আরবি শব্দ وجدة, যার অর্থ দাঁড়ায় এমন একজন নারী যে তার অস্তিত্ব খুঁজে পায়। অস্তিত্ব মানে সাহস যা মানুষের মৌলিক গুন। একমাত্র সাহসই মানুষের চরিত্রের মৌলিক দিক যা মানুষের চরিত্রের অন্য দিকগুলোকে হেফাজত করে বা বিকশিত করে তুলে। তাহলে ওয়াজাদা সিনেমায় কে সাহসী বা অস্তিত্ববান? অবশ্যই হাইফা আল মনসুর। কারন অনেক। তবে তার দূরদর্শী মানসিকতার সাথে সর্বময় দৃষ্টিকোনের দিকটি গুরুত্বপূর্নভাবে আলোচনার দাবি রাখে। ওয়াজাদা একটি সিনেমা। দশ বছরের একটি মেয়ের সাইকেল কেনার কাহিনিকে মূল বিন্দু ধরে সৌদি আরবের জীবনাচার তুলে ধরার প্রয়াসই ওয়াজাদার প্রধান চরিত্র। এই সিনেমার লেখক ও পরিচালক হাইফা আল মনসুর। হাইফা আল মনসুরের বাবা একজন কবি। ফলে ছোটকাল থেকেই সৌদি আরবের ধুলাবালির ভেতর যে জীবননাশকারী সাপ লুকিয়ে আছে তার সন্ধান পেয়েছিলেন হাইফা আল মনসুর। তাইতো নির্মান করেন প্রথার বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষনাকারী
Day: May 28, 2020
চর সোনারামপুর (একটি দ্বীপ গ্রাম)
চর সোনারামপুর আশুগঞ্জ উপজেলার অধীনে একটি দ্বীপ গ্রাম। এটি মূলত একটি জেলে পল্লী। তবে বিচিত্র পেশার মানুষের এখানে দেখা মিলে। হিন্দু মুসলিম পরিবারের মধ্যে এক অপূর্ব মানসিক ঐক্য এখানে বিরাজ করে। এই দ্বীপ গ্রামের এক পাশে আশুগঞ্জ বন্দর, অন্যপাশে ভৈরব বাজার। মেঘনা তাদের জীবনে দিয়েছে প্রান, প্রানে দিয়েছে ভাষা।
প্রেমই পারে মায়া বেগমকে মায়াবতী করে নিতে
তিনশত দুই। তিনশত সাত। তিনশত ৫৪। বাংলাদেশের মানুষের কাছে অধিক পরিচিত তিনটি ধারা। তবে তিনশত দুই ধারা খুব বেশি পরিচিত। দন্ডবিধির তিনশত ৫৪ ধারাটি ইদানিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারন আগে বাংলাদেশের নারীরা নিজের শরীরকে ইজ্জতের প্রথম এবং শেষ মূলধন মনে করতো। এবং এই মূলধনের উপর কোনো প্রকার আক্রমন মানে তাদের জীবন শেষ। এই মূলধন কোনো প্রকার চুরি বা ডাকাতি হলে মৃত্যুই প্রথম এবং শেষ অবলম্বন মনে করে তারা মাটিতে মিশে যাওয়ার নিয়তে যাত্রা করতো। নারীর দৃষ্টিভঙ্গিররর বদল হয়েছে। এখন তারা প্রতিবাদ করতে শিখেছে। অবশ্যই সব সময়ই প্রতিবাদের আড়ালে অসৎ নিয়তের বান্দা থাকে যারা নিজের মানসিক অসুস্থতাকে প্রতিবাদের নামে বিক্রি করতে চায়। এই তিনটি ধারাকে কেন্দ্র করে 'মায়াবতী' জোয়ার পেয়েছে। মায়াবতী মূলত মায়া'র প্রিন্সেস মায়া হয়ে উঠার এক জীবনস্রোত। অরুণ চৌধুরী মায়াকে তাঁর
কথাদের ঘরবাড়ি
শব্দঘর তবন = লুংগি ;ফিরনি > সিরনি >সিন্নি ;আগগা= এগিয়ে আসা;পিচ্চা = পিছনে যাওয়া;ভাটি > বাইট্টা = ছোট আকৃতির, পেছনে যাওয়া ~ সিন্নি দেহলে আগগা, কুত্তা দেহলে পিচ্চা = সুবিধাভোগী মানসিকতা ; আগে গেলে বাগে হা, পিচে গেলে পইসা ফা = শান্ত চিত্তে সফলতা থাকে এমন ;কুস্তা = কিছু, অল্প পরিমাণ ;তাফাত = দূরে;বাগ = দূরে যাওয়া;বন /হের = খড়;আগা / গু = মলমূত্র ;খালা + আম্মা = খালাম্মা > হালাম্মাজ্যেষ্ঠ >জেঠা> জেডা =বড় চাচাজ্যেষ্ঠী > জেঠী>জেডী = বড় চাচী বেছা (becha)~ vend, sell out, sell, encash বিক্রি > বিহি > বেছা দুয়ান (doyan) ~ shop, small market, store, hoard দোকান > দোহান > দুহান > দুয়ান হস্তা (hosta)~ cheap, common, punk,twopenny, potty, get-at-able, inexpensive সস্তা > হস্তা ইলা (ela)~ he/she, subjective form of third person singular number,
