জীব জন্তু জানোয়ার নয়, মানুষ সম্পর্কে তোমাকে সাবধান করছি। মানুষ তোমাকে ভালো থাকতে দিবে না, মানুষ তোমাকে খারাপ থাকতে বলবে না, মানুষ এখন পর্যন্ত আমার দেখা একমাত্র চিড়িয়া যাদের দেখতে চিড়িয়াখানায় যেতে হয় না। জীবন নামক তরকারিতে মানুষকে লবনের মতো ব্যবহার করতে শিখো যেনো তোমার জীবন-উত্তর শেষ পর্যন্ত তুমি দিতে পারো। কোনো মানুষকে তোমার কথা শুনতে বাধ্য করবে না। আমার কথা তুমি মানতে বাধ্য থাকবে না। কথাকে কাজে রূপান্তরিত করার আগে নিজের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ওপেন করে নিবে। নিজের চোখ সবচেয়ে বড় আদালত, নিজের মুখ সবচেয়ে বড় মার্কেট, নিজের হাত সবচেয়ে বড় গ্রুপ অব কোম্পানি, নিজের পা সবচেয়ে বড় মানবিক হাসপাতাল। নিজের চেয়ে কাউকে অধিক ভালোবাসতে যাবে না, পৃথিবীটা ভালোবাসার জায়গা নয়, দুনিয়াটা জাস্ট প্রয়োজনের জায়গা। কাউকে মুগ্ধ করার জন্যে হকার হয়ে উঠা
Month: February 2021
The notion of my motion
I was within a tableland. The name of my tableland is silence. Now I can walk, am able to utter. But I can’t stare at the tabor of my silence. The earth also cites me that he was also silent. And we were hers. I am puzzled and so on… Now I am the father of time being. An arena has been created for playing. But when, the field is acceded. I have been the player in confidence. Who says me a player? To be a player a ground is needed. Mind is the ever ground for that. He always sends a message to his nearest feelings. So he is a haberdasher so called. I call him alive partner. Alive means not only
ভালোই আছি দেশটাতে
আশেক, মাশুক আর মুরশিদের গল্প
মুসলমানরা এই সহজিয়া মাটিতে যেভাবে জায়গা করে নিয়েছে ওস্তাদ শব্দটি সেইভাবেই জায়গা করে নিয়েছে। ওস্তাদ শব্দটি ফারসি শব্দ। ‘ওস্তাদ’ যখন বিশেষ্য তখন শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় গুরু, শিক্ষক, প্রভু। দাউদ নবীর আবৃতি শুনে সাগর থেকে মাছ চলে আসতো। সপ্তাহে একদিন তিনি তার ধর্মগ্রন্থ আবৃতি করতেন। আবৃতির দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ। মাছধরা নিষিদ্ধ— কারন মাছেরা সম্মোহিত— সম্মোহিত প্রানিকে ধরতে নেই। আমিও সম্মোহিত প্রানি ছিলাম, আছি, হয়তো থাকবো। বারবার সম্মোহিত হয়ে আমি ধরা পড়েছি। সম্মোহনের স্থান, সময় ভিন্ন থেকে ভিন্নতর হয়েছে। কিন্তু সম্মোহিত হয়েছি এই আকাশের নিচে, চোখের সামনে কিংবা মনের ভেতর— কতবার যে সম্মোহিত হয়েছি আর বুকের ভেতর পানি শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতো রেখা চিহ্ন রয়ে গেছে তার দিকবাল বা স্মরনসভা আমার স্মৃতির আয়োজন সভায় এতটুকু মনে পড়ে না— ‘ব্যথা দিয়ে কবে কথা কয়েছিলে পড়ে
