মানুষ পাপ কাজ করে। লোকে বলে শয়তানের প্ররোচনা। শয়তান কার প্ররোচনায় করেছিল পাপ— অমান্য করেছিল পরম দয়াল? মানুষের পায়ে চুমু দিয়ে দেখি মানুষ মহান। মানুষের হাতে হাত রেখে দেখি মানুষ অসামান্য ধনবান। ফুল ফল ঘাসময় মানুষের ইতিকথা। মানুষ হাসলে সূর্যজোয়ার নামে পৃথিবীর পাতায়— কাঁদলে নদীজল দেখায় তীরঘেষা জোয়ার। জোয়ার ভাটায় পড়ে আয়ুরেখা খেলা করে— চোখে বালুপড়া কথা নিয়ে মাস্টার সাজে কতশত ধর্মরূপকথা। ভুলফল ভুলকল ভুলদল নাপাক থেকে পাক পাক থেকে নাপাক শুরু থেকে শেষ শেষ থেকে শুরু গুরু থেকে জুরু আদার ব্যাপারী— জাহাজের খবর প্রথম সত্য আজও মিথ্যা আজও সত্য নয় প্রদর্শিত ধর্মপর্দা অর্থের শখ বালুতে মিশে যায় অর্থের যশ কথাসুখ দোতরায় ঢিল দিলে দেখা যায় জলের নাচন মিথ্যা সুখে প্রাসাদ বানায় কুরুক্ষেত্র আশ্বিনের মাস ফাল্গুনে সবুজ পাতায় ব্যর্থ সংসার যা দেখো যা দেখাও ব্যর্থ সবই সন্ধ্যা বেলায় কাগজের নৌকায় জলে নেমে জলে ডুবে যাওয়া এতো শূন্যতার ভেতর কাকে
Month: January 2021
বৈষম্যের স্রোতে সমতার স্লোগান
বস্তু মাত্রই অসংখ্য অণু বা কণার সমষ্টি। প্রতিটি কণা স্বতন্ত্র ওজন নিয়ে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকর্ষিত হচ্ছে। ভূ-কেন্দ্র হতে প্রত্যেক কণার দূরত্ব অধিক হলে পাশাপাশি অবস্থিত কণাগুলোর ওপর পৃথিবীর আকর্ষণ বল পরস্পর সমান্তরাল ও সমমুখী। বস্তুটিকে যেভাবেই রাখা হোকনা কেন এ সমস্ত সমান্তরাল বলগুলোর লদ্ধিবল একটি বিন্দুতে ক্রিয়াশীল থাকে। এই বিন্দুই হলো বস্তুর অভিকর্ষ কেন্দ্র বা ভার কেন্দ্র। ভার কেন্দ্রের আচরণ, গতিবিধি বস্তুর অন্য কেন্দ্র থেকে আলাদা। সেন্ট্রাল অব গ্রেভেটির কারনে বস্তুর মধ্য থেকে কিছু অংশ আলাদা হয়ে যায়। সুতরাং ল অব নেচারের কারনে বৃহত্তর পরিসীমায় বৈষম্যে থাকবে তাইতো স্বাভাবিক। শীতকালে সূর্য পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে। পৃথিবীর তাপমাত্রা কমে যায়। সূর্যের অবস্থানের কারনে পৃথিবীর কোথাও তাপমাত্রা হিমাংকের নিচে নেমে আসে। অল্প তাপমাত্রায় আর অধিক তাপমাত্রায় উৎপাদিত ফসল কখনো এক নয়।
উল্টোরথ
