
covid-19! Co থেকে করোনা Vi থেকে ভাইরাস D থেকে ডিজিস। আর ১৯ মানে উনিশ সাল। নোভেল করোনা ভাইরাস অথবা কোভিড উনিশ। নোভেল মানে নতুন। করোনার বিশেষ কোনো অর্থ নেই। তবে করোনা শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ক্রাউন শব্দ থেকে। ক্রাউন মানে মুকুট। কদম ফুল বাংলার বর্ষাকালের চোখশান্তি। এই কদম ফুলের মতো করোনা গনের চীনের উহানে আক্রমন আনে দুই হাজার উনিশ সালের ডিসেম্বর মাসে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মেহমানদারি অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে করা শুরু করে দিয়েছেন যখন কদম ফুল বাংলার আকাশে বাতাসে।
এই ভাইরাস যখন গনের চীনের মানুষকে হতাশায় ফেলে দিয়েছে তখন পৃথিবী তাদেরকে নিয়ে মজা করায় ব্যস্ত। এখানকার আলেম সমাজের কাছে তখন ওহী আসতে শুরু করে দিয়েছে যে চীনে মহান আল্লার গজব নাযিল হয়েছে। তাদের মতে আল্লার আর কোনো কাজ নাই— গজব আর রহমত বর্ষন করা ছাড়া। একসময় তাদের আল্লা ছিল বটগাছ, ছিল শাপ। তারা বটগাছ আর শাপের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতো। বটগাছ, শাপ, সূর্য থেকে মুখ ফিরিয়ে এখন তারা তাদের আল্লাকে কাবাঘর, মসজিদ পর্যন্ত নিতে সক্ষম হয়েছে। কয়েকদিন পর তারাই বলতে শুরু করবে কাবাঘরে মসজিদে আল্লা নাই। এখনি বলে কেউ কেউ। তবে তাদের মতো এই কেউ কেউ হলো মারফতি।
করোনা ভাইরাস একটি ফ্যামিলি ভাইরাস। এরা একত্রে থাকতে পছন্দ করে। আলিফ লায়লার কেহের মানের মতো বহু কার্যপদ্ধতি প্রনয়ন করতে পারে তারা। ইতিমধ্যে তারা নিজেকে চারশো বারের অধিক পরিবর্তিত করে নিয়েছে।তাই ডাক্তার হুজুরদের নির্দিষ্ট কোনো ফতুয়া পাচ্ছে না জনগন। কিন্তু নচিকেতা ঠিকই খিস্তি খাচ্ছে গানে গানে। কারন গানে গানে সে ডাক্তারদের কসাই বলেছে। গানটি অবশ্যই অনেক আগে লেখা।
করোনা ভাইরাস নিয়ে রচনা লেখার ক্ষেত্রে সকল গবেষকই অত্যন্ত মহান জ্ঞানী “Coronaviruses are a large family of viruses that are known to cause illness ranging from the common cold to more severe diseases such as Middle East Respiratory Syndrome (MERS) and Severe Acute Respiratory Syndrome (SARS).” তবে তাদের এই মহান জ্ঞান মানুষকে পিপড়ার মতো গুহাজীবী করে তুলেছে। মানুষ আর পিপড়ার মধ্যে পার্থক্য এখন এই যে পিপড়া শীতকালে তাদের পৃথিবী নির্মান করে গুহার ভেতর, গরম কালে বের হয়ে আসে। আর মানুষ? শীত কেন গরম কালেও গুহা থেকে বের হয়ে আসতে পারছেনা। তবে কোনো কোনো মহান সাইন্টিস্ট পিপড়ার জীবন গবেষণা করে প্রায় সিদ্ধান্ত নির্নয় করে ফেলেছিলেন যে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে কোভিড উনিশ পালাবে, অবসান হবে তাদের গুহাজীবন। তা হলো না। জাবেদা ভুল হওয়াতে চূড়ান্ত হিসাব মিললো না।
