
…জব্বার সাহেব করোনা নিয়ে শ্বশুর বাড়ি গেলেন মধুমাসের আম কাঠাল খাওয়ার জন্যে। জব্বার সাহেব থেকে তার শ্বশুর বাড়ির প্রত্যেকে করোনায় আক্রান্ত হলো। পরে জানতে পারি জব্বার সাহেবের শাশুড়ি মারা গেলেন। কারন জব্বার সাহেবের শাশুড়ির ভাইরাসের বিরুদ্ধে ফাইট করার জন্যে পর্যাপ্ত সক্ষমতা ছিল না। তাহলে খুনী কে? খুনী আতর আলী প্রথমে, তারপর জব্বার। এখন যারা ঘর থেকে বের হচ্ছে, আনন্দে আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরা প্রত্যেকে খুনী।
তাহলে আপনি বলতে পারেন সুইডেনের প্রত্যেকে ত আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারাও কী প্রত্যেকে প্রত্যেকের জন্য খুনী? আরে ভাই, ওরে বোন, সুইডেন একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ রাষ্ট্রপ্রধান হন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্তেফান লোফভেন (Sweden is a special country characterized by high levels of trust—not just between people but between people and government institutions)। তিনি সবাইকে বলে দিয়েছেন যে যেনো তারা কমনসেন্সের উপর ভরসা করে চলাফেরা করে। তাদের কমনসেন্সের মানে বুঝেন!? কমনসেন্সের ধারাপ্রবাহ আনকমনভাবে আমাদের মাথায় ঢুকে না। দুই-তিন দিন আপনার সাথে চলাফেরা করার পর জিজ্ঞেস করে বসবে আপনি চলেন কেমনে। আরে ভাই, এটা কোনো জানার বিষয় হলো? হাত পা চোখ কান নাক গলা মাথা মানে পর্যাপ্ত অঙ্গবহর থাকার পরও একজন মানুষের চলতে সমস্যা?
এক শিক্ষক ছাত্রকে উপদেশ দিলেন, ‘বাবা একটা পিপড়াকেও মারবে না’। ছাত্র পিপড়াকে মারে না ঠিকই কিন্তু রিকসাওয়ালাকে চড়থাপ্পড় সময়মতো দিয়ে থাকে দশ টাকা পাচ টাকার জন্যে। এই হলো এখানকার কমনসেন্স।
তাছাড়া আপনারা ত নিজেরা নিজেরা একটি আয়াত বানিয়ে ফেলেছেন। আয়াতটি হলো মুখ দিয়েছেন যে আল্লা রিযিকও দিবেন সেই আল্লা। এই আয়াতের উপর ভরসা রেখে কোটি কোটি সন্তান নিয়ে আসলেন পৃথিবীতে। ফলে সুইডেনে যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে একুশ জন বসবাস করে, আর আপনার দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এগারো শত। সুইডেনের জনসংখ্যা দশ মিলিয়ন। সুইডেনের আয়তন ৪,৫০,২৯৫ বর্গকিলোমিটার (১৭৩,৮৬০ বর্গ মাইল)। আর আপনার দেশের?
