
- প্রেমিকার মন প্রেমিকের যুদ্ধক্ষেত্র
Mind, the mind of girlfriend is the battlefield of the boyfriend
- নেই শব্দটি সাধকের কাছে থাকলে ফসল ফলে, নেই শব্দটি বোকার কাছে থাকলে ভিক্ষুকথালা ফলে
- কত বিমান চোখের সামনে দিয়ে উড়ে যেতে দেখি, তারপরও রেজা ভাই কেবল চিল হতে চায়— আকাশের উপরে আকাশ
- বউকে ধর্ষন করেও মিলন বলে চালিয়ে দেয়
- বাড়ি বলতে আমরা যা বুঝি মূলত তা বাড়ি নয়। এটি একটি বসবাসের জায়গা যেখানে কেউ বসবাস করত এবং কেউ বসবাস করবে। প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব বাড়ি তার শরীর। এই বাড়ির একমাত্র বাসিন্দা ব্যক্তি নিজেই। বাড়িটির পাহারাদারের নাম মন। মন যতদিন তার দায়িত্ব যথার্থভাবে পালন করে ততদিন বাড়িটি নিজ মহিমায় অবস্থান করে। বাড়িওয়ালা আর পাহারাদারের মধ্যে একটি অভেদ্য সম্পর্ক আছে। এই অভেদ্য সম্পর্কের নাম প্রেম। প্রেম আদি, প্রেম অন্ত, প্রেমই হয় মূল, প্রেম গাছ, প্রেম পাতা, প্রেমে হয় ফুল
- সন্ত্রাস রাষ্ট্রের গবাদি পশু। রাষ্ট্র ইচ্ছা করলেই গবাদি পশুকে লাথি দিয়ে জঙ্গলে পাঠিয়ে দিতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্র তা করবে না। কারন রাষ্ট্র ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’ অলরেডি হাতে নিয়ে নিয়েছে।
- খেলোয়াড় খেলছে। দর্শক দেখছে। দর্শক চায় রান কিংবা উইকেট। খেলোয়াড়দের মাথায় পারফরমেন্সের হিসাব। দর্শক ও খেলোয়াড়দের লক্ষ্য এক কিন্তু একমুখী নয়। দর্শক যখন ফলাফল নিয়ে ব্যস্ত খেলোয়াড় তখন কারণ হয়ে বসে আছে। কারণ আর ফলাফল কোনো কালে এক হয়নি। তারপরও কারণ ফলাফলের জননী। তারপরও ফুলের মালার ফুল নয়, সুতো আমার বান্ধবী।
- প্রেমের নায়ক কষ্ট বিক্রি করে বউয়ের জন্য ফুল নিয়ে আসে, সংসারের নায়ক ভুল বিক্রি করে বউয়ের জন্য ফুল নিয়ে আসে
- মানুষ অনেক দূরের আকাশ দেখে কিন্তু চোখের কাছের কপাল দেখে না
- চোখের জলের কোনো দেশ নেই অথচ চোখের দেশ আছে, হাসির কোনো বর্ডার নেই অথচ মুখের বর্ডার আছে, শিল্পের কোনো বর্ডার নেই অথচ শিল্পীর বর্ডার আছে!
