বাতাসমোড়ানো দাতব্যমানুষ তোলে আনে স্বপ্নঘর স্বপ্নের চারপাশে খাবি খায় আপন- পর নিজেকে রোপন বাংলাদেশ বুনন জেগে ওঠে বালুচর বালুচরে হাততলি ,ভেলকিবাজি রূপ নারানের কূলে পাতাফাঁড়ি পাতাফাঁড়ি অলস অসীম , বৃত্তায়নে হেলেনভূমি প্যারিসচোখ কামুক হয়েছে রিপুমাছের লাফালাফি বাংলাদেশ অন্তসত্তা জারজ আহাজারি!
Day: May 12, 2020
ছায়া থেকে দূরে কোনো এক মানুষ
কোনো এক বর্ষার রাতে নদীর দারে কোনো এক ঘরে মাথার উপরে বৃষ্টির চাল-- তোমাকে ডাকি যদি আসবে? জানালা চোখে ঢেউ দেখা যায় এক ঢেউয়ের উপর আরেক ঢেউ, আরেক ঢেউয়ের উপর অন্য কোনো ঢেউ ভাসবে? দুটি হাঁস ভাসতে ভাসতে ভুলে গ্যাছে বাড়ির ঠিকানা আমাদের ঘরে তখন একটানা বৃষ্টি, হিমশীতল বাতাস তুমি আসলে, ভাসলে, ভাসালে অনেকদিন পর তুমি অনেকের কথা ভুলে গেলে অনেকের কথা মাথায় নিয়ে তুমি হয়েছিলে মুদির দোকান আজকে তুমি শব্দটি আমার, কেবলই আমার, আজকে আনন্দ আমার বেদনার সমান
মাটিতে গাছ কেটে তাকাবেন আসমানের দিকে
দুধের মধ্যে পাউডার মেশাবেন আপনি, প্রিয় রসালো ফল আমের মধ্যে ফরমালিন মেশাবেন আপনি, গরিবের কৃমিনাশক ঔষধ আনারসের মধ্যে হরমোন দিবেন আপনি, ইনস্ট্যান্ট এনার্জি কলার মধ্যে কার্বোহাইড্রেট দিবেন আপনি, শিক্ষাকে বাণিজ্যিক করবেন আপনি, বাঙালির হাজার বছরের প্রিয় জায়গা রসালো মিষ্টির মধ্যে হাইড্রোজ দিয়ে ধবধবে সাদা ইংরেজ করে ফেলবেন আপনি, খেজুরের গুড়ের মধ্যে চিনি দিয়ে লাভে লাভ করে ফেলবেন আপনি, আমাদের হাজার বছরের প্রোটিন ভিটামিনের আকর ঘিয়ের মধ্যে সোয়াবিন দিয়ে ব্যবসা করবেন আপনি, ফল গাছের পরিবর্তে কাঠ গাছ দিয়ে আকাশ বাতাস ভারী করে ফেলবেন আপনি, অধিক দুধের আশায় আপনার গোমাতাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে যাবেন আপনি, উচ্চ ফলের আশায় আপনার মাটিকে নষ্ট করবেন আপনি, আপনার সন্তানকে দিনের পর দিন প্রতিযোগী পণ্য করে তুলবেন আপনি.... তারপরেও বলবেন ইমিউনিটি সিস্টেম স্ট্রং থাকবে,তাই না !? বলবেন
প্রচন্ড প্রকাণ্ড মাতন্ড রাগ হয় আমার আমাদের
রাস্তাঘাটে লাশের পর লাশ পড়ে থাকবে, বর্ষার জলে ভেসে যাবে লাশ, অতীতে দুর্ভিক্ষের কথা আমরা ভুলে গেছি, আবার দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে, প্রিয়জন ভুলে যাবে প্রিয়জনের কথা, ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালাবে, মা খুঁজে পাবেনা সন্তানের লাশ, সন্তান খুঁজে পাবে না বাবা-মার লাশ, হুজুর ওয়াজ করা ভুলে যাবে-- তখন তার মনে পড়বে কতই না মিথ্যা ব্যাখ্যা দিয়েছিল কোরআনের আয়াতের। আজ যারা অনেক সচেতন তারা মারা পড়বে অসচেতনদের জন্য, যারা অসচেতন তাদের? তাদের তো চোখ কান বলে কিছু নেই, তারা বিড়ালের মতো ইতর, তাদের মাথায় পাথর পড়লে বুঝতে পারে পাথর বলে কিছু একটা আছে, তাদের পা কাটা পড়লে বুঝতে পারে পাও কাটতে পারে, তারা সমস্যার আগে কখনো সমস্যা নিয়ে কিছু ভাবতে পারে না, ক্ষুধা লাগলে ঠিকই খাবার খেতে বসে আরামসে, সন্তান কখন আনতে
