ট্রেন চলছে। নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনপূর্ণ মানুষকে কাঁঠালের কোষ, কাঁঠালের কোষ মনে হচ্ছে। ষাটোর্ধ্ব চাচা প্রতিবেশী শরীরে হেলান দিয়ে দাড়ানো। মায়ের গর্ভের মতো এখানে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা নেই। আন্ধার থেকে চুয়ে পড়া আলোয় কিছু মুখ, কিছু ইশারা সনাক্ত করা যায়। আড়িখোলা স্টেশন। মিস্টার লোকাল এখানে কিছুক্ষণ রেস্ট নেয়। স্টেশনমাস্টারের রুম থেকে আসা তীর্যক আলো অল্পের জন্যে হলেও রেলকামড়াকে উৎসবমুখর করে তোলে। চাচার আঙ্গুল তখন দাড়িএলাকায় নিড়ানির কাজ করে। কাহা কৈ যাইবা? ফেনি। কাহা, তোমার আব্বা-আম্মার দেয়া নামডা কী? বাতিজা, গরিব মাইনসের আবার নাম। তাহলে গরীব মানুষ আমৃত্যু কোনো দিন বুঝবে না, সে আসলে গরীব নয়? তাকে যে বোঝানো হচ্ছে সে বা তারা গরীব এই কথা সে কোনোদিন জানবে না? সূর্য জেগে উঠার আগে সে উঠবে না জেগে? তাদের নামের গর্বও কেড়ে নিবে রক্তচোষা ফানুস! এই ভাবনায়