সুইডেনকে মাথায় রেখে অনেকে আস্থাশীল পন্থার দিকে যাত্রা শুরুর করার অভিপ্রায় খুজে পাচ্ছেন প্রায়। তাই তাদের রচনায় উঠে আসছে ‘Herd Immunity Is the Only Realistic Option— the Question Is How to Get There Safely’, আসলেই এটি একটি সংশয় ও আশার ব্যাপার। সংশয় ও আশার ব্যাপার যখন এক নৌকায় উঠে পড়ে মাঝির তখন কিচ্ছু করার থাকে না, মাঝি তখন বৈঠা ছেড়ে দিয়ে বাতাসের উপর ভরসা করতে থাকে।
এমন সময় অনেক মাঝি নৌকা ছেড়ে পালায়। এমন সময় অনেক যাত্রী নৌকা থেকে লাফ দিয়ে তীরে পৌঁছে যেতে চায়। বেলারুশ নৌকা থেকে লাফ দিলো কিনা এটাও একটা গবেষণার বিষয়।
মানছি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তাদের ২৫ পার্সেন্ট জনগণ মারা যায়, তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মানে কী ৮ মে দিনকে স্মরণ করার জন্যে উন্মুক্ত প্যারেডেরর ব্যবস্থা করতে হবে? রাশিয়া যেখানে বিশাল আয়োজন করার পরিকল্পনা নিয়েও সীমিত আকারেও কোনো অনুষ্ঠান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেনি সেখানে তার মিত্র রাষ্ট্র বেলারুশ কীভাবে করোনাকে এমন ওপেন চ্যালেঞ্জ করে তা অবশ্যই ভাববার বিষয়।
তবে বেলারুশের জনসংখ্যা ঘনত্ব কম। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪২ জন। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪২ জন বসবাস করা একপ্রকার জনবিচ্ছিন্ন জীবনের মতোই। কিন্তু সৌদি আরবে প্রতি বর্গকিলোমিটারে পনেরো জন লোক বসবাস করে। তারাও ত করোনার এই দিনে কারফিউ জারি করে। আমেরিকাতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৫ জন বসবাস করে। সেখানেও লকডাউন আরোপ হয়। অবশ্যই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদিনই লকডাউন তুলে দিতে চায়। এতে অ্যান্থনি ফাউচিকে প্রতিদিনই ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতামতের বিরুদ্ধে অত্যন্ত ভদ্র ভাষায় গনতান্ত্রিক উপায়ে কথা বলতে হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প আর পৃথিবী বিখ্যাত সংক্রামক ভাইরাস গবেষক অ্যান্থনি ফাউচির মুখের দিকে তাকিয়ে করোনার এই দিনে আমরা 😇 যখন কোনো সমাধান পাইনা তখন মনকে বলতে হয় when nothing is sure everything is possible!
‘Nothing is sure absolutely nothing is sure’ বিষয়কে সামনে রেখেও আমরা হ্যাপি বার্ড ডে টু ইউ জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারি। কয়েকদিন আগেও হ্যাপি বার্ড ডের যন্ত্রনায় কানমন ঝালাপালা। ঘরে চাল আনার মুরোদ নাই ঠিকই হ্যাপি বার্ড ডের কেক আসে নিয়ম করে। মাসিক যে বেতন পকেটে আসে তারই অধিকাংশ ট্রিট দেয়ার অলকমেঘে ভেসে যায়। বিবাহবার্ষিকী ত আছেই– যেখানে প্রতিবছর স্বামী-স্ত্রী আবার নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। অর্থাৎ কম্পিউটারে অ্যান্টি-ভাইরাস যেমন বছর বছর রিনিউ করা লাগে তাদের বিয়েও প্রতি বছর রিনিউ করা লাগে আয়োজন করে নতুবা সম্পর্কে যে ইদ আসে না। রোজা রাখুক আর না রাখুক ইদ আসা লাগবেই।
আমাকে আপনাদের এলিট ভাবসাবের একমাত্র উপক্রোষ্টা ভাবতেই পারেন। তবে মাঝরাতে যারা উস্রি দেখতে চায় তাদের মনরোগ জাতির পৃথিবীর কোনো কাজে আসবে না, তারা নিজের হন্তারক। আর নিজ মানে তো অপর, অপর মানে তো পৃথিবী।
