এরা কী মানুষ হাত কান নখের মতো সূর্য দেখা যায় কারা এরা যারা জোয়ারে জোয়ারে নেমে আসে অভিনয় করে পানসে নদীর তীরে কুয়াশায় কতিপয় আজাইরা বকবক কুয়াশায় কতিপয় হেমলক কুয়াশায় কতিপয় মুখ শান্ত হবার কিছু নেই, ছিল আছে থাকবে এমন জাতীয় আশা লাইটের পেছন থেকে দেখানোর অভ্যাস ওফেলিয়ার মৃত্যু সহজে মানুষকে বিশ্বাস করে, আড়ালে গেলে ঠিক শব্দটি অনেকটা বেঠিক মাঝির শেষ ঠিকানা ফ্রি টিকিটে পাওয়া যেতে পারে, একেবারে ঠিক দুজন হলে, তিনজনের ভেতরে ঘোলাটে হৃদয় কারা তারা জলের গায়ে হেঁটে চলে আলোকিত হত্যার ভোরে অনেক মিলিত শোক একজনের এক মুহূর্তের বৃষ্টির সমান নহে, বর্শার মাথায় শীত নামে কালে কালে— মাটির কাছে মাটি গেলে মানুষ শব্দটি কোথায় থাকে, কোথায় থাকে— এরা কী মানুষ তবে নখের মতো যাদের হৃদয় মুখ কথা আলো শেষ হলে চোখ অপেক্ষা করে নীরবতার, দ্বীপের সবপাশে এখন গভীর অন্ধকার
Day: April 16, 2021
মানুষ মারে মানুষ বাঁচায়
জীবনের সব স্তর শেষ হয়ে গেলে বনলতাপৃথিবী কাছে আসে, কাছে এসে বলে এতোদিন কোথায় ছিলেন? সব সুখ উড়ে যায় বাতাসে— প্রচন্ড ব্যথায় আকাশও বুক খুলে বসে, গোপন গল্পরা রাতচোখে সবুজ আনে বনঘাসে। নরম মাংসের মতো হৃদয়ের গভীরে হাঁটে চাঁদের বাজার— মানুষ মানে একটা হাইফেন একটা নিছক কাগজের মেলা। অনেক অল্প অভিধানে মাথার ভেতর খেলা করে শব্দের পিকনিক, অবস্থান ত্রিমোহনী সুরে বাতাসের পরিবারে কালভার্ট আঁকে— মানুষ মারে মানুষ বাঁচায়। ধর্মঢাল চোখের আগে চলে রোবটের মতো— রাত নাই ভোর নাই দুপুর নাই এক কথাতে সারাক্ষন। ভয়ের বাজারে একমাত্র দ্রব্য পরকীয়া পরকাল, ভয়ের বাজারে ডানাকাটা পরী উড়ে আকাশে বাতাসে কারনে অকারনে জ্বর হবে পৃথিবীর জ্বর হবে নিশ্চিত ভেসে যাবে ডানবাম বৃক্ষ পাবে যমুনার চর সবুজ হবে কালাচাঁন
যে তুমি রোদের তলে
আমি তোমারে মনে মনে ডাকি তোমার মন বলে কিছু আছে নাকি যে কাল গ্যাছে নদীর জলে যে তুমি এখন রোদের তলে যে ফুল হাসে সূর্যের তালে— তাদের সাথে চকিত হৃদয়ের কানাকানি হয় নাকি আমার আকাশে প্রতিদিন একটি পাখি আসে, একটি ঘর আসে, একটি পালতোলা নৌকা আসে, যৌবনা কামনার বর্ষা আসে, পিকনিকমাখা নদীর তীর আসে সাথে আসে উদাম এক বাউল চর… আমি আঁকতে থাকি কেবল তোমার ঘর, তোমার সাইকেল, তোমার পাঠানো ফেইসবুক ইনবক্স এমন করে দিন চলে যাবে, চোখে নেমে আসবে বুড়ো অন্ধকার, রাতকে তখন রাত মনে হবে না, জল ভাঁটফুল থাকবেনা শরীরে শরীরে, সূর্যের আলো আরও ধূসর, পরিপূর্ন চাঁদ আয়মামা সুখ হবে ডিমলাইট আলো ঘরে আমার সিসিফাস মন তখনো একটু একটু করে টেনে আনবে তোমায় প্রিয়তম সম্পর্কে, কসম জান ভাসবে ভালো আগের মতো করে
একটি লেনদেনের হিসাব
একদিন জীবনানন্দ দাশ কইলেন পৃথিবীর নাকি গভীর অসুখ। কথাটা শুনে অনেকক্ষণ আমার মন বিষন্ন ছিল। ইন্টারমিডিয়েটে যখন কাজল স্যারের অর্থনীতির ক্লাস করতাম তখন তিনি আমাদের বিশ্বাস করাতে বাধ্য করতেন বাংলাদেশের চেয়ে গরীব রাষ্ট্র আর হতে পারে না— কিছু দিনের মধ্যে বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে। স্যারের ক্লাস করার পর আমার আর কোনো ক্লাস করার ইচ্ছা থাকতো না। সাইকেলের তালা খুলে সোজা বাড়ি চলে যেতাম। বাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে লাঞ্চ করে এক ঘুম। ঘুম থেকে ওঠে সান্ধ্যকালীন হাওয়া মাথায় ঢুকার পর স্যারের ক্লাস নির্দ্বিধায় ভুলে যেতাম। কিন্তু এখন দেখি বাংলাদেশ অনেক ধনী রাষ্ট্র। ডেসটিনি হাজার হাজার কোটি টাকার আমানত নিয়ে দূরে কোথাও চলে যায়— বাংলাদেশের মানুষের কিচ্ছু হয় না। হলমার্ক কেলেঙ্কারিও হাজার কোটি টাকার হিসাব— তাও বাংলাদেশের মানুষের এক কেজি ইলিশ চার হাজার