
আল্লা ফেরেশতা বানাইলেন। ফেরেশতার ভালো কাজ ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার কাজ করার ক্ষমতা নেই।
আল্লার সামনে শয়তান নিজের অবস্থান শক্তিশালী করে। শয়তানেরও খারাপ কাজ ব্যতীত অন্য কোনো কাজ করার ক্ষমতা নেই।
আল্লা মানুষ বানাইলেন যারা সবকিছু করতে পারে— ভালো কিংবা মন্দ অথবা মন্দ ভালো। তাইতো আদম-হাওয়া পরাধীন জীবন পছন্দ করে না, পছন্দ করে না সি সি ক্যামেরা। বেহেশতে সি সি ক্যামেরা আছে— যাকে সবকিছু করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সে কী নিষেধ মানে! হাওয়া-আদম গভীর প্রেমে ব্যস্ত— তার পাখনায় তার পালক, তার পালকে তার রক্তের স্পন্দন। সি সি ক্যামেরায় তাদের দেহজ প্রেমবাক্য রেকর্ড হয়। আল্লা তাদের ডাকলেন এবং স্বাধীন ভূমি পৃথীবিতে পাঠাইলেন।
আদম স্বাধীন মনে কান্দে কেউ তাকে সান্ত্বনা দিতে আসে না, হাওয়া চোখের জলে বুক ভাসায়— কেউ টিসু প্যাপার নিয়ে হাজির হয় না।
পৃথিবী আদম একজন মানুষকেই চিনে— হাওয়া,
হাওয়া একজন মানুষকেই চিনে— আদম।
চেনা মানে তো চোখের ও মনের অভ্যাস। আদম- হাওয়া ততদিনে দেহমন আস্বাদন স্বাদ লাভ করিয়াছে—
অভ্যাসের অমৃত স্বাদ ছাড়িয়া তারা বনে বনে ঘুরে,
পূজা পেয়ে আল্লাতালা দেয় মিলন দুজনে।
দুজন পৃথিবীময় জীবনযাপন করতে থাকে— যা মন চায় তাই করে কারনে অকারনে। এক এক করে তাদের জীবনে আসে অসংখ্য জীবন— হাত, মুখ, চোখ, বাম পাজর সমেত প্রাণী।
আজকের পৃথিবী আদম-হাওয়াময়। আজকের পৃথিবীতে আদম বানাইছে সিসি ক্যামেরা আদমকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য।
এইভাবে পৃথিবী ধীরে ধীরে জান্নাতের মতো দেখাবে যেখানে সবকিছু সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রন করবে মালিকপক্ষ যারা থাকবে সমস্ত নিয়ন্ত্রনের বাইরে