ছোটকাল থেকে শুনে আসছি ধ্বনির সাংকেতিক চিহ্ন বর্ন। কথাটি আংশিক সত্য, অধিকাংশ সত্য নয়। কারন ধ্বনি একটি বিশাল এলাকা। আর বর্ন ছোট এলাকা, খুবই ছোট এলাকা। উপলব্ধি যখন সাগর ধ্বনি তার জল। ধ্বনির বৈচিত্র্য ভাষার মাধুর্য নির্দেশ করে। আবিষ্কৃত বর্ন প্রায় সময় ধ্বনির বৈচিত্র্যময় এলাকায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কারন বর্ন মৌলভি যারা আছেন তারা বর্নের প্রথাগত উচ্চারন জায়গায় একেবারে পাগড়ি পরে সুন্নতি লাঠি নিয়ে বসে তাহেন। ফলে মুরিদরা মনে করে বর্নের উচ্চারন শুদ্ধতা মানে ভাষার একেবারে গঙ্গাজল শুদ্ধতার জায়গা। যেমন, ফন একটি শব্দ। ফন মানে সুন্দর, সতেজ, পরিষ্কার, ফ্রেশ। ফন শব্দটি উচ্চারন করার জন্য প এবং ফ এর মাঝে আরেকটি বর্ন আবিষ্কার করার প্রয়োজন। কিন্তু বাংলা ভাষায় সেই বর্নটি নেই। পৃথিবীর অনেক ভাষা পৃথিবীর অনেক শব্দ নিতে পারে না। এখানে ভাষার সীমাবদ্ধতা,
Month: March 2021
রহস্যের পথে দেখা হয় রোজ
আমিও কল দিয়েছিলাম ফোন বন্ধ ঘরের আলো নিভে গ্যাছে পাহাড়ি নদীর ডানহাতে জানালা ধরে নেমে আসছে চাদের বাসন্তী ঘ্রান একটা সন্ধ্যা একটা বিকাল একটা সকাল একটা সূর্যের মতো ভূতপূর্ব অভূতপূর্ব সময় আমি কল দিয়েছিলাম ফোন বন্ধ নদী দেখার ইচ্ছে কালো শাড়ি লাল টিপ কালো ব্লাউজ হাতে সবুজ রঙের কুচকাওয়াজ শঙ্খচিল মন আকাশে উড়াল দেয় রোদের ডানার মতো আকাশেও তুমি নেই বাতাসে নেই তোমার গন্ধ কথাতে নেই তোমার কম্পন চোখে নাই তোমার ঝনঝন দৃশ্য মনে মনে সারাদিন কলমন তোমার মনে ওয়াইফাই করি মনে মনে বেচে যাই আমরা শরীরে বেচে যায় মৃত্যু হলুদ আলোর সাথে বিয়ে দেই নীল আলোর অভিসারে যায় ব্রাউন সন্ধ্যার বেগুনি সকাল ফোনকলে কথা বলিনা কতকাল কতকাল তোমার মিষ্টি কন্ঠ আমার নিউরনে আমার নিউরনে চুমুভাস্কর্য স্থাপন করে না সাওম রোযার দেশে আমিও কাফির মুসাফির ইশারায় ডাক দিয়ে দেখো রক্তেমাংসে হবো হাজির কল দিয়েছিলাম মোবাইল ব্যালেন্স শেষ হওয়ার শত বছর আগে ফোন বন্ধ শতবছর পর দেখা হলেও বলবো ‘ভালোবাসি’ তোমার জন্য আমি বাচি আমার কথা
লাল মাটির পৃথিবী
লাইব্রেরি। লাইব্রেরির পাশে মেলার মাঠ। ভাষা ভবন। ভাষা ভবনের পাশে মেলার মাঠ। মেলার মাঠের কোনায় কোনায় তাদের আড্ডা। আড্ডায় বসে তারা বিলি করে দেশবিদেশের চরিত্রের সনদ পত্র। কে ভালো কে পাপী কে পন্ডিত মশাই কে মাস্টার মশাই কোন দাদার সাথে কোন দিদির টক কিংবা ঝাল সম্পর্ক তা এখানে বসে জানতে পারে বিশ্ব। অথবা ইহা শান্তিনিকেতনের ভাসমান নিউজরুম। এই নিউজরুমের কোনো প্রকার পরিবর্তন হয় না। প্রতিনিধি বদলায় কিন্তু নিধিরাম আচরন বদলায় না। অধ্যাপক বাবু দুবছর আগে যেমন করে রাস্তা মেপে মেপে হাঁটাচলা করতেন, এখনো করেন, এখন শুধু তার চোখের নিচের আকাশে ফন একখান স্বপ্নের জন্ম হয়েছে, বাবা হলে প্রত্যেক পিতার এমন একখান ভাবধাম আসে। অর্কিড বন্ধ হয়ে গ্যাছে। অর্কিডের আচরন নিয়ে শান্তিনিকেতনে মাস্তানি করছে আড্ডা। আড্ডায় জন্মদিনে লাল নীল হলুদ কালারের প্রেম খেলাধূলা করে, ভালোবাসা
রাজকোষ ও লাঠিয়াল
রাজ্যে নতুন আইন হলো। এক রাজ্যে। অবশ্যই সেখানে এক রাজা ছিল। একদা এক রাজা ছিলেন। রাজ্যের আয়তন খুবই ছোট ছিল। এক লক্ষ সাত চল্লিশ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মতো। জনসংখ্যা ছিল খুবই কম। মাত্র বিশ কোটি। যেহেতু আয়তন ও জনসংখ্যা খুবই কম ছিল সেইকারনে প্রজাদের খাবার রাজকোষ থেকেই দেয়া হতো। রাজা নতুন আইন করেন। আইনে বলা আছে সকালের নাস্তা প্রজাদের দেয়া হবে না। রাজা মনে করেছিলেন তিন বেলার খাবার খেয়ে প্রজারা শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান হয়ে যেতে পারে যা তার আসনের জন্য হুমকি স্বরূপ। কিন্তু রাজা প্রেসব্রিফিং করে জানালেন অন্য কথা। রাজা নাস্তা বন্ধ করার ব্যাপারে যে কথা জানালেন তা আপনাদের না জানলেও চলবে। আমাদের মসজিদের হুজুর বলতেন ‘সব কথা জানতে নেয়, সব কথা বলতে নেয়।’ কেউ কেউ রাজার নতুন আইনকে ভগবানের আইন বলে