
পথ আমি চিনি না। কোনো পথ। কোনো পথে আমার বাড়িঘর নেই। এই যে এই পথটি। মানে বিনয় ভবনের রাস্তাটিকে চিনতে পারছি না। অথচ কত চেনা ছিল সে আমার, কত সুর ছিল তার আচরনে বিচরনে, শরীর ভর্তি ছিল তার নদী জল স্রোতের মাহফুজ— জল পাখিদের কলরব। পথিক ভাঙা পথে আজ সে কাগজের ফুল— অধরা গন্ধে অধিকারহীন ব্যাকুল।
কলেজ স্ট্রেটের চায়ের কাপে গরমের তেজ অথচ ধুপ নেই তেমন, নাগরিক কলকাতা এমনই হয় প্রিয়তমা— তুমি তা জান না, তুমি তা জান না— জিন্সের পেন্টাগ্রামে বিনয় ভবন হাঁটে না।
পথ আজ নীরব
গুসসা করে পথ হারাচ্ছে সময়ের যৌবন
পথ ভুলে যাচ্ছে তার নিজের পথিক
অবিরাম আয়োজন করে প্রিয়জনকে ভুলে থাকা যায়? যায় না। দহনকাল সময়ে অসময়ে দেখা দেয় অমাবস্যা কিংবা বর্ষাকালে— প্রেমদহনে গ্যালে বর্ষার ঢল নামে হৃদয়ে বারবার— মুক্তি নাই মুক্তি নাই— বিনয় ভবনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসা তুমি জানে অপেক্ষার কাল— গাছের পাতারা নালাপথে চলে যাবে যার যার ঘরে— অন্ধকার হয়ে এলে মনের আলোয় পথ আমাদের ঠিকই চিনে— হৃদয়তমা মপর্না আমার