ভুলে যেও আমাকে ভুলে যেও জলে স্থলে আকাশে বাতাসে ভুলে যেও ভুলে যেও আমাকে শব্দ হয়ে জীবিত থাকো মুখ থেকে মুখে বৈশাখ থেকে চৈত্রে জীবিত থাকো মাসের পর মাস জীবিত থাকো ব্রা প্যান্টি আন্ডারওয়্যারের মতো শতভাগ প্রায়োগিক দূরে ভাসতে ভাসতে অচেনা দ্বীপ আমি অচেনা গ্রহ কোনো পৃথিবীর দামি বিজ্ঞানীর কালকেতু ফুল্লরা তোমাদের ইতিহাস চকেট সংকট আমাদের কালের রাজহাস চকলেটলোভা গরীব অসহায় শিশুর মতো আমাকে ডাকবে না আর ভুলে যেও বারান্দায় ঝুলে থাকা শুকনো কাপড়ের মতো বাতাস আর সূর্যকে ভুলে যেও ঘুম আমার চোখেও নামে রাত আমার দেহেও বহে বসন্তগান আমিও গাইতে চাই আমিও চিনি উত্তর চিনি দক্ষিনের হাওয়া বর্ষার নবোপলীয় জল আমিও রক্ত মাংসের মানুষ একা ভুলে যেও সমস্ত কিছু নিয়ে একটা আকাশ একটা দুঃখ একটা সাইকেল রিংকেল একটা সকাল বেলার রজনীগন্ধা একটা সৃজনী শিল্পগ্রাম একটা প্রান্তিক রেলওয়ে স্টেশন একটা হুগলী নদী নীরব সুনসান ভুলে যেও ঝগড়াসমগ্র ভুলে গেলেই বেচে যাবে তুমি বেহুলা ভাসান আমাদের নদী
Day: January 28, 2021
সময়ের ঢেউয়ের তালে
আমি মানে নিরাকার। যত গভীরে যাই ততই ছোট হয়ে আসে আমার চোখ কান নাক গলা মুখ। মুখের গল্প যেন সময়ের ফেনা— সময়ের ঢেউয়ের তালে ফেনাদের জীবন। একদিন একদিন করে মানুষ মরে যায় মানুষ মরে যেতে যেতে আশার বীজ রেখে যায় । আশার বীজ থেমে গেলে হৃদয়ের ঘাটে পানাফুল ফুটে— থেমে যাওয়ার নাম গতি, পরাজিত জীবন জয়ের বাতাস। নিরাকার আমির নাম নেই কোনো, কত নামে ডাকে লোকে আমাকে তোমাকে, আমাকে দেখা যায় না তবুও দীর্ঘজীবী কার্বন কপি আসে সময়ের ফ্লেপে। বাস্তব এমনই যা দেখে না তাকে দৃশ্য বলে যা শুনে না তাকে কথা বলে যা বুঝে না তাকে বোধ বলে এক চমৎকার অদৃশ্যের ভেতর কেটে যায় রাধাফুল জীবন, হরতাল, হাতিয়ার— আমার ঘরে আমিই নিরাকার।