তিনি উপোস থাকবেন, মাঝে মাঝে ইফতার করবেন, তাও আবার ধার করা টাকা দিয়ে। কারন তিনি লেখক। উপোস না থাকলে তো লেখক হওয়া যায় না, মানুষের কষ্ট অনুধাবন করা যায় না। তাঁর বউ এক শাড়ি দিয়ে বছর শেষ করে দিবে। কারন তার স্বামী লেখক। তাঁর সন্তান টাকার অভাবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারবে না। কারন একটাই তার বাবা লেখক। তাঁর বাবা ভালো একটি পাঞ্জাবি কিনতে পারবে না, ভালো পোশাকের অভাবে নামাযের শেষ কাতারে তাঁর জায়গা। কারন তিনি লেখকের বাবা। আর তিনি মাঠ দিবেন, মাঠে মঞ্চ তৈরি করে দিবেন, মঞ্চে কিছু লোক বক্তৃতা দিয়ে খ্যাতি অর্জন করবে, কিছু লোক মঞ্চে ওঠতে না পারার ব্যর্থতায় লেখার খাতাটিকে বক্তব্যের মঞ্চ বানাবে। তাহলে তিনি কে? তিনি আমাদের সবার হুজুর, হুজুরে আযম বিত্তবান, অর্থবান ভদ্রলোক। তিনি পালঙ্কে আরাম করে বসবেন, জর্দা দিয়ে
কবির গল্প
এক কবি ছিলেন। আমাদের মাঝে ছিলেন তিনি। এখন আর নেই। না না। মারা যাননি। তিনি এখনো বেঁচে আছেন। ছোট কালে তাকে দেখতাম। ভাবই আলাদা। কবি হতে গেলে আলাদা একটা ভাব লাগে। তাকে দেখে এমনই মনে হতো আমাদের। তিনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে তার ভাবের গন্ধ নাকে এসে লাগত। ভুল করে যদি তিনি কথা বলতো তাহলে ত...! তিনি যে ভাষায় কথা বলতেন সেই ভাষা বাংলার মতো তবে বাংলা ভাষা মানে আমরা যে ভাষাকে বাংলা ভাষা বলি ঠিক সেই ভাষা ছিল না। এর নাম নাকি কাব্য ভাষা। তিনি টয়লেট করতেন কাব্য ভাষায়, তিনি বাজার করতেন কাব্য ভাষায়, তিনি ক্রিকেট খেলতেন কাব্য ভাষায়, হয়তো ছক্কাও মারতেন কাব্য ভাষায়। কবি বলে কথা। আমরা যারা মুনির পুত কামলা তাকে কেবল দেখতাম, আর ভাবতাম কবিরা বুঝি অন্য
মানুষ ভুল করলেও মানুষ
ঠিকানা। বাসের নাম। লোকাল বাস। জাতীয় মানের লোকাল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থামে না। হাতইশারায় থামে। থামলো। আমি আর সোহেল ভাই বাসে উঠলাম। হিমউৎসবের হাত ধরে জাহাঙ্গীরনগর আসা। উৎসবটি বেশ মুগ্ধকর। প্রথমবারের মতো ওয়াজের মতো করে গান শুনলাম। আড়াইসিধার শীতকাল মানে ওয়াজ-মাহফিল। ওয়াজ শুনে শুনে আড়াইসিধার প্রত্যেকটি শিশু বড় হতে থাকে। আসমানের ওয়াজ। আসমান থেকে হুজুর ধীরে ধীরে জমিনে নেমে আসেন। সবার কন্ঠে সুবহানাল্লাহ। সিট খালি নেই। পেছনের সিট খালি। ভাই পেছনের সিটে বসে গেলেন। আমি দরজায় দাঁড়িয়ে দৌঁড়ানো দৃশ্য দেখছি। দরজার পাশের সিটটি খালি হলো। বসলাম। জানালার পাশে বসতে চাইলাম। লোকটি বসে গেলেন। জানালার পাশে যেন বসতে পারি লোকটিকে বললাম। লোকটি বললেন ‘না’। কিছুক্ষন চুপ করে থাকি। তারপর... তাকে আস্তে করে বললাম বমি কী আপনার উপরে করবো, না জানালা দিয়ে সোজা বাইরে ফেলে দিবো!?
