চলন্ত ট্রেন কখনো জানে না তার গতি কতটুকু তোমার চলন দেখে আমাকে থামতে হয় ভাবতে থাকি নাপা কিংবা প্যারাসিটামলে চলবে কিনা কিন্তু না তুমি হালুবালু পথচারী, ক্রনিক রোগীর মতো হাউসে চলো মিউটেশনে জন্ম দাও অগোছালো মেঘ আমি তো পাহাড় নই, ছোঁয়ে যাবো তোমার শরীর তাই দূর্বাফুলে চোখ রেখে আয়ুর ইতি টানার সিদ্ধান্তে অটল ভাসমান মেঘ কিংবা কম্পনজনিত আবেগে নয় উপসংহার: তোমার মনের হাসপাতালে অনেক রোগী আমার দেশে ডাক্তারের ক্রাইসিস
Month: May 2021
হৃদয় মারা যায় হৃদয়ের অনিত্য ভুলে
বাতাসের শব্দ কানের কাছে এসে ঘরের কথা বলে মানুষের গান চড়ুই পাখির মতো একলব্য সত্যাগ্রহ লাল আলো সামনে সবুজ বাতি আরেকটু সামনে পেছনের সিটে প্রজন্মের ডাক সূর্য থেকে আজকের পৃথিবী, ধার্মিক বলবে অন্য কথা রূপকথার মতো তবু কানের কাছে ঘেনঘেন সবুজ পাতার নিচে দোয়েলের দাম্পত্য প্রজাপতি মারা গেলে কবর দিও ফুলে হৃদয় মারা যায় হৃদয়ের অনিত্য ভুলে সামনে ফুল তার যথারীতি পেছনে হৃদয়ের ভুল তার একটু সামনে সমবায় ডাহুক কামুক ডাহুকের যৌবন জল গলাবাহিত স্রোত একদিন একদিন করে জন্ম দেয় পানাফুলদল— ধার্মিক বলবে অন্য কথা কদমফুল ধরতেই পারি না প্রিয়তমা হাসতেই পারে না ভোগের ইবাদত বসে ঘরে বাইরে মার্কেটে কিংবা প্রেমিকার একান্ত মনের ইচ্ছারুমে মন ন বুঝে তুমি মন ন বুঝায় আমি আমাদের এখন ন বুঝার সমবায় কাল তবু কানে যেন বাজে দানে দানে পে লেখা হে খানেওয়ালাকা নাম ট্রেন লেইট করে ট্রেন লেইট করলেও স্টেশনে থাকা যাত্রীবাহী কাম
পেটুক বাবাজী, অভুক্ত ভক্ত
সবাই বলে বাবাজী অল্প খায়। আমিও তাই দেখি। কিন্তু বাবাজী না খেয়ে স্বাস্থ্য এতো ভালো রাখেন কীভাবে? সারা শরীরে শুধু মাংস আর মাংস। টুল মাংস মিনিমাম আশি কেজি তো হবেই। অনেক ভক্তপ্রাণ মুরিদও বলে বাবাজীর খেতে হয় না। বেশি খেলে আত্মা মারা যায় এমন ওয়াজ বাবাজীও করেন। ধরেই নিয়েছি জান্নাতের সাথে বাবাজীর সরাসরি যোগাযোগ আছে। জান্নাতী খাবার অল্প হলেও হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ। আল্লার ফেরেশতা নিশ্চয় খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন মেশায় না। আমারও ফরমালিনমুক্ত খাবার খেতে তীব্র ইচ্ছা। তাই বাবাজীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করলাম। তাঁর সাথে সাতদিন ছিলাম। আমার শরীরের মাংস দুই কেজি বেড়েছে। তাহলে কী বাবাজী আমার জন্যও জান্নাতের রেস্টুরেন্টে খাবারের বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন? অবশ্য, কেন নয়! দয়াল বাবা কেবলা কাবা! তবে দয়াল বাবার জান্নাতের নাম সাধারণ মানুষের বিশ্বাস। দয়াল বাবা সরল মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে শরীরের মাংস