পৃথিবীতে জুন এলমিডা (৫ অক্টোবর ১৯৩০) এসে দেখেন তারা বাবা একজন ড্রাইভার। ড্রাইভারি করে সংসার চালান তিনি। এলমিডার পড়াশোনার খরচ জোগাতে অনেক কষ্ট হয় তার। অনেক কষ্ট করেও এলমিডাকে স্কুলের খরচ চালাচ্ছিলেন তিনি। স্কুলের পরে জুনের বাবার পক্ষে আর সম্ভব হয়নি একাডেমিক খরচের যোগান দেয়া। ষোল বছর পর স্কুলের পড়াশোনা শেষে জুন এলমিডা কাজে যোগদান করে। ১৯৪৭ ‘Glasgow Royal infirmary’তে হিস্টোপ্যাথলজি টেকনিশিয়ান হিসাবে যোগদান করেন। পরে St Bartholomew’s হাসপাতালে কয়েক বছর কাজ করেন। ক্যালেন্ডারের পাতায় চলে আসে ১৯৫৪ সাল। জুন এলমিডা একজন নারী। এবার তার সিদ্ধান্ত নেয়ার পালা। জীবনে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে খুবই দক্ষ ও পরিশ্রমী তিনি। দক্ষতা আর পরিশ্রমমেশা তার উপক্রান্ত সিদ্ধান্তে পৃথিবী পেয়েছে অনেক নতুন নতুন মেন্টরপথ।
রুবেল্লা (Rubella) ভাইরাস নিয়ে যখন পৃথিবী আতঙ্কিত তখনই জুন এলমিডা ইমিউন-ইলেকট্রুমাইক্রোসকোপি ব্যবহার করে প্রথম রুবেল্লা ভাইরাসের চিত্র পৃথিবীর মানুষকে দেখাতে সক্ষম হোন। রুবেল্লা শব্দটি ল্যাটিন যার অর্থ pink red। তারপর জুন এলমিডা ডেভিড টাইরেলকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন নতুন একপ্রকার ভাইরাসের উপর গবেষণা। মুকুটের মতো আকৃতি বলে তারা নতুন রপ্ত ভাইরাসের নাম দেন করোনা।
করোনা ভাইরাস প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯৩০ সালে। মোরগীর শ্বাসনালীতে এই ভাইরাস প্রথম বংশের বাতি ধরে রাখার চেষ্টা করে। মানুষ চিকেনপ্রিয় সম্প্রদায়। ১৯৬০ সালে করোনা ভাইরাস ডিম পারার স্থান আপডেট করে মানুষের শরীরের উপযোগী হয়ে উঠে।
দুই বছর আমি পোল্ট্রি মুরগির সাথে ছিলাম। ছিলাম বলতে পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা কিনে এনে বড় করে বিক্রি করতাম। আমাদের বাড়িতেই এই পোল্ট্রি মুরগির খামার ছিল। তখন আমি মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। অবসর সময়। মুরগির বিভিন্ন প্রকার রোগের সাথে তখন পরিচিত হয়। পোল্ট্রি মুরগির সবচেয়ে ভভয়ঙ্কর রোগটির নাম গামবোরা। গামবোরা রোগ হলে মুরগির ঘনঘন পায়খানা হতে থাকে। অনেকটা মানুষের ডায়রিয়ার মতো। ফলে মুরগিকে তখন লাইট স্যালাইন দিতে হয়। এটি একটি ভাইরাস রোগ। পেটে পানি জমে যাওয়া তাদের আরেকটি রোগ। পানি জমার প্রধান কারন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
মুরগির ঠান্ডা লাগতে দেখেছি। ঠান্ডা লাগলে মুরগি কককক করতে থাকে যেন কিছু বের করে দিতে চায়। এমন সময় তাদেরকে গভীরভাবে অব্জার্ভ করে দেখেছি তাদের গলায় অস্বস্তির মাত্রা বেড়ে যায়, চোখ বের হয়ে আসতে চায়, তাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তখন তাদেরকে সুস্থ মুরগী থেকে আলাদা করে রাখতে হয়।
