শিক্ষা এক সম্পর্কের নাম। চিন্তার সাথে চিন্তার, চিন্তার সাথে বস্তু জগতের সম্পর্ক [কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল]। ইন্দ্রিয় প্রতিনিয়ত শিক্ষার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। প্রতিটি প্রশিক্ষণকে ইন্দ্রিয় ধরে রাখতে পারে না। যে শিকার অনূভুতি ব্যক্তির চেতনাঘরে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে তাই মূলত শিক্ষা। ব্যক্তি তো একটি কাভার যা চিন্তার গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণভাবে চালিত। তাই তরুণ চিন্তাসমষ্টি অর্ফে শিক্ষা প্রাণিকে পরিবর্তন করে আলতো আলোয়, সবুজ সরোবরে। শিক্ষা সাগরের জলের মতো প্রতি মুহূর্তে আধুনিক। সদস্য অতীত আর অতিথি বর্তমানকে নিয়ে সে ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনে, বনসাই বুনন। শিক্ষার বড় যোগ্যতা হলো সে নেতা হওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ সেই প্রভাবিত করে চেতনে -অবচেতনে। দারুণ নিদারুন প্রভাবক। অন্যভাবে বললে শিক্ষা হলো একটি সাবান; যে ধৌত করে, ধৌত হয়। একসময় ব্যক্তিকে সতেজ করে এবং পরিপূর্ণ পূর্ণ করে
Month: May 2021
আলো যখন আলো হলো
তোমার শহর থেকে কিছুটা দূরে
জলিমা, আজও তুমি এলে, এলো না তোমার ফোন কেবল, তোমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম কিংবা একটি ছোট্ট মেসেজ, কিছুই এলো না, হঠাৎ এক ঝাঁকে নেমে আসে বৃষ্টি, বৃষ্টির পর শুরু হয় আমার মাথা ব্যথা, মাথা ব্যথা নামক অসুখ আমার নেই। তাহলে আজ কেন আমার মাথায় নেমে আসলো ব্যথা? ব্যথাদের উপরে হয়তো কোনো আকাশ নেই, আকাশ থাকলে এমন চমৎকার বাতাস আর ঝিরঝিরে বৃষ্টিকে সামনে রেখে কাউকে আক্রমন করতে পারে না। জলিমা, তোমার সাথে দেখা হবে না বলে আমিও তোমার শহর থেকে কিছুটা দূরে চলে গেছি, আমাদের দেখা আমাদের মতো করে হবে এটাই আমরা চাই, আমাদের চাওয়া পাওয়ার সাথে তাল রেখে চলে না, আমাদের পাওয়া বরাবরই চাওয়াকে ছাড়িয়ে যায়। পৃথিবী যেমন আছে তেমনই রবে তোমার কিংবা আমার। তারপরও আমাদের একটি পৃথিবী থাকবে যেখানে কোনো সাংবাদিকতা থাকে না, থাকে
আফালের মাছ [ ৩ ]
এই পৃথিবীর অনেক চিপাচাপাকে মহৎ করেছে প্রেমিকজুটি যারা এখনো আকিজ আর পাতার বিড়ি খায় তারাই বাংলা ভাষা ও বাংলা জীবনের রিয়েল প্রতিনিধি ব্যক্তি মানুষের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা থেকে অনুমানের জন্ম। অনুমানের আবিষ্কারের ফলে আমরা রূপক, উপমা, প্রতীক, চিত্রকল্পের খোঁজ পাই। উপমায় যে তুলনা করা হয় তার অর্থ বহুবিধ হয়, হতেই পারে। প্রতীকও একধরনের উপমা। তবে তার চিহ্নিত অর্থ আপাতত নিদিষ্ট। কিন্তু চিত্রকল্পের মতো সরাসরি নিদিষ্ট নয়। চিত্রকল্প হলো মনের কচিকাচা তরুলতা। প্রিয়তমার মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে। উপমা, রূপক উল্লম্ফনে বেচেঁ থাকে। নিজেকে ছড়িয়ে দেয় চেনা-জানা পরিবেশের পরিবেশনের মোহনায়। রূপকের অর্থ উদ্ধারের জন্য চঞ্চল সচেতন প্রয়োজন। তাইতো রূপকের বসবাস জ্ঞানীদের শহরে, শহরের দরজায়। সবুজ মাঠ হারিয়েছে তার প্রেমিক রাখালকে, প্রেমিক প্রেমিকা মারা গেলে পৃথিবী মারা যায় অর্ধেক নদীতে হাতুর
