ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘ও’ কারের উচ্চারণ ‘উ’ কারের মতো করা হয় আলো > আলু; ভালো > ভালু; কালো > কালু; কোথায় > কুথায়; কোটা > কুটা; শোনা > শুনা; সোনা > সুনা; পাঠানো > পাঠানু; খোলা > খুলা; চোর > চুর; ডোবা > ডুবা; নোনা > নুনা।। ( আরও পড়ুন ) ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৫ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৪ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ১ ]
Month: July 2021
শুন্যতার বাজার
রাধা যখন ঘর ছেড়ে বৃন্দাবনে যায় যমুনা নদীতে বাঁধ দেয় কৃষ্ণ কানাই ঢাকা শহর কান্দে তখন হায়রে হায় সাপের মাথায় মিনার দেখে কান্দে রেজা ভাই।। ঘর ভর্তি মানুষ তবু শুন্যতার বাজার বৃন্দাবনের হাওয়া লাগলো গতরে তাহার তাবিজ টুনা কাকে বলে তা তো জানি না চর্মে মর্মে জ্বলে রেজা রাধাই বুঝে না।। বুঝে না বুঝে না কেউ বুঝাইতে চায় দিবে না দিবে না কেউ নেবার আশায় যদি তাকে একবার সরল পথে পাই কসম খোদার রেজা তারে রাখবে মাথায়।।
বলেও বলি না তারে…
কি যে সে ভাবে কি যে সে ভাবে ভাবনার অন্তরালে কি যে সে চায় কি যে সে চায় তার চাওয়া সে ন জানে ডান হাতে তার সোনার পৃথিবী বাম হাতে তার সাগর জলভরা সাগর মাঝি চলে নৌকা চলে নাগর কি যে সে চায় কি যে সে চায় তার চাওয়া সে ন জানে কি যে সে ভাবে কি যে সে ভাবে ভাবনার অন্তরালে ঠোঁটে তার মিটিমিটি হাসি চোখে জল রাশি রাশি চুলে তার মেঘকালো আসমান দরিয়া ভরি বলেও বলি না তারে ভালোবাসি, ভালোবাসি ভুলেও বলে না আমারে চলো এক সাথে বাঁচি চলো এক সাথে বাঁচি এমন করে দিন যায় রাত আসে মনের ছাদে দুটি পাখি দুই ঘরে বাকবাকুম বাকবাকুম ডাকে এমনই করে দিন গেলে ভালো হত এমনই করে দিন গেলে হত না ভালো চলছে আষাঢ়ে আকাশ মনে তার দোলদোল পায়ে নুপূরে বাতাস মেঘ করে পরপর চাওয়া কাঁপে থরথর আকাশের ঘর নাই তবু তো তারে চাই তবু তো তারে চাই দুই পাখি দুই ঘরে মন চায় দেহ পাড়ে দেহ
ঘর নেই বাড়ি নেই রাস্তায় সুখ নেই
অপরাধ খুলে কেউ ভুলে গেছে মানুষের মুখ অপরাধ খুলে কেউ কেড়ে নিল মানুষের সুখ।। ঘর নেই বাড়ি নেই রাস্তায় সুখ নেই জেগে আছে অবিচার দ্বন্দ্ব মানবতা মানবতা মানবতা মানবতা মানবতার স্লোগান বন্ধ।। আজকের শিশু নেশায় ভাসছে কালকের শিশু অস্ত্র হাতে ফুল কন্যাটি ভুল পথে হাঁটছে জেগে আছে অবিচার দ্বন্দ্ব মানবতা মানবতা মানবতা মানবতা মানবতার স্লোগান বন্ধ।। পাখিদের ঘর নেই জলেতে মাছ নেই শান্তিতে নেই শান্তির পায়রা জেগে আছে অবিচার দ্বন্দ্ব মানবতা মানবতা মানবতা মানবতা মানবতার স্লোগান বন্ধ।।
সব নদীতে একই জল
আতকা পর্যটক
