ব্যথা মাথা থেকে আস্তে আস্তে নিচে নামে। এ কেমন ব্যথা! বুকের বাম পাশে একটি অদৃশ্য দহন। সাদা শাড়ি গলায় দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে যে নারী সেই জানে এ ব্যথা কেমন। চোখের জলে এই ব্যথা ধীরে ধীরে কর্মহীন হয়ে পড়ে। কর্মহীন ব্যথা আবার স্মৃতির পাতায় ঢেউ তোলে। ঢেউয়ের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মনে পড়ে আমাদেরও ছিল সোনালি সময়, লকলকে লাউয়ের ডগার মতো সবুজ এক সময়। ব্যথার সাগর পাড়ি দিয়ে বন্ধুর বাড়ি যাই, বন্ধু আমার বরফগলা শীতের দেশের সাঁই।
Day: March 23, 2021
কোনো এক বর্ষার রাতে
কোনো এক বর্ষার রাতে নদীর দারে কোনো এক ঘরে মাথার উপরে বৃষ্টির চাল— তোমাকে ডাকি যদি আসবে? জানালা চোখে ঢেউ দেখা যায় এক ঢেউয়ের উপর আরেক ঢেউ, আরেক ঢেউয়ের উপর অন্য কোনো ঢেউ ভাসবে? দুটি হাঁস ভাসতে ভাসতে ভুলে গ্যাছে বাড়ির ঠিকানা আমাদের ঘরে তখন একটানা বৃষ্টি, হিমশীতল বাতাস তুমি আসলে, ভাসলে, ভাসালে অনেকদিন পর তুমি অনেকের কথা ভুলে গেলে অনেকের কথা মাথায় নিয়ে তুমি হয়েছিলে মুদির দোকান আজকে তুমি শব্দটি আমার, কেবলই আমার, আজকে আনন্দ আমার বেদনার সমান
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রাত
রমজান মাস। ষষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। কিছু একটা করতে হবে। অবশ্যই ভালো কিছু। আত্মা সমৃদ্ধ হয় এমন কিছু। আমি কিছু করতে চাইলে কখনো আমার পরিবার আপত্তি করেন না। সেই কারনে আমার পরিবারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ইতেকাফ করবো। দশ দিনের জন্য। মসজিদে করতে পারি। কিন্ত মসজিদে যারা ইতেকাফরত থাকেন তারা পৃথিবীর বাইরে যেতে পারেন না। আমি পৃথিবীর বাইরে যেতে পছন্দ করি। এখনো আমি পৃথিবীর বাইরে চলে যাই দুই-একদিনের জন্য। পৃথিবীর বাইরে থেকে পৃথিবীকে যখন দেখি তখন কেমন যেন নিজেকে আলগা আলগা লাগে। রমজান মাসের বিশ তারিখ। ছোট্ট রুমটিতে বসে গেলাম। ইতেকাফরত দুনিয়াবি কথা বলা হারাম। দুনিয়াবি কথা তো দূরের বিষয় কথাই বলি না। একদিন একদিন করে পাঁচ দিন চলে গেলো। তারপর সেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। রাত শ্রেষ্ঠ হলে ভালোই লাগে, কারন অন্ধকার