রাত আর দিন কোনোদিন এক হয় না
বাঁশপাতার চোখ বলতে আপনারা কী বুঝবেন আমি জানি না। আমি জানি কাল ভোর ফুটবে। ঠিক কাল নয়। আজই। একটু পরেই অন্ধকার চলে যাবে গ্রামের বাড়ি। মসজিদে মসজিদে আযান হবে একটু পরেই।লাল আর অসম বিরোধ জলের সাথে যাচ্ছে জীবন যাচ্ছে সময়। বাঘচোখ বলতে আমরা নদীর গর্জন বুঝি। আমরা বলতে যারা বাঘের মাংস খেতে অভ্যস্ত হয়নি তারা।আমরা বলতে যারা এখনো বাঘের খাবার হয়নি তারা। তারপর হাওয়া আর পলাশের প্রান্তর। একটা লাল রং গিলে খায় সবুজ প্রান্তিক জোন। গলার শীত কমে গেলে ডিসটোপিয়া বন্যা আমাদের গ্রামে বেড়াতে আসে। বেড়ানো তার অভ্যাস। পুরাতন সাইকেল আর টিউবওয়েল পড়ে থাকে ইটের চমকচিত্রে। ইউটোপিয়ান আগামী কল্যানী কর্মকারকে পূজা দিতে আসে রোজ। আমাদের বর্ষাকাল। ‘আমরা কিংবা আমাদের’ বলতে যা বুঝি সেখানেও থাকে বিন্দু বিন্দু বিভেদের দেয়াল। মানুষ তার দেয়াল ভাঙে
বাবা ও তার বাবার জীবন
সময় বদলে গেছে। বদলে যাচ্ছে মানসিকতা। তৈরি হচ্ছে বিলাসিতার আপডেট ভার্সন। আব্বা ফজরের আযানের আগে ঘুম থেকে উঠতেন। মাঠে যেতে হবে, জমিকে লাঙল চালিয়ে করতে হবে আবাদি, ফসলি। খুব তাড়া। এতো ভোরে রান্না করার সুযোগ নেই। আব্বা পানিতে জমানো ভাত থালায় তুলতেন, আম্মা তাড়াতাড়ি শুটকিভর্তা করে আব্বার পাতে দিতেন। পান্তা ভাত আর শুটকিভর্তার আদলে আব্বা তাঁর পেট মহাশয়কে সন্তুষ্ট করতেন। আমার ঠাকুরদাও তাই করতেন। এই হলো কৃষকশ্রেণীর নাস্তা করার স্টাইল। নাস্তা করার নাগরিক অর্থ তাঁরা জানেন না। তাঁরা কেবল উদরপূর্তি করার জন্য খায়। শর্করা, আমিষ, স্নেহ পর্দাথের খবর তাঁদের কান পর্যন্ত পৌঁছে না। অথচ কৃষক শ্রেণী সত্যিকারের মানুষ, সব সাধকের বড় সাধক। সেই সাধকদের সঠিক মূল্যায়ন না করে, অবমূল্যায়নের সিনেমা তৈরি করে নাগরিক জীবন। সেই সিনেমার নাম `পান্তা- ইলিশ ভক্ষণ'। সিনেমা হলটির
সিমলার রাস্তায় নির্জন রাত
তিনি শ্রমজীবী মানুষ। দিনে সাপ্লায়ার। রাতে ডিম বিক্রি করে। সংসার চালাতে তারপরও অনেক কষ্ট। কিন্তু সিমলার মাটি বাতাস তাকে হাসতে মানা করে না। খুব সহজ মিশুক তিনি। এতো রাতে কে ডিম কিনতে আসে এটা গভীর ভাবনার বিষয়। কারন রাত আটটার পর পাহাড়ি সিমলা খুব একা হয়ে যায়। নদীর পাড়ের মানুষের মতো এই কর্মকার কাকুর কলাগাছিয়া দৃষ্টি। খুব সবুজ। তাহলে বুঝতে পারি নদী আর পাহাড় সমানুপাতিক লেন্সের দৃষ্টি উৎপাদন করতে পারে। কাকুর পাশেই আরেকজন ছিলেন যিনি কোনও প্রকার ছবি তুলতে রাজি না। মনিহারি দ্রব্যের ব্যবসা করেন। কেউ ছবি তুলতে অস্বীকার করলে আমার দুজনের কথা মাথায় আসে। একজন হলেন রুমী। রুমী মানে মাওলানা রুমী না। রুমী মানে আমগো জাহানারা ইমামের পুলা। জাহানারা ইমাম আমাদের জানিয়েছেন রুমী ছবি তুলতে এতো রাজি ছিলেন না, কারন
স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের
