পাতাওয়ালা গাছের নিচে বসতে বসতে হঠাৎ গৌতম হওয়ার ইচ্ছা জাগলে ফুলদের বাড়ি যাবো— ফুলদের সাথে কথা হবে কতিপয় ফল নিয়ে। গাছের ছায়ায় পাখিমন ঘুমাতে চায় আল্পনা ছোঁয়ায়— সত্য প্রমান করতে গঙ্গা নদীতে যমুনার চাষ করতে হয় না— ইলিশ যাবে জনগনেরর পেটে। কথা বলতে বলতে রাত বাড়বে। তারপরও কথা শেষ হবে না। ফতোয়া খতিয়ান দেখানো বন্ধ করে চলো মানুষের বাড়ি যাই একসঙ্গে। মানুষের কোনো ঘর নেই এখন— পাতাকে পছন্দ করে পাতামানব হয়ে বাস করছে গাছের নিচে নিচে। আদিকালের কথা ভুলে বর্তমান হয়ে চলো বাচতে শিখি— খুব সহজভাবে মেঘের পালকের মতো সুর লয় তাল নিয়ে। যত কথা বলবে সহজ কথার মতো কোনো কথা নেই— যত চালাকি করবে সহজ চাওয়ার মতো কোনো চাওয়া নেই— সব কিছু নিভে যাবে— গুন্না করে নাক দিয়ে কথা বলে লাভ
Month: August 2021
গ্রামীন হৃদয়ের আকাশ বাতাস
নাগরিক মানুষ প্রতি রাতে হয়তো মিউজিক প্লেয়ার চালু করে ঘুমিয়ে যাওয়ার অভিনয় করে কিন্তু চোখে ঘুম আসে না, তারপর কেমিক্যাল কেয়ারে চোখের পাতা বন্ধ করে এবং নিজেকে হাজার রকমের অটোসাজেশন দিতে দিতে স্বপ্নের দেশে যাওয়ার মিশন চালায়। কিন্তু এখানে ব্যাঙ কাহারবা তালে মিউজিক প্লেয়ার অন করে। প্রাকৃতিক মিউজিক প্লেয়ার। এখানে বিছানায় গতর রাখা মানে চোখে চমৎকার ঘুম নেমে আসা, মনে নেমে আসে সুমনা স্বপ্ন। ঘুম থেকে জেগে ওঠলেই অনুধাবন করা যায় ঘুমিয়ে ছিলাম। হলুদ আলো চোখে এসে নাচতে শুরু করে, হাঁসের চুই চুই ডাক কানে এসে তারাময় সঙ্গীত রচনা করে। হাঁসের ডাক শেষ না হতেই লাতার কামুক ডাকক্রিয়া মনে জানান দেয় প্রকৃতির অমিয়ভূষন নিয়তির কথা। লাতার ডাকের সাথে হামিং করে ছাগলের বাআ বাআ ধ্বনি হৃদয়ে নিয়ে আসবে চরসাটুরিয়া আবেদন। গ্রামের প্রাকৃতিক
৮.৮- এর বনগাঁ লোকাল
পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন আলোর পরম্পরা। সমাজ অন্ধকারের ভয়াল থাবা থেকে বেরিয়ে আসুক অধিকাংশ মানুষ চায়। কারণ পৃথিবীতে খারাপ মানুষের সংখ্যা আসলেই অল্প। ভালো মানুষের সংখ্যা বেশী। তবে বেশী ভালো মানুষের বিশাল অংশ নিরীহ। মেরুদণ্ড নেই। সহজভাবে বললে মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ। এমনি মেরুদণ্ডহীন ভালো মানুষ আমাদের অনন্ত দাস (তাপস পাল)। ছাপোষা কেরানি। নিজের চেহারা আয়নায় দেখে শান্তি পাই। বউ, সন্তান আর বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে তার সংসার। সাদা সাদা মিথ্যার মতো ছোট ছোট অপরাধ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে অনন্ত দাস। নিজের অধিকার যে পরিপূর্ণ আদায় করতে পারে এমন নয়। তাইতো ভদ্র মানুষের প্রতিনিধি (মুখোশধারী) দুলাল দার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করতে পারেনি, একবার অনেক নকশা করে বললেও দুলাল দা অস্বীকার করে। নিজের জীবনে হুমকি আসবে এমন কিছু করতে রাজি নয় অনন্ত দাস।
