কারণ শয়তান দাস হতে পারেনি ভিলেনও সময়ের দাস নয়, মাইকেলের রাবণ এ্যালকোহলকে রঙিন পানি না ভেবে ওষুধ ভাবো দেখবে হ্যাং ওভার ইফেক্ট বলে কিচ্ছু নেই কেটে যাবে প্রচলিত নেশার ঘোর ভাবতে শিখো হিমানী, ভাবনাতেই গলদ অন্য কোথাও গলদ কিংবা ময়লা নেই চোখের সামনে ধারনার উল্লম্ফনের কারিশমা বস্তুত শিশুর হাততালিই এসথেটিক সঠিক আবেগ- বিবেগ মিথ্যার অহমিকা চোখ যত বড় হবে আসমান ততই অসীম তাই চোখ বড় করে লাভ নেই আসমানী আসমান তোমার চোখে আসবে না আমার চাওয়া-পাওয়া বিশ্বাসের কাবিনে কেনা
ব্যস্ততা এক ঔষধের নাম
হঠাৎ বুকের ভেতর যখন শুরু হয়ে যায় এক কোয়া কান্না, এক সোয়া নদী আসে চোখের ধারায়, নিথর এক শব্দ নেমে আসে নদীর চেনাজানা আলপথ ধরে। কতটুকু পেছনে গেলে অনেক দূরের অচেনা পথটা তবুও চেনা হয়ে যায় মন তখন জানে না। পাগল মনেরও একটি বাড়ি আছে, খুব গোছালো এক বাড়ি, সেখানে সে বাজার করে, রান্না করে, রোজ নিয়ম করে ঘুমায়, আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল করে। কতটুকু পাগল হলে সেই পাগল মনের দেখা পাওয়া যায় এ অবুঝ মন তা জানে না। আমাদের সবার একদিন সব কিছু ছেড়ে পথে বসতে হবে। কেউ হয়তো দালান বানায়, কেউ বানাবে পাহাড়। বানানোর কাজে ব্যস্ত থাকা কেবল। ব্যস্ততা এক ঔষধের নাম। কত ঔষধ খেলে হৃদয় ভুলে যায় হৃদরোগ হৃদয় তা জানে না।
আসনের লোভ
এখন বর্ষাকাল। রোজ রাত নেমে আসে আমাদের চোখে মুখে নাকে। আমাদের ঘুমেরা আর জ্বালাতন করে না। আমাদের স্বপ্নরা আর আমদানি করে না রাতজাগাপাখি। বস্তা বস্তা দুঃখ ট্রাকভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হয় দূরে, অনেক দূরে। শাহবাগ চুপচাপ শ্রীরামচন্দ্রের ধ্যানী আসনের মতো। আমাকে যদি এখনই পৃথিবীর প্রধান করে দেয়া হয় তাহলে আমি এখনই পদত্যাগ করবো, নতুবা সন্ত্রাস দমন করবো নিজ হাতে বাঁচি কিংবা মরি। আসন পাবার পর হয়তো আমার মানসিকতাও বদল হয়ে যেতে পারে— সন্ত্রাস দমনের পরিবর্তে আমার চেয়ারের নিচে থাকবে কতিপয় পোষা সন্ত্রাস। নিজে পদত্যাগের পরিবর্তে আমার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের কপালে লেখা হবে পদত্যাগের শাব্দিক হিসাব। আসনের লোভ আসলেই কপালের লাল টিপের মতো, কেবলই নিজেকে দেখায়।
বিবাহিত আয়না
বিবাহিত নিসঙ্গতা আমার ফেনায়িত গোধূলিতে ঘুরেফিরে বার বার দেখা পাই হিজল বনের ক্লান্ত শরীরে বিষাদের ঝাঁকুনি হেলেন ধবংস করে মনের সাজানো নগর চলে যাওয়ার গুপ্ত বায়নায় অভিযোগের কাহিনি প্রেম তো কৃষ্ণগর্ত ভেতরে টানে রাগ, অনুরাগ, অভিযোগ, বিরাগ পুরোটা জীবন যতখানি একবিংশ শতাব্দী মাংস চিনে চিনে আরামদায়ক বসবাস দর্জির চাণক্য সেলাই প্রেম তাই সুখে থাকা আন্তরিক প্রলেপ কৃত্রিম মনে বাঁধাই হচ্ছে বারংবার সিড়িপথে সিড়ি কেবল উপরে উঠা নয় নিচে নামারও প্রস্থত পথ কাউকে অভিযোগ দিচ্ছি না, অভিযোগ দেয়া যায়না আজকের স্তব্ধ আকাশ আমারই বিবাহিত আয়না
বাওনবাইরার ভাষা [ ৭ ]
শব্দের মাঝে কিংবা শেষে ‘হ’ বর্ণ থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ‘হ’ বর্ণটি বিলুপ্ত হয়ে উচ্চারিত হয় ভেহেস্ত > ভেস্ত; আল্লাহ্ > আল্লা; গোনাহ > গোনা; সোবাহান > সোবান; যশোহর > যশোর; তাহসান > তাসান; শাহবাগ > শাবাগ; বাদশাহ > বাদশা; ( আরও পড়ুন ) ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৬ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৫ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৪ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ১ ]