সুহিনি সাবেত্রী। ছিপছিপে শরীরে আটসাঁট বাঁধন তার। তার দাঁত যেন সাগরের বালি— চিকচিক করে। শাড়ি তার একমাত্র পোশাক। অবশ্যই রুমের ভেতর সে থ্রি কুয়াটার আর টিশার্ট পরে। সাইকেল তার প্রিয় বাহন। শুধু তার কেন, শান্তিনিকেতনের প্রায় স্টুডেন্টদের প্রিয় বাহন সাইকেল। টাকা হলে স্কুটার কিনবে এমন কথা সে প্রায় বলে বেড়ায়। সুহিনি হাসলে গালে টোল পড়ে। তার চোখে কাজল দেয়া লাগে না, জন্মগতভাবেই তার চোখে কাজল দেয়া। তার মামা তাকে কাজল নামেই ডাকে। সুহিনি যখন সাইকেলে চেপে বসে তখন মাঝেমধ্যে হালকা বাতাসে নাভিমূলের উপর থেকে শাড়ি সরে যায়, আর ঠিক তখন মাই গড টাইপের এক সৌন্দর্য নেমে আসে যেন বহু প্রত্যাশিত কাঞ্চনজংঘা! সুহিনি শান্তিনিকেতনে অনীলদেব শর্মার অধীনে পিএইচডি করছে। বিষয় বাংলা সাহিত্যে গ্রামীন জীবন। বাংলা সাহিত্যে নারীদের অবস্থান নিয়ে সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে
Day: July 18, 2021
জয়দর
চরিত্রবান রাত। রাতবীর্য অন্ধকার। আলোয়পূর্ণ ছায়া অন্ধকারের পোশাক। দ্রোহতাবাজি ঝুলে থাকে অন্ধকারের সদর দরজায়। আনন্দ— স্বপ্লচিন্তার আস্তানা, দুঃখের নবীন যৌতুকে ঘেটুপুত্র। অন্ধকারবাবা ‘হক মওলা’ জিকিররব তোলে। মানুষ! মানুষের কাছাকাছি দূরে যায়— অসীম-সসীম দূর! জয়দর। পলিমাটিমানুষ। কুয়াশার ডাকে চোখের দরজা খোলে। বউওম হৃদয় টানে। হৃদয়ের দাবিতে ডুবে থাকার অর্থ— বছরব্যাপী উপোস থাকা। চকবাজারে যেতে হবে। মানুষ ভাড়া আনবে— পূর্বে সূর্য দেখা, পশ্চিমে সূর্য না-দেখা— মধ্যবর্তী সময়ের জন্যে। সন্ত্রাস শীতের বিরুদ্ধে বাবুয়ানী অস্ত্রে সজ্জিত নয় জয়দর। রাস্তায় নামে— অর্ধেক বরফ, অর্ধেক পা সঙ্গে। ভাড়াটে মানুষ কেটে আনবে পলিমাটিসন্তান। মানসিক শাসন ঘিরে ধরবে তাদের সবপাশ। কাজে ফাঁকি দিতে মানা। জয়দর তাদের বলবে— ‘ভাত পরের, কাম নিজের’