ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘স’ বর্ণটির উচ্চারণ ‘হ’ বর্ণ হিশেবে করা হয় সে> হে; শালা> হালা; সারা> হারা; সাজ> হজ; সতীন >হতিন; সকলে> হুগলে আবার কখনো কখনো ‘স’ কে ‘ছ’ বর্ণ হিশেবে উচ্চারণ করা হয় সালাম> ছালাম; সিলমোহর> ছিলমোহর; গোসল> গোছল; সালুন> ছালুন> ছান ‘ক’ বর্ণটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘হ’ বর্ণ হিশেবে উচ্চারণ করা হয় কাকা> কাহা; ঢাকা> ঢাহা; থাকা> থাহা; সকাল> সহাল, বাঁকা> বেঁকা> বেহা; ডাকাত> ডাহাইত Ξ আরও পড়ুন Ξ ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ১ ]
Month: July 2021
সুহিনি সাবেত্রীর প্রেমিক
সুহিনি সাবেত্রী। ছিপছিপে শরীরে আটসাঁট বাঁধন তার। তার দাঁত যেন সাগরের বালি— চিকচিক করে। শাড়ি তার একমাত্র পোশাক। অবশ্যই রুমের ভেতর সে থ্রি কুয়াটার আর টিশার্ট পরে। সাইকেল তার প্রিয় বাহন। শুধু তার কেন, শান্তিনিকেতনের প্রায় স্টুডেন্টদের প্রিয় বাহন সাইকেল। টাকা হলে স্কুটার কিনবে এমন কথা সে প্রায় বলে বেড়ায়। সুহিনি হাসলে গালে টোল পড়ে। তার চোখে কাজল দেয়া লাগে না, জন্মগতভাবেই তার চোখে কাজল দেয়া। তার মামা তাকে কাজল নামেই ডাকে। সুহিনি যখন সাইকেলে চেপে বসে তখন মাঝেমধ্যে হালকা বাতাসে নাভিমূলের উপর থেকে শাড়ি সরে যায়, আর ঠিক তখন মাই গড টাইপের এক সৌন্দর্য নেমে আসে যেন বহু প্রত্যাশিত কাঞ্চনজংঘা! সুহিনি শান্তিনিকেতনে অনীলদেব শর্মার অধীনে পিএইচডি করছে। বিষয় বাংলা সাহিত্যে গ্রামীন জীবন। বাংলা সাহিত্যে নারীদের অবস্থান নিয়ে সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে
জয়দর
চরিত্রবান রাত। রাতবীর্য অন্ধকার। আলোয়পূর্ণ ছায়া অন্ধকারের পোশাক। দ্রোহতাবাজি ঝুলে থাকে অন্ধকারের সদর দরজায়। আনন্দ— স্বপ্লচিন্তার আস্তানা, দুঃখের নবীন যৌতুকে ঘেটুপুত্র। অন্ধকারবাবা ‘হক মওলা’ জিকিররব তোলে। মানুষ! মানুষের কাছাকাছি দূরে যায়— অসীম-সসীম দূর! জয়দর। পলিমাটিমানুষ। কুয়াশার ডাকে চোখের দরজা খোলে। বউওম হৃদয় টানে। হৃদয়ের দাবিতে ডুবে থাকার অর্থ— বছরব্যাপী উপোস থাকা। চকবাজারে যেতে হবে। মানুষ ভাড়া আনবে— পূর্বে সূর্য দেখা, পশ্চিমে সূর্য না-দেখা— মধ্যবর্তী সময়ের জন্যে। সন্ত্রাস শীতের বিরুদ্ধে বাবুয়ানী অস্ত্রে সজ্জিত নয় জয়দর। রাস্তায় নামে— অর্ধেক বরফ, অর্ধেক পা সঙ্গে। ভাড়াটে মানুষ কেটে আনবে পলিমাটিসন্তান। মানসিক শাসন ঘিরে ধরবে তাদের সবপাশ। কাজে ফাঁকি দিতে মানা। জয়দর তাদের বলবে— ‘ভাত পরের, কাম নিজের’
একপাশে জল একপাশে বন
সব পথ ছেড়ে, সব মত ভুলে
তোমাকে পাঠ করতে গিয়ে অপঠিত থেকে যাই আমি আমার নদী-নালা, খাল-বিল বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা, রৌদ্রের ডানায় মনচিল বার বার ফিরে আসি চলনবিল থেকে হাকালুকি হাকালুকি থেকে কোপাই নদী, শ্রীনিকেতনের গভীর চলন থেকে রাজনগরের মুক্ত আকাশ এখনো সুরঞ্জনা নগ্ন মাছির মতো উদাস, উদাস বাউল গান গেয়ে যায়, কণ্ঠে তার ভৈরবী সুর সব পথ ছেড়ে, সব মত ভুলে আমি এখন বেসুরা অসুর তোমার গান গাইতে গিয়ে আমি এক অশ্রাব্য সুর তাই বিমানের ভেতরে বিমান কিনে মাহফিল হবে, পাঠ হবে নিজমগ্নের দরুদ সাল্লু আলাইহি…ওঁম শান্তি ওঁম
কে হাকিম, কে পুলিশ?
