লিলিথ। যায় আভিধানিক অর্থ ডাইনি। হ্যাঁ। ডাইনিটি এ্যাডামের মনকে ছন্নছাড়া করেছে। আজও এ্যাডাম লিলিথটানে উদাসীন। আমৃত্যু এ্যাডামের জীবনে লিলিথ অধরা। তাইতো এ্যাডামের প্রতিনিধি প্রত্যেক মানুষের জীবনে একজন লিলিথ থাকে যাকে সে পায় না। একজন ইভ থাকে যাকে নিয়ে সে সংসার করে। এ্যাডামের একা একা ভালো লাগে না। দেহসাথী প্রার্থনা করা হলো। আবেদন মঞ্জুর। সমস্ত সৌন্দর্যের সার বস্তু থেকে তৈরি করা হলো লিলিথকে। সুন্দরী লিলিথ বড় বেশি অহংকারী। মিলনক্ষণে এ্যাডামের নিচে শোতে তার আপত্তি। এ্যাডাম লিলিথকে বাধ্য করতে চায়। কিন্তু লিলিথ বাধ্যগত হওয়ার না। ফলস্বরূপ দুজন দুপথে দুভাবে! শেষ হয় তাদের মিলনস্পর্শ। শুরু হয় বিরহ স্পর্শকাতরতা। লিলিথ-এ্যাডাম এই কাহিনিপ্রবাহটি মেসোপটেমিয়া হিব্রু মিথলজির অংশবিশেষ। ভারতীয় কিচ্ছা-কাহিনিতেও একজন লিলিথ সজ্জিত সজীব। এখানকার লিলিথের নাম তিলোত্তমা। বিশ্বকর্মা সৌন্দর্যের মাখনে তিলে তিলে তাকে গড়েছেন। পুরুষের অর্ধঅংশ হতে নয়।