ষোলো আনা চাই
পাগলী পোকাদের ছেড়ে চলে আয়, উর্বর জমি আমার বর্গা দিয়েছি আজ সাত মাস,জেনে রাখিস এই জমি তুই ছাড়া বিক্রি হবার না, ইরি বিরি গাইন্দা ধানের ফসলি মৌসুম আমার, তর জাবার পূর্ন করবে বারো মাস, তর নখের আঁচড়ে মাটি পাবে প্রান,প্রান ভাসবে আবেগের বন্যায়, এখনো বেঁচে আছে এই মাটি তর স্পর্শের কামনায়,পাগলী সব কিছু ভুলে সব পাহাড় বেয়ে চলে আয় আমার আঙিনায়,তকে আমার ষোলো আনা চাই,এক সিকি কম হলে জ্বলবে আগুন এই বাংলায়।
নারীকে মাংস ভাবিনি
কেউ যদি বলতো কী করছেন? আমি হয়তো বলতাম অলসতার কূলে শুয়ে আছি। তখন কেউ বলতো না না, একদম অলসতা করা যাবে না। এখনি স্নান সেরে দায়িত্ব সচেতন হয়ে পড়ুন। আমি বলতাম, আরেকটু অলসতা পান করি, তারপর না হয়…। আপনার রূপ-কথার রাণী সাত সমুদ্র তের নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছে। অলস হলে দৈত্য এসে হালুম করে নিয়ে যাবে আপনার রাণীকে। তাতে কী? দৈত্যের বুঝি মাংস খাওয়ার স্বাদ জাগে না। ভীতু হরিণের মাংস খুব বেশি লাল হয়ে থাকে, লাল মাংস দৈত্যের কাছে স্বাদ আর স্বাদ, লাফালাফি প্রিয়। লজ্জা আর লজ্জা, ছি, ছি ছি কেন? কী হলো আবার নারীকে মাংস ভাবতে লজ্জা হলো না আপনার, আপনি এত নীচ। নারীকে মাংস ভাবিনি বলেই তো অলস হয়ে শুয়ে আছি হায় চিল বেদনায়, এখনো তেলোয়াত করি পদ্মঠোঁটের চুম্বন। আমার ঠোঁট আজ হিরোশিমা-নাগাসাকি যেখানে জন্মাবে না আর
আফালের মাছ [ ৬ ]
মৃত্যু এক পর্যটন নগরী, প্রাণী বাধ্যগত পর্যটক মায়ের জাত এখনো ঘরকেই জয় করতে শিখেনি, আর বাইরে তো তুমুল বৃষ্টি শিশুদের চোখ নিষ্পাপ নগরী, শিশুদের হাসি হৃদয়ের ঢেউ প্রতিটি ভ্রমণ একটি জন্মের কথা বলে, প্রতিটি রমণ একটি ভ্রমণের কথা বলে প্রেমিকা বানরকে পছন্দ করে, প্রেমিককে মনে করে খোপার বেলী ফুল মানুষের হাসির নিচে থাকে স্বার্থ, কান্নার নিচে আমিত্ব প্রত্যেক নারী সাবজেক্ট- ভার্ব-অবজেক্ট, প্রত্যেক পুরুষ অবজেক্ট-ভার্ব-সাবজেক্ট রাত মানে অন্ধকার নয়— চোখের অসুখ Night is not the collection of dark body; very limitation of the eye রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেমন করে যেন ঘরের ভেতরের কথা খুব সহজ করে বাইরে নিয়ে এসে ফুলেল গন্ধময় করে তুলেন, বাইরের কথা ঘরে নিয়ে এসে ভীষন সুন্দর পূজাঅর্ঘ প্রতিমা করে তুলেন আলোর খুব কাছে থাকে পোকামাকড়— আলো থেকে
আফালের মাছ [ ৫ ]
শরীরের কোন অংশে ক্যানসারের ভাইরাস পাওয়া গেলে তা কেটে ফেলে দিতে হয়। ডাক্তার তাই করেন। জীবন বাঁচাতে গেলে ডাক্তারকে এমন অনেক নিষ্ঠুর কার্যাবলী অত্যন্ত দক্ষভাবে সমাপ্ত করতে হয়। প্রয়োজনে নিষ্ঠুর হওয়ার নাম মানবিকতা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশে রোগীর চেয়ে ডাক্তার বেশি। আপনার সন্তানকে নিয়মিত সহনশীলতার টিকা দেন যাতে সে গনতান্ত্রিক মানুষ হয়ে ওঠতে