তিনি শ্রমজীবী মানুষ। দিনে সাপ্লায়ার। রাতে ডিম বিক্রি করে। সংসার চালাতে তারপরও অনেক কষ্ট। কিন্তু সিমলার মাটি বাতাস তাকে হাসতে মানা করে না। খুব সহজ মিশুক তিনি। এতো রাতে কে ডিম কিনতে আসে এটা গভীর ভাবনার বিষয়। কারন রাত আটটার পর পাহাড়ি সিমলা খুব একা হয়ে যায়। নদীর পাড়ের মানুষের মতো এই কর্মকার কাকুর কলাগাছিয়া দৃষ্টি। খুব সবুজ। তাহলে বুঝতে পারি নদী আর পাহাড় সমানুপাতিক লেন্সের দৃষ্টি উৎপাদন করতে পারে। কাকুর পাশেই আরেকজন ছিলেন যিনি কোনও প্রকার ছবি তুলতে রাজি না। মনিহারি দ্রব্যের ব্যবসা করেন। কেউ ছবি তুলতে অস্বীকার করলে আমার দুজনের কথা মাথায় আসে। একজন হলেন রুমী। রুমী মানে মাওলানা রুমী না। রুমী মানে আমগো জাহানারা ইমামের পুলা। জাহানারা ইমাম আমাদের জানিয়েছেন রুমী ছবি তুলতে এতো রাজি ছিলেন না, কারন
Year: 2020
স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের
পঁচিশ মার্চ কালো রাত হিসাবে ছোট কাল থেকে শুনে আসছি। রাত কালো হয় কীভাবে জানি না। অন্ধকার আর কালো এক কথা না। অনেক সময় দেখি মুখের আগে অনেকে কালো বিশেষন হিসাবে ব্যবহার করেন। কালো মুখ। প্রভুরা শাদা কালারের। তাইতো প্রভুদের সরাসরি চেলা বা ভাব চেলারা কালোকে নেগেটিভ অর্থে ব্যবহার করে থাকেন। পঁচিশ মার্চ রাতে ঢাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন অংশে আক্রমন চালায় পূর্ব পাকিস্থানের রূহানি ভাই পশ্চিম পাকিস্থানের কতিপয় শাষকগোষ্ঠী। আবার বলছি কতিপয় শাষকগোষ্ঠী। যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবন মানে শাষকগোষ্ঠী কখনো জনগনের কথা শতভাগ মাথায় রাখতে পারে না অথবা পারতে চায় না। কিন্তু আমরা শুনেছিলাম সেই স্মরনীয় বক্তব্য "আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি এ দেশের মানুষের মুক্তি চাই"। এ দেশের মানুষের মুক্তি বলতে অবশ্যই অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির খোলা বাতায়নকে বুঝায়। মুক্তি কী
চন্দ্রনাথ মন্দিরের কথা
চন্দ্রনাথ মন্দিরে ওঠার সময় টের পাইনি তা ভূমি থেকে শত শত ফুট উপরে। উপর থেকে যখন নিচের দিকে তাকাই তখন টের পাই অনেক উপরে চলে আসলাম আমরা। আসলে লক্ষ্য যখন অত্যন্ত দৃঢ় হয় তখন দূরত্ব কোনো ফ্যাক্ট না। মন্দিরের দিকে যাত্রা শুরুর বিশ মিনিট পর আমার মনে হয়েছিল চলে আসলাম। কিন্তু না মন্দির বহুত দূর হে। যাত্রা শুরুর চার ঘন্টা পর চন্দ্রনাথ মন্দিরে পৌঁছানো গেলো। শক্তিপীঠের চেয়ে পাহাড়ের গতরে সজাগ গাছপালা ফুসফুসের অক্সিজেনের জন্য বেশ কার্যকরী টনিক অন্তত আমার কাছে। গাছের ভেতর দিয়ে পাহাড়, পাহাড়ের হৃদয় দিয়ে গাছ, ক্লান্তি আবার প্রশান্তি, প্রশান্তি আবার ক্লান্তি এমন বিষয় পাহাড়রমনেই সম্ভব। পাহাড় থেকে ভূমিতে নামার সময় পায়ের নিজয়েন্ট থেকে বৃদ্ধা আঙ্গুল পর্যন্ত চিনচিন ব্যথাযুক্ত একধরনের টান অনুভব করতে হয়। মধ্যাকর্ষন শক্তি তখন পায়ে চলে আসে, মাথা
সীমান্ত হাট