বাওড় দেখা হলো এবার
দত্ত। মাইকেল। মাইকেল আর দত্ত এক নয়। তবুও তাঁর নাম মাইকেল মধুসূদন দত্ত। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেনো বলেন বঙ্গে বিবিধ রতন রয়েছে তা যশোরে না আসলে বুঝতে পারতাম না। পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশের গ্রাম অবশ্যই আলোচনার মতো সৌন্দর্যের দাবিদার। বাংলার গ্রাম শ্যামলিমা-- শ্যামল বর্নের গন্ধ জোয়ার। ঝিকরগাছা থেকে যাবো রাজগঞ্জ। কপোতাক্ষ নদের ব্রিজের গোড়া থেকে বাইকে ওঠলাম। বাইক যিনি চালাচ্ছেন তার নাম আমিন। তার ছেলের নাম আসলাম ( বাংলাদেশের মানুষের নামের অর্থ জানলে আরবি অভিধানের অর্ধেক মুখস্থ হয়ে যাবে)। আসলাম মাদ্রাসায় পড়ে। ঝিকরগাছা ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা। সাইনবোর্ডে লেখা। বাস্তবতা কেমন তা অনুমান করতে পারি না। কারন বাংলাদেশের অনেক কিছু অনুমান করা সম্ভব নয়। কারন বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নেই। বাংলাদেশে এখন দৃশ্যমান মুখের চেয়ে অদৃশ্য মুখ অনেক বেশি শক্তিশালী। ঝিকরগাছা থেকে রাজগঞ্জ প্রায় আঠার কিলোমিটার
প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আমাদের ভবিষ্যৎ
একাডেমিক শিক্ষা অনেকটা ঘরের মতো। যখন ঘর ছিল না তখনো মানুষ পৃথিবীতে ছিল। তখন আকাশটাই ছিল একমাত্র ছাদ। এখন ছাদের ভেতরেও ছাদ আছে। ঘরের প্রান খুঁটি। খুঁটিকে অনেকেই খুঁটিনাটি বিষয় বলতে পারে। কিন্তু খুঁটিনাটি বিষয়টি ঘরের জন্য মহা সত্য। দালানের জন্য যেমন ফাউন্ডেশন প্রান তেমনি ঘরের জন্য খুঁটি তেমনি একাডেমিক শিক্ষার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষার একাডেমিক আঁধার প্রাথমিক বিদ্যালয়। অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয় একাডেমিক শিক্ষার ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশন দুর্বল হলে দালান যত আকাশমুখী হবে ততই বিপদজনক। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা তথা ফাউন্ডেশন শুধু দুর্বল নয়, খুবই দুর্বল। দুর্বলতার কারন অনেক। প্রধান কারন শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা আছেন তাদের শিক্ষার গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। অধিকাংশ শিক্ষক নিজের পছন্দকে সামনে রেখে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি। নিজের পছন্দ মতো বিয়ে না করলে কারো দাম্পত্য
মাছ নয়, নদী নিয়ে গেলো
এক বন্ধুর হাতে স্বর্ন দিয়ে বলেছিলাম 'এক মাস পর নিয়ে যাবো।' দুই বছর পর বন্ধুকে বললাম 'আমার স্বর্ন ফেরত দাও।' বন্ধু ফেরত দিলো রূপা। তার মতে আমি তাকে রূপাই দিয়েছিলাম। আমি বন্ধুর সাথে কোনো প্রকার তর্কে জড়ানোর প্রয়োজন মনে করিনি। কারন ডায়মন্ড হিরার চেয়ে মহামূল্যবান 'আস্থা' সে হারিয়েছে যা তার জন্যে আমার হৃদয়ে জমা ছিল!