পঁচিশ মার্চ কালো রাত হিসাবে ছোট কাল থেকে শুনে আসছি। রাত কালো হয় কীভাবে জানি না। অন্ধকার আর কালো এক কথা না। অনেক সময় দেখি মুখের আগে অনেকে কালো বিশেষন হিসাবে ব্যবহার করেন। কালো মুখ। প্রভুরা শাদা কালারের। তাইতো প্রভুদের সরাসরি চেলা বা ভাব চেলারা কালোকে নেগেটিভ অর্থে ব্যবহার করে থাকেন। পঁচিশ মার্চ রাতে ঢাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন অংশে আক্রমন চালায় পূর্ব পাকিস্থানের রূহানি ভাই পশ্চিম পাকিস্থানের কতিপয় শাষকগোষ্ঠী। আবার বলছি কতিপয় শাষকগোষ্ঠী। যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবন মানে শাষকগোষ্ঠী কখনো জনগনের কথা শতভাগ মাথায় রাখতে পারে না অথবা পারতে চায় না। কিন্তু আমরা শুনেছিলাম সেই স্মরনীয় বক্তব্য "আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি এ দেশের মানুষের মুক্তি চাই"। এ দেশের মানুষের মুক্তি বলতে অবশ্যই অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির খোলা বাতায়নকে বুঝায়। মুক্তি কী
চন্দ্রনাথ মন্দিরের কথা
চন্দ্রনাথ মন্দিরে ওঠার সময় টের পাইনি তা ভূমি থেকে শত শত ফুট উপরে। উপর থেকে যখন নিচের দিকে তাকাই তখন টের পাই অনেক উপরে চলে আসলাম আমরা। আসলে লক্ষ্য যখন অত্যন্ত দৃঢ় হয় তখন দূরত্ব কোনো ফ্যাক্ট না। মন্দিরের দিকে যাত্রা শুরুর বিশ মিনিট পর আমার মনে হয়েছিল চলে আসলাম। কিন্তু না মন্দির বহুত দূর হে। যাত্রা শুরুর চার ঘন্টা পর চন্দ্রনাথ মন্দিরে পৌঁছানো গেলো। শক্তিপীঠের চেয়ে পাহাড়ের গতরে সজাগ গাছপালা ফুসফুসের অক্সিজেনের জন্য বেশ কার্যকরী টনিক অন্তত আমার কাছে। গাছের ভেতর দিয়ে পাহাড়, পাহাড়ের হৃদয় দিয়ে গাছ, ক্লান্তি আবার প্রশান্তি, প্রশান্তি আবার ক্লান্তি এমন বিষয় পাহাড়রমনেই সম্ভব। পাহাড় থেকে ভূমিতে নামার সময় পায়ের নিজয়েন্ট থেকে বৃদ্ধা আঙ্গুল পর্যন্ত চিনচিন ব্যথাযুক্ত একধরনের টান অনুভব করতে হয়। মধ্যাকর্ষন শক্তি তখন পায়ে চলে আসে, মাথা
সীমান্ত হাট
মধুগ্রাম। ফেনী জেলার একটি গ্রাম। মধুগ্রামের পাশেই প্রতি মঙ্গলবার সীমান্তহাট বসে। বাংলাদেশ তেল সাবান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের খাবারসামগ্রী কিনে। ভারত কিনে মাছ। বাংলাদেশের খাবারসামগ্রীর উপর ভারতের আগ্রহ নেই বললেই চলে। বর্ডার হাটের গেইট দিয়ে ইচ্ছা করলেই বাংলাদেশে ঢুকতে পারে ভারত। ইউনুস বর্ডার হাটে চা বিক্রি করে। ভারতের শ্রীনগর তার বাড়ি। শ্রীনগর বর্ডার হাট তথা ছাগলনাইয়ার পাশের গ্রাম। ছাগলনাইয়া বাংলাদেশে, শ্রীনগর ভারতে। ইউনুস প্রায় পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া তার মামার বাড়ি ময়মনসিংহ বেড়াতে আসে। বাংলাদেশ কিন্তু ইচ্ছা করলেই বর্ডার হাটের গেইট দিয়ে ঢুকতে পারবে না ভারতে। কারন নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট আইনপন্থী। এই সীমান্তহাটটি আবার মিলন মেলা হিসাবেও কাজ করে। এপার ওপার আত্মীয়দের মিলন মেলা। কাঁটাতার দিয়ে স্পষ্ট চলমান মানুষ দেখা যাচ্ছিল রাস্তায়-- সাইকেল চালাচ্ছে। আর এই পাশ তথা বাংলাদেশের চলমান রাস্তায় চলছে বাইক।