যারা এখনো আকিজ আর পাতার বিড়ি খায় তারাই বাংলা ভাষা ও বাংলা জীবনের রিয়েল প্রতিনিধি
ব্যক্তি মানুষের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা থেকে অনুমানের জন্ম। অনুমানের আবিষ্কারের ফলে আমরা রূপক, উপমা, প্রতীক, চিত্রকল্পের খোঁজ পাই। উপমায় যে তুলনা করা হয় তার অর্থ বহুবিধ হয়, হতেই পারে। প্রতীকও একধরনের উপমা। তবে তার চিহ্নিত অর্থ আপাতত নিদিষ্ট। কিন্তু চিত্রকল্পের মতো সরাসরি নিদিষ্ট নয়। চিত্রকল্প হলো মনের কচিকাচা তরুলতা। প্রিয়তমার মতো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে। উপমা, রূপক উল্লম্ফনে বেচেঁ থাকে। নিজেকে ছড়িয়ে দেয় চেনা-জানা পরিবেশের পরিবেশনের মোহনায়। রূপকের অর্থ উদ্ধারের জন্য চঞ্চল সচেতন প্রয়োজন। তাইতো রূপকের বসবাস জ্ঞানীদের শহরে, শহরের দরজায়।
সবুজ মাঠ হারিয়েছে তার প্রেমিক রাখালকে, প্রেমিক প্রেমিকা মারা গেলে পৃথিবী মারা যায় অর্ধেক
নদীতে হাতুর কাটতে গেলে অনেক পেনা সরাতে হয়। পেনাগুলো গরুর কাজে আসে, মানুষের না
ব্যক্তি নিজের ক্ষমতা না জেনে অন্যকে হিংসা করে। শিমুল ফুল পাতা ছাড়া পেঁচাচোখে তাকিয়ে থাকে, গোলাপ পাতা নিয়েও লজ্জা সুন্দর দৃষ্টি ফেলে, অনেক পাতা আবার নিজেই ফুল।
পাপ করার জন্যে আদম পৃথিবীতে আসেনি,পাপ নিয়ে আদম পৃথিবীতে এসেছে
আকাশে চাঁদ আর আমি। চাঁদকে ভালো লাগে না। ন্যাংটা ন্যাংটা লাগে। কড়ই গাছের ফাঁকে ফাঁকে যখন চাঁদ দেখি তখন দুধসাদা চাঁদ হয়ে ওঠে আবেদনময়ী জোছনা। ওগো সুন্দরী জোছনা তোমারও কাপড় পরিধানের দরকার আছে?
আপনিই শেখালেন মৃত্যুর সময় কীভাবে হাসতে হয় আপনিই আয়োজন করেন লোকায়িত শোকসভা। মৃত্যু নিয়ে আমার কোনো ভয় নেই মৃত্যু নিয়ে আমার কোনো আনন্দ নেই মৃত্যু নিয়ে আমার নেই কোন সুযোগ সন্ধানী অশ্রুজল। যিনি চলে গেলেন তিনি হতে পারেন গ্যালিলিও কিন্তু চলে ত গেলেন, আসুন তাকে কাজে লাগায় যিনি বেঁচে আছেন তাঁর প্রয়োজনে।
একটা সময় শাড়ি পরা নারী দেখলে ভালো লাগত না। ভাবতাম মেয়েরা কেন শাড়ি পরবে? শাড়ি কোনো পোশাক হতে পারে নাকি! শাড়ি মেয়েদের আরও অধিক মেয়ে করে তুলে। মিছিলে গতিরোধক হিসাবে কাজ করে শাড়ি। শান্তিনিকেতন থেকে আসার পর শাড়ি পরা মেয়ে দেখলে ভালো লাগে। ভুবন মাঝি দেখলাম, দেখলাম তাদের ছোট ছোট আঁচলের শাড়ি পরা— খুবই ভালো লেগেছে। নারীকে নারীর মতো দেখায় শাড়িতে। কাঁঠালকে আমের মতো দেখার মধ্যে কাঁঠালের কোনো আভিজাত্য নেই। কাঁঠালের আভিজাত্য কাঁঠাল হওয়ার মধ্যে। নারী যে সৃজনী, নারী যে নায়কের উপরে নায়ক, নারী যে মোলায়েম, নারী যে পৃথিবী তা আমরা টের পাই না। ভুবন মাঝি মুভিটা কিছুটা হলেও নারীর জায়গাটা ধরার চেষ্টা করেছে। একজন নহির হয়তো ইতিহাসের কালিক নায়ক কিন্তু নহিরকে নহির করে তুলে একজন ফরিদা একজন ইয়াছমিন একজন নারী।