মধুগ্রাম। ফেনী জেলার একটি গ্রাম। মধুগ্রামের পাশেই প্রতি মঙ্গলবার সীমান্তহাট বসে। বাংলাদেশ তেল সাবান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবারসামগ্রী কিনে। ভারত কিনে মাছ। বাংলাদেশের খাবারসামগ্রীর উপর ভারতের আগ্রহ নেই বললেই চলে। বর্ডার হাটের গেইট দিয়ে ইচ্ছা করলেই বাংলাদেশে ঢুকতে পারে ভারত। ইউনুস বর্ডার হাটে চা বিক্রি করে। ভারতের শ্রীনগর তার বাড়ি। শ্রীনগর বর্ডার হাট তথা ছাগলনাইয়ার পাশের গ্রাম। ছাগলনাইয়া বাংলাদেশে, শ্রীনগর ভারতে। ইউনুস প্রায় পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া তার মামার বাড়ি ময়মনসিংহ বেড়াতে আসে। বাংলাদেশ কিন্তু ইচ্ছা করলেই বর্ডার হাটের গেইট দিয়ে ঢুকতে পারবে না ভারতে। কারন নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট আইনপন্থী। এই সীমান্তহাটটি আবার মিলন মেলা হিসাবেও কাজ করে। এপার ওপার আত্মীয়দের মিলন মেলা। কাঁটাতার দিয়ে স্পষ্ট চলমান মানুষ দেখা যাচ্ছিল রাস্তায়-- সাইকেল চালাচ্ছে। আর এই পাশ তথা বাংলাদেশের চলমান রাস্তায় চলছে বাইক।
জাঙালিয়া গ্রাম দেখে এলাম
জাঙালিয়া নামে এক গ্রামে গেলাম। গ্রামটি যেন মমতা দিয়ে ঘেরা, গ্রামের সারা শরীরে সবুজের লোম। হাড়িধোয়া নামে হ্রদের মতো একটি নদী গ্রামীণ পরিবেশে জলভেজা আবেদনকে পরিপূর্ণ করে রেখেছে। ধানের সবুজ অবুঝ মনটিকে সান্ত্বনার চকলেট দিয়ে নাচিয়ে রাখে সারাক্ষণ। নাম নাজানা কিছু পাখির অচেনা সুর হৃদয়ের কোন অচেনা গলিপথে যেন হামাগুড়ি দিয়ে জায়গা করে নেয়। এখানকার মানুষেরা মানুষের মতো সহজ, সরল, সাবলীল। হোমিও ডাক্তার কাসেম চাচ্চু, কবিরাজ লিটনদা জীবনকে উপলব্ধি করে বিশ্বাসে। প্রশ্ন করা তারা এখনো শেখেনি। তাতে কী? শান্তিপূর্ণ জীবনই তো সকল প্রশ্নের উত্তর বাড়ি। সমস্যা নেই। তারা শান্তিতেই আছে। চায়ের স্টলগুলো যেন আত্মীয়বাড়ির আলগা ঘর -- আড্ডার আত্মার নিকটতম জায়গা। কাহারা সারা দিনের জমানো ব্যথা, অভিমান, চাপা ক্ষোভ, ঘৃণা এই চায়ের দোকানে রেখে যায়, চায়ের দোকান তাদের হাজারো কথা বুকে ধারন করে মূর্তিমান, নির্বাক
কোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে
ভেতর বাহির তালাআয়ু চাবি খোলাজীবন দেখি জগত দেখি দেখি না তোমারেকোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।। কোকিল ডাকে ডালে ডালেমন নাচে তালে তালেতুমি চলো মন কমলেদেখি না তোমারেকোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।। ভোরের আলো ফুটেকৃষক যায় মাঠেকৃষাণী কলসি কাঁখে নদীর জলেকোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।। ফুল ফোটে গাছে গাছেভ্রমরা ফুলে ফুলেজোছনা হেলে দুলে নদীর জলেকোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।।
আশার রক্তে দেহতরী
আশায় বাঁধি বাসাআশায় ফুটায় ফুলআশার তরে জীবন মরণআশায় সুখের মূল আশায় আশায় জীবন খেলাআশায় মাঝি চালায় ভেলাচলতে-ফিরতে যাইতে আইতেসকাল দুপুর সন্ধ্যা রাইতেআশার তাবিজ বুকে নিয়েসরাই বিপদ আপদ তালা সাগরে ভাসায় জাহাজ নাবিকজলের চেয়েও সাহস অধিকআশা নিয়ে ফুলের পাঁপড়িগন্ধ বিলায় এদিক সেদিক আশায় কৃষক ফসল বুনেআশায় ভাষা সাজে কনেআশেক যায় মাশুক সনেজোয়ার আসে আশার টানেআশায় গায়ক গানে গানে জীবন চলে আশায় আশায়আশা নাচে আশাই নাচায়
স্রোতহীন জয়হীন আকাশের ভাসমান মেঘ
