
চরমে যাবার ভয় বারবার জড়ায়ে ধরে
পরমকে পাওয়ার আকুতি বারবার হৃদয়ে আসে
গুনাগারের মতো ভগবান আমার বারবার ডাকে
আমি যেতে চাই
আমি ধরতে চাই
ঘুমাতে চাই যোনির ভেতর গতিশীল নদী হয়ে
ঘাসফুল অজ্ঞান না হয়ে মরে যায়,
আকাশ থেকে নেমে আসে নৌকাবাইচ– লাল পতাকা– নাগরিক শব্দ থেকে নিস্তার নেই– বাড়িদের কোনো ঘর নেই– এতো নাইএর মাঝে ক্যামনে মাঝি নৌকা চালায় ইচ্ছে জাগে জানিবার– বৃষ্টির মতো মোনালিসা মেঘ আসে– সৃষ্টির জল চলে যায় পাহাড়ে– চলে যায় পর্বতের পরপারে।
কেন তুমি হাসতে জানো না?
কেন তুমি প্রার্থনার মতো চুপ থাকো ইথারে ইথারে?
কেন তুমি পুষে রাখো কাফের অভিমান?
আমি তো রোজ মানুষ, মিনিটে মিনিটে মানুষ, কিয়ামতের পরেও মানুষ– আমার জন্য একপাশে দোযখ অন্যপাশে স্বর্গ– অনিয়মিত হাসি আমাকেও দিতে হয়– স্বর্গের লোভে আমিও কায়েম করি সালাত– আমার হৃদয়েও আসে কামাতুর এলহাম।
কেন তুমি মেলে ধরনা ভোরের আলো, রাত্রির কম্পন? জীবন তো এমনই মুহুর্তের ভেতর বেহুলার মতো সংগ্রাম প্রিয়– লাতামুরগী থিউরি মেনে নিলে সঙ্গমে তবলার মতো সুখ বাজে কানে কানে– প্লাজমা হয়ে যাই তবুও নিরাকার ফুল তুমি– ভুলের শহরে অধিক ভুল।
নির্বাচিত ভুল থেকে জাদুঘর হবে, স্তনের উপরে দেয়া হবে চুপচুপে স্পর্শ– লিওনার্দো রচনা করবে লাভ স্পটের বহুভুজ চিত্র– এ্যাভসার্ড আইডিয়া।
কাল থেকে ঝড় হবে
বৃষ্টি হবে মাঝেমাঝে
শিলাবৃষ্টিতে রচনা হবে নাভিমূলদেহ
দেহের ভেতর জমা হবে পলিমাটি সুখ– পকেট ভর্তি মাধ্যমিক গনিত।
কাজ হবে না
ধ্যান হবে না
সকাল হবে না
কেবল প্রিয়তমা পাখির মতো শব্দের ওমে পালিয়ে যাওয়া কোনো এক নীরব শহরে।
আসবো না
বসবো না
কইবো না কতা তর লগে– প্রয়োজন বলে কিছু নেই– কিছু নেই সমস্ত আয়োজনে– পৃথিবী এখন গনিত সমাধান– তুমিও আমার মতো আস্ত অভিমান