জেগেই দেখি সকালটা নরম নরম। নরম নরম সকালে গরম পায়ে ক্লাসের দিকে গেলাম। আটটায় ক্লাস। ঘুম থেকে উঠলাম আটটায়। দুই-তিন মিনিটের মধ্যেই প্রাথমিক ফ্রেশ হওয়ার কাজটি শেষ। গিয়ে দেখি ক্লাস চলছে। তবে সামনের দরজা খোলা। অনুমতি না নিয়ে ঢুকে পরলাম। অনুমতি নেয়নি। অনুমতি নেওয়াও একপ্রকার বিরক্তিকর কাজ। তবে টিচার ক্লাসে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারে, অনুমতি সাপেক্ষে প্রবেশ করলেই বিষয়টি নান্দনিক। টিচার ক্লাস নেয়ার আগে আমাদের হাজিরা নেন। প্রতি হাজিরার জন্য টিচার ০.১৭ মার্কস বরাদ্দ রাখেন। আমরা তো মুনির জাত, তাই হাজিরা পেলেই সন্তুষ্ট। হাজিরা কি পরিমাণ দেওয়া হচ্ছে, কেন দেওয়া হচ্ছে, কী উপায়ে দেওয়া হচ্ছে— এই বিষয়গুলো ভাবনার সময় আমাদের নেই। ভাগ্যের সুযোগে একবার কয়েদি হয়েছিলাম। কয়েদ মানে একটি জায়গা যেখানে থাকতে বাধ্য করা হয়; সকাল-সন্ধ্যা হাজিরা ডাকা হয়। তবে সেখানে হাজিরার জন্য