আজকের দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষের যে সিমটম প্রকাশ পাচ্ছে, প্রায় অধিকাংশ সিমটম আমি তখন আমার খামারের ঠান্ডালাগা মুরগির মাঝে দেখেছি। এই ঠান্ডালাগা মুরগিকে সুস্থ করার একটি মাত্র পন্থা ছিল তখন। হাই এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ানো। এতে মুরগির ওজন কমে যেতো। কিন্তু মানুষের করোনা নামে যে ঠান্ডালাগা রোগ দেখা দিয়েছে তা এন্টিভাইরাল দিয়েও কাজ হচ্ছে না। এমন হতে পারে কোনো ঔষধ ছাড়াই মানুষকে কিছু মাস অথবা বছর জেলে রেখে সে এমনি এমনি চলে যাবে।
এই করোনা বিনতে কোভিড উনিশ কিন্তু মানুষকে মারতে চায় না, সে মানুষের মধ্যে বেচে থাকতে চায়। বেচে থাকার জন্য সে মানুষের নিজস্ব কোষকে মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে। একবার ভেবে দেখুন তো করোনার আচরন আপনার সাথে মিলে যাচ্ছে কিনা!? এখনই ভাবনার সময়। ভাবুন। মনোযোগ দিয়ে মগজের তেল খরচ করে ভাবুন।
ভেবেই ফায়দা কী!? এখানে ভাবনার মূল্য জলের মূল্যের চেয়ে কম। এখানে যারা জলকে জল আর পানিকে পানি বলতে পারে তারাই সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী। জলকে গবেষণা করে যারা বলবে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন, জলকে আরও গবেষণা করে যারা প্লাজমা কনডিশনের কথা বলবে তারা এখানে মানুষ বটে, তাদের মূল্য সিস্টেমের একেবারে তলাবিহীন ঝুড়িতে। ফলে চুমুর চেয়ে চুমরানো এখানে জনপ্রিয় হয়ে উঠে স্বাভাবিক উপায়ে।
এখানে মসজিদের জন্যে অর্থ বরাদ্দ থাকে আর মন্দিরের জন্য বরাদ্দ থাকে প্রসাদ, আর বিজ্ঞানের জন্যে বরাদ্দ থাকে মসজিদ-মন্দিরের আশীর্বাদ কিংবা দোয়া। দোয়া আর আশীর্বাদ খেয়ে এখানকার বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী তেলাপোকার মতো দীর্ঘায়ু লাভ করে।
নিশ্চিত জীবনের আশায় এখানকার মানুষ দুটি কাজ নিশ্চিতভাবে করতে পারে। বিয়ে। চাকরি। বিয়ে করার আগে চাকরি অবশ্যই পাওয়া লাগবো, নতুবা বিয়ের বাজারে কদর কম। করোনার হাত থেকে আল্লা তাদের রক্ষা করলেও আল্লার নামে বেকার জামাইয়ের হাতে তারা মেয়ে তুলে দিতে রাজি নয়।আল্লার উপর ভরসা করে তারা জুতা মসজিদের বাইরে রেখে যেতে পারে না কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হলে আল্লা তাদের হেফাজত করবেন এই তাদের বিশ্বাস। হুজুগে যাকাত দিতে রাজি না তারা কিন্তু হুজুগে মারামারি করতে রেডি।
চাকরি শব্দটির সাথে আমি অবশ্যই দ্বিমত পোষণ করি। চাকরি শব্দটি এসেছে চাকর শব্দ থেকে। চাকর শব্দটি ফারসি।
দুই পরাক্রমশালী শক্তি যখন বাণিজ্যের সাথে সাথে ভারতবর্ষের ভূমিকেও কব্জা করার পরিকল্পনায় বুঁদ-ব্যস্ত, তখন ব্রিটিশদের প্রায় ছয় যুগ পর ১৬৬৭ সালে ভারতের জাহাজঘাটায় নতুন দুটি জাহাজ এসে নোঙর করে।
ব্রিটিশ আর ওলন্দাজদের সঙ্গে টক্কর দিতে ফরাসিরা ভারতবর্ষে আসে। তাই তারা একেবারে খাঁটি বণিকের মতো ব্যবসার সঠিক নথিপত্র নিয়ে আসে। অনেকের মতে, সম্ভবত রাজা প্রথম ফ্রান্সিসের রাজত্বকালে, ১৬০৩ সালে ফরাসিরা প্রথমবারের মতো ভারতবর্ষে পা রাখে। সেসময় জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন পমিয়ের ডি গনভিল।
রাজা, জমিদার, ওলন্দাজ, ফরাসি, ইংরেজদের চাপে পড়ে এই ভূমি তখনো জনগনের হতে পারেনি। এই ভূমির মালিক ছিল কর্তৃপক্ষের সর্বোচ্চ শক্তি– কাগজে কলমে চলনে বলনে আচরনে জনগণ বা প্রজা ছিলো আমড়া কাঠের ঢেকি অথবা গাধা মশাইয়ের পীঠস্থান যা চাকর নামে পরিচিত– চক্করের মতো আচরন করা যার কাজ।