মহান সাধু সম্রাট আমেরিকা এই ভাইরাসের নাম দিয়ে দিলেন চায়না ভাইরাস। ভারতবর্ষ (হিন্দুস্তান পাকিস্তান বাংলাদেশ) আমেরিকার এই সাধু মতের সাথে অত্যন্ত শক্তির সাথে মাথা ঝাকালেন। কারন নিজের মাথা নিজে ফাটিয়ে অন্যের নামে মামলা করার প্রবনতা ভারতবর্ষের মানুষের আছে। তাদের মতে চীন তথ্য গোপন করেছে। তথ্য গোপন করার বিষয়টি চীনের প্রতি দুর্বল আক্রমন। এই কথা অতীব সত্য যে চীন তথ্য আড়াল করার ব্যাপারে ওস্তাদ। চীনের কাউকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হলে চীন সরকার তাকে সন্দেহের চোখে দেখে এবং তাকে ঘরবন্দী করে তুলে এমন কথা চাওর আছে। আপনি যখন কেউ নোবেল পুরস্কার পেলে তাকে মাথায় নিয়ে নাচেন চীন তখন তাকে সন্দেহ করে ঘরবন্দী করে। সুতরাং আপনার বানানো প্রোগ্রাম চীনের মাথায় কাজ করবে না।
চীনে যখন কোভিড উনিশে প্রচুর লোক আক্রান্ত হচ্ছে চীন তখন আমেরিকার দিকে সন্দেহের দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। কারন যুদ্ধবাজ আমেরিকা বায়োলজিক্যাল উইপোন ব্যবহার করতেই পারে। চীনের সন্দেহ ভুল প্রমান করে দিলো আমেরিকার লাখো লাখো কোভিড উনিশে আক্রান্ত রোগী।
একজন আরেকজন একদেশ আরেকদেশ যখন কাদা ছুড়াছুঁড়িতে ব্যস্ত তখন সমস্ত মহানদের তামাশা উপেক্ষা করে ছিল্লায় বসে গেলেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি অর্ফে ব্রিটিশ মাথা। সারা গিলবার্ট মানুষকে শোনালেন ভ্যাকসিন সম্পর্কে সবচেয়ে আশাবাদী কথা। আর প্রাচ্যের অক্সফোর্ড!? বসে বসে সাধারণ জ্ঞান মুখস্থ করছে। সারা গিলবার্টের নাম নোট খাতায় তুলে রাখছে আর ভাবছে এইবার বিসিএস প্রিলিমারিতে এক নাম্বার তার প্রায় হাতের কাছে, শুধু মুখে যাওয়া বাকী।
লকডাউন। ভিনদেশী শব্দ। এই শব্দের সাথে পরিচিত হতে পারছে না এখানকার মানুষ। সামাজিক দূরত্ব কিংবা শারীরিক দূরত্ব। ভদ্রলোকের শব্দ। এই শব্দের সাথে অভিযোজন করতে পারছে না শ্রমজীবী সমাজ। তাই দিব্যি তারা নিজেদের মতো সময় যাপন করছে। অতি ভয় এবং অতি সাহস এই এলাকার মানুষের মজ্জাগত। লাশের পর লাশ পরে থাকলে এখানকার মানুষ অতি ভয়ে নিজেই লাশ হয়ে যায়। দান খয়রাত বা ত্রান শব্দটি এখানকার মানুষ খুব ভালো জানে। তাই দেখা যায় ত্রান চুরি করে দায়িত্বশীলরা অত্যন্ত সাহসের সাথে। লাশের কাফন চুরি করে অভ্যস্ত। আর ত্রান ত রেডিমেড ব্যাপার স্যাপার।
চীন ইতালি স্পেন ইভেন আমেরিকার লকডাউন আর এখানকার লকডাউনের মধ্যে প্রভেদ আকাশ পাতাল। প্রত্যেক ঘরে ঘরে তারা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। কাউকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না। বের হলেও নির্দিষ্ট নির্ধারিত নিয়ম মেইনটেইন করতে হচ্ছে আপ টু বটম। আর এখানে? সরকার যে খাবার বরাদ্দ করছে অসহায়দের জন্যে তা আপনি বাচলে বাপের নাম থিউরি অ্যাপ্লাই করে সংশয়হীনভাবে চুরি করছে চেয়ারম্যান, চুরি করছে মেম্বার।
