জাঙালিয়া নামে এক গ্রামে গেলাম। গ্রামটি যেন মমতা দিয়ে ঘেরা, গ্রামের সারা শরীরে সবুজের লোম। হাড়িধোয়া নামে হ্রদের মতো একটি নদী গ্রামীণ পরিবেশে জলভেজা আবেদনকে পরিপূর্ণ করে রেখেছে। ধানের সবুজ অবুঝ মনটিকে সান্ত্বনার চকলেট দিয়ে নাচিয়ে রাখে সারাক্ষণ। নাম নাজানা কিছু পাখির অচেনা সুর হৃদয়ের কোন অচেনা গলিপথে যেন হামাগুড়ি দিয়ে জায়গা করে নেয়। এখানকার মানুষেরা মানুষের মতো সহজ, সরল, সাবলীল। হোমিও ডাক্তার কাসেম চাচ্চু, কবিরাজ লিটনদা জীবনকে উপলব্ধি করে বিশ্বাসে। প্রশ্ন করা তারা এখনো শেখেনি। তাতে কী? শান্তিপূর্ণ জীবনই তো সকল প্রশ্নের উত্তর বাড়ি। সমস্যা নেই। তারা শান্তিতেই আছে। চায়ের স্টলগুলো যেন আত্মীয়বাড়ির আলগা ঘর -- আড্ডার আত্মার নিকটতম জায়গা। কাহারা সারা দিনের জমানো ব্যথা, অভিমান, চাপা ক্ষোভ, ঘৃণা এই চায়ের দোকানে রেখে যায়, চায়ের দোকান তাদের হাজারো কথা বুকে ধারন করে মূর্তিমান, নির্বাক
Day: May 12, 2020
কোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে
ভেতর বাহির তালাআয়ু চাবি খোলাজীবন দেখি জগত দেখি দেখি না তোমারেকোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।। কোকিল ডাকে ডালে ডালেমন নাচে তালে তালেতুমি চলো মন কমলেদেখি না তোমারেকোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।। ভোরের আলো ফুটেকৃষক যায় মাঠেকৃষাণী কলসি কাঁখে নদীর জলেকোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।। ফুল ফোটে গাছে গাছেভ্রমরা ফুলে ফুলেজোছনা হেলে দুলে নদীর জলেকোথায় আছো কেমন আছো প্রানো বন্ধুরে।।
আশার রক্তে দেহতরী
আশায় বাঁধি বাসাআশায় ফুটায় ফুলআশার তরে জীবন মরণআশায় সুখের মূল আশায় আশায় জীবন খেলাআশায় মাঝি চালায় ভেলাচলতে-ফিরতে যাইতে আইতেসকাল দুপুর সন্ধ্যা রাইতেআশার তাবিজ বুকে নিয়েসরাই বিপদ আপদ তালা সাগরে ভাসায় জাহাজ নাবিকজলের চেয়েও সাহস অধিকআশা নিয়ে ফুলের পাঁপড়িগন্ধ বিলায় এদিক সেদিক আশায় কৃষক ফসল বুনেআশায় ভাষা সাজে কনেআশেক যায় মাশুক সনেজোয়ার আসে আশার টানেআশায় গায়ক গানে গানে জীবন চলে আশায় আশায়আশা নাচে আশাই নাচায়
স্রোতহীন জয়হীন আকাশের ভাসমান মেঘ
কোন মায়ায় ধরবে তুমি জীবন?আলো রেখার মতো অলাতচক্র বারবার জালফেলে থাকে উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম উপর নিচ আমাদের ঘর হওয়ার কথাআমাদের একটা ব্যক্তিগত নদী থাকার কথাআজ আমরা দূরাগত তারা পরিণীতা কাল আসবে তো?