পারে। শিক্ষিত ছাগল শেষ পর্যন্ত মানুষ হয়ে ওঠতে পারে কিন্তু গনতান্ত্রিক ছাগল শেষ পর্যন্ত মানুষের হয়ে ওঠতে পারে না। Things end but thoughts survive যাদের গার্লফ্রেন্ড অথবা বয়ফ্রেন্ড নেই তাদের গার্লফ্রেন্ড অথবা বয়ফ্রেন্ড শয়তান অনেকেই আমাকে ম্যাসেজ দেয় ‘শুভ রাত্রি’। তারা শুভ এবং রাত্রির মাঝখানে ফাঁক রাখে। কিন্তু আমি জানি শুভ এবং রাত্রি বিবাহিত। তাই তাদেরকে আলাদা রাখতে চাই না অন্তত রাতের বেলায়। তাইতো আমি ম্যাসেজ পাঠাই
Structure, Based on power
Exam is an structure and every structure based on power, power practice. And so seen power practice builds a den of classification, earthly gloom. As a result of classification a new devastated burn of thought has been come in our locality, then we have to face Adam and devil complex, Adam - devil hardship. Exam deserves quality at first, quality is the atomic something to make a huge difference between man and man. So why? quality is preferably urged! we need preferable life leading by born is the burning cause. Exam is the infinite choice at all. And only for that man's lives are buried in the infinite earth but not in the eternal appeal. It is harrowed sorrows that the factor exam fingers our
শব্দের জীবন
তারা শব্দের প্রথমে র’ ফলা থাকলে র’ ফলাকে উচ্চারন করতে প্রস্তুত নয়। ফলে গ্রাম, গ্রামীন, প্রান , ঘ্রান প্রভৃতি শব্দের উচ্চারন করে গেরাম, গেরামিন, পরান, গেরান। তারা জিব্বার ওঠানামা, আগেপিছে নিয়মনীতির প্রতি যথেষ্ট পরিমানে উদাসীন। দেখা যায় টিব্যাগকে উচ্চারন করতেছে টিকেট। টিব্যাগের চা দাও বললে, তারা অনুবাদ করে জানতে চায় টিকেট চা কিনা। তখন বলি হ মামা, টিকেট চা। তারা শব্দের সংক্ষিপ্তকরনে পটু। ওগো আমার আপাকে তারা আগঅ’ বলে কাজ সমাধান করে ~ আগঅ তুমি হুদুহুদি রাগ করতাছ।
নীরব অন্ধকার
তারপর আমাকে বাজারে তুলা হলো। এক টাকা দামের চকলেটের সাথে রাখা হলো আমাকে। কেউ কেউ রাখলেন দামি কোনো হিরা মনি মুক্তার সাথে। কেউ আবার মেয়াদোত্তীর্ন পন্যের সাথে রেখে দিল ডাস্টবিনের জন্য। আমার তো ভালো লাগে গ্রামের নীরব অন্ধকার। যেখানে গ্রাম শহর মানুষ বলতে কিছু নেই এমন জায়গায় যেতে পারলে আরও ভালো লাগবে বলে স্বপ্নের জাল বুনতে থাকি দিনের পর দিন। দুটি কালিম পাখিকে রেখে ছিলাম ব্যক্তিগত খাঁচায়। দেখলাম দিনের পর দিন তারা ম্লান হয়ে আসছে। ভেতরে তাদের হাজার বছরের ছটফটানি। একদিন তাদের মুক্ত করে দিলাম। তারা কোনো এক পুরাতন ডোবায় কচুরিপানার ঘরে রচনা করে তাদের প্রাকৃতিক সংসার। তারপর দুই থেকে তারা হয়ে গেলো শতাধিক, ছড়িয়ে পড়লো আড়াইসিধার প্রত্যেক ডোবায় ডোবায়। আর আমি হয়ে গেলাম তাদের পাখনার নিচের আদিম অন্ধকার।