গ্রামের খুব কাছে মেঘনা নদী গ্রামের নদী হতাম যদি বাষ্প হয়ে বাতাসে বাতাসে মেঘ হয়ে আকাশে আকাশে জলচোখে চিনে নিতাম বন্ধু তোমার বাড়ি তারপর কোনো এক দিন তৃষ্ণায় তুমি চিন চিন ঠিক তখন ঠিক তখন আমি তোমার একমাত্র আপন কানকথা নেই ভুলদেখা নেই নেই কোনো দর্জি মেশিন তোমার চাওয়া আমি আমার চাওয়া তুমি চাওয়া চাওয়া এক হয়ে আমরা তখন স্রোতস্বিনী নদী ঢেউয়ে ঢেউয়ে সংসার জলকেলি কালচার প্রেমে মনে গুলজার একে একে একেকার আমি যে তোমার তুমি যে আমার আমি যেন দেহ তুমি আমার আত্মা তারা যেন না বলে তারা যেন না বলে তুমি আর আমি ভিন্ন সত্তা
Day: June 20, 2021
হৃদয় দহন কেউ দেখে না
মেঘনা নদী আমাদের বাড়ি থেকে খুব দূরে নয়। আমি প্রায় মেঘনা নদীর কিনারায় বসি— মাছের সংসার দেখি, মালামাল ভর্তি জাহাজ দেখি, লঞ্চের জানালার ফাঁকে লতাপাতার মতো বেড়ে ওঠা চোখ দেখি, আরও দেখি জলের গভীরে প্রবাহমান চুরাস্রোত। মেঘনা নদীর মাঝখানে দ্বীপের মতো একটি জায়গা আছে, এলাকাবাসী জায়গাটিকে চর বলে। চরে তরমুজ ভালো হয়। বালি মাটিতে তরমুজ ভালো হয় ছোট্ট কাল থেকে শুনে আসছি। সূর্যের তাপে বালি মাটি ভেতরে ভেতরে দগ্ধ হতে থাকে, লাল দহনের সবটুকু ব্যথা বালি তরমুজের হৃদয়ে ট্রান্সফার করে দেয়, তাইতো তরমুজের হৃদয়ে হৃদয় এতো লাল। আসলে হৃদয় দহন কেউ দেখে না— কালিমা পড়া নসিমুন বাবু কিংবা কবুল বলা জলিমা। জলিমা, বিগত দিনে কার বুকে মাথা রেখে তুমি শুনালে করবীকুঁড়ির তরল সুর, চিৎকারে চিৎকারে সাজালে রঙিন বাসর? আমি কিন্তু বালি মাটির তরমুজের মতো ভেতরে