মানুষ পরিস্থিতির সন্তান
আমি হাসতে পেরেছিলাম কারন কান্নার যথেষ্ট কারন ছিল
প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম ক্লাস ওয়ানে। আমার প্রেমিকার প্রথম ছেলে এখন ক্লাস ওয়ানে পড়ে।
বন্ধুত্ব এবং ক্ষমা প্রার্থনা এক সাথে থাকতে পারে না। হয় বন্ধুত্ব থাকবে নয় ক্ষমা প্রার্থনা থাকবে। বন্ধুত্ব হিসাব বিজ্ঞানের চূড়ান্ত হিসাব না যেখানে ডেবিট ব্যালেন্স ও কেডিট ব্যালেন্স সমান হতে হয়। বন্ধুত্ব বীজ আর ফল যারা একে অন্যের প্রেক্ষাপট।
তারা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব রাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্ব নামে ব্যক্তিগত ফায়দা হাছিল করে
মানুষের জীবন খুব ছোট। এই ছোট্ট জীবনটা আমরা অযথা আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে জটিল করে তুলি। জীবনের শেষে এসে জীবনের জটিলতা চোখে ভাসে। আর জীবন, জীবনের জায়গায় জাস্ট অপচয় হয়। অনেকের নাম বাপ-মা শখ করে জীবন রাখে, এর মানে এই না তারা জীবন বুঝে, চিনির কারখানায় কাজ করেও অনেকের ঘরে পায়েস রান্নার চিনি থাকে না। সাহাবীর ছেলে হওয়ার পরও ইমাম হাসান হোসেনের মর্ম বুঝে নাই। জীবনে সহজ হতে পারি না আমরা, তাই সুখী হওয়া কঠিন।
কেউ স্বর্নের মুকুট মাথায় পরে আতঙ্কে থাকে। কারন যেকোনো সময় মুকুটটি চলে যেতে পারে, চলে যেতে পারে মাথা। কেউ স্বর্নের মুকুট না পরতে পেরে কষ্টে থাকে। কেউ মাথাকে মুকুটমুক্ত রাখে। মুকুটমুক্ত মাথা নদীর জলের তালে তালে সাগরে মিশে যায়। আর মুকুটের বাসনা চানপুরের চরে আটকে দেয় মাথাকে। ফলে মাথা তখন আলু চাষ করে আর পুটিমাছকে শুটকি করে।
পরাজয় থেকে একদিন জয়ের জন্ম হয়েছিল, মানুষ তার শেকড় ভুলে যায়
গ্রামের বাড়িতে টয়লেট দূরে থাকে, ঘর থেকে দূরে। টয়লেট যেহেতু দুর্গন্ধ ছড়ায় সেহেতু তা মূল ঘর থেকে দূরে থাকা ভালো। সময় আধুনিক হচ্ছে। আধুনিকতার দাবি নিয়ে টয়লেটের নাম বদলে গেছে। এখন টয়লেটের নাম ওয়াশরুম। এখন ওয়াশরুম, বাথরুম, বেডরুম কাছাকাছি বসবাস করে। এখন দুর্গন্ধ আর সুগন্ধ ভাই ভাই, ভাই ভাই না হলেও ভাই-ভাইস্তা তো বটেই।