- কোলাহলে সৃষ্টি হয়না, সৃষ্টি কোলাহলকে ধারণ করে। তবু দেখি স্রোতের মাঝে বেঁচে থাকে নদী,কোলাহলে ছুটে চলে জীবনের আঁকাবাঁকা গাড়ি।
- শকুন্তলা নায়িকা। বাংলা সাহিত্যের সুন্দরী নায়িকা। শকুন্তলা যে সুন্দরী তার জন্য তাকে প্রমাণ দিতে হয়নি। শকুন্তলা পার্লারে যায় না। শকুন্তলা যে পার্লারে যায় না তাতে কিন্তু পুঁজিবাজার গুসসা করে, মানুষও জেনে যায় মিডিয়া ক্যান কয় আলাবালা কথা।
- ভাষা এক হওয়ার পরও যারা এক টেবিলে বসে চাআড্ডা দেয়ার জন্যে পাসপোর্ট-ভিসাকে একমাত্র উপায় মনে করে তাদের কোনো মাতৃভাষা আছে বলে অন্তত আমি মনে করি না
- প্রথম যখন শীত এসে শরীরে ধাক্কা দেয় তখন স্ত্রী স্বামীকে বলে ‘ওগো এতোদিন ত টি-টুয়েন্টি ম্যাচ খেললাম, চলো না আজকে ওয়ানডে ম্যাচ খেলি।’ তখন তারা ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে আরম্ভ করে। তখন তারা শীতেও ঘামতে শুরু করে। গরম যখন শরীরে এসে ধাক্কা দেয় তখন স্বামী স্ত্রীকে বলে ‘ওগো একটা কথা বলি মাইন্ড করবে না ত? অনেকদিন ত ওয়ানডে ম্যাচ খেললাম, চল আবার টি- টুয়েন্টি ম্যাচ খেলা শুরু করি।’ তখন তারা ওয়ানডে ম্যাচ ছেড়ে টি-টুয়েন্টি খেলতে শুরু করে। তখন প্রচন্ড গরমেও তাদের শরীরে শীত শীত লাগে। ফিনি ফিনি বৃষ্টি পড়ে। কয়েকদিন তারা ঘর থেকে বের হতে পারে না। তখন তারা টেস্ট ম্যাচ খেলে। স্বামীস্ত্রীর এই টেস্ট ম্যাচ খেলাকে বলে বর্ষাযাপন।
- আপনারা যারা ভাতকে রাইস বইললা নিজেরে অনেক উন্নত বিল্ডিং মনে করেন— আপনারা শীঘ্রই ভাতের কাছে ফিরে আসবেন
- আমেরিকা হলো গ্রামের সর্দারের মতো যে দুই পক্ষের সাথে থাকে আসলে কোনো পক্ষের সাথেই থাকে না
- মানুষ সত্যবাদী শত্রুকে পছন্দ করে কিন্তু মিথ্যাবাদী বন্ধুকে না, সত্য কিংবা মিথ্যা মানুষেরই বানানো একধরনের ইউটোপিয়া
- ইঁদুরের সাথে দেখা হয়েছিল আমার। আগ্রহটা আমারই ছিল, আন্তরিক আগ্রহ। সংবেদ্য মনের এটি একটি ভায়াগ্রা। চেয়েছিলাম মানুষ শব্দটি ভুলে গিয়ে প্রাণিপৃথিবীতে জন্ম নিব। আমি তাকে বোঝাতে চেষ্টা করি প্রতিটি সম্পর্ক একটি ঘরের মতো। ঘরের দরজা- জানালা যত পরিকল্পনা মোতাবেক নির্ধারণ করা হবে ততই ঘরটি বসবাসযোগ্য হয়ে উঠবে। শুন্য ঘরে তো আর বাস করা যায় না; তাই বিভিন্ন আসবাবপত্র, টিভি-ফ্রিজ প্রভৃতি পরিকল্পনা মোতাবেক রাখা যেতে পারে, রাখলেই বরং ঘরটি আবাসিক। ইঁদুরটি আমার কথা মেনেও নিয়েছিল ফুরফুরে আমেজে। এমন নয় আমি চাপিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু সমস্যা একটাই! ঘরনামক সম্পর্কে আমি রাতে ঘুমাই আর ইঁদুরটি সম্পর্ক কাটে। ইঁদুর কাটাকাটি করবে এটাই স্বাভাবিক, নতুবা যে ইঁদুর আর ইঁদুর থাকবে না। তবে ইঁদুরের সাথে চলতে গিয়ে আবারো জেনেছি আমি প্রাণি নয়, মানুষ।
- মশার আগা-মাথা কামড় দেয়ার আগ পর্যন্ত বুঝা যায় না। মশার আগা-মাথা বুঝার জন্য আমরা কামড় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি কিনা !?
- সঙ্গে থাকা আর পাশে থাকা এক কথা নয়, উকুন সঙ্গে থাকে রক্ত খাওয়ার জন্য
- মানুষ মারা গেলে এখানে আলোচনা সভা প্রসংশা সভা শোকসভা হয়, অথচ প্রতিদিন যে রাস্তা ঘাটে, অফিসে আদালতে, প্রতিষ্ঠান নামক খানকায় অসংখ্য মেধা নিহত হচ্ছে এই দিকে কোনো মহা মান্যবরদের নজর নেহি হ্যায়… মানুষ মানে আমরা এখনো হাত চোখ নাক গলা কান মুখ মানে সারফেস বডিকেই বুঝি। মানুষ মানে যে মানুষের মানসিকতা ও তার বিকাশকে বুঝায় সেই দিকে আমাদের কোনো নজর নেই। তাই জানাযায় উপরের দিকে হাত তুলে আর নিচের দিকে চোখের জল ফেললেই আমরা মনে করি মহান কাজটি করা হয়ে গ্যাছে। দায় চাপিয়ে দিয়ে দায় মুক্তির একটি প্রবনতাও জাতিগত। জাতি এগিয়ে যাবেন জাতিগত সমস্যা এগিয়ে যাবে, পিছিয়ে থাকবে না কেবল মেধা মৃত্যুর হার!