ক রো না বি ন তে কো ভি ড উ নি শ [প্রথম পর্ব]
covid-19! Co থেকে করোনা Vi থেকে ভাইরাস D থেকে ডিজিস। আর ১৯ মানে উনিশ সাল। নোভেল করোনা ভাইরাস অথবা কোভিড উনিশ। নোভেল মানে নতুন। করোনার বিশেষ কোনো অর্থ নেই। তবে করোনা শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ক্রাউন শব্দ থেকে। ক্রাউন মানে মুকুট। কদম ফুল বাংলার বর্ষাকালের চোখশান্তি। এই কদম ফুলের মতো করোনা গনের চীনের উহানে আক্রমন আনে দুই হাজার উনিশ সালের ডিসেম্বর মাসে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মেহমানদারি অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে করা শুরু করে দিয়েছেন যখন কদম ফুল বাংলার আকাশে বাতাসে। এই ভাইরাস যখন গনের চীনের মানুষকে হতাশায় ফেলে দিয়েছে তখন পৃথিবী তাদেরকে নিয়ে মজা করায় ব্যস্ত। এখানকার আলেম সমাজের কাছে তখন ওহী আসতে শুরু করে দিয়েছে যে চীনে মহান আল্লার গজব নাযিল হয়েছে। তাদের মতে আল্লার আর কোনো কাজ নাই— গজব আর রহমত বর্ষন
পথধূলার মানুষ আমি
সাক্ষাৎও এক তৃষ্ণার নাম
আজ শুক্রবার, আরেকটা ছুটির দিন, আরেকটি মিলনের দিন কিন্তু আজকের আকাশে এতো মেঘ কেন, কেন এতো গর্জন? সুন্দর আকাশ কেমন চমৎকার ফ্যাকাসে হয়ে আছে, বৃষ্টি হলেই পারে, কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না, হচ্ছে না তো হচ্ছে না! জলিমা, মেঘলা আকাশ কেন আমার মনের উপর ভর করেছে? কালো নীল শাদা মেঘে ভরে গ্যাছে আমার আকাশ, বৃষ্টি হলেই জলের নদীতে হাসফাঁস করে শোকসমগ্রকে বিদায় জানাতে পারতাম, বৃষ্টিও মৃত্যুর মতো অপেক্ষাকারী প্রিয়তমা ধৈর্যের অসুর, কান্দি কাটি চোখে জল নাই তো জল না! সাক্ষাৎও এক তৃষ্ণার নাম, এক হৃদয়ঘটিত সুখের নাম! জল না পান করে থাকা যায় কিন্তু সাক্ষাৎ না করে আমি যে বাঁচতে পারবো না! জলিমা, ক্যামনে থাকো তুমি আমি বিহনে, তোমার হৃদয়গাছে কী একবারও আমার প্রেমবাতাস স্পর্শ করে না? চলে আসো সব ছেড়ে, চলে আসো এই অধম গরীবের ঘরে, তুমিআমি মিলে
বাওনবাইরার ভাষা [ ৩ ]
কইতারিনা আমি = বলতে পারি না আমি মতলব = ইচ্ছা, অভিলাস কনদা নামবা = কোন দিক দিয়ে নামবে সুন্দর অইবো = সুন্দর হবে থিরি= তৃতীয় কমু আমি = আমি বলবো যাই ত = হুম, যাই আইফুরমু = আসবো ছক্কা খেলা = লুডু খেলা নিচে যা = নিচে যাও চারহি = চাকরি চিললান = চিৎকার লেম্বু/ লেম্বু= লেবু কিএললাইগ্যা = কী কারণে লেং দেয়া = কৌশলে পা দিয়ে পায়ে আঘাত বেততমিজ = বেয়াদব ছাইরা দে = ছেড়ে দাও ( তীব্র রাগ এবং আকুতি প্রকাশ) আইচ্ছা = ঠিক আছে পাকনা= পরিপূর্ণ পাকা, অকাল পক্ক পাকনামী = অতিরিক্ত পাণ্ডিত্য প্রদর্শন গাডা = আঙ্গিনা ~ বাড়ির গরু গাডার ঘাস খায়না = কোনোজন নিকটজনকে গুনীজন হিসাবে মূল্যায়ন করে না। [ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আঞ্চলিক ভাষা] দ্বিতীয় পর্ব: বাওনবাইরার