গ্রামে গ্রামে হাত ধোঁয়া প্রকল্প বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো গ্রামীন। গ্রামে গেলে আপনার মাথায় অল্প সময়ের জন্যও আসবে না পৃথিবীতে করোনা বলে কিছু একটা আছে, ডব্লিউএইচও যে ‘মহামারি’ ঘোষনা দিয়েছে করোনাকে তা একেবারেই ফালতু ব্যাপার মনে হবে আপনার।
বাঙালি বীরের জাতি। কত ভাইরাস বুকে পীঠে নিয়ে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত খাচ্ছে দাচ্ছে ঘুমাচ্ছে। দুধের সাথে মেশানো ডিটারজেন্ট হজম করে ফেলে এরা। আর করোনা? করোনা ত তাদের এক লোকমার চর্বনধন্য বিধেয়ক মাত্র। কেবল সেনাবাহিনীর ভয়ে তারা তাদের পারঙ্গম সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারছে না। কারন সেনাবাহিনীকে এরা যত ভয় পাই তত ভয় এরা এদের ভগবানকে পায় কিনা সন্দেহ আছে।
পৃথিবীতে তেলের দাম নেমে আসছে। যানবাহন যেহেতু চলছে না সেহেতু এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। এমন ঘটনা ইতিহাসে প্রথম। বেড়ে গেছে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কদর। নেট চালানোর জন্য এমবি নামক তেল কেনার হিড়িক পড়েছে। উহানে হিড়িক পড়েছে বিয়ের। বহুদিন তারা অন্দরমহলের সঙ্গনিরোধ বাসিন্দা হয়ে বুঝতে শিখেছে হোয়াট ইজ বিয়ে। আর এখানকার বিবাহিতদের চেহারার দিকে তাকানো যায় না। কারন ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া সাথে ভালো বন্ধুত্ব থাকলেও, ভালো বন্ধুত্ব নেই তাদের প্রোটিন আমিষের সাথে। ফলত দুঃখ সারারাত।
পরিবেশ নাকি নিজেকে সাজিয়ে নিচ্ছে। ইয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স নাকি বিপদ সীমার উফ্রে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে না। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নাকি তিমি মাছ হানিমুন করতে আসা শুরু করে দিয়েছে। এমন আরও আরও ভালো সংবাদ এমবি তেল খরচ করে আমরা জানতেছি প্রতিনিয়ত। কিন্তু!? এই প্লাস্টিক মানুষ সমাজ তাতে মনে মনে ফুসফাস টুসটাস করতেছে। লকডাউন হালি তুইল্লা দেখেন! নিজে ত ভিজিটিং স্পটে যাইবো যাইবোই, নিজের বাড়ির গরুরে পর্যন্ত নিইয়া যাইবো পর্যাপ্ত লেদা চেনা রেখে আসার জন্যে। হালি ভ্যাকসিনটা আইতে দেন। অথবা টিভির মাইক দিয়ে ঘোষনা করে দেন এই গ্রহের মানুষের হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গেছে। দেখবেন কত ধানে কত চাইল না— কত চাইলে কত ময়দা। কত ধানে কত চাল না বলে কেন কত চাইলে কত ময়দা বললাম জানতে চান?