তারা উৎসব করতে শিখে গ্যাছে, উৎসের সুর ভুলে গ্যাছে
সরকারি যন্ত্র আওয়াজ করে বেশি কারন পর্যাপ্ত তেল পায় না, সরকারি মানুষ আওয়াজ করে কম কারন পর্যাপ্তের অধিক তেল পায়
বলছি না আপনাকে আমার সাথে একমত হতে হবে। আমি বলছি আমাদের একমতের একটি কমনরুম থাকতে পারে যেখানে আমরা খাওয়া-দাওয়া করবো, দন্ত পরিষ্কার করবো, ওয়াশরুমে যাবো কিংবা আরাম করে আত্মভোলা একটি ঘুম দিবো। আমি জানি ফুলের সৌন্দর্য অনেকে আবিষ্কার করতে পারবে না, কারন অনেকের চোখে সমস্যা থাকবে, মানুষ তো চোখের সমস্যা সমাধান করতে পারবে না, কারন মানুষ ডাক্তার না, মানুষের মাঝে কেউ কেউ ডাক্তার।
সব পাখি ঘরে ফিরে— সব মশাও ঘরে ফি— পাখি ঘরে ফিরে খাবার খেয়ে— মশা ঘরে ফিরে খাবার খেতে
কিছু মানুষ দুংখের ছায়ায় রোদ পোহায়। তাঁরা আসলেই সাহসী মহৎপ্রাণ। জীবনকে উল্টে-পাল্টে জানতে পারে। রোদেভাজা, কষ্টেভেজা জীবন। লাভ করে অভিজ্ঞতার নবীন থেকে নতুনতর উৎস। আর কিছু মানুষ ঘামভেজা দুঃখে তৈরি করে দীর্ঘশ্বাসের রমরমা প্রাসাদ। দুঃখ বিলাস।
রেললাইন দুটি মিলিত হয় না বলে অনেক প্রেমিক উপমা করে। একজন আরেকজনকে বলে দেখো রেললাইন কত কাছাকাছি অথচ কোনদিন তারা এক ঘরে এক বালিশে ঘুমাতে পারে না। এটাই প্রেম বুঝলা। মিলিত হওয়ার নাম প্রেম না। যদি রেললাইন দুটি মিলিত হয় তখন তাদের মিলনের নাম দুর্ঘটনা। তারপর তারা গান ধরে— তোমার আমার দেখা হবে ঐ পাড়ে বন্ধু ঐ পাড়ে। মানে দুর্ঘটনার পর। আরে ভাই প্রেমিক, রেললাইন দুটি সমধাতু, সমকর্মী। রেললাইন রেললাইন মিলিত হবে কেন? তারা তো সমকামী না। রেললাইন মিলিত হবে চাকার সাথে। এবং চাকার আর রেললাইনের মিলন হয়েও থাকে
মানুষ কত বাকা কুকুরের লেজও সোজা দেখতে চায়
আমগো হুমায়ূন আহমেদের একটা কতা বাল লাগচে হুব। কতাডা অইলো মানুরে নিয়া। মানুরে প্রশংসা করলে মানু আসমানে ওডে। আসমানে ওডলেও সমস্যা ছিল না। সমস্যা অইলো আসমানে ওইট্টা সেই মানু নিচের দিগে ছেপ ফেলতে আরম্ভ করে।
জানি উঠোন বাঁকা এবং আপনি নাচতেও জানেন
বিয়ে হয় দুটি পরিবারের মধ্যে, সমাজ থার্ড আম্পিয়ারের ভূমিকা রাখে, ছেলেটি মেয়েটি ব্যাটবল মাত্র। ভাবছেন ফার্স্ট এবং সেগেন্ড আম্পিয়ারের কথা। তারাও আছেন। তারা হলেন তরবারির মতো ঝুলে থাকা রাষ্ট্রীয় কিংবা ধর্মীয় আইন। বিয়েতে দর্শক যারা আছেন তারা দাওয়াতপত্র পাওয়া সত্ত্বেও gift নামক টিকেট ক্রয় করে বিয়ে গ্যালারিতে ঢুকে এবং এনজয় নামক মুনাফা পেয়ে বেশ খুশি মনে বাড়ি ফিরে।