সিমলার এমনও কুন্তল দেহে…
বলছিলাম তারিক আজিজ আমার উপরের সিটে নামাযও পড়ে আবার পাদও দেয়। বলিনি আরেকটি কথা। তারিক আজিজ বিসিএসের শিটও পড়ে। চাকরিটা তার পেতেই হবে। জানিনা বেলা নামে কেউ তার আছে কিনা যার কাছে চাকরি পেয়ে ফোন দিতে হবে — ‘চাকরিটা আজ পেয়ে গেছি বেলা শুনছো।’ বেলা থাকুক আর না থাকুক তারিক আজিজের জন্য সময় বসে থাকে না। ভ্রমন হোক কিংবা বিয়ে বাড়ি হোক সাধারন জ্ঞান তার মুখস্থ করতেই হবে। সময় কারো জন্য বসে থাকে না। গ্রীন ভ্যালিতে আমরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ আর তারিক আজিজ শিট পড়ছে। বিসিএস ক্যাডার তার হতেই হবে। তারিক আজিজ যাতে ক্যাডার হতে পারে সেজন্যে আমাদের সবার প্রার্থনা অটুট থাকবে ইনশাল্লাহ। ইসলামে আছে মুসাফিরের প্রার্থনা আল্লা কবুল করে। সফরে থাকলে মন একেবারে পবিত্র হয়ে আসে। আসল কথা গতির সাথে
যে দ্বীপের নাম নারকেল জিঞ্জিরা
জাজিরা। তারপর জিঞ্জিরা। তারপর নারকেল জিঞ্জিরা। তারপর সেন্টমার্টিন। তারপর দারুচিনিদ্বীপ। প্রবালদ্বীপ তারপর। কৌতুক। একটা কৌতুক বলা যেতে পারে। ডাক্তার সাহেব। জ্বি বলুন। আমার বউ আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না! কী বলেন!? গ্রামের সব পুরুষ আপনার বউ দ্বারা সন্তুষ্ট, আর আপনি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না!? না না তা হতে পারে না, আপনি শীঘ্রই আপনার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করান। মাছের বারবিকিউ। কোরাল মাছের বারবিকিউ খাচ্ছি আর ডাক্তার সাহেবের কাছ থেকে কৌতুক শুনছি। তিনি মাঝে মাঝে এমন কৌতুক করেন। বলা হয়ে থাকে তিনি নারকেল জিঞ্জিরার একমাত্র ডাক্তার। এটি একসঙ্গে আশার এবং হতাশার কথা। কারন তো অবশ্যই আছে। তবে সব কারন সব সময় ওপেন করার প্রাসঙ্গিকতা রাখে না। মাছের বারবিকিউ জীবনে প্রথম খেলাম। ডাক্তার সাহেবকে ধন্যবাদ দেয়া দরকার। না। ধন্যবাদ দিলাম না। সেন্টমার্টিনে আমার প্রথম পদক্ষেপ এই আশ্বিন মাসে। ১৪২৭। আমাদের
যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম
যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম যদি নতুন একখান মুখ পাইতাম মইশখালীর পানের খিলি তারে বানাই খাওইতাম। এই গানটির সুরকার ও গীতিকার এম এন আখতার। তিনি জীবনে বিচিত্র ধরনের গান রচনা করেছেন। তার গানের সংখ্যা পাচ হাজারের অধিক। তার একনিষ্ঠ শিষ্য শেফালী ঘোষ। শেফালী ঘোষ চট্রগ্রামের গানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। শেফালী ঘোষের কন্ঠে প্রথম মহেশখালীর নামটি শুনি। অবশেষে মহেশখালী আসি। সবাই মহেশখালী এসে স্পটের দিকে দৌড়াতে আরম্ভ করে। মহেশখালীর দর্শনীয় স্থান আদিনাথ মন্দির, বৌদ্ধ মন্দির, শুটকি মহাল, হাসের চর ইত্যাদি ইত্যাদি। পৃথিবীর যেখানেই যাই সেখানে যাওয়ার পর আমি নিজে একটি জায়গা আবিষ্কার করি যেটা আমার দর্শনীয় স্থান এবং যেখানে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিতে থাকি। পাবলিক বাসের টুরিস্টদের মতো স্পটের দিকে ঘামেটামে দৌড়ানো পাবলিক এমরানুর রেজা নহে। লোকাল ঘাট। লোকাল ঘাটে