স্বাধীনতার মানে
গল্পটা বলা যেতে পারে। গল্পটা অনেকটা ধূসর রঙের, ধূসর রং কেমন করে লাল রং, লাল রং কেমন করে সবুজ রং মানে পৃথিবী হয়ে ওঠে গল্পটা অনেকটা তেমন। তাহলে বলছি। আমি তখন গ্রামে থাকি। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। স্বাধীনতার অনেক গল্প শুনি। কিন্তু স্বাধীনতার মানেটা বুঝে ওঠতে পারি না। স্বাধীনতার মানে যখন বুঝি না গল্পটা তখনকার। পিয়ারা গাছের নিচে সাবান রাখা। সাবানটা জালি দিয়ে মোড়ানো। জালি মানে একধরনের চিকন জাল যা দিয়ে গ্রামের মানুষ শরীর ঘসে ঘসে ময়লা সাফ করে। সাবানের প্রতি কাকের এক বিশাল আকর্ষন রয়েছে। বাঙালি সমাজে যেমন খিচুড়ি প্রিয় কাক সমাজে তেমনি সাবান প্রিয়। এক ছোঁ দিয়ে কাক সাবানটিকে গাছের ঢালে নিয়ে গেল। নিয়ে খুব মজা করে সাবান খাচ্ছে তো খাচ্ছে। জালি প্রথমে কাকের ঠোঁট দখল করল, তারপর মাথার পুরোভাগ। এবার
মারামারি-গলাগলি
এই জীবনে অনেককেই অপছন্দ করি কিন্তু কাউকেই শত্রু ভাবি না। কাউকে শত্রুভাবার শিক্ষা আমাকে দেয়া হয় নাই। ছোটকালে অনেক শয়তানি করতাম কিন্তু মারামারি করি নাই। নিরীহ কারনে আমার মামাতো ভাইয়ের সাথে মারামারি করতাম। সকালে মারামারি করলে দুপুরে গলাগলি করে গোসল করে একসঙ্গে খাবার খেতে বসতাম। তাই আমাদের মারামারি ছিল আমাদের সম্পর্কের আরেকটি অবিচ্ছেদ্য অবয়ব। কখনো যদি বাইরের কারো নামে আব্বার কাছে বিচার দিতাম আব্বা উল্টো আমার বিচার করতেন। আব্বা বলতেন, ‘কাডে গুনে ধরলে গুনের দুস নাই দুস কাডের।’
উপলব্ধি
মাই টিভির সামনে সমির চা-স্টল। চা-স্টল হলেও সকালে নাস্তা তৈরি করা হয়। বাংলামোটর দিয়ে যাচ্ছি, চায়ের তৃষ্ণা পেয়েছে বেশ। চা খেতে আমি সমির চা-স্টলে। চা দিতে যথেষ্ট লেইট করছে। মামা, চা খেতে মক্কা যাওয়ার সময় লাগবো নাকি? বহেন, লেইট অইবো। তাড়াতাড়ি দাও। সইয়া-রইয়া খাইতে চাইলে বহেন নতুবা চলে যান। আমার উপরে এমন কথা! ওর সাহস দেখে অবাক হলাম। আবার ভাবলাম মূর্খ মানুষ অধিক সাহসী হয় [হাতি ঘোড়া গেল তল/ভেড়া বলে কত জল]। আমার ডান পকেটে Ak47, বাম পকেটে যে বাংলাদেশ ব্যাংক থাকে এই খবর হয়তো সমিরের নেই। উঠে চলে আসছি এমন সময় একটি শব্দ কানে আসে— যতসব বেহুদা মানুষ। মাথাটা আর ঠিক রাখতে পারলাম না। সমিরের মাথাটা হাসপাতালে পোস্টিং করে দিলাম। তার ফাটা মাথা এখন হয়তো চিন্তা করতে পারবে বেহুদা মানুষ