কারন ধান থেকে আর চাইল পাওয়ার সম্ভাবনা নাই। সমাজ সেবার নামে, ধান কাটার নামে যেহারে ফটো হেছা চলতাছে তাতে আর চাল পাওয়ার সম্ভাবনা নাই— সরাসরি ময়দা পাওয়া যাবে। তাতে আপনাদেরই লাভ বেশি— আফনে আর মামু, ময়দা পাবেন আর খাবেন। ময়দা খেয়ে খেয়ে এন্টিবডি বানাবেন।
এন্টিজেন আর এন্টিবডির যুদ্ধে কে জয়লাভ করবে তা অনেক পরের হিসাব, আগের হিসাব হলো তাল গাছটা নিজের থাকবে হবে। তালগাছ কার হবে পৃথিবী এখনো নির্ধারন করতে পারে নাই। তাই এক সাগর রক্তের বিনিময়ে যারা দেশ স্বাধীন করেছে তাদের জন্য আমেরিকার একদল সাহসী যুবক নিয়ে এসেছে প্লাজমা থেরাপির বিজ্ঞাপন। তাই রক্ত যখন একবার দিয়েছেন রক্ত আরেকবার দেন তবু করোনামুক্ত করে ছাড়বেন এই গ্রহকে ইনশাআল্লাহ।
আসুন হাত ধোয়া প্রকল্প যে জাতির মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সেই জাতির একটি ছোট্ট পরিচয় দেই। আমার বারান্দা থেকে ছাদটি দেখা যায়— খুব দূরে নয় খুব কাছেও নয়। আমার বারান্দা পাচ তলায়, সেই ছাদের বিল্ডিংটা টোটাল তিন তলা। ছাদের এক পাশে কালো কালারের পানির ট্যাংক।
ছাদে মা তার দুটি সন্তানকে নিয়ে এসেছেন। রোজা রমজানের দিন, তার উপরে কোয়ারেইন্টাইন সময়। এমনিতেও সকাল বেলার এই সময়টা শহরের মহিলাদের কোনো কাজ থাকে না। বিশেষ করে রমজান মাসে। কারন রান্নাবান্নার কাজটা সেহরির সময়ই হয়ে যায়।
বাচ্চা দুটি খেলছে। বড় বাচ্চাটির বয়স পাচ কি ছয়। মেয়ে। ছোট বাচ্চাটির বয়স দুই কি তিন। ছেলে। বাচ্চা দুটি খুবই কিউট। তাদেরকে ফুলের সাথে নয়, দুই চার প্রকার ফুলকে তাদের সাথে তুলনা দেয়া যায়। বাচ্চারা খেলছে। ছাদে স্বর্গ যেন নেমে এসে আনন্দ করছে।
হঠাৎ মেয়ে বাচ্ছাটি মাকে কি যেন বলছে। মা কালো কালারের পানির ট্যাংকটির দিকে ইশারা করলেন। বাচ্চাটি ট্যাংকটির কাছে গেলো। গিয়ে প্যান্ট খুললো। খুলে মুততে শুরু করে। কিছুক্ষনের মধ্যে স্বর্গছাটটি মুতের গন্ধে ভরে গেলো।
খালে বিলে নদী নালায় মুতা পাবলিক আমরা। যৌথভাবে নদীতে মাঠে ঘাটে হাগুমুতা করার দৃশ্যায়ন এখনো ভারতবর্ষের অনেক জায়গায় বিদ্যমান। এখনো হাইজিনিক জীবনের সঠিক পর্যায় আবিষ্কার করতে পারেনি আমরা। অথচ আকাশ দখলের চেষ্টা আর অস্ত্রের ঝঝনঝনানিতে সিনেমার পর্দা ফেটে যায়। প্লাজমা থেরাপি নিয়ে কথা বলতে বেশ আনন্দ লাগে। অথচ প্লাজমা থেরাপি রোগীকে বাচানোর একেবারের শেষ চেষ্টা। প্রাথমিক চেষ্টার খবর নাই অথচ শেষ চেষ্টার ঘুম নাই। প্লাজমা ট্রান্সফার নতুন কোনো পদ্ধতি নয়। তবে মিডিয়া প্লাজমা থেরাপি বা ট্রান্সফারকে গ্রীন রুমের স্নো পাউটার মেখে এমনভাবে উপস্থাপন করছেন যেন করোনার এই দিনে জিব্রাইলের ওহী এটি তাদের কাছে।
একটি গল্প বলি। এক লোক ডাব গাছে উঠে আর নামতে পারছে না। আটকে গেছে। চিৎকার করে আকাশ বাতাস এক করে ফেলছে। কেউ এসে আল্লার কাছে আশ্রয় প্রার্থনার পরামর্শ দিলেন। কেউ এসে গাছ কেটে ফেলার পরামর্শ দিলেন। একজন এসে হেলিকপ্টার নিয়ে আসার পরামর্শ দিলেন। হেলিকপ্টার নিয়ে আসার পরামর্শ জয় হলো। কারন তার চেয়ে বেটার বিকল্পধারা কেউ দেখাতে পারেনি। ফলে বিকল্পধারা যেহেতু পরাজিত হেলিকপ্টার জয় হলো। এখন হেলিকপ্টার আনার অর্থ আসবে কোথা থেকে? লোকটির ত অর্থ নাই। রাষ্ট্র? লোকটিকে বাচানোর জন্য রাষ্ট্র টাকা দিবে!? রাষ্ট্রের লোকের অভাব নাই, টাকার অভাব আছে।
তারপর? তারপর লোকটির কী হলো? আপনারা ভাবছেন লোকটি মারা গেছে, তাই না? আপনারা ভাবছেন লোকটি বেচে আছে, তাই না?
