মাঠের পর মাঠ মাঠের পর মাঠ এবং মাঠের পর মাঠ। ট্রেন চলছে তো চলছে। আসামির মতো বসে আছে, শুয়ে আছে নিজ সিটে তারা। জানালার চোখ দিয়ে সবুজ মাঠে শাদা বকের মতো মন্দির দেখা যায়। শরৎ বাবুর কোনো উপন্যাসের কোনো একটি চরিত্র খুব মনে পড়ছে। আকাশ হতে থেকে থেকে নেমে আসছে জাপানি রোদ। তাহলে বুঝতে পারলুম পৃথিবীর সব জায়গায় কমবেশি রোদ থাকে। এতো রোদের মাঝেও কারা যেন অন্ধকারের চাষ করে। রবিবাবুর অমলের মতো বসে আছি জানালার পাশে। অনেক পথের সাথে দেখা হচ্ছে। অনেক পথ। কোনো পথ সোজা, কোনো পথ অদ্বয়, কোনো পথ পাড়াত আবার কোনো পথে নেমে আসে ধান সবুজ। কোনো পথই মানুষের মনের মতো এতো লোভাতুর নয়। প্রত্যেক পথ একটি ভ্রমনের কথা বলে। আর মানুষ চিনে সীমানা। চোখের সীমানা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে
Month: May 2020
তোমার নামে নদী কিনবো
আমি একটা আকাশ কিনবো নদীর পাড়ে চাঁদের আলোয় তিল বসাবো নীলের গায়ে হলুদ কালার আলো থাকবে জল বরাবর জলের নিচে মাছের আবাস সুখ তরাতর বৃষ্টি এলে প্রেমের চালে শব্দ হবে চুলগন্ধ ফুলের চালে নাকে যাবে সবুজ একটা পাহাড় নামবে দূর জানালায় মেঘের একটা নহর নামবে ঘাটু ঝরনাগায় মধ্যরাতে তারার দল রীতিমতো দিবে কল সবুজ হাসি মনের দেশে উঠোন পথে চলবে হেসে আঙ্গুল আমার তোমার ক্ষেতে করবে চাষ রাত বিরাতে সবুজ একটা আলো এসে পড়বে তোমার নরম ঠোঁটে আমি তখন গরম বাতাস শরীর তোমার তুলার তাস আমি একটা বাড়ি করবো নদীর জলে তোমার সাজে ঠিক তখন আমার আকাশ সজল এক প্রেমের লাজে
ইয়েস নো ইয়েস
আমাদের বাড়িতে একটি বেড়াল আছে। বিড়ালটির দুটি চোখ, একটি নাক, একটি মুখ, দুটি পা আছে। বিড়ালটির প্রিয় খাবার তাজা ইন্দুর। অনেক পাহাড়ি মেয়েরা তাজা ইন্দুর রান্না করে খায়। অনেকে শখ করে বিড়াল পোষে। কারন বেড়াল আদুরে প্রাণি-- সুড়সুড়ি দিতে ও নিতে পছন্দ করে। বেড়াল দেখতে বাঘের মতো কিন্তু বাঘ না। আমার একজন প্রিয় মানুষ বেড়াল কাছে রাখে কারন সে চায় বাঘের অপভ্রংশ অন্তত কাছে থাকুক-- বাঘ নাই তো তাতে কী! যে বিড়ালটি আমার প্রিয় সেটি শিকারি। তাজা ইন্দুর আর তাজা টিকটিকি শিকার করে। শিকারি বেড়াল ম্যাথ ভালো জানে। তাইতো স্বামী না থাকলেও বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে তার সংসার ভালোই চলে। এক জন সাহাবীর নাম ছিল বেড়ালের বাপ বা বেড়ালের অভিভাবক। বাড়ি গেলে বিড়ালটি দৌড় দিয়ে আমার পায়ের কাছে আসে বাজার থেকে বাবা বাড়িতে গেলে তার নাতি-নাতনি
আয়তনে ছোট মুখ দেখাতে বড়
দাবা খেলতে জানে না মানুষ দাবা খেলতে জানে না চুমু খাবার আগেই তারা শুরু করে জলকেলি খেলা দাবা খেলার আগেই মানুষ দেখায় আফিম কৌতুক কৌশল যোগ্যতা পৌষের মেলা গতির মতন স্থির হয়ে আসে সৈয়দ শামসুল হক কিংবা তাহাদের পিতা একদিন পরে আগের দিন দেখা যায় আগের দিনে বসে দেখি পাবলিক বাস ভ্রমনে রমনে হনুমানে সাপ মুন্সি গ্রাম-- মৃত্যুর পর মৃত্যু মৃত্যুর পর মৃত্যু খানিকটা জীবন আর কত বেঁচে থাকা যায়-- এ যে নামাতা নামাতা আয়তন আয়তনে নামে সুখ আয়তনে নামে দুহ আয়তনে রাজ্য আয়তনে পরাজয় আয়তনে যতসব রাজার আসন আয়তনে কেনাবেচা আয়তনের ভেতর আয়তন মুখোমুখি বসিবার কতিপয় বচন একটা গতি বারবার বারবার মাথার ভেতর ডেকে ডেকে হয়রান কোথাও যেতে বলে কোথাও স্থির হতে দেয় না-- চলো চলো চলো চলতে চলতে থামা ভুলে গেছি-- কষ্ট হয় যে মনের ভেতর আর কত কষ্ট নিয়ে জীবনের সাথে বাজি খেলবা মন আর কত কষ্টের বারান্দায় ফেলবে যবনিকা চিহ্ন দাবা
বাতাসের প্রেম ফুলের সাথে
তোমার চোখে বৃষ্টি কেমন ভেবেও আমি ভাবি না তোমার চোখে রোদের খেলা দেখেও আমি দেখি না একলা আমি সাগর তীরে সাগর আমি সাগরমুখী পেছন থেকে স্মৃতির খেলা গল্প আমার লুকোচুরি আকাশ বেয়ে চাঁদ উঠে মেঘও তার প্রতিবেশী পেছনে সব উড়াল পাখি সমাজ নিয়ে দারুন খুশী বয়ে চলা জীবন নিয়ে প্রশ্ন করি উত্তর লিখি বর্ষাজলে বেহুলা ভাসে স্বর্গ কোথায় স্বর্গ খুঁজি জীবন যাবে জীবন রবে আসবে তুমি আসবে আমি আবার যখন দেখা হবে বলবো তোমার প্রেমিক আমি
রেজা বন্ধু আমার
রেজা বন্ধু কই গেলা তুমি? তোমারে আমি হারিকেন লাগাইয়া হুজি-- দোহানে হুজি, বাজারে হুজি, বোলপুর ইস্টিশনের প্লাটফর্মে হুজি, ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পুব পারে হুজি-- তোমার দেখা নাই তো নাই-- আমারে তুমি এমন কইরা বুইল্যা যাইতে পারলা, পারলা রেজা বন্ধু! মানু কেমনে পারে মানুরে টুসটাস বুইল্যা যাইতে! আমি তো তোমারে বুলি নাই-- আবার রবীন্দ্রনাথের মতো কইও না নয়নের সামনে তুমি নাই বিধায় নয়নের মাইদদে নিছ ঠাই-- হুদা জানি তর লাইগগা হৃদয় আমার ফালদা ফালদা ওডে-- আয়নায় চাইলে হালি গুলা গুলা লাগে -- চোখের বিততে একটা আস্তা ডাহাইত দেখি-- এই ডাহাইত কী জানে বন্ধু আমার কই আছে? বন্ধুরে দেহার মনে লই, আদুর কইরা হের লগে যদি কতা কইতে পারতাম-- বন্ধু তোমারে যেদিন হারাইছি হেদিন থেইক্কা আমি বুলি গেছি মান আরাফা নাফসাহু ফাগাদ আরাফা রাব্বাহুর কথা,
জানালায় বন্দী থাকে রাত আর দিন
কাক কাকের মতে উড়ে তাল তালের মতো পড়ে নদী নদীর মতো বহে শিশু আপন মনে কাঁদে গতির উপরেও গতি বলে কিছু একটা থাকে থেমে থেমে আসে বোধ-- বোধের সাজানো বাসর তরমুজের ব্যবসা করে যে লোকটা সেও জানে তরমুজ মানে লাল আর সবুজ জলকেলি মাংসের ভেলকি-- তরমুজ জানে অন্যকিছু-- অন্যরকম আলোর মতো কালো হয়ে আসে চিন্তার ঋতু। ব্যবসার ভাষায় কথা বলতে পারে না যে লোকটি সে বড় বোকা সমাজের কাছে-- কিছু হয়ে ওঠে না কিছুই হয়ে ওঠে না ঘোড়ার ডিম টাইপের কিন্তু সময়ের কাছে সে যেন স্মার্ট এনাফ। কার কাছে কি কতা কমু চোখের কাছে চোখ বড় একা দরজা খোলা থাকে জানালায় বন্দী থাকে কিছু অপেক্ষা
পাথর তারপর জল থেকে দূরে
দুঃখ পেলে আকাশে চোখ রেখো একটা তারা জ্বলছে রোজ নামছে নিচে দেখো দুঃখ পেলে জানালা খুলে দিও আসবে বাতাস আমারই মতো প্রানে টেনে নিও দুঃখ পেলে কবিতা পড়তে বসো কাব্য সুখের আলো আসবে উদার মনে হেসো দুঃখ পেলে জলের পাশে হেঁটো ঢেউয়েরা সব গায়বে গান দুঃখসুতা কেটো দুঃখ পেলে দুঃখ করো বসে চোখের জলে কথা বলো নিজের সাথে হেসে
চাষে জীবন
বড় কিছু হলে হলাম না হয় হলাম আকাশ থেকে একটি চাঁদ পেলে পেলাম না হয় পেলাম পৃথিবীকে দেশের মত দেখতে গেলাম না হয় গেলাম তোমার ভেতর লুকিয়ে থেকে সুখটি নিলাম না হয় নিলাম নিষাদ রাতের সাগর থেকে শান্তি এনে তোমায় দিলাম না হয় দিলাম আকাশ ভরা তারার দেশে ঘুরতে গেলাম না হয় গেলাম ভালোবাসি বলতে গিয়ে বলে ফেললাম না হয় ফেললাম যুদ্ধ তবে বেঁধে গেল না হয় গেল বৃষ্টি তবে হয়ে গেল না হয় গেল জোয়ার তবে এসে গেল না হয় গেল জেলে তবে জাল ফেলল না হয় ফেলল আমিও আকাশ আশা রাখি হবো চাষা চাষে জীবন চাষে জীবন জীবন খাসা