আমি। একটা সময়। খুব অসুস্থ থাকতাম। অসুস্থতা বলতে বড় ধরনের কোনো রোগ না। খুচরো রোগ। বারো মাসের মধ্যে চব্বিশ মাসই আমার ঠান্ডা লেগে থাকতো। পারত আমি এলোপ্যাথী চিকিৎসা করি না, হোমিওপ্যাথিতে আমি আস্তিক। একবার আমার জ্বর হয়েছিল। খুব জ্বর। একশত চার ডিগ্রি। তারপরও আমি এলোপ্যাথী চিকিৎসার কাছে বায়াত গ্রহন করেনি। হোমিও চিকিৎসা আমার মুর্শিদ। হোমিও কখনো রোগের চিকিৎসা করে না, হোমিও রোগীর চিকিৎসা করে। রোগীর চিকিৎসা বলতে মানসিকতার চিকিৎসা। হ্যাঁ আমি বলতে চাই বনের বাঘে মানুষকে খায় না মনের বাঘেই খায়। বনের ক্ষুধার্ত বাঘ যে মানুষকে পেলে খাবে না এমনটা না, পেলে অবশ্যই খাবে। রোগ মানে মানসিকতার বিশৃঙ্খলা। ঔষধ মানেও বিশৃঙ্খলা, প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা। প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলাকে শারীরিক বিশৃঙ্খলা ধবংস করার জন্য পাঠানো হয়। যদি দুটি বিশৃঙ্খলা সমজাতীয় হয় তখন একটি আরেকটিকে বিকর্ষন করে মানে
Month: March 2021
কবিতার মানুষ, মানুষের কবিতা
সাগর, মহাসাগর। সংখ্যার বাঁধনে বাঁধা যায় না এমন অ-বলা, অবর্ণনীয় জলরাশি বুকে পিঠে ধারণ করে তাদের দিনযাপন। প্রতিটি জলকণার জীবন, মনন, প্রকৃতি, প্রত্যয়, জীবনবলয়ের অব্যয় ভিন্ন থেকে ভিন্নতর কখনো কখনো ভিন্নতম। কখনো এক জলকণাবর্গের সাথে অন্য জলকণাবর্গের প্রচণ্ড তর্জন, গর্জন, আন্দোলন হয়ে থাকে। তার ফলস্বরূপ জন্মগ্রহণ করে তৃতীয় একটা দৃশ্যমান কিছু- ফেনা- তাই কবিতা । আর কবি হলেন সেই ব্যথা, কথা, প্রথা যিনি বুঝেন কখনো কখনো বোঝান। তবে কবি কখনো গৃহ শিক্ষকের মতো বোঝানোর উদ্দেশ্য কলম ধরেন না। তাঁর কলম কথা বলতে আরম্ভ করে যখন চিন্তার গোলায় আগুন লাগে। আগুনের দুটি রূপ— আলো, তাপ। কখনো তাপের তাড়নায় কবি লেখেন আবার কখনো আলোর ঘ্রাণে লেখেন। কবির লেখা মূলত অন্তরে চাষকৃত সম্প্রসারিত আগুনের অনুপ্রকাশ। আবুল হাসানের কবিতায় যখন পায়চারি করি তখন মন বলে
আমি ভাসমান পথিক
পাখিরা জাহাজে উঠেছে জাহাজ যৌবনের প্রতীক বন্দরের রাবণরা খুব বেশি ভয়ানক আমি ভাসমান পথিক পাখি হলাম না, মাছ হলাম না, না হলাম ভয়ানক পুরনো মোড়কে আমি আধুনিক আদম মন বিলিয়ে বানিজ্য করি নিত্য সত্যচরাচর চকচকে আয়নায় তেলকাড়া হাসি রুমালে বাধাই তাইতো মদ হবো কাচা মদ সারা শরীরে দেশীয় আমেজ মাতাল করে গান শোনাবো পৃথিবীডা পাগলামির ইমেজ
শুভতম রাত্রি
শুভতম রাত্রি! তাইতো ভালো, শুভরাত তোমার প্রতি শান্তিতে বুজে আসুক তোমার চোখের পাতা শান্তির অবিরল ধারায় অভিসিক্ত হোক অভিসিক্ত হোক ভাবীকালের সোনালি দিন! যেখানে আমার আমির অবস্থান সেখানে নেই স্থিরতা ঘুমের আয়োজন আমার কাছে বৃথা অন্ধকার মোড়কে ঢাকা স্বপ্ন-সফলতা বিদায়ী ভাষণ-পৃথিবীতে যাব না আবার যাব না সেখানে যেখানে সূর্য ডুবে গেলে সময় থেমে যায় Θ স্যার হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও Θ
পরিশ্রমের সামান
মাঝি নৌকা চালাবে— চালাও। ঘাটে বসে আছে মহাজন কাহা। পাই টু পাই আদায় করবে পরিশ্রমের সামান। পরিশ্রমে কোনো কালে ধন আনেনি। ধন বাবাজী কিসমতের খেলা। কে কত ঠকাতে পারে সেই কিসমত। কিসমত একবার বাজিমাত হলেই ঘাটে বসে থেকে থেকে টেহা আর টেহা, পান চিবানো টেহা। মাঝি, তোমার ঘামের তেলে যে বৈঠা চলে সেই বৈঠার মূল্য কোথাও নাই— ঘাটে, মাঠে, পথে, রথে এমনকি তুমার ঘরেও না। মহাজন তুমারে হাটাবে, বলদের মতো হাটাবে। তারপর কইবো যাও বলদ গোয়ালে গিয়ে একটু রেস্ট নাও, বনের রেসিপি দিবে। বন খেয়ে খেয়ে মাঝি আবার ঘুমাবে, ঘুম থেকে ওঠে দেখবে গামলাই পড়ে আছে হাজার বছরের ঐতিহ্য— ভাতের ফেন।