ক হঠাৎকে আমাদের এলাকায় বলে আতকা। আতকা ফকির আমাদের এলাকায় প্রচুর রয়েছে। আমরা আতকা ফকির না— আতকা পর্যটক। আতকা ঘর থেকে বের হয়ে যাই চোখকে পাঞ্জেরি মেনে। মান্যবর চোখ আমাদের নিয়ে যেতে থাকে গ্রাম থেকে গ্রামে শহর থেকে শহরে। জলসাতে আড্ডা দিচ্ছিলাম। সাইদুর আঙ্কেল, আমিনুল ইসলাম ভাই, নবী হোসেন ভাই, সৈকত আর আমি। আতকা পর্যটক হয়ে উঠার ইচ্ছা জাগে। ড্রাইভার বাবুকে পেয়ে গেলাম। চলো নাছিরনগর থেকে ঘুরে আসি। বাবু নিমিষেই রাজি। আমার জানামতে আড়াইসিধা থেকে নাছিরনগর রিক্সাভ্রমন কেউ করে নাই।আমরা প্রথম ইতিহাস নির্মান করলাম। ভবিষ্যতে আরও কেউ করতে পারে। সরাইল কুট্টাপাড়ার মোড় থেকে নাছিরনগর আসাযাওয়ার রাস্তাটি অসাধারণ। আমাদের এলাকার মানুষ এই রাস্তাটিকে মিনি কক্সবাজার বলে। দুইপাশে জলের সারি। মাঝখানে রাস্তাটি। এই রাস্তাটি দেখার জন্যে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে এই বর্ষাকালে। এই
ধন্যবাদ জানানোর মনোভাব
আমার সিট নাম্বার প্রথম চেয়ার জ দশ। আমার সিটে সে বসা। আমার সিটটি জানালার পাশে। আমার সিট আমাকে দিতে তার যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে, তারপরও যে দিয়েছে। তার মন থেকে সিট ছাড়ার কষ্টঘ্রান আমার নাকে আসতেছে। ভাবলাম কথা বলি তাহলে হয়তো তার মন ভালো হয়ে যেতে পারে। শুরু হলো আমাদের কথা। জানতে পারি সে সুইজারল্যান্ড থাকে। সুইজারল্যান্ড নাম শুনাতে তার প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে গেলো। কারন সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, কানাডা, চীনের প্রতি আমার গোপন আগ্রহ আছে। কাশ্মীরের ঝিলাম নদীর প্রতিও আমার আগ্রহের কমতি নাই। সুইজারল্যান্ড দেশটি কেমন? এক কথায় ড্রিমল্যান্ড! কেন ভাই কেন? এখানে যেমন ধূলিবালি, সেখানে তা নেই, এখানে রাস্তা মানে জ্যাম সেখানে তা নেই, সেখানকার মানুষের দায়িত্বজ্ঞান ভালো, খাবারে ভেজাল নেই। ফ্যামিলিবন্ডেজ কেমন? এটা মনে হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। কারন সুইজারল্যান্ডে এমন
দুটি উপলব্ধি
বাওনবাইরার ভাষা [ ৫ ]
শব্দের মাঝে কিংবা শেষে যদি ‘ট’, ‘ঠ’ থাকে তবে তা ব্রাহ্মাণবাড়িয়ার আঞ্চলিক উচ্চারণে ‘ট’, ‘ঠ’ স্থলে ‘ড’ হয় কাঁটা > কাডা; নাটাই > নাডাই; ফাটা > ফাডা; নটী > নডি; ছুটি > ছুডি; কোটা > কুডা; মাটি > মাডি; ছাটাই > ছাডাই; মাঠ > মাড; কাঁঠাল > কাডাল; বৈঠা > বৈডা; ওঠটি >ওডতি, উঠোন > উডান। Ξ আরও পড়ুন Ξ ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৪ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ২ ] ♥ বাওনবাইরার ভাষা [ ১ ]