দ্যা সাউন্ড অব সাইলেন্স
`সিয়েন আনিয়োস দে সোলেদাদ' উপন্যাসের সূচনা অনেকটা কৌতূহলে , রহস্যে-- যেখানে প্রথম হোসে আর্কাদিয়ো একটি লোককে হত্যা করে আর এরপর সে প্রচণ্ড অনুশোচনায় ভোগে, ভয়ঙ্কর রকমের এক বিবেকের দংশন শেষ পর্যন্ত তাকে তার গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করে এবং গ্রাম ছেড়ে পাহাড়-পর্বত ডিঙিয়ে সে পত্তন করে পৌরাণিক মাকোন্দোর। 'সিয়েন আনিয়োস দে সোলেদাদ' উপন্যাসটির লেখক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস। লাতিন আমেরিকার উপন্যাস নিয়ে বিশেষ করে গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এর লেখালেখির পেছনের কাহিনি নিয়ে চমৎকার একটি কথোপকথনের [গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এবং মারিয়ো বার্গাস ইয়োসা এর মধ্যে কথোপকথন] বই আমার হাতে আসে। গোগ্রাসে গিলতে লাগলাম। ক্লাসের পেছনের বেঞ্চটি নির্বাচন করলাম যাতে আমার গিলাতে কোনো কাঁটা না লাগে। ক্লাস শেষে সোজা সেমিনার লাইব্রেরীতে চলে আসি। সেমিনার লাইব্রেরীর বইগুলো চুপচাপ, কলহীন, শান্ত; কুমারীও বলা যায়। কারণ আজ পর্যন্ত
তোমার নামে নামি আমি
ধর্ম
শুদ্ধতার কোনো সঠিক গন্তব্য নেই। শুদ্ধতা এক ভ্রমণের নাম। শুদ্ধতার পথে প্রত্যেক মানুষ পথিক মাত্র। শুদ্ধতার পথে প্রামাণিক কোনো স্টেশন আজো আবিষ্কৃত হয়নি। তারপরও ধর্ম শুদ্ধতার স্টেশন বা প্রতিষ্ঠান হিসাবে জনপ্রিয়। ধর্ম এবং উগ্রতা আলাদা ধারণা। ধর্ম হল একটি বিশ্বাস যা মানুষ ধারণ করে। ধার্মিক বিশ্বাস করে শান্তিময় পৃথিবীর। ধার্মিক জানে কীভাবে শান্তিতে থাকতে হয় এবং অন্যকে রাখতে হয়। উগ্রতা ব্যক্তিগত। অজ্ঞতা উগ্রতার জন্মস্থান। আবু জাহেলের নাম মূলত আবুল হেকাম। হেকাম অর্থ জ্ঞানী, প্রাজ্ঞ। আবু জাহেল যখন হযরত মোহাম্মদের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেনি তখনই তার নামের গুরুত্ব কমে যায়। আবু জাহেলের বাড়িতে আজ টয়লেট যেখানে প্রস্রাব করলে পুণ্য হয়। হযরত মোহাম্মদ আবু জাহেলের বাড়িতে প্রত্যেক দিন কয়েকবার করে যেতেন। আয়াত নাযিল হলো তার বাড়িতে গিয়ে ফায়দা নেই। কারণ আল্লাহ তার দিলে মোহর মেরে