এখন তুমি ঘুমাও
যো ন হৃষ্যতি ন দ্বেষ্টি ন শোচতি ন কাঙহ্মতি। শুভাশুভপরিত্যাগী ভক্তিমান যঃ স মে প্রিয়ঃ।। রাত অনেক গভীর। ফেনোবারবিটন। গভীর এক বেদনাবোধ কাজ করে মনে। রাত অনেক গভীর। ঘুমিয়ে যাওয়ার কথা। ঘুমানো হচ্ছে না। সকাল হবে। সকালের চেয়ে ভোর শব্দটি দ্যোতনাময়, আশাবাদী। ভোর হবে। অনেকদিন হলো একটি তাজা ভোর দেখি না। রাতের আকাশে অনেক তারা। আকাশে অনেক তারা হলে একদল নদী চোখে আসে। আজকের আকাশে চাঁদও বেশ সুন্দরী। মনে আমার অমীমাংসিত বোধ কাজ করে। অমীমাংসিত বোধে প্রশান্তি হাঁটতে আসে না, পরবাসী কেউ তো আরও সাহস পায় না। আজকাল মানুষকে ফেনা মনে হয় যা ঢেউফল। অথচ ফলাফলের আশায় অনেকদিন ধরে বসে আছি ডাকঘরে— চিঠি আসবে সবুজ খামে সবুজ কালিতে পাতায় পাতায় বেলুনের কারুকার্য। চিঠি আসে না— ইহা আধুনিক সময়। এখন কেউ ডাকপিয়নের কাছে অপেক্ষা জমা রাখে
মধ্যমদের রোগ
মধ্যমদের রোগের নাম হারানো রোগ। তারা হাসতে গেলে ভাবে এই বুঝি হাসি চুরি হয়ে গেল, প্রেম করতে গেলে ভাবে এই বুঝি মানুষ জেনে ফেললো, বাজার করতে গেলে ভাবে এই বুঝি হেরে গেলাম, বন্ধুর সাথে স্বাভাবিকভাবে মিশতে গেলে ভাবে এই বুঝি সংসার নষ্ট হয়ে গেলো। কথা বলতে গেলে ভাবে এই বুঝি হাজার বছরের (মানে পিতা এবং পিতার বাবার কাছ থেকে পাওয়া) জনপ্রিয়তা মারা গেল একেবারে মাঠে মারা গেল। গেলো গেলো। একেবারে গেলো। মধ্যমদের হারানো রোগের ভাইরাসের নাম ‘দেখে ফেললো, দেখে ফেললাম’। তারা মেপে মেপে কথা বলে, তাদের কাছে জীবনের ইঞ্চি ইঞ্চি মাপ। মাপতে মাপতে তারা জীবন ভুলে যায়— মাপের ভেতর তাদের জীবন ঘুরপাক খায়। আর উপরওয়ালাদের সে এক দারুন রোগ— ‘তালগাছটা তোমার না আমার’। নিচে যারা আছে তারা তো মহান— চাকার মতো কেবল ঘুরে আর
The supreme writes a stunning history
An angel has been a devil just for a flea-bitten business just for denying the authority. Authority having a strong power turns right into wrong. Always the supreme writes a stunning history (his story, not her story) of his winning time. So political opinion is personal most of the time, even the so-called doctrine. Sometimes opinion is a parcel bomb to make a grave of reality. Reality is you and me, and reality is false den sometime paranoia is also a reality when the reality is beyond the partner. So the devil is the device process of the mentality, Jimmy of the authority.
মানবচরিত্র
সনাতন। আমার গ্রামের ছোট ভাই। ঢাকা ব্যবসা করে। ইদানিং সে বিদেশেও ব্যবসা করা শুরু করেছে। ওর লগে আমার আবার হাতির টাতির একটু ভালো। ও আবার আমার ছাত্রও বটে। ও যখন প্রেম করতো তখন থেকেই আমার পরামর্শ টর্মাশ নিতো। বিয়ে করার আগে অবশ্যই আমার পরামর্শ লই নাই। কারন আছে। উনিশ বছরের সনাতন বিয়ে করবে অবশ্যই আমি মেনে নিতাম না। সনাতন আবার বউরে খুব ভালোবাসে। বউয়ের লগে ফেইসবুকে ছবিটুবি দেয়। সনাতন আর আমি যেদিন বাড়ি গেলাম সেইদিন গ্রামের এক জ্ঞানী টাইপের লোকের লগে দেখা। লোকটি সনাতনকে দেখেই বলে— ‘বউয়ের লগে ফেইসবুকে ছবি দেয়া ঠিক না, আর দিস না।’ সনাতন কথাটা নিতে পারেনি। সে বলে ওডে, ‘বউরের লগে ছবি দিমু না ত কার লগে দিমু, অন্য বিডির লগে তুইল্লা ছবি দিমু?’ ‘বলছি দিস না, বউয়ের লগে ছবি দেয়া