সুপ্রিয় কাঁপছে। তার বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল বেশি কাঁপছে। পা থেকে কোমড় পর্যন্ত কাঁপছে। শরীরও কাঁপছে তবে হালকা। আমি ত অবাক। ক্লেস অব ক্লেন খেলায় যে সারাদিন মত্ত থাকে, যুদ্ধ নিয়ে যার কারবার মোবাইলে দিনরাত তার কপালে কেন চিকন ঘাম থাকবে.... স্পট থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আছে সে, আমাকে বলছে আমিও যেন তার কাছে চলে যাই, আমি ছেলেটার জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি, ছেলেটির হাত দিয়ে গড়গড় করে রক্ত পড়ছে .... বারাকপুরের চিড়িয়া মোড় থেকে আমরা অটোতে উঠি। যাবো ধুবি ঘাট। ধুবি ঘাট থেকে হুগলি নদী পার হয়ে শ্রীরামপুর। ধোপা থেকে ধুবি শব্দের জন্ম। অটো ড্রাইভারকে দেখামাত্র আমার গ্রামের ছেলে মিজানের কথা মনে হয়ে গেল। মিজান সিএনজি চালক। মিজান সিএনজি চালালে মনে হতো বাতাস যেন ঝগড়া শুরু করল। একদিন মিজানকে বলেছিলাম "ভাইরে, মাথা ঠান্ডা
Month: September 2020
অভ্যাস জন্মগত নয়, জন্মমাত্র মানুষের অভ্যাস থাকে
ইলেকট্রন। প্রোটন। নিউটন। কোয়ার্ক। একসময় সময়ের চরে ভেসে উঠে প্রাণী। প্রাণী থেকে বিস্তৃর্ণ প্রাণিমাঠ। প্রাণিমাঠ থেকে মানুষের ইতিহাস। জন্ম থেকে প্রাণীকে প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। মানুষকেও যুদ্ধবিদ্যা আয়ত্ত করতে হয়েছে। মানুষ যুদ্ধে সমকালীন পারদর্শী। জ্ঞানের রাজ্যে ভ্রমণ করে জানতে পারি যে মানুষই প্রকৃতিরাজ্যের নায়ক, অন্যভাবে বললে 'চালাক শোষক'। প্রকৃতির প্রত্যেকটি বিভাগে মানুষ তার প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট রয়েছে, সফলও হচ্ছে। মানুষের ইতিহাস তাইতো প্রভাব বিস্তারের ইতিহাস যেখানে টিকে থাকা আসল কথা, পাপ-পুণ্যের প্রশ্ন অবান্তর। মানুষ প্রথমে অভ্যাস তৈরি করে। পরে অভ্যাস মানুষকে চালিত করে। অভ্যাস সব সময় চাহিদাকে সামনে রেখে গঠিত হয় এমন নয়, চাহিদার আয়োজনকে ফাঁকি দিয়েও সে নিজের উপস্থিতি জানান দিয়ে থাকে । অভ্যাস জন্মগত নয়, জন্মমাত্র মানুষের অভ্যাস থাকে। শব্দ উচ্চারণের অভ্যাসে ভাষার জন্ম। ভাষার জন্মের
প্রয়োজন কিন্তু প্রয়োজন
পালাতে হবে নতুবা জেগে উঠবে যতসব বিপ্লবের আগুন
মানুষের সাথে আমার আন্ডারগ্রাউন্ড সম্পর্ক কে আছো সম্পাদক কে আছো প্রোডিওসার পালাও পালাও অফিস ঘেরাও হবে জ্বলবে আগুন দাউ দাউ। শিল্পের নামে চলছে যৌনতার ব্যবসা বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে প্রোগ্রাম এই মাটি এই শিল্প তোমার আব্বার না, জনগনের গ্রাম। এই গ্রামে ফুলের চাষ হবে, মৌমাছি আবার আকাশে উড়বে, মাছের বাজারে মাছি করবে ভনভন। যে কৃষক ফসল তুলতে গিয়ে ঘাম ঝড়ায়, যে নদীকন্যা পৃথিবীর ভার বুকে নিয়ে সংসারপথে গতি হারায়, যে লেখক স্রোতকে ধাক্কা দিয়ে বিপ্লব বানায়-- তাঁদের কাছে মাথা নত করে নদীর জোয়ারের মতো চিনে নিবো আশালতা ফল, সমাহিত মন, হৃদয়ের জন, জীবের আগের জল ভুলে যাবো নেমে আসা যতসব ভয়ার্ত কনকন। তোমাদের কাছে খুচরো পয়সার মতো গরীবের জীবন গরীব মরে আইনের ফাঁদে, তোমাদের আদালত রোজ চলে এসিরুমে তোমাদের মানবিক বৈঠক টেবিলের নিচে কাজ চালায় আমাদের সম্পাদক মানুষের সাথে আমার আন্ডারগ্রাউন্ড জীবন নো টক নো টক!
তাও তে চিং
জীবনে অনেকের সাথে আড্ডা দিয়ে শান্তি পেয়েছি।তবে বেশ শান্তি পেয়েছি হাতেগোনা কয়েকজনের সাথে। হাতেগোনা কয়েকজনের মধ্যে লাও ৎস একজন। ভদ্রলোক চীনা। চীনাদের ডি,এন,এ - এর পরম্পরা আত্মমর্যাদার দিকে। ভদ্রলোক বেশ আত্মমর্যাদা সম্পন্ন। কথা বলেন জ্ঞানীদের মতো। তবে জ্ঞানী মনে করতে ভালো লাগে না, তাকে গুরু হিসাবে মেনে নিতে আরামদায়ক। তাই লাও ৎস আমার গুরু। লাও ৎস মানে বৃদ্ধ-তরুণ। আমি তো সাধারণত নিজেকে পণ্ডিত মনে করি। কথা শুনি নতুবা শোনায়। তাই প্রথমে তাঁর মনস্তাত্ত্বিক বাক্যপ্রবাহ কথা শুনতে আকর্ষণ তৈরি করে-- ``মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে, সে সবই জানে তাকে পথ দেখানো মুশকিল " তারপর থেমে থেমে কীযেন তিনি বলছেন, আমি মুগ্ধ হয়ে শোনছি -- ``সেনাপতির বক্তব্য হবে - প্রথমে সামনে এগুনো নয় ভালো হচ্ছে অপেক্ষা আর অবলোকন করা এক ইঞ্চি এগুনোর চেয়ে কখনো তিন হাত পেছান ভালো।" আরে, এ তো আমার
জানিনা কেন যে
জানি নাকেন যেতোমারে বেসেছি ভালো বেসেছি ভালো।।তোমাতেতোমাতেপেয়েছিআধার আর আলোআধার আর আলো।।আমিআমি তো ছিলাম একাএলেএলে তুমিদিলে দেখা দিলে দেখা।।নিশিদিন প্রতিদিন ডাকি তোমায়অন্তরে ছবি আকাতুমি ত নাই তুমি ত নাই।।জানি তুমি ফিরবে না আর কোনোদিনশুনবো না প্রিয় সুর স্মৃতিতে মলিনস্মৃতিতে মলিন।।https://video.fcgp17-1.fna.fbcdn.net/v/t42.9040-2/118697373_576946926395293_1148964939132445363_n.mp4?_nc_cat=101&_nc_sid=985c63&efg=eyJ2ZW5jb2RlX3RhZyI6ImxlZ2FjeV9zZCJ9&_nc_ohc=CU-PH7zAppoAX_QjHG6&_nc_ht=video.fcgp17-1.fna&oh=8194a6f221813acb8eba1980f1dcf280&oe=5F54E5F6#_=_
দূরাগত তারা
মিছে মিছে এতো কেন স্বপ্ন সাজে মিছে মিছে এতো কেন দুতারা বাজে মিছে মিছে এতো কেন মনটা সাজে দূর কুয়াশায় দূর কুয়াশায় স্বপ্ন মেলে দূরাগত তারা কেন আমাকে ডাকে আমি কেন ঝরে যাওয়া মেঘের বাঁকে ভোর কুয়াশায় ভোর কুয়াশায় স্বপ্ন খোলে দূরাগত তারা সদা একা না থাকে একা মনটা ছেড়ে ঝঞ্জা ছোটে তার পাশে ঘন কুয়াশায় ঘন কুয়াশায় স্বপ্ন দোলে 29082014, 313
আকাশের উপরে আকাশ
যখন বৃষ্টির মতো বিপ্লব নামে তখন আমি চুপ থাকি। বিপ্লবের সাথে আমার দেখা হয়ে যায় রাস্তার মোড়ে চায়ের কাপে রেস্তোরাঁয়। বিপ্লব এক সামরিক ট্রেনিং চুপ করে বসে থাকার নাম, কেমন করে মানুষ হাঁটতে হাঁটতে চোখ ফিরিয়ে তাকায় এবং অন্ধকারে মিলিয়ে যায় তা নোটবুকে লিখে রাখার নাম বিপ্লব। মানুষ মানুষকে ভুলে গেলে শান্তি আসবে, মানুষ মানুষকে পরাজিত করলে শান্তি আসবে, মানুষ মানুষকে হত্যা করলে শান্তি আসবে। অনেক ক্লান্তি এসে জমা হয় শার্টের বোতামে, বোতামফুল তখন সাইকেল চালাতে পারে না, হাঁটতে থাকে। হাঁটা একমাত্র অসুখ যার কোনো বৃষ্টিরোগ নেই। অনেক নদী বুকে নিয়েও আমি রোদমানুষ হতে পারি প্রিয়তমা, ছোট হতে হতে তোমার পায়ের আঙুলের অনেক নিচ দিয়ে চলে যাবো তবুও বলব না ভালোবাসি। ভালোবাসা কোনো দেশ নয় যার স্বাধীনতার দরকার হয়, ভালোবাসা এক আকাশের
জিরো টু ইনফিনিটি
প্রিয় ঋতু। প্রিয় ঋতু নামে আমাদেরকে রচনা লিখতে হতো। ক্লাস ফাইভ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত এই রচনা লেখার রীতি চালু ছিল। আমার চারপাশের সবাই প্রিয় ঋতু রচনা মুখস্থ করতো। কিন্তু আমি কোনোদিন বাংলা রচনা মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় লিখিনি। ছোট কাল থেকে কেন যেন বানাইয়া লিখতে ভালো লাগে। বানাইয়া লেখা মানে নিজের মতো করে লেখা। ফলে প্রিয় ঋতু রচনা লিখতে হলে আমি একেক পরীক্ষায় একেক উত্তর লিখতাম। মজা করে লিখতাম। প্রিয় ঋতুর দৃশ্যগুলো চোখের সামনে টপ টপ করে ভাসত আর আমি লিখতাম। এক কথায় বললে আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল। কারন শীতকালের সাথে কাজের একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, মানুষ প্রচুর কাজ করতে পারে এবং প্রচুর আরাম করতে পারে। তাছাড়া শীতকালের কুয়াশার মধ্যে জোছনার মতো মিহি মিহি একটা বিষয় রয়েছে। রচনা লেখার আবার একটি বিশেষ পদ্ধতি ছিল।