রেললাইন। হাজার বছরের পুরাতন রেললাইন। রেললাইনের পাশে মসজিদ। এখনো নির্মাণাধীন। একজন পাহারাদার, মুখে তার সর্বহারা সিগারেট। মসজিদের রড-সিমেন্ট যেন চুরি না হয় সেজন্য সারারাত তার ডিউটি। এই রেললাইনে কুকুর নিজের উপস্থিতি জানান দেয় প্রিয় কোনো শক্তিশালী ভঙ্গিমায়। রেললাইনের রেড এলার্ট কখন থেকে জারি করা তা রেললাইন জানে না, তাকে জানতে দেয়া হয়নি। একজন মাতাল পথ ভুলে রেললাইন ব্যবহার করছে বাড়ি ফেরার তাগাদায়। একটি চাঁদ ঝুলে আছে রেললাইনের ঠিক মাথা বরাবর। কৃত্রিম লাইট দূর অন্ধকারে মিলিয়ে যায়, দূর অন্ধকার থেকে ভেসে আসছে ঝিঁঝিঁপোকার আনন্দ ধ্বনি। দুটি আকাশচুম্বী বোকা গাছ লম্বা হতে হতে ছোট হওয়ার শিল্প ভুলে গেছে। রাত কিন্তু এখন মধ্য বয়সী— যৌবন এবং বৃদ্ধের হাতছানি। এই রাত বলে না কোনো কিছু আসবে,বলে না কোনো কিছু যাবে। কেবলই স্বপ্ন দেখায়। এখন রাতেরও স্বপ্ন
Day: February 28, 2021
তিতাস একটি ট্রেনের নাম
তিতাস একটি ট্রেনের নাম। ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া তিতাস দৌড়ঝাঁপ করে। রেজা তিতাস ট্রেনের যাত্রী। রেজা ট্রেনে ওঠা মানে একটি সাধারন ক্লেশে ঘটনার কথা বলবেই। অর্থাৎ টিটির সাথে দেখা অথবা সুন্দরী কোনো নারী তার চোখে চোখ রেখেছে কিংবা ভাড়া না দিয়ে রেজা কেমন করে চকলেট মার্কা হাসি দিয়ে টিটিকে বিদায় করেছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। ঘটনা সত্য— রেজা এমন আত্মরতি মুগ্ধতায় প্রায় ভোগে। তিতাস একটি ট্রেনের নাম। কমলাপুর থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া পর্যন্ত তেইশ স্টেশন তার এলাকা। রেজা ভৈরব থেকে ট্রেনে ওঠেছে। যাবে নরসিংদী। গতকাল সে বাড়িতে ছিল। টানা পনেরো দিন ইন্ডিয়া জার্নির পর রেজার শরীরে হালকা পাতলা ক্লান্তি। কিন্তু রেজা তিতাস ট্রেনে কোনো সিট পাইনি। দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিদিনের মতো রেজার ট্রেন জার্নি বর্ননায় যিনি আসেন তিনি আসলেন। মানে টিটি আসল। কোথায় যাবেন? নরসিংদী। ভাড়া কত? টিটি