- আকাশ দূরে তাই সেখানে চাদ উঠে সূর্য উঠে দেখা দেয় তারার মেলা, আকাশ মানুষের সীমানার মধ্যে থাকলে মানুষ আকাশেও টয়লেট উঠাতো
- মাথাপিছু আয় বাড়ছে কিন্তু মাথাপিছু সুখ কমছে। জীবনের জন্য যা আবশ্যক তাই প্রয়োজন। জীবদেহের জল প্রয়োজন। কিন্তু জীব পর্যাপ্ত জল পান না করে পান করছে চা- কফি। জীবের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ফল সবজি আমিষ ভিটামিন ভাত রুটি। জীব তা গ্রহন না করে গ্রহন করছে জাঙ্কফুড। আয় যখন বিনিয়োগমুখী হতে পারে না তখন তা বিপদমুখী হতে বাধ্য। তখন লেখকের কথা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে— অর্থ অনর্থের মূল।
- অভিনেতা অভিনয় করে পর্দায়, রাজনীতিবিদ অভিনয় করে কথায়
- প্রিয়ংবদা প্রিয়কে জানে ততটুকু প্রিয়কথা বিনিয়োগ করে যতটুকু
- পরচর্চায় ইমিউন সিস্টেম ভালো হয়না, ইমিউন সিস্টেম স্ট্রং হয় শরীরচর্চায়
- অপরাধী না হওয়াটা অপরাধ— সময়ের নাম অপবাদ
- শরীরের ক্ষত প্রদর্শন করে প্রাপ্তির ইচ্ছাটা ভিক্ষুকদেরই আছে
- এক দেশে এক রোগ আইছিল, ইডা আসলে রোগ ছিল না, ছিল সরকারি আদেশ, সরকারি আদেশ যারা মানছে তারা সরকারি লোক, যারা মানে নাই তাদেরকে রোগটা তিলে তিলে মেরে ফেলল
- দানবের সাথে যুদ্ধ করার সময় অবশ্যই দানবের মতো চিন্তা করতে হবে, তবে দানব না হয়ে ওঠার ব্যাপারটাই মনুষ্যত্ব
- ছাগলকে অলংকার দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না, ছাগলকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়
- ‘চাওয়া’ এক আদিম নেশা। ‘পাওয়া’ এক পাগল ঘোড়া। পাগলা ঘোড়ায় বসে আছে মাতাল। গৌতমও মাতাল বটে। পৃথিবীটা মাতালের ঘর, ঘরের ভেতর ঘর। ও আমার পাগলা ঘোড়া রে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে।
- অসংখ্য অপ্রাপ্তির মাঝে কিছু প্রাপ্তি ল্যাম্পপোস্টের মতো দাঁড়িয়ে থাকে আলো দিবে বলে। আলো যে দেবী দূর্গার কানহা কানহা মাতম, অযান্ত্রিক মনোবলের আস্থাবল। একটা চিড়ধরা হৃদয়ে ঘাস জমবে বলে বৃষ্টি আসবে বলে আসেনি, কান্না থামবে বলে থামেনি— দূর থেকে ভেসে আসে আগামীর হলুদ সন্ধ্যা, আগামীর ঝিমধরা নেটওয়ার্ক। কেউ গতকালের কথা বলতে পারেনি, গতকাল অন্ধকারের মতো মায়া তৈয়ারি করে। আগামীকাল মুখ্যম সময় দিনের স্বচ্ছ নীলাভ জলের আলোয়। তারা তো জানতো নদীর মতো কথা বলতে তবুও পুকুরে পুকুরে ঘোরাঘুরি করে তাদের চিন্তার ফেনা, তবুও প্রাপ্তি দাঁড়িয়ে থাকে শতাব্দীর পর শতাব্দী আশার ছলনে ভুলি।
- মাথার উপর কোনো আকাশ নেই, সবই চোখের প্রাচীর, আকাশ আছে এই কথা ভেবে মানুষ শান্তি পায়
- মানুষ, ভুল মানুষ চিনতে সবচেয়ে বড় ভুল করে
- Hypocrisy is a selling product of the people for the people and by the people
- পায়ের পাওনায় বদলে যায় পথের ছায়া
- প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ একটি মেশিন নিয়ে ঘুরে— মেশিন ঠান্ডা থাকলে তাদের মাথা গরম থাকে, মেশিন গরম বা এক্টিভ থাকলে তাদের মাথা ঠান্ডা থাকে