মনের ডানার উদাস দুপুরে
এখন রাত। লোকজন এই সময়টাকে নিশি রাত বলে। একটু পরে ভোর হবে। একটু পরে মসজিদে আযান পরবে। আমি তোমার কথা ভাবছি। খুব করে ভাবছি। তোমাকে ফোন দিতে একটা সময় খুব ইচ্ছে করতো। এখন করে না। এখন ভাবতে ইচ্ছে করে। সহজ করে বললে তোমার কথা প্রায়ই মনে পড়ে আমার। জানতে ইচ্ছে করে কী করছো তুমি, রেগে গেলে কার সাথে ঝগড়া করো। তোমার গল্প জানতে খুব ইচ্ছে করে আমার। কেউ নাই যে তোমার কথা আমার কাছে বলবে। তুমি আমার কাছে এখন জীবিত পরকাল। কেউ মেঘদূত ☁ হয়ে তোমার মনের দেশের খবরাখবর আমার কাছে পৌঁছে দিলে সে নিশ্চিত স্বর্গ লাভ করতো। কিচ্ছু না, তুমি কী করছো, কী ভাবছো, কি নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে, কোনো মানুষকে তোমার নতুন করে ভালো লাগছে কিনা জানতে পারলেই ভালো
বুকপকেটে প্রতিজ্ঞাফুল
প্রেমের জিকির
সেলিম আল দীনকে চিঠি
সেলিম আল দীন, বন্ধু আমার, কেমন আছো? নিশ্চয় ভালো আছো। তোমারই তো ভালো থাকবার কথা। তোমার তো আর ভালো থাকতে পয়সা লাগে না। আমাদের ভালো থাকা অবশ্যই পয়সা দিয়েও হয় না। এখন চলে টাকার হিসাব। আজিজের এক কাপ চা পনেরো টাকা, হাকিমের লেবু মিশ্রিত এক কাপ গরম পানিও পাঁচ টাকা। তোমারই তো ভালো থাকবার কথা। তোমাকে তো আর বাংলা বিভাগে পড়তে হয় না, যেখানে চলে ঠোঁট টু কলমস্থ বিদ্যার বাহার, সৃষ্টিশীল উত্তর লেখা যেখানে নিয়মতান্ত্রিক অপরাধ। বন্ধু জানো, তোমার গুরুত্ব অনুধাবন করেছে বাংলা বিভাগ। বাংলা বিভাগের সিলেবাসে এখন দেখা মিলে রুস্তম, ইদল হক, লাউয়া কন্যাদের সমাহার। রঙ্গমঞ্চে দেখতে পাই তোমার বেদনার অভিসার। এসো একবার বাংলা বিভাগের করিডোরে, দেখবে বনশ্রী মালা, ডালিমনের চমৎকার প্রামাণিক হালচাল। বনশ্রী বালা, অনেক বছর পর তোমার দেখা পেলাম, তোমার মনে যে আয়াত নাযিল হয়
ঝড়কন্যা মাইশা
মাইশা। ওর নাম মাইশা। বাবা পুলিশ। মা গৃহিনী। মাইশার সাথে আমার দেখা ট্রেনে। আমাদের পেছনের সিটে তাদের সিট। আমরা একটি ঝড়কে ধরবো বলে চিটাগাং যাচ্ছিলাম। কিন্তু ঝড়কে ধরতে পারিনি, পেরেছি এই ঝড়কন্যাকে হালকা উপলব্ধি করতে। এই ঝড়কন্যা ক্লাস টুতে পড়ে। প্রথম দেখাতে মনে হয়েছিল মাইশা জমানো চুপচাপ এক বরফের নাম। ক্লাস টুতে তার রোলনং দুই। সে চায় ক্লাস থ্রিতে তার রোলনং হোক তিন। ক্লাস ওয়ানে তার রোলনং ছিল এক। যখন তার বরফ গলে গেলো তখন সে নদী হতে পারতো, হয়েছে সাগর, তাও আবার আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তাল ঝড়। এই ঝড়কন্যা আমাকে সিটে বসে থাকতে দেয়নি। তার মতে আমি আল্লার চেয়েও কালা। আমি বললাম, ‘আল্লা কালা এই কথা তোমাকে কে বলছে?’ সে বলে, সে নাকি প্রতি রাতে আল্লাকে দেখে। আমি বললাম আমি যেহেতু কালা সেহেতু আমার
যোজন যোজন দূরে
একটি হাতকাটা লাশ কাটাঘরে পরে আছে সাপে নেউলধূসর পাড়ে যোজন যোজন দূরে নগ্নদৃশ্য বসে আছে মাঝির অপেক্ষায় ডিঙ্গা এসেছে নদীর কূলে মাঝি আমার নাই নিজেই মাঝি চলল চরে নির্বাণ তার চায় মাঝখানে তুমি পেছনে নারী, নির্বাণ একটু সামনে নারী ভেতরে চর আছে, চরের ভেতরে তুমি পেছনে তাকালে কলঙ্ক হবে, নারী কলঙ্কভূমি সামনে চলো, মুক্তি পাবে, নির্বাণই তোমার নারী