বন্ধু গেলা রে গেলা বন্ধু রাইখা আমায় আন্ধারে।। পূর্ণিমা রাতে তোমার হাতে বকুল ফুলের মালা মেঘনার তীরে আন্ধার ঘরে আমি যে একেলা মনে ব্যাথা মুখে নাই কথা চোখে ঝরে অঝোর ধারা।। পাখি ডাকে আগের মতো গাছে বসে গানপাখি উদাস নদী বৈঠা চালায় নৌকাতে নাই মনমাঝি আকাশ ভরা শুধু তুমি পাখির ডানায় এই আমি।। বন্ধু গেলা রে গেলা বন্ধু রাইখা আমায় আন্ধারে।।
Day: February 25, 2021
শকুন্তলা
গাছে মেঘকালার। মাঠে মেঘকালার। বসন্তের শাখায় শাখায় মেঘকালার। কলাভবন থেকে মেডিকেল কলেজ পর্যন্ত যে রাস্তাটি চলে গেছে সেই রাস্তার হাড়-কংকাল-মাংসে মেঘকালার। প্রকৃতি আজ নয়টা-পাঁচটা ডিউটি থেকে মুক্ত। প্রকৃতি আজ নিজের মতো করে বাউলিপনা করবে বলে ঘরকে করেছে বাহির। শকুন্তলাও তার পুরাতন সাইকেলকে ডাক দিয়েছে। বাংলা সাহিত্যের প্রাকৃতিক সাইকেল। সাইকেল হাজির। পৃথিবীর ছাদের নিচে একমাত্র বাউল নারী শকুন্তলা। মেড্ডার অর্ধখণ্ড দিয়ে শকুন্তলা পড়েছে কপালের টিপ। জল পড়ছে, বাসন্তী জল। জল থেকে রং এনে শকুন্তলা সম্পন্ন করছে পেডিকিউর। জলের সাথে নেমে আসছে শিলা। শিলাবৃষ্টি শরীরে মাখছে আর তাতেই তার শরীর থেকে ঝরে পড়ছে দুষ্মন্তশোক। প্রকৃতি আর শকুন্তলা যেখানে এক সেইখানেই শকুন্তলার বাহুযুগল কোমল গাছের মতো, তার ঠোঁটে নতুন পাতার শোভা। শকুন্তলা তার সাইকেলের কাছে নিরাপদ, প্রকৃতির ভেতর নিরাপদ। দুষ্মন্ত শকুন্তলা থেকে অনেক দূরে— কোনো এক নাগরিক
তাবির
তাবির। তার নাম। তাবির তার নাম। সন্ধ্যা হলে বাবলা গাছের সরাসরি নিচে আসেন। পাখি তখন ঘরে ফিরতে শুরু করে। শব্দধ্যান। তাবির এই সময় শব্দধ্যান করেন। বাবলা গাছের পাশেই তার ঘর। ছোট্ট একটা ঘর। একজন থাকতে পারে এমন ঘর। রুমও বলা যেতে পারে। তবে ঘর বলা সুবিধাজনক। কয়েকদিন পর পর এক মহিলা বাবলা গাছের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তাবিরকেই গালিগালাজ করে। তাবির তখন ঘরের ভেতরে পরমের ধ্যানে মগ্ন। কোনোদিন আবার খুচরো কাজে ব্যস্ত থাকেন। কোনোদিন তাবির মহিলার সাথে অংশগ্রহন করেন। তাবির গালিগালাজ করেন না। মহিলাকে গালিগালাজ করার সুযোগ করে দেন। মেজর। তাবিরের বন্ধু। সে প্রায়ই তাবিরের বাবলা গাছের নিচে আসে। রাগ প্রকাশ করে মেজর। মহিলার প্রতি রাগ প্রকাশ করে। মহিলাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতে চায় মেজর। তাবির নিষেধ করে। অনেকদিন হয়ে