ভোরের আলোয় গ্রামের পথ ধরে হাঁটবে তো? কোকিলডাকা ভোরসকাল হয়ে আসা অপেক্ষানির্জনতা ডাকে তোমায় দূরাপনা, তোমাকে অর্থগত শব্দের ভেতরখুঁজে পাই না, সরিষা ফুলের মতো হারিয়ে যাওমিশে যাও মিলিয়ে যাও শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে। এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীপৃথিবী ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে সাগরের দিকে পুরাতন বাড়িটা পুরাতন রয়ে গেলশ্যাওলা পড়েছে তার উপরমানুষ অসহায় হলে মেঘও আকাশহীনা দলছুট আদি মানবের ভুল এখনও মানুষ বয়ে বেড়ায়মেঘ আর বৃষ্টির দূরত্বে আমরাবৃষ্টি হলে চোখ চেয়ে থাকে কড়তাঘরেঘুরপাক নিয়তি কোয়ারেন্টাইন সময়বজ্রপাত শিলাবৃষ্টি মানুষের মৃত্যুআমরা এখনো দূরের তারাদের দেশেগন্ধরাজ বেলীফুল কাঁঠালপাতা ডালিয়াআকাশ পরিষ্কার হলে বর্ণহীন গন্ধহীন ভালোলাগা মেঘের আশায় বসে থাকে মুর্শিদমনপৃথিবীর উপরে ছায়াবাজ পুতুলমানুষের উপরে
চন্ডীঘরে ভ্রমণ
চোখের পাতা আস্তে আস্তে নিভে আসে। লোকটি জানে সে ভুল করছে। তারপরও করে। অভ্যাস জনাব অভ্যাস। অভ্যাসের কারনে মানুষ খাবার খায়, প্রানি সঙ্গম করে, বাচ্চা উৎপাদন করে কতিপয় অনির্বান সেন। নকশাল কেবল খাবারের জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে বলে আপনার মনে হতেই পারে। মনটা তো আপনার, মনের মুখোমুখি আপনি না হয়ে স্নো পাউডারও মাখতে পারেন। কিন্তু ততক্ষনে আমাদের শরীরের হাওয়া বদল হতে লাগলো। শরীরে শীত শীত ডাকাতের আক্রমন। ঘুম থেকে ওঠে দেখি কেউ আর ঘুমে নেই। আমিই ঘুমিয়ে আছি। দ্রুত নাকি রেডি হতে হবে। তারপর দিল্লী, তারপর চন্ডীঘর। আমরা চন্ডীঘর নামবো। চন্ডীঘরে জনাব চন্ডাল আছে কিনা জানি না। অনেক কিছুই আমরা জানি না, তারপরও আমাদের মাস্তানি শেষ হয় না। শেভুকে মাস্তান মাস্তান লাগছে। ভদ্র মাস্তান। সব মাস্তানেরই ভেতরে একটা অসহায় ভাব
পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে যাব
ছোটকাল থেকে আমার একটা বিশেষ রোগ আছে। আর তাহলো সাজানো রোগ। আমার চারপাশটাকে সব সময় সাজিয়ে রাখতে চাই। সাজানো যেকোনো কিছু আমার ভালো লাগে খুব করে। যেদিন থেকে পড়ার টেবিল বলে কিছু একটা আছে সেইদিন থেকে আমার টেবিলে অন্য কারো হাত দেয়া বারন। একটা পোকাও যদি আমার টেবিলের উপর দিয়ে হেঁটে যেতো কোনো প্রকার সিসি ক্যামেরা ছাড়াই আমি টের পেতাম। টেবিলে হাত দেয়া বারন কারন অন্য কেউ হাত দেয়া মানে অগোছালো করে ফেলা। আমি দেখেছি আমি ব্যবহারিক জিনিস সম্পর্কে যত যত্নবান তত যত্নবান মানুষ আজও আমার চোখে পড়েনি। অনেকে নিজের জিনিসটা খুব যত্ন করে রাখে কিন্তু অন্যের জিনিসের প্রতি উদাসীন। আমি নিজের জিনিসের চেয়ে অন্যের জিনিসের প্রতি অধিক যত্নবান। হ্যাঁ। দায়িত্ব নিয়ে বলছি। আমরা যদি আমাদের চারপাশটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন মার্জিত করে রাখি তাহলে