- কোনো কোনো লেখককে আমার কুকুর অথবা কাকের বংশধর মনে হয়। সামনে হাড্ডি অথবা মাংস পড়লে এতো টানাটানি শুরু করেন যে সাধারণ মানুষ চোখ কপালে তুলতে বাধ্য…
- জাহাজ জলের উপর দিয়ে চলবে এটাই নিয়ম। জাহাজ ফুটো হয়ে গেলে এর ভিতরে পানি ঢুকবে। ডুবে যাবে। মানুষকেও আলোচনার ভেতর দিয়েই যেতে হবে। ফুটো হয়ে যাওয়া মানুষ আলোচনায় তলিয়ে যায়।
- অনেকে মনে করে আকাশে বীজ রোপণ করার ইচ্ছা করলে জমিনে হলেও বীজ রোপণ করা সম্ভব। এই মনে করা বাক্যটি হীনম্মন্যতায় ভোগে। পাশাপাশি পরাজয়ের রশিটা লেজের মতো জয়ের শরীরে সংযুক্ত থাকে। প্রকৃত অর্থে, আকাশে বীজ রোপণ করার ইচ্ছা করলে, আকাশে তো বীজ রোপণ করা সম্ভব হবেই; আকাশের উপরে যদি কোনো আকাশ থাকে সেখানেও কিছুটা স্পর্শ করবে । কারণ দৌড় প্রতিযোগিতায় লক্ষ্যে পৌছনোর পরও দৌড়াতে হয়।
- ফল বীজের চেয়েও বয়সে বড়, বড় অভিজ্ঞতায় কিন্তু প্রাজ্ঞতায় নয়। কারন ফল প্রাজ্ঞ হলেই আরেকটি বীজের জন্ম দিতে পারে। সব ফল বীজের জন্ম দিতে পারে না।
- মানুষ মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য বহুরূপী বহুরকমের নামসেতু ব্যবহার করে— কাকা, মামা, ভাই, দাদা, বোন, মাসি ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ যে পশুকে গালি হিসাবে ব্যবহার করি আমরা সেই পশুপরিবারে কোনো রকমের নামসেতু নাই। পশুকে খাবার জমা করার প্রয়োজন হয় না, আবার অতিরিক্ত খাবার খেয়ে হাসপাতালেও তাকে যেতে হয় না। মানুষ যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন ভালো থাকার অভিনয় করে আর পশুরা যতদিন বেঁচে থাকে বেঁচেই থাকে
- অসুস্থ লোকের অভিমানও অসুস্থ
- বনের বাঘ প্রকৃতির অংশ। মনের বাঘ ভয়ের অংশ। ভয় কিন্তু রোগ নয়, রোগের জননী। ভয়ের সাথে থাকলে বউ থাকে না। বউয়ের সাথে থাকলে ভয় থাকে না। বাঘ হলে বউ বাঁচে না। Forest tiger is the part and parcel of the nature. The tiger in mind is the forefront part of the afraid. Afraid is not a disease but the mother of the disease. The wife dislikes the coward. Every man is Napoleon when he is with her women. When one is a tiger, one’s wife expresses revulsion onto one’s.
- যে এলাকার কলা ছোট সেই এলাকার বউরা পরকীয়া করে
- ওরাও হাগু করে, ওদের হাগুর নাম অক্সিজেন
- পশ্চিমবঙ্গের তারা জীবনের অনেক উপরে রাজনীতিকে ঠাই দিয়েছে অথচ রাজনীতি হওয়ার কথা ছিল জীবনমুখী
- শব্দ বিভ্রান্ত করে তোমাকে, আমাকে, সবাইকে। শব্দ অনেকটা কালিদাসের গল্প– যে ঢালে বসে সেই ঢালই কাটে। শব্দ বিভ্রান্ত করে তোমাকে, আমাকে, তাকে। বাস কিংবা ট্রাক নয়, কিছু শব্দ তেড়ে আসে আমার দিকে, আহত করে, হতাহত ভোরে পড়ে থাকে নিথর দেহ, সোপার্দ আলোর নিজস্ব কামড়ায় নিশ্চল হতে বাধ্য আমার কাস্তেগার দেহ। হায়রে দেহ, দেহরক্ষী আমার।
- পৃথিবী থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত, রক্ত দরকার তার বারবার