ঘটনা শব্দটি চলমান। মানবজীবনে যা ঘটে তাই ঘটনা। মানুষ হয়ে উঠার পেছনে যা ঘটেছিল তাও ঘটনা। ঘটনা সমাজের প্রাণ, ঘটনা সম্পর্কের প্রাণ। চিন্তাসমষ্টি ঘটনার রক্ত। তাইতো ঘটনা থেকে রটনা, রটনা থেকে ঘটনা। আল্লাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আল্লা, ও আল্লা, তোমার লগে কথা কওন যাইবো?’ আল্লা ক, ‘যাইবো।’ ক্যামনে? কুরান আছে না, কুরানের কথাগুলোই তো আমার কথা। ও আচ্ছা। আচ্ছা আল্লা, কুরান আমগো লাইগ্যা কখন পাঠাইলা? ইন্না আনযালনাহু ফি লাইলাতুল কাদরি। ভালো কথা, কদরের রাতে আমরা কুরান পাইছি। কিন্তু এর আগে কুরান কই আছিল? বাল হুয়া কুরআনুম মাজীদ ফি লাউহিম মাহফুজ। ও! কুরান লাউহে মাহফুজে সংগৃহীত ছিল! আচ্ছা আল্লা, কুরান তো দীর্ঘ তেইশ বছরে নাযিল হইলো। কিন্তু তেইশ বছরে কেন্? তুমি তো একদিন কিংবা কয়েকদিনে নাযিল করতে পারতা, তাই না? পারতাম কিন্তু আমি তো বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে
পুঁটিমাছদ্বন্দ্ব
আমি থেকে পিতা, পিতা থেকে পিতামহ যুগের পর যুগ, কালের পর কাল শালবীথির নীরবতা থেকে আমাজানের গভীরতা মানুষের চোখে আকাশ দেখেছি, প্রেম দেখেনি আকাশ লুকানো বাতাস, বাতাস লুকানো প্রেম সফোক্লিসের ইদিপাস, ঘাটের কথার সন্ন্যাস রাজনগর বাজারে বিক্রি করে হরিতকীজল আমরা কিনি চকোলেট, প্রসাধনী বেদ অথচ ইলেট্রন কেমন প্রেমময় চোখে করেছিল ভ্রমণ প্রোটনের দিকে পেয়েছি মানুষজন্ম যেখানে প্রেমের মাথায় গজায় ভোগের বটগাছ প্রতিটি মানুষ পুঁটিমাছদ্বন্দ্বে করে বসবাস দিনের পর দিন রাতের পর রাত মানুষজন্ম ইভের ইতিহাস, ভোগের সকাল
অন্ধ হলে আলো নেবো
মানুষ কোথাও নাই
এই যে নদী নদীর মতো মানুষ বয়ে যায় এই যে আকাশ মেঘের মতো পাহাড় দিকে ধায় গরম নরম পাহাড় মতো ঢেউয়ে জলে শব্দ যত কচুরিপানা জলের ঘরে কোসা নৌকা উদাস দুপুর গরমকালে শীতের বাতাস সকাল আসে যায় হাসপাতালে মানুষ মরে সুদঘুষে অফিস নড়ে মনের ঘরে শ্যাওলা পড়ে লোভের পথ হুজুর ধরে ঘামের শরীর রোদে পুড়ে মানুষ কোথাও নাই মানুষ কোথাও নাই চলছে আকাশ চলছে বাতাস ডাকছে সবুজ কাঁদছে ছায়া বাড়ছে মায়া ঝুলছে প্রোফাইল খেলছে ফড়িং মানুষ কোথাও নাই মানুষ কোথাও নাই সব আকাশ দিনশেষে লোভান্তে যায় মানুষ কোথায়? কোথাও কেউ কোথাও কেউ নাই
হয় দুধ নয় রক্ত
তিতাস। তিতাস একটি ট্রেনের নাম। তিতাস একটি আনন্দের নামও বটে। তিতাস আছে বলেই অনেক অফিসার বাড়ি থেকে গিয়ে অফিস করতে পারে, ঢাকার মতো ডেড সিটিতে বসবাস করতে হয় না। তবে তিতাস ট্রেনের ভীড় ঢাকার মতোই— পা রাখতে গেলে হিসাব করতে হয়। কারন পা রাখতে গেলে পা হয় আগুনে পড়বে নয় আরেকটা পায়ের উপর পড়বে। আমি সিট পেয়েছি কিন্তু ভীড়ে প্রচন্ড মাতন্ড প্রায়। ভীড় কেটে কোনোক্রমে দরজায় পা রাখলাম। টিকেট কাটতে গেলে কাউন্টারে সিটওয়ালা টিকেট নাই। বললাম ‘দেখেন না পারেন কিনা’। বলল ‘আরেকদিন আইসেন, দেখবো দিতে পারি কিনা’। মনটা বেজার হয়ে গেল। আমার মন বেজার দেখে আল্লা সাথে সাথে ফেরেশতা পাঠায় দিলেন। ফেরেশতা বলল ‘কই যাবেন’। ঢাকা যাবো। দেন টাকা দেন। টাকা দিলাম এবং সিটওয়ালা টিকেট পেলাম। টাকা থাকলেই টিকেট পাওয়া যায় না। চাহিদা ও যোগান