বড়। সবচেয়ে বড় পাহাড়ের উপরে যে গাছ তার গায়েও বৃষ্টি পড়ে, তার পাতাও ঝরে পড়ে সময়ে অসময়ে।
ফনারত সাপকে পৃথিবীর সুন্দরতম ফুল মনে হয় [এমন মনে হওয়াটা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ভুল]।
সন্তুষ্টি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এখানে পুঁজি বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। মিনিমাম ইনপুট, মিক্সিমাম আউটপুটের বাজারে এমন পুঁজিহীন রুজি অবশ্যই চর্চার বিষয়। অসন্তুষ্টির প্রধান এবং প্রথম ফসল দীর্ঘশ্বাস। দীর্ঘশ্বাসে বেঁচে থাকে ভগ্ন হৃদয়।
আজকাল দূর্ঘটনাও সাম্প্রদায়িক
ছাগলের প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত ছাগল, ছাগলের প্রধানমন্ত্রী মানুষ হলে দুঃখ বারোমাস
কাজী নজরুল ইসলামের জীবনকালীন সময়ডার কথা ভাবলে আমার শরীরে কাডা দিয়া ওডে! মুসলমানরা তখন বলে নজরুল হিন্দুদের কবি কারন সে কীর্তন লেখে। হিন্দুরা বলে নজরুল মুসলমানদের কবি কারন সে হামদ-নাত লেখে। আর ঠিক তখন প্রগতিশীলদেরও অনেকেই বলে নজরুল একটা বলদ কবি কারন সে মানবতার পক্ষের লোক নয়। অথচ নজরুলের গানের লাইন দিয়ে আজকে মুসলমানদের ইদের আনন্দযাত্রা শুরু হয়, মানবতাবাদীদের বক্তৃতা শুরু হয়, কৃষ্ণকে প্রান দিয়ে জপ করে কৃষ্ণদ্বীপের অধিবাসীরা।
দিনে দিনে মানুষের মনের তাপমাত্রা বাড়ছে, শীঘ্রই মন গলে গলে শরীরের রাগীয় অঞ্চল ডুবে যাবে
পুলিশের মন চোর চোর
চেষ্টা করে গরু গাধা হতে পারেনা বাঘও হতে পারেনা বড়জোর বাছুরের মা অথবা বাবা হতে পারে
চরিত্রবান শিশু বয়স বাড়ার সাথে সাথে ইমানদার হতে থাকে
ভালোবেসে কেউ কেউ হয়ে যায় নদী ভালোবাসা ঘৃনা করে অথবা কিংবা যদি
মন থেকে যে রাবণকে সরাতে পারে সেই তো রাম
দেখার জন্য চোখ নেই, শোনার জন্য কান নেই। দেখা ও শোনার জন্য যে মন প্রয়োজন তাও নেই। এতো ‘নেই’ এর মাঝেও আমরা বেশ ভালো আছি। আমরা আরো ভালো থাকব, কারণ অন্ধের চোখে হাতি অন্ধকারে মতো। No eye for watch, no ear for listen. A mind that is essential for realization has gone been to the pavilion. But yet we are pretending well. We will be box alive much as the elephant is enough dark on the eye of the blind.
মন বাতাসের বংশধর, Mind is the descendant of the wind
তার শরীরে ওয়াজওয়ালা বুড়ি থাকলেও সে রাত্রিযাপন করতে চায়বে সাপের দেহের মতো ইলাস্টিক স্লিম ফিগারের কোনো রমনীর সাথে— এটাই পুরুষতন্ত্র