কোন মায়ায় ধরবে তুমি জীবন?আলো রেখার মতো অলাতচক্র বারবার জালফেলে থাকে উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম উপর নিচ আমাদের ঘর হওয়ার কথাআমাদের একটা ব্যক্তিগত নদী থাকার কথাআজ আমরা দূরাগত তারা পরিণীতা কাল আসবে তো?ভোরের আলোয় গ্রামের পথ ধরে হাঁটবে তো? কোকিলডাকা ভোরসকাল হয়ে আসা অপেক্ষানির্জনতা ডাকে তোমায় দূরাপনা, তোমাকে অর্থগত শব্দের ভেতরখুঁজে পাই না, সরিষা ফুলের মতো হারিয়ে যাওমিশে যাও মিলিয়ে যাও শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে। এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীপৃথিবী ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে সাগরের দিকে পুরাতন বাড়িটা পুরাতন রয়ে গেলশ্যাওলা পড়েছে তার উপরমানুষ অসহায় হলে মেঘও আকাশহীনা দলছুট আদি মানবের ভুল এখনও মানুষ বয়ে বেড়ায়মেঘ আর বৃষ্টির দূরত্বে আমরাবৃষ্টি হলে চোখ চেয়ে থাকে কড়তাঘরেঘুরপাক নিয়তি কোয়ারেন্টাইন সময়বজ্রপাত শিলাবৃষ্টি মানুষের মৃত্যুআমরা এখনো দূরের তারাদের দেশেগন্ধরাজ বেলীফুল কাঁঠালপাতা ডালিয়াআকাশ পরিষ্কার হলে বর্ণহীন গন্ধহীন ভালোলাগা মেঘের আশায় বসে থাকে মুর্শিদমনপৃথিবীর উপরে ছায়াবাজ পুতুলমানুষের উপরে
চন্ডীঘরে ভ্রমণ
চোখের পাতা আস্তে আস্তে নিভে আসে। লোকটি জানে সে ভুল করছে। তারপরও করে। অভ্যাস জনাব অভ্যাস। অভ্যাসের কারনে মানুষ খাবার খায়, প্রানি সঙ্গম করে, বাচ্চা উৎপাদন করে কতিপয় অনির্বান সেন। নকশাল কেবল খাবারের জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে বলে আপনার মনে হতেই পারে। মনটা তো আপনার, মনের মুখোমুখি আপনি না হয়ে স্নো পাউডারও মাখতে পারেন। কিন্তু ততক্ষনে আমাদের শরীরের হাওয়া বদল হতে লাগলো। শরীরে শীত শীত ডাকাতের আক্রমন। ঘুম থেকে ওঠে দেখি কেউ আর ঘুমে নেই। আমিই ঘুমিয়ে আছি। দ্রুত নাকি রেডি হতে হবে। তারপর দিল্লী, তারপর চন্ডীঘর। আমরা চন্ডীঘর নামবো। চন্ডীঘরে জনাব চন্ডাল আছে কিনা জানি না। অনেক কিছুই আমরা জানি না, তারপরও আমাদের মাস্তানি শেষ হয় না। শেভুকে মাস্তান মাস্তান লাগছে। ভদ্র মাস্তান। সব মাস্তানেরই ভেতরে একটা অসহায় ভাব
পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে যাব
ছোটকাল থেকে আমার একটা বিশেষ রোগ আছে। আর তাহলো সাজানো রোগ। আমার চারপাশটাকে সব সময় সাজিয়ে রাখতে চাই। সাজানো যেকোনো কিছু আমার ভালো লাগে খুব করে। যেদিন থেকে পড়ার টেবিল বলে কিছু একটা আছে সেইদিন থেকে আমার টেবিলে অন্য কারো হাত দেয়া বারন। একটা পোকাও যদি আমার টেবিলের উপর দিয়ে হেঁটে যেতো কোনো প্রকার সিসি ক্যামেরা ছাড়াই আমি টের পেতাম। টেবিলে হাত দেয়া বারন কারন অন্য কেউ হাত দেয়া মানে অগোছালো করে ফেলা। আমি দেখেছি আমি ব্যবহারিক জিনিস সম্পর্কে যত যত্নবান তত যত্নবান মানুষ আজও আমার চোখে পড়েনি। অনেকে নিজের জিনিসটা খুব যত্ন করে রাখে কিন্তু অন্যের জিনিসের প্রতি উদাসীন। আমি নিজের জিনিসের চেয়ে অন্যের জিনিসের প্রতি অধিক যত্নবান। হ্যাঁ। দায়িত্ব নিয়ে বলছি। আমরা যদি আমাদের চারপাশটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন মার্জিত করে রাখি তাহলে