যেখানে কেবল দেয়াল গড়ে উঠে
বাংলাদেশের প্রধান প্রধান সড়কে ভ্যান চলে, বাস চলে, রিক্সা চলে, মোটর বাইক চলে, চলে আরো বিলাসবহুল গাড়ি। জগাখিচুড়ি রাস্তা। রাস্তা দেখেই বাংলাদেশের মানুষের মানসিকতা অনুধাবন করা যায়। জগাখিচুড়ি মানসিকতা। অর্থাৎ এখানে আদর্শের কোনো ঐক্য নেই। এখানকার মেয়েরা বোরখাও পড়তে চায়, আবার পার্কের অন্ধকারাচ্ছন্ন গাছের নিচেও বসতে চায়। আর ছেলেরা টুপি পড়বে, সারারাত ধর্মের কাহিনি শুনবে কিন্তু সকালে সালাত কায়েম করবে না। জনাব পীর সাহেব মোনাজাত ধরেন মানুষের মুক্তির জন্য যতটুকু তার চেয়ে বেশি নিজস্ব দল ভারী করার জন্য। পীর সাহেবদের মধ্যে শত শত গ্রুপ। হযরত মাওলাদের মধ্যেও শত শত গ্রুপ। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে ফতোয়ার উপর ফতোয়াবর্ষণ করতে থাকে, কাফের ফতুয়া। এখানে আছে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক ভাগে বিভক্ত। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক ভাগে বিভক্ত। এখানে
মহাকালের পথে অনন্ত সাধনা
একটা শব্দ আমরা যখন শুনি, আমাদের অনেকেরই ধারনা শব্দটা বাইরে হচ্ছে। বাইরে হয়তবা শব্দটা হয়। কিন্তু শব্দটা আসলে ভেতরে হয়। আমরা শব্দটা শুনি আমাদের ভেতরে। প্রশ্ন আসতে পারে, শব্দ যদি বাইরে না হয় আমরা ভেতরে শুনি কীভাবে? অনেক শব্দ বাইরে হয় আমরা ভেতরে শুনি না। কারন যে শব্দকম্পনগুলোর সাথে আমাদের অভ্যাস হয়েছে, বায়োলজিক্যাল রিদম সম্পূর্ন হয়েছে, ঐ শব্দগুলো আমরা শুনি। কারন কুকুর যে শব্দগুলো শুনে আমরা সেই শব্দগুলো শুনি না। কিন্তু বাইরে তো কুকুরের শোনা শব্দটা ঠিকই রয়েছে। আমি একটা খাবার খেয়ে খুব স্বাদ পেলাম। কিন্তু এই আমিই যখন অসুস্থ হয়ে যাই তখন কিন্তু এ খাবারের স্বাদটা আর পাই না। এর মানে কি? খাবারের মধ্যে স্বাদ নাই? অবশ্যই খাবারের মধ্যে স্বাদ আছে। আমার মধ্যে নাই। আমার মধ্যে নাই বিধায় আমি ঐ স্বাদ পাচ্ছি না।
গন্তব্য, প্রশান্তি বাড়ি
শীতের সকাল। স্নানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমিন ভাইয়ের ফোন। পরীক্ষা আছে কিনা জানতে চাইলেন। জানালাম পরীক্ষা নেই। বললেন বাংলামোটর অবস্থান করতে। জাস্ট এগারটায়। কারন জিজ্ঞেস করিনি। প্রশ্ন আসতে পারে কেন কারন জিজ্ঞেস করিনি। বন্ধু কখনো বন্ধুর কাছে ব্যাখ্যা চায়না। বন্ধু যদি ব্যাখ্যা দেয় তবে তা বোনাস। ব্যাখ্যাকে আমি ছোট্ট করে দেখছি না। ব্যাখ্যাবিদ যারা আছেন বিষয়টি তারা দেখবেন। এখনো আমি বন্ধুত্বের জায়গাটিকে উপলব্ধির আতুঁড়ঘর মনে করি, যেখানে কেরাবান-কাতিবানের প্রবেশাধিকার নেই। হল থেকে বের হলাম। প্রকৃতিতে পা রাখি। প্রকৃতি অপূর্ব একা। কুয়াশা আর রোদকে ব্লেন্ডারিং করলে যে দৃশ্যটি দেখা দিবে আজকে কিন্তু প্রকৃতির এমন অবস্থা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সামনে আমরা অবস্থান করছি। আমরা বলতে আমি, আমিন ভাই, জীবন চৌধুরী। গাড়ি নিয়ে আসতেছেন মিন্টু ভাই। জাপানি কোম্পানির গাড়ি। চার জনের কাফেলা। অবশ্যই অযান্ত্রিক গল্পে জগদ্দলও একটি চরিত্র। সেই হিসেবে পাঁচ
শান্তিবাতাস, তোমার ঘরে
সুখের সময় নাইবা পেলে পাশে দুখের সময় বজ্রপাতের সাথে একলা পথে হাঁটতে গিয়ে দেখো আলো হয়ে পথ দেখাবো রাতে আলোর সময় অনেক পোকা আসে আগুন হয়েও জলের মতো নাচে মাঘের শীতে তুমি যখন কাঁপো মেঘের বানে তুমি যখন ভাসো সব শালারা লুঙ্গি তুলে হাসে আমিও এখন হাসি সরল হাসি তোমার চেনা পথ ছেড়ে উল্টো পথে হাঁটি ভালো থেকো ভালো মতো বাজাও সুখবাঁশি শান্তিবাতাস তোমার ঘরে আসুক রাশি রাশি
প্রত্যেক পথ একটি ভ্রমনের কথা বলে
মাঠের পর মাঠ মাঠের পর মাঠ এবং মাঠের পর মাঠ। ট্রেন চলছে তো চলছে। আসামির মতো বসে আছে, শুয়ে আছে নিজ সিটে তারা। জানালার চোখ দিয়ে সবুজ মাঠে শাদা বকের মতো মন্দির দেখা যায়। শরৎ বাবুর কোনো উপন্যাসের কোনো একটি চরিত্র খুব মনে পড়ছে। আকাশ হতে থেকে থেকে নেমে আসছে জাপানি রোদ। তাহলে বুঝতে পারলুম পৃথিবীর সব জায়গায় কমবেশি রোদ থাকে। এতো রোদের মাঝেও কারা যেন অন্ধকারের চাষ করে। রবিবাবুর অমলের মতো বসে আছি জানালার পাশে। অনেক পথের সাথে দেখা হচ্ছে। অনেক পথ। কোনো পথ সোজা, কোনো পথ অদ্বয়, কোনো পথ পাড়াত আবার কোনো পথে নেমে আসে ধান সবুজ। কোনো পথই মানুষের মনের মতো এতো লোভাতুর নয়। প্রত্যেক পথ একটি ভ্রমনের কথা বলে। আর মানুষ চিনে সীমানা। চোখের সীমানা দিয়ে লাফিয়ে
প্রজাপতি
প্রজাপতি, তরমুজের বাইরে সবুজ ভেতরে লাল। লাল আর সবুজ মিলে একটি দেশ— বাংলাদেশ। তোমার মুখে যেদিন বাংলাদেশ দেখেছিলাম সেই দিন প্রথমবারের মতো হারিয়ে যাওয়া আমিকে খুঁজে পাই। প্রত্যেক আমির ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তোমরা থাকে। আর প্রত্যেক তোমাদের ভেতর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আমরা থাকে। আমিও তাই মনে করতাম কিন্তু এখন দেখি আমার সমস্ত মনের ক্যানভাসে একটাই জলেরঙের আঁকা ছবি— তুমি এবং তুমি তা যেন তুমি নও, হুবহু আমি এবং আমি। গতকাল সারা রাত ঘুম হয় নি। আকাশে মেঘ ছিল প্রচুর। বৃষ্টি আসবে বলে আসেনি। তাই বালিশের সাথে মাথা থাকলেও ঘুমের সাথে চোখের সম্পর্ক হয়নি। তুমি তো জানো আমার একটি প্রিয় বদঅভ্যাস ছিল— বালিশে মাথা দেয়ার সাথে সাথে ঘুম চলে আসতো। আজকাল বদঅভ্যাসটি খুব করে আমাকে হামলা করেনা। আমিও এখন ঘুমহীন রাত কাটাতে শিখে গেছি।