এখন সেই ব্যবস্থা আর নেই। তবে চাকরি বা চাকর শব্দটি রয়ে গেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ (১) অনুযায়ী জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক, আবার ২১(২) অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী কথাটি উল্লেখ রয়েছে। আমি অবশ্যই কর্মচারীও বলতে রাজি নয়। বলতে চাই সেবক।
একটি রাষ্ট্র চালানোর জন্যে মেথর থেকে শুরু করে মহতাজ পর্যন্ত প্রত্যেকে মূলত সেবক। তবে ক্যাডার ননক্যাডার সেবক হয়ে উঠার জন্যে বিশাল লাইনের কাহিনির পেছনে সাইকোলজিক্যাল ও সোসিও ইকোনমিক কনস্ট্রাকশন জনিত ব্যাপার বিদ্যমান।
একটা বিষয় নিয়ে কথা বললে বিষয়টি ক্লিয়ার হবে। বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান। তাহলে ঢাকা শহরে কোটি কোটি লোক কেন? ঢাকা শহরের নিশ্চয়ই বোরো ধানের ফলন ভালো হয় না কিংবা খামার বাড়িতে আমন ধান অথবা তরমুজের আশাতীত ফলন হয় না।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সারা বাংলাদেশকে করোনার ঝুকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে। তাহলে কেবল ঢাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এতো বেশি কেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে গেলেই আমরা জানতে পারবো আমরা একটা ছাগল জাতি– বার পাতা খেয়েছি ঠিকই কোনো পাতায় ভালো করে খাইনি। ফলে ছাগলের মতো তিরিং বিরিং করতে পারি কিন্তু হালচাষ করতে পারি না।
হল অর্থ লাঙল। হাল অর্থও লাঙল। হলচালন থেকে হালচাষ কিনা তা নিয়ে গবেষণা করা যেতেই পারে। হল অর্থ আবার বৈঠকঘর। সিনেমা হল আবার অন্য একধরনের ঘর। আরবিতে তিন কালের এক কালকে বুঝাতে হাল শব্দ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ফলে হাল অর্থ দাড়ায় অবস্থা, দশা, বর্তমান কাল। আর এখন হালকাল মানে করোনাকাল। এই হালকাল গরীবকে আরও গরীব করে তুলছে। এই হালকাল আমদানি নির্ভর মানসিকতাকে চ্যালেঞ্জ করে প্রত্যেক জাতিকে স্বনির্ভর হওয়ার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। বর্তমান পৃথিবীতে পাচটি দেশ চা উৎপাদন ও রপ্তানিতে আলোচনার জায়গা দখল করে আছে– চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়া। শ্রীলঙ্কা মওকা পেয়ে চা রপ্তানিদাম বৃদ্ধি করেছে আরামসে। বাংলাদেশও চা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাময় জায়গা হয়ে উঠতে পারতো। খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হালচাষের দিকে বাংলাদেশের বিশেষ নজর নেই।
মুখে মুখে শুনে আসছি রাবন খুব অত্যাচারী রাজা ছিলেন। আসলে শয়তান না থাকলে ফেরেশতা হয়ে উঠার সুযোগ থাকে না। তাই ইতিহাসে একজন শকুনির প্রয়োজন একজন কৃষ্ণ মুরারি ( মুর+অরি) প্রতিষ্ঠা করার জন্যে। মুর নামক দৈত্যকে কৃষ্ণ বধ করেছিলেন তাই তিনি কৃষ্ণ মুরারি। মায়াসীতা দ্রৌপদী নাম ধারন করে পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন। তার আগমন মানে হস্তিনাপুরের পাশাখেলা। আর হস্তিনাপুরের পাশাখেলা মানে কুরুক্ষেত্র। আর কুরুক্ষেত্র মানে নিষাদ আর ব্রাহ্মণ্যবাদের দ্বন্দ্ব রেখা, কুরুক্ষেত্র মানে রক্তের বন্যা…