লোকটি ভয়ে হতাশায় দোয়া ইউনুস পড়তে থাকে।লোকটি আগে যখন কোনো কঠিন বিপদে পড়েছে তখন দোয়া ইউনুস পড়ে বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। ভবিষ্যতে কোনো বিপদে পড়লেও দোয়া ইউনুস পড়বে লোকটি।
ইউনুস নবী মাছের পেটে আটকে গেছিলেন। মাছের পেটে থেকে যে দোয়া পড়ে ইউনুস নবী কোয়ারেন্টাইন-বিপদ অতিক্রম করেছিলেন তাই মুসলিম সমাজে দোয়া ইউনুস নামে পরিচিত। ইউনুস নবীর সময় থেকে আগত কিছু মুসাফির করোনার এই সময়ে বেশি বেশি দোয়া ইউনুস পড়ার তাগাদা দিচ্ছেন। কিন্তু সরকার এই মুসাফিরদের কথা প্রজ্ঞাপনে কেন প্রকাশ করছেন না এই নিয়েও গ্রামীন চাস্টলে টকশো চলে। কেউ কেউ আবার বলছেন বাংলার চাস্টল মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মেডিসিন সাইনটিস্টদের আখড়া। এই আখড়া বন্ধ হওয়ার কারনে করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স আবিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার কেন এই আখড়া বন্ধ করতে গেলেন! সরকারের এই অভব্য সিদ্ধান্তে জাতি আশাহত।
লোকটির দোয়া ইউনুস মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কবুল করলেন। উড়ন্ত দুরন্ত চলমান স্পাইডার ম্যান চলে আসেন। স্পাইডার ম্যান সবার জল্পনা কল্পনার অবসান করে বউয়ের স্বামী বউয়ের কুলে ফিরিয়ে দেন।
বউয়ের কোলে ফিরে আসা লোকটির নাম আবুল খায়ের। তার মতো আর্থিক অবস্থার মানুষ তাকে আবুল খাই বলে ডাকে। টাকা পয়সার ঝনঝানি আছে এমন কেউ তাকে ডাকে আবুইল্লা। গ্রামের সুন্দরী মেয়েরা তাকে আবুল নামে ডাকে। কারন সুন্দর মেয়েদের গাছে কোনোদিন সে ঢিল দেয় নাই। সুন্দরী মেয়ে চায় তার গাছে কেউ না কেউ ঢিলাঢিলি করে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাকে আলোচনায় রাখুক, তাতে পাশের বান্ধবীর কাছে তার একটা সুন্দরী-মর্যাদা তৈরি হয়।
তবে দুখের কথা অইলো মেয়েরা স্বামীর ঘরে যাওয়া মাত্র তার মা-বাবার রাখা প্রিয় নাম জাদুঘরে ঠাই পায়। তারা হয়ে যায় অমুকের বউ তমুকের বউ,সন্তান জন্ম দেয়ার পর অমুকের মা তমুকের মা।
নামের সাথে অর্থনীতির একটি বিশাল সম্পর্ক আছে। ছোটকালে রচনা লেখার বই থেকে মুখস্থ করেছিলাম A beautiful name is better than a lot of Wealth। মিছা কতা, ডাহা মিছা কতা। A lot of wealth থাকলেই নামের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। টাকা পয়সা থাকলেই নামের সাথে লেজ সংযুক্ত হতে আরম্ভ করে। পশুর জানামতে এখন পর্যন্ত একটি লেজই থাকে। তবে টাকা পয়সা মানুষের নামের আগে-পিছে ডাইনে-বাইয়ে সাদা কালো হলুদ নীল বেগুনি সবুজ ইত্যাদি ইত্যাদি লেজের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা করে দেয়।
চলবে…
One thought on “ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [প্রথম পর্ব]”