You are here

নেগেটিভ মানসিকতা

নেগেটিভ মানসিকতা আই ডিসলাইক করি। নেগেটিভ মানসিকতা থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকতে চাই। তার মানে চাঁদকে আমি সূর্য হিসাবে দেখতে চাই না। চাঁদ ইজ চাঁদ। সূর্য ইজ সূর্য।

আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। বলতে গেলে প্রায় জনশুন্য। বুঝলাম তিতাস ট্রেন চলে গেছে। মেশিন কন্ট্রোলারের কাছে গেলাম।

এখন কোনো ট্রেন আছে?
না, নাই।
ভৈরব থেকে কোনো ট্রেন আছে?
আছে, তবে ধরতে পারবেন না।
কেন পারবো না?
চট্টলা তালশহর ছেড়ে আসতেছে, লাইন দিয়ে দিছি।
আসলেই কী পারবো না?
অ মিয়া আফনে আসলেই বেশি বুঝেন, বলছি পারবেন না, পারবেন না।

মানছি দশ মিনিটের ভেতরে ট্রেন চলে যাবে ভৈরব। দশ মিনিটের ভেতরে আশুগঞ্জ থেকে ভৈরব যাওয়া সো মাচ সো টাফ। কিন্তু অসম্ভব না। তাই একপ্রকার রেগেই গেলাম।

আমি আসলেই বেশি বুঝি, তোমার দাদার দাদার চেয়েও বেশি বুঝি

এই কথা শুনে লোকটি হা করে তাকিয়ে রইলো। আমি তার কাছে আর সময় নষ্ট করিনি। কারন আমাকে ট্রেন ধরতেই হবে। গেলাম আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলের কাছে। সময় খরচ হলো মাত্র দুই মিনিট। গিয়ে দেখি একটি বাইক। লোকটিকে বলে উঠলাম তার বাইকে। আমার কথা শুনে লোকটি বাইক চালানো রেখে বিমান চালাতে আরম্ভ করে। আমরাও ভৈরব স্টেশনের কাছাকাছি, ট্রেনও স্টেশনে ঢুকতেছে মাত্র। বাইক চালক ভাইকে ধন্যবাদ দিয়ে ট্রেনে উঠে গেলাম!

ট্রেন ছাড়লো আরও সাড়ে তিন মিনিট পর। মোস্তাক ভাই ডেকে নিয়ে বসালেন খাবার কামড়ায়। মোস্তাক ভাই সমস্ত ট্রেনে খাবার সরবরাহ করে। সিট দিলেন। রাবারের ঝুড়ি। ট্রেনের রাবারের ঝুড়িও টাকা খায়। আমি টাকা দিতে চাইলাম নিলেন না। অনেক জোরাজুরি করি তাও ভাই সাব টাকা নিলেন না।
চট্টলা ট্রেনের রাবারের ঝুড়িতে বসে আশুগঞ্জ ট্রেন মেশিন কন্ট্রোলারকে ফোন দিয়ে বললাম—

‘আমি এখন চট্টলা ট্রেনে, নিশ্চয়ই আপনি আওয়াজ পাচ্ছেন, আবার জেনে নিন, আমি বেশি বুঝি আপনার দাদার দাদার চেয়েও বেশি বুঝি।’

Leave a Reply