নবীনগর উপজেলার পূর্বাংশে নাটঘর ইউনিয়নের অবস্থান। নাটঘর ইউনিয়নের আয়তন ৬,৪৭৬ একর (২৬.২১ বর্গ কিলোমিটার)। জনসংখ্যা প্রায় তিরিশ হাজারের মতো। এই নাটঘর ইউনিয়নের একটি গ্রাম রসুলপুর। মাত্র একটি ব্রিজকে কেন্দ্র করে এটি ইদানিং হয়ে উঠেছে মানুষের বিনোদন কেন্দ্র। বর্ষাকালে প্রচুর মানুষ একটু শ্বাস ফেলার ইচ্ছায় চলে আসে এই রসুলপুর গ্রামে। এই গ্রামের এক পাশে তিতাস নদী। বর্ষার জলে তিতাস নদী যখন টইটুম্বুর হয়ে ওঠে তখন চাষের জমি হয়ে ওঠে তরতাজা জলল প্রাণ। বাংলাদেশের মানুষ জল পছন্দ করে পছন্দ করে জলগোষ্ঠী জলের স্বাভাবিক ধারা-উপধারা প্রবাহ। রসুলপুর ব্রিজ থেকে একটি রাস্তা সোজা চলে গেছে বিদ্যাকুটের দিকে। বর্ষাকালে এই রাস্তার দুই ধারের ধানি জমিতে কেবল জল আর জল। হাওড় নয় তবে হাওড়ের মতো (গ্রীষ্মকালে হাওরকে সাধারণত বিশাল মাঠের মতো মনে হয়, তবে মাঝে মাঝে বিলে পানি
Month: June 2021
আশ্বাস, কেবল আশ্বাস
এইদিনে এইদেশে নদীর কোনো ভবিষ্যৎ নেই মানুষের নেই আবাসিক সুখ লাল টুপি সাদা টুপি কেবল আদর্শের কথা বলে ঘরে নেই বাইরে নেই খাবারের সুখ ডানা থাকলে আকাশে ওড়া যায় না প্রিয়তমা আমার, ডানার ভেতরে খুব ভেতরে একটা মধ্যাকর্ষনভেদী শক্তি থাকা লাগে— শক্তি নাই শক্তি নাই পাখির ডানায় শক্তি নাই। যে পাখির ডানা ওড়ে সেই পাখির মুখ বলে না ত কথা, যে পাখি উড়তে পারে না তার কথামিছিলে মুখরিত সবপাশ। আজকাল কথার স্বপ্নজাল আজকাল আদর্শের ভুংভাং গান নয় আজকাল আওয়াজের টুংটাং ম্যাকাপের ওজনে ভারী হয় সুন্দরীর মুখ বিলাসীতার রঙ্গে রঙিন হয় যুবকের কার্পেট। একটু পরে ঠান্ডা নামবে বলে আশ্বাস দেয় আবহাওয়াবিদ অনেকদিন অনেক বছর পরেও গরমের কাল হাত পেতে থাকে বুক পেতে থাকে গরমের কাল শেষ হয় না ত আর কেবল আশ্বাস কেবল আশ্বাস আমার মাথা থেকে ঘাম পায়ে গিয়ে পড়ে, পায়ের ঘাম পায়েই শুকায়, মানুষের জীবন মানুষে খায়, মানুষের মাংস
প্রিয়তমা উপলব্ধি
প্রতিদিন কোটি কোটি নক্ষত্র জন্মগ্রহন করে আবার কোটি কোটি নক্ষত্র মারা যায়। কোটি নক্ষত্রের মাঝে একটি নক্ষত্র আমার চেনা। একটি নক্ষত্রের সাথে আমার দেখা হয় রোজ বৈঠকে খাবার টেবিলে, ধ্যানে জ্ঞানে চিন্তায়। তাকে আমি হাত দিয়ে স্পর্শ করতে পারি না, তার স্পর্শ অনুভব করি। তার নাম নেই, সে এক উপলব্ধির নাম, আমার সেই প্রিয়তমা উপলব্ধি জলিমা। জলিমা, পৃথিবী থেকে আরেকটি সপ্তাহ চলে গেলো, আরেকটি ধাপ এগিয়ে গেলাম মৃত্যুর পথে। মৃত্যু কোনো সাধারন সমীকরন নয়, মৃত্যু একটি পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান। আজও আমার অগোছালো চুলে তোমার হাতনিড়ানি এগিয়ে আসেনি প্রিয়তমা শিহরনের কোনো আমাজিং এলাকায়। কিন্তু আমি তো তোমার অধরা হাতের ছায়াশিহরন অনুভব করি দেহের প্রত্যেক নালায়। উপলব্ধি আর স্পর্শের মাঝে যতটুকু শুন্যতা ততটুকু অস্থিরতা এই হৃদয়কে সহ্য করতে হয় অসীম সীমানার অব্যক্ত সন্ধ্যার কোনো এক
পথে থেকো প্রাণ
আজ তুমি দূরে, অনেক দূরে, যতটুকু দূরে গেলে দিগন্তেরও একটা অর্থ দাঁড়ায়। আজ তুমি অনেক দূরে যতটুকু দূরে গেলে আমার কান্নাও কাব্যতে মানায়। সোনালু ফুলের মতো আমি হয়ত মাকাল, হয়ত রজনীগন্ধা চোখের ভেতর, মনের ভেতর, আড়ালের ভেতর আড়াল। তোমাদের চেনা পৃথিবী ডাকে না আমাকে। তারপরও পৃথিবীতে জন্ম আমার। ঝিনুকের খোলসের মতো আমি প্রতিদিন খুলে খুলে পড়ি তোমাদের চিরচেনা গন্ধ অনিন্দ্য নিন্দা। কেমন আছে তোমাদের পৃথিবী যেখানে আমার সামাজিক হওয়ার কথা? অসামাজিক অভ্যাসে আজ তুমি দূরে বহুদূরে যেখানে মেঘ আবেগ হয়ে ঝরে। আমি ছোট হতে হতে ছোট্ট হয়ে যাই, হয়ে যাই দুর্বাঘাসের সবুজ যেখানে তুমি নগ্ন পায়ে হাঁটো। আরও কত ছোট হলে মাননীয়া তোমার মন নগ্ন ফুল হয়ে উঠবে আমার ঘ্রাণের কাছে, প্রাণের কাছে? আঁধার থেকে আধারের দূরত্ব জেনেও মানুষ হতে চাই, মানুষের কানাকড়ি