You are here

তিতাস একটি ট্রেনের নাম

তিতাস একটি ট্রেনের নাম। ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া তিতাস দৌড়ঝাঁপ করে।

রেজা তিতাস ট্রেনের যাত্রী। রেজা ট্রেনে ওঠা মানে একটি সাধারন ক্লেশে ঘটনার কথা বলবেই। অর্থাৎ টিটির সাথে দেখা অথবা সুন্দরী কোনো নারী তার চোখে চোখ রেখেছে কিংবা ভাড়া না দিয়ে রেজা কেমন করে চকলেট মার্কা হাসি দিয়ে টিটিকে বিদায় করেছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। ঘটনা সত্য— রেজা এমন আত্মরতি মুগ্ধতায় প্রায় ভোগে।

তিতাস একটি ট্রেনের নাম। কমলাপুর থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া পর্যন্ত তেইশ স্টেশন তার এলাকা। রেজা ভৈরব থেকে ট্রেনে ওঠেছে। যাবে নরসিংদী। গতকাল সে বাড়িতে ছিল। টানা পনেরো দিন ইন্ডিয়া জার্নির পর রেজার শরীরে হালকা পাতলা ক্লান্তি। কিন্তু রেজা তিতাস ট্রেনে কোনো সিট পাইনি। দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিদিনের মতো রেজার ট্রেন জার্নি বর্ননায় যিনি আসেন তিনি আসলেন। মানে টিটি আসল।

কোথায় যাবেন?
নরসিংদী।
ভাড়া কত?

টিটি লেমিনেট করা কাগজের ভাড়া লিস্টখানা দেখলেন।
পঁচিশ টাকা। আপনি কুড়ি টাকা দেন।
রেজা টিটির হাতে পঁচিশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বললেন, পাঁচ টাকা কম নিবেন কেন

টিটি হাসলেন। তারপর রেজার পীঠস্থান চাপরাইয়া বললেন এতোদিনে একজন মানুষ পাইলাম।

রেজা টিটির কথা শুনে খুব কষ্ট পেল। কারন টিটির চাকরিকালীন সময়ে একজনই মানুষ! অথচ হাজার হাজার মানুষ এই তিতাস ট্রেনে ভ্রমন করে প্রতিদিন!

রেজা তখন জানালার দিকে তাকায়। সবুজ গ্রাম দেখা যায়। তবুও রেজা মনে মনে পির পির করছে—

বাংলাদেশটা ভালো নেই
কিরা আর কিরা
কবিরাজ মশাই ঔষধ দিচ্ছে
গোলাপ জল আর জিরা

Leave a Reply

Top