একবার মানুষের ডাক পেয়ে হাশর পৃথিবীর দিকে হাটা শুরু করে। নদী থেমে যায়। মানুষের জেলখানা বন্ধ হয়ে যায়। একটা লোকের কাছে দায়িত্ব দিয়ে সব লোক ঘুমাচ্ছে। অন্ধকার ঘুম। এখানে নদীর অনেক ঢেউ, অনেক স্রোত। কাল ভোর হবে। আজ একটি নির্দিষ্ট দিন যেখানে কবরের ডাক কানে আসতে পারে। মানুষের ঘুম নেই। নদী ও নারীর ঘুম নেই। মাদের ঘুম নেই। বলেন। আপনি বলতে থাকুন। শুনতে আসা লোকদের বড়ই অভাব। কেউ ব্রার মতো কেউ চরের মতো কেউ নদীর কুয়াশার মতো বলতে চায়। বলুন। বলতে থাকুন। হোক পদ্মা বা মেঘনা নদী। সব জলের সম্পর্ক অনেক গভীর অনেক নিবিড়। মানুষে মানুষে সম্পর্কে অনেক আজাইরা স্বার্থ থাকে যেখান রোদ এসে খেলা করে না। মানুষ নৈর্ব্যক্তিক মানুষ অবজেক্টিভ মানুষ কাকতালীয় ব্যাপার স্যাপার। মানুষ হতে পারেনি প্রিয় আপেল ফুলের নরম
Month: May 2020
আমাদের ম্যারাথন আমাদের দেখা গল্পের সাপলুডু
দেবলছেড়া পুঞ্জি। কেউ কেউ বলে ডাবলছেড়া পুঞ্জি। শমশেরনগরের একটি জায়গা। বাগান এলাকা। চা বাগান। দেবলছড়া পুঞ্জির পাশেই খাসিয়া পল্লী। মিস্টার পিডিশন এই পল্লীর প্রধান। খাসিয়া পল্লীর পাশেই প্রাইমারি স্কুল। স্কুলের বিশাল মাঠ। মন ঠান্ডা করে দেয় এমন মাঠ। এই মাঠ থেকে সকাল ছয়টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয় আমাদের ট্রেইল ম্যারাথন। ৪২.২ কিলোমিটার। আমরা কিন্তু ছয়টা ৪৫ মিনিটে ম্যারাথন শুরু করিনি। আমরা বলতে আমি আর সাদিয়া দেওয়ান মুনা। মুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের philosophy ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট। ম্যারাথন করে প্রায় দুই বছর আগ থেকে। মুনার আন্তরিক সহযোগিতার ফলে ম্যারাথনযাত্রা শুরু করতে পারলাম, তাও আবার ট্রেইল ম্যারাথন দিয়ে। কেন আমরা ৫৫ মিনিট পরে ম্যারাথন শুরু করি? ড্রেস পরিবর্তন করার জন্যে কোনো জায়গা খুজে পাচ্ছিলাম না। ব্যাগ রাখার জন্যে কোনো নিরাপদ জায়গায় খুজে পাচ্ছিলাম না। তাছাড়া শমশেরনগর থেকে
বুদ্ধদেব বসুর ‘রাত ভ’রে বৃষ্টি’ ও আপস্টেজ
বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাস 'রাত ভ'রে বৃষ্টি'। বুদ্ধদেব জন্মগ্রহন করেন কুমিল্লায়। 'রাত ভ'রে বৃষ্টি' জন্মগ্রহন করে ১৯৬৭ সালে। জন্মই যেন তার আজন্ম পাপ। তাইতো ১৯৬৯-৭৩ পর্যন্ত মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে মানে 'রাত ভ'রে বৃষ্টি'কে। কারন কী?কারন সহজ। খুব সহজ। অশ্লীলতার দায়ে 'রাত ভ'রে বৃষ্টি'কে কাঠের ঘরে দাড়াতে হয়েছে। শেষে-মেষে অবশ্যই তাকে নিষ্পাপ ঘোষনা করা হয়। কিন্তু অশ্লীলতার দায় ত এমন এক দায় যা চূড়ান্ত হিসাবেও ডেবিট দেখানো যায় না। অর্থাৎ আমাদের সমাজে অশ্লীলতার অভিযোগ হয়তো মুছে যায় কিন্তু চিহ্ন থেকে যায় স্লোগানে স্লোগানে। আপস্টেজ ( পহেলা মে, দুই হাজার ১৯) 'রাত ভ'রে বৃষ্টি' নামে উপন্যাসটিকে মঞ্চায়ন করেছে। এই উপন্যাসটির প্রথম মঞ্চায়ন তারা করে ১৯ জুলাই, ২০১৯। সাধারন একটি সেট নির্মান করে মাত্র তিন জনের চারিত্রিক প্রবাহে মধ্যবিত্ত দাম্পত্য সংকলনযোগ্য-সংকট স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতার দিকে
কনডম কেন? কোথায়?
কনডমকে গ্রাম এলাকায় বলে ফুটকা। বাচ্চা দোকানে যায় এবং দোকানদারের কাছে ফুটকা চায়। দোকানদার ফুটকা দেয় এবং হাসে। বাচ্চা ফুটকায় বাতাস করে বেলুন বানায়, বেলুন দিয়ে আনন্দ খেলে। রাতে বাচ্চার বাবা দোকানে যায় এবং এইদিক সেইদিক ভালো করে দেখে নিয়ে লজ্জাচোখে দোকানদারের কাছে ফুটকা চায়। দোকানদার ফুটকা দেয় এবং হাসে। বাচ্চার বাবা ফুটকা থেকে বাতাস বের করে ইনজেকশন বানায়, ইনজেকশন দিয়ে আনন্দ খেলে। ## এই গল্প থেকে আমরা শিখতে পারলাম বাবারা যে জিনিস থেকে বাতাস বের করে, বাচ্চারা সেই জিনিসে বাতাস ভর্তি করে।
কবুতর
শ্যামবাঢী। শান্তিনিকেতন। রুম ভাড়া নিয়ে থাকি। সকালে বৌদির দোকানে যাই, চুপ করে লুচি- ঘুগনি তারপর দুই কাপ চা খেয়ে সোজা রুমে চলে আসি। গাছের নিচে টিনের চাল, চালের নিচে একমাত্র আমি। দুপুরে রুমে রান্না করি-- ভাত, আলু অথবা ডিম। কোনোদিন আলু-ডিম একসাথে। ঢেড়সভাজি মাঝে মাঝে তরকারির তালিকায় অভিজাত হিশেবে জায়গা করে নেয়। খুব বেশি অলস হয়ে উঠলে রান্না করা গরম ভাতের সাথে আগুনছ্যাঁকা শুটকীই যথেষ্ট। দুপুরে জয়দেব দার কাছ থেকে কয়েক গ্লাস আখের রস খাওয়ার জন্য বের হই। দুপুরেই সূর্যের সাথে আমার দেখা হয়, কেবল দুপুরেই। কতটুকু সূক্ষ্ম হলে নিজেকে দেখা যায় জানি না তবে জানার ব্যাকুল তিয়াস নিয়ে নিমজ্জিত থাকি সময়ের বিন্দু বিন্দু রেখায়। পৃথিবীতে যখন অন্ধকার নামতে শুরু করে, সব পাখি যখন নীড়ে ফিরে, সবাই যখন অন্ধকারকে ঘরে ফেরার আযান মনে
হাওড়ামুখী
বোলপুর থেকে হাওড়ামুখী আমরা। সবার মনেই কেমন একটা ফুরফুরে ভাব। কোনো এক বাউলমুখী মানুষ ওঠলেন আমাদের কামড়ায়। কে ছেড়ে গেলে নাকি কাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না এমন জাতীয় গান ধরলেন। আমাদের স্যার আর সিটে বসে থাকতে পারলেন না। ধরলেন গান, করলেন ভিডিও। এক উৎসবমুখর চেহারা নেমে আসে ট্রেনের কামড়ায়। বাউল নেমে গেলে থেমে যায় কলরব। তনুশ্রী গান ধরে। ওর আবার ক্লাসিক্যাল গলা। এমন গলা সন্ধ্যা অথবা বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি আড্ডায় বেশ আরামদায়ক। ট্রেনের আওয়াজে দরকার এমন গান যা ঝড়জল ঝকঝক আওয়াজের লগে বন্ধুত্ব করে। তাই ধরলাম গান। হামিং সাপোর্ট বেশ পেলাম। আমি আর আমি থাকলাম না। কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম। চারপাশে মানুষ জমে গেল। ইহা এক অন্যরকম অনুভূতি। গান শেষ। বায়তুল্লাহ কাদেরী স্যারের হাত মানিব্যাগে চলে গেল। চকচকে নরম একখান
অভাবে নয়, স্বভাবে
তাকে রক্ষা করবে তার আল্লা। বিষয়টা খুব মজার। কিন্তু সে জানে না আল্লা রক্ষা করা ধবংস করার দায়িত্বে নাই। দুনিয়া এক সিস্টেমের নাম। সিস্টেমে আছো তো এমনিতেই সব রক্ষা পাবে। আমি তাকে ভয় দেখাতে চাই নি। সে ভয় পেয়েছে। তার ভয় পাওয়ার কারনও সিস্টেম। চাচা, এই রুমটাকে কী নামে ডাকে? সে ইশারা দিল লেখাটির দিকে। একটি লেখা যেখানে বুলেট করে লেখা Guard। আপনিই এই ট্রেন চালান? হুম। কীভাবে? এই প্রশিক্ষন নিয়েই আমি এখানে বসেছি। সরকার তো আর এমনিতেই আমাকে পচাঁত্তুর হাজার টাকা মাস শেষে দিয়ে দেয় না। আমিও বললাম 'হুম'। তারপর সে ওযু করতে গেল। সালাত কায়েম করবে। খুব আস্তে আস্তে সালাত কায়েম করতে থাকে সে। সালাত শেষ। এখন প্রভুর কাছে হাত তুলে সে। এই হাত তুলল, এই হাত নামাল। খুব অল্প সময়ের ব্যাপার। ভৈরব স্টেশন থেকে আমি দাঁড়িয়ে আছি।
বসার ঘরের আলো নীরবে বাইরে যায়
দুপুরের ভেতর দিয়ে চলে যায় আন্তনগর ট্রেন-- চাঁদনী রাত। নদী পড়েছে অফিসিয়াল পোশাক, আমাদের পুরাতন মাঝি সেই আগের লেবাসেই আছে, মাইকে মাইকে বাজতে থাকে হামদ কিংবা নাত। ভিক্ষুক এখনো দরজায় পাতে হাত। দরজার নিজস্ব কোনো শব্দ নেই, হাজার বছরের জানালা আমার চোখের সমান। জমানো কথার ভেতর ফ্রিল্যান্স দৃশ্য আসে বারংবার, পানপাতার মতো মুখ কেন হারায় নিজের ভিটা তা তো জানবার কথা, তা তো জানবার কথা। চোখে আসে সীমানা মনে থাকে হিসাব একটি নীল রঙের সকাল থেকে জন্ম নেয় সবুজ রঙের বিকাল। চোখের ভেতর দিয়ে চোখ দেখতে গেলেই যতসব আলোর মেলা থোকা থোকা আলো বিন্দু বিন্দু আলো চুপচাপ চুপচাপ এক দুনিয়া কামনার ঘরে মপর্না হিসাবের চারা রোপন করে ধীরে ধীরে সেই আন্তনগর ট্রেন দুপুরের মতো চলে যায় রাতের ঘরে
জলের নিচের মাছ আমিও হতে পারতাম
তখন আমি ছাত্র। তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র। আমার ক্রমিক নং চার। তিন ছিল আমারই মতো আরেকজন মানুষের। সেই মানুষটাকে আজও আমি ভুলতে পারিনা। পারিনা বললে ভুল হবে। ভুলতে চেষ্টা করিনা। আমাদের গ্রামের পাশেই মেঘনা নদী। মেঘনা নদীর পাশে একটি বিদেশি এলাকা। বিদেশী এলাকাটিকে আমরা হাউজিং বলি। সেখানে যতসব ভদ্রলোকদের জায়গা। সেখানে সেই মানুষটি যার ক্রমিক নং তিন সে থাকে। বিকেল বেলা বাজার চারতলার মাঠ থেকে হাউজিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি, কখনো খেয়া নৌকায় চলে যাই নদীর ঐপাড়ে যদি তাকে দেখা যায়। হাউজিং এলাকাটি দেয়াল দিয়ে বেষ্টিত, আমার মতো সাধারন মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ, তথাপি দেয়ালের উপর দিয়ে ছাঁদে তাকিয়ে থাকতাম যদি তার দেখা পাই। তাকে কখনো দেখা যেতো না, তার মতো করে অনেকের দেখা পাই। মতো করে পাওয়া মানুষ দিয়ে কী আর জীবন চলে!
নিরাকার জলে জালের মাছ
আমি মানে নিরাকার। যত গভীরে যাই ততই ছোট হয়ে আসে আমার চোখ কান নাক গলা মুখ। মুখের গল্প যেন সময়ের ফেনা-- সময়ের ঢেউয়ের তালে ফেনাদের জীবন। একদিন একদিন করে মানুষ মরে যায় মানুষ মরে যেতে যেতে আশার বীজ রেখে যায় । আশার বীজ থেমে গেলে হৃদয়ের ঘাটে পানাফুল ফুটে-- থেমে যাওয়ার নাম গতি, পরাজিত জীবন জয়ের বাতাস। নিরাকার আমির নাম নেই কোনো, কত নামে ডাকে লোকে আমাকে তোমাকে, আমাকে দেখা যায় না তবুও দীর্ঘজীবী কার্বন কপি আসে সময়ের ফ্লেপে। বাস্তব এমনই যা দেখে না তাকে দৃশ্য বলে যা শুনে না তাকে কথা বলে যা বুঝে না তাকে বোধ বলে এক চমৎকার অদৃশ্যের ভেতর কেটে যায় রাধাফুল জীবন, হরতাল, হাতিয়ার-